Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চক্রব্যূহে জাতীয় কংগ্রেস:
সোনিয়ার প্রত্যাবর্তন
প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়

আগস্ট মাস জাতীয় কংগ্রেস ও ভারতীয় রাজনীতিতে স্মরণীয় মাস। ১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা হয়, আবার ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে। মজার কথা, বিগত ১০ আগস্ট মধ্যরাত্রে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি নতুন কংগ্রেস সভাপতির নাম স্থির করার জন্য পাঁচটি কমিটি শলা-পরামর্শে বসে। শেষ পর্যন্ত ঠিক হল পদত্যাগী সভাপতি রাহুল গান্ধীর স্থলে অন্তর্বর্তী সভাপতি হবেন তাঁর মাতা সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া গান্ধী ১৯৯৮ থেকে প্রায় বিশ বছর একটানা কংগ্রেস সভানেত্রী ছিলেন। তারপর ২০১৭ সালের অক্টোবরে তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধী সভাপতি হলেন। এ বছর লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর ২৫ মে তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় তিন মাস অচলাবস্থা চলার পর সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তী সভাপতি হলেন। নেতৃত্বহীন কংগ্রেসের নেতা হিসেবে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী পুনরায় শীর্ষপদে বসলেন। জাতীয় আন্দোলনের প্রধান মঞ্চ জাতীয় কংগ্রেসের হাল কীরকম হয়েছে তা সবারই কাছে পরিষ্কার।
স্বাধীনতার পূর্বে জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি হতেন বরেণ্য জাতীয় নেতারা। সে সময় কংগ্রেস সভাপতি রাষ্ট্রপতি নামে বন্দিত হতেন। তবে টানা বিশ বছর কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সোনিয়া গান্ধী রেকর্ড স্থাপন করেছেন। অথচ মহাত্মা গান্ধী মাত্র এক বছর কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। নেতাজি সুভাষ দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভাপতি হওয়ায় কংগ্রেস হাইকমান্ডের বিরাগভাজন হন এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। আবার গান্ধীজির নির্দেশমতো স্বাধীনতার পূর্বে কংগ্রেস সভাপতি হন তাঁর প্রিয় শিষ্য জওহরলাল নেহরু। অচিরেই তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে অভিষিক্ত হন।
স্বাধীনতার পর কংগ্রেস আর জাতীয় আন্দোলনের মঞ্চ রইল না। রাষ্ট্র নির্মাণের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কংগ্রেস একটি রাষ্ট্রবাদী দলে পরিণত হল। নেহরু প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভাপতি দুটি দায়িত্ব সামলেছেন। পরে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। সংসদীয় গণতন্ত্র ও পরিকল্পিত অর্থনীতির ইমারত গড়ায় তিনি ছিলেন অগ্রণী। তবে পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে তিনি সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেননি। চীন ও পাকিস্তান এই দুই প্রতিবেশী দেশের বৈরী আচরণে তিনি মর্মাহত হন। পাকিস্তান শুরু থেকেই ভারত-বিরোধী ভূমিকা নেয়, আর চীনের সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্ক স্থাপনে নেহরু সচেষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত চীন ভারত আক্রমণ করে (১৯৬২)। হতাশা নেহরু আর দু’বছর বেঁচেছিলেন। তবে তাঁর সময়ে কংগ্রেস কেন্দ্রে ও অঙ্গরাজ্যগুলিতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা বজায় রাখতে পেরেছিল। তবে তিনি বুঝেছিলেন দলের ভাবমূর্তি ও সাংগঠনিক শক্তিতে চিড় ধরেছে। তাই কামরাজ পরিকল্পনা নিয়ে সংগঠনকে মজবুত করার চেষ্টা চালান।
কিন্তু ১৯৬৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবর্ষে কংগ্রেস দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য সংঘাতে পরিণত হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কংগ্রেস দলের প্রার্থী সঞ্জীব রেড্ডিকে পরাজিত করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিরোধী প্রার্থী ভি ভি গিরিকে সমর্থন জানালেন। এরপরেই কংগ্রেসে বিভাজন হল। ইন্দিরা তাঁর সমর্থকদের নিয়ে কংগ্রেস (আর) গঠন করেন। আর কংগ্রেস সংগঠনের শীর্ষ নেতারা কংগ্রেস (সংগঠন) নামে পরিচিত হলেন। ১৯৭১ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়যুক্ত হয়ে ইন্দিরা গান্ধী সরকার গঠন করেন।
১৯৭০-এর দশকে কংগ্রেস (আর) কার্যত কংগ্রেস (আই) বা ইন্দিরা কংগ্রেসে পরিণত হল। দলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্ষীণ হয়ে উঠল। কংগ্রেস দলের সভাপতি দেবকান্ত বড়ুয়া বললেন, ‘ইন্দিরাই ভারত’ (Indira is India)। দলীয় গণতন্ত্রের বিনাশের পর দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর আঘাত নেমে এল জরুরি অবস্থা জারি করার পর (জুন ১৯৭৫)। ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর ১৯৮০ সালে ইন্দিরা বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে এলেন। ইতিমধ্যে পরিবারতন্ত্রের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সঞ্জয় গান্ধী দলে ও প্রশাসনে সক্রিয় হস্তক্ষেপ করতে লাগলেন। সঞ্জয়ের অকাল প্রয়াণের পর ইন্দিরার জ্যেষ্ঠপুত্র রাজীব গান্ধী রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরার হত্যাকাণ্ডের দিনেই রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হলেন। একই সঙ্গে দলীয় সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী পদে রাজীব গান্ধী দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। এইভাবেই কংগ্রেসে নেহরু-গান্ধী পরিবারের প্রাধান্য কায়েম হল।
রাজীবের প্রয়াণের পর (১৯৯১ খ্রিঃ) কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্রের ইতিহাসে ছেদ ঘটল। পি ভি নরসিংহ রাও ছিলেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। পাঁচ বছর পর কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যস্ত হল। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দু’বছর কংগ্রেসের সমর্থনে অ-বিজেপি দলগুলি ক্ষমতায় বসে। এরপর এল বিজেপি’র নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। ১৯৯৮-এর মার্চ মাসে সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস সভানেত্রীর পদে আসীন হলেন। তাঁর নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়। কংগ্রেস দলের নেতৃত্বে দশ বছর ধরে ইউপিএ সরকার ক্ষমতাসীন ছিল। সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃত হলেন। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেন। তবে ইউপিএ সরকারে সোনিয়াই ছিলেন অন্তরাত্মা ও শেষ কথা। সঞ্জয় বারু রচিত The Accidental Prime Minister গ্রন্থে দেখা যায় কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপর দলীয় নিয়ন্ত্রণ বলবৎ করা হয়। সরকারের নীতি নির্ধারণে ইউপিএ-র চেয়ারপারসন তথা কংগ্রেস সভানেত্রী ছিলেন মূল পরিচালিকা শক্তি। এ যেন সিংহাসনের পশ্চাতে শক্তির আস্ফালন। কিন্তু ইউপিএ সরকারের আমলে দুর্নীতির চরম স্ফীতি সারা দেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। জাতীয় কংগ্রেসের ভাবমূর্তি বিপন্ন হল।
এই প্রেক্ষাপটে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ বিপুলভাবে জয়যুক্ত হয়। বিজেপি একাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। বিগত ত্রিশ বছরে কোনও একটি দল একাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কংগ্রেস দলের আসন সংখ্যা ৪৪-এ নেমে এল। ইতিপূর্বে আর কখনও এতটা ভরাডুবি হয়নি। লোকসভায় বিরোধী দলের তকমা জুটল না। ২০১৯-এর বিগত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হৃতগৌরব ফেরাতে ব্যর্থ হল। ইতিমধ্যে ২০১৭ সালের অক্টোবরে সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন। তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধীকে সরাসরি কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল। রাহুল প্রথম দিকে দলের শক্তি বৃদ্ধিতে তৎপর হলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন।
রাজ্যস্তরে বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকার গঠনে সক্ষম হল। মনে হচ্ছিল বুঝি কংগ্রেস কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কিন্তু সব কিছু ব্যর্থ হল। রাহুল দুটি আসনে দাঁড়িয়ে গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি নামে পরিচিত আমেথি কেন্দ্রে পরাজিত হলেন। রাহুল বুঝি এরকম বিপর্যয় হবে তা কল্পনাও করেননি। নির্বাচনে পরাজয়ের দায়-দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শত অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন। আড়াই মাস অচলাবস্থা চলার পর গত ২০ আগস্ট কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি রাহুলের পদত্যাগ গ্রহণে বাধ্য হলেন এবং অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে তাঁর মা প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়ার নাম গৃহীত হল।
পরিষ্কার হয়ে গেল পরিবারতন্ত্র ভিন্ন কংগ্রেসের কোনও গতি নেই। কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, উপদলীয় সংঘাত ও কংগ্রেস থেকে অন্য দলে যোগদানের হিড়িক বন্ধ করে কংগ্রেসকে টিকিয়ে রাখতে পরিবারতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সভানেত্রী কি কংগ্রেস দলের সজীবতা, শৃঙ্খলা ও সংহতি সুনিশ্চিত করতে পারবেন? গণভিত্তির উপর দলীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠিত না হলে দলের ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। বিজেপি’র দলীয় শৃঙ্খলা, সাংগঠনিক শক্তি, দলীয় কর্মীদের উদ্যোগ ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের পাশে কংগ্রেস তার অতীত ঐতিহ্যকে পুঁজি করে কতদূর এগবে সেই বিষয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকে যায়।
 লেখক পশ্চিমবঙ্গ স্টেট আর্কাইভসের প্রাক্তন অধিকর্তা
22nd  August, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM