Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জিতে গেলেন শ্যামাপ্রসাদ
জিষ্ণু বসু 

দিনটি ছিল ১১ মে, ১৯৫৩। পারমিট ছাড়া কাশ্মীরে প্রবেশের অপরাধে পাঠানকোটের মাধোপুর সীমান্তে গ্রেপ্তার হলেন শ্যামাপ্রসাদ। সেখান থেকে শ্রীনগর ৩০০ কিমির বেশি। এতটা পথ পুলিসের জিপে আনা হল তাঁকে। মাত্র কয়েক বছর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তাঁকে প্রথমে শ্রীনগরের সেন্ট্রাল জেলে রাখা হল। তার পর শহরের বাইরে একটা বাংলোয়। সেখানে না-ছিল ঠিকঠাক খাবার, না-দেওয়া হতো ওষুধপত্র। পুরনো শুকনো হাঁপানি আবার বেড়ে গেল, সঙ্গে পিঠে ব্যথা আর রাত্রে ধুম জ্বর। ২৩ জুন ভোট ৩টে ৪০ মিনিটে চলে গেলেন শ্যামাপ্রসাদ। কিন্তু, কেন অকালে এত কষ্ট সহ্য করে প্রাণ দিতে হল দেশবরেণ্য মানুষটিকে? কী চেয়েছিলেন তিনি? তিনি চেয়েছিলেন এক দেশে একজনই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। একটিই আইন হবে আর জাতীয় পতাকাও এক হবে। মানে, সংবিধানে কাশ্মীরের জন্য যে বিশেষ ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে ৩৭০ ধারাতে তা তিনি মানবেন না। স্বাধীন ভারতে প্রথম শহিদ হলেন তিনি।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট। ভারতের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের কথা ঘোষণা করলেন। সেইসঙ্গে মাননীয় রাষ্ট্রপতি বিলোপ করলেন সংবিধানের ৩৫এ ধারা—যার বলে এতদিন কাশ্মীরে আলাদা করে স্থায়ী বাসিন্দার সংজ্ঞা দেওয়া হতো। ভারতের অন্যকোনও প্রদেশের নাগরিক সেখানে স্থাবর সম্পত্তির অধিকারী হতে পারতেন না। শ্যামাপ্রসাদ ঠিক যেমনটি চেয়েছিলেন ৬৬ বছর পর ঠিক তাই হল। কাশ্মীর ভারতের অন্যসব এলাকার মতোই সমান মর্যাদা পেল। দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিজু জনতা দল, বহুজন সমাজ পার্টি, আম আদামি পার্টির মতো বিরোধীরাও।
সমর্থন করেছে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর প্রায় সব ক’টি আঞ্চলিক দল। রাজ্যসভায় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তাঁর মতে, এই ৩৭০ ধারা বিলোপের দিনটি হল ‘কালো সোমবার’! ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিও ৩৫এ ধারা বিলোপের বিষয়ে গভীর আপত্তি জানিয়েছে। কারণ, ওই ধারা মতে, কেবল কাশ্মীরের ভূমিপুত্ররাই কাশ্মীরের জমির অধিকারী হবেন।
কিন্তু ভূমিপুত্র আসলে কারা? যে ছ’লক্ষের বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত মৌলবাদীদের অত্যাচারে নিজের দেশেই উদ্বাস্তু হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা নন? ১৯৮৯ সালের আগস্ট থেকেই উপত্যকায় জেহাদি দৌরাত্ম্য বাড়তে থাকে। রাজ্যের ক্ষমতায় তখন শেখ আবদুল্লার ছেলে ফারুক আবদুল্লা। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জনপ্রিয় রাজনেতা ছিলেন টিকালাল টাপলু। প্রকাশ্যে খুন হলেন তিনি। ১৯৮৯ সালের ৪ নভেম্বর নির্মমভাবে হত্যা করা হল বিচারপতি নীলকণ্ঠ গঞ্জুকে। বিচারপতির দেহ প্রকাশ্য রাজপথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকল। কেউ স্পর্শ করতেও সাহস করল না! শিক্ষিকা গিরিরাজ টিপ্পুকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হল! ১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি জেহাদিরা মাইকে ঘোষণা করল—পণ্ডিতরা যেন কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যান। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সরকার কেবল দর্শকের ভূমিকায় ছিল। সেদিন কিন্তু কোনও বামপন্থী দল, কোনও লেফট লিবারাল স্তম্ভ লেখক প্রশ্ন তোলেননি কেন এই সভ্য যুগেও একটি এলাকার আদি বাসিন্দাদের এত নির্মম অত্যাচার করে বিতাড়িত করা হবে?
সংবিধানের ৩৭০ ধারা কাশ্মীরের হিন্দু বা মুসলমান কারোরই কোনও উপকার করেনি। যেখানে সারা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় ভেবে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছচ্ছেন, তৈরি হয়েছেন এ পি জে আব্দুল কালামের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব আর সেখানে কাশ্মীরে একটি ছেলে যুবক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদের পাঠ পেয়েছেন। কখনও জয়েশ-ই-মহম্মদ, কখনও লস্কর-ই-তোইবা, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংস্থার হাতের পুতুল তৈরি হয়েছেন। কাশ্মীরে ৩৭০ বা ৩৫এ ধারা থাকার জন্যই আল কায়েদা বা আইএসআইএস উৎসাহ পেয়েছে কাশ্মীরকে জেহাদের লক্ষ্য বানাতে।
কিন্তু কাশ্মীর থেকে ভারতীয়ত্ব মুছে ফেলা অত সহজ ছিল না। কাশ্মীরের সংস্কৃতির হৃদপিণ্ডই হল ভারতবর্ষ। ইউরোপের অনেক ঐতিহাসিক কারকোটা বংশের রাজা ললিতাদিত্য মুক্তাপিড়কে ‘ভারতবর্ষের আলেকজান্দার’ বলেছেন। কাশ্মীরের এই রাজা আজকের আফগানিস্তান হয়ে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছিলেন। সময়টা ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের আশপাশে। ভারতবর্ষের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক অভিনব গুপ্ত দশম শতকে এই কাশ্মীরেই জন্মেছিলেন। জগদ্‌গুরু আদি শঙ্করাচার্য কাশ্মীরে এসে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে এক মন্দির খুঁজে পান। সেই মন্দিরকে সংস্কার করেই তিনি তৈরি করেন জ্যোতিশ্বর শিবের মন্দির। সংস্কৃত সাহিত্যের যুগান্তকারী সৃষ্টি ‘রাজতরঙ্গিনী’ কবি কাশ্মীরে বসেই লিখেছিলেন। ১১৪৮ খ্রিস্টাব্দের কিছু আগে-পরে লোহার রাজহর্ষের রাজসভায় পরিবেশিত হয়েছিল রাজতরঙ্গিনী। স্বামী বিবেকানন্দ অমরনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন, ক্ষীরভবানী মন্দিরে গিয়ে আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন। কাশ্মীর উপত্যকার কোণায় কোণায় ভারতবর্ষের হাজার হাজার বছরের সভ্যতার স্পর্শ। বিদেশি মদতপুষ্ট জেহাদিরা শত চেষ্টা করেও যা নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। তাই আরও উগ্র আর হিংস্র হয়েছে তাদের আচরণ। হিন্দু কী মুসলমান—যে মানুষই ভারতের পক্ষ নিয়েছেন তাঁকেই তারা নির্দয়ভাবে হত্যা করেছে।
অবাক করার মতো বিষয় হল—এই নরঘাতক জঙ্গিদেরকে আগাগোড়া সমর্থন করে এসেছেন তথাকথিত বাম ‘মুক্তমনা’ বুদ্ধিজীবীরা। দিল্লি বা কলকাতার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে এমন কুখ্যাত জল্লাদদের। ধর্মান্ধ জেহাদি আর নাস্তিক বামপন্থীকে একমঞ্চে এনেছে একটাই স্লোগান—‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’। দুই শিবিরের মূল লক্ষ্যই হল—ভারতকে টুকরো টুকরো করা। এই বোঝাপড়া তাদের কেবল বিচারের ক্ষেত্রে নয় লড়াইয়ের ময়দানেও এক করেছে। ২০১০ সালে কলকাতার সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির অধিকর্তা এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কীভাবে মাওবাদীরা কাশ্মীরের মুজাহিদিনদের সাহায্যে আফগানিস্তানের তালিবানদের কাছ থেকে দূর নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ প্রযুক্তি সর্বপ্রথম ভারতে এনেছিল।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা যে এমনই ভয়ানক বিপদ ডেকে আনবে তা সর্দার প্যাটেল, বাবা সাহেব আম্বেদকর, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা বুঝেছিলেন। কিন্তু পণ্ডিত নেহরুর অর্থহীন জেদ আর শেখ আব্দুল্লাকে খুশি করার আশ্চর্য বাসনা দেশের বুকে এত বড় বিপদ ডেকে এনেছিল। শেখ আব্দুল্লাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন বাবা সাহেব আম্বেদকর। সংবিধানের জনক এই প্রাজ্ঞ মানুষটি উত্তেজিত হয়ে বলেছিলেন, ভারতের সেনা জওয়ানরা বুকের রক্ত দিয়ে কাশ্মীরকে পাহারা দেবে আর ভারতের কোনও নাগরিকের সেই ভূখণ্ডে কোনও অধিকার থাকবে না—এরকম অন্যায় তিনি হতে দেবেন না। বেগতিক দেখে বাবা সাহেবকে এড়িয়ে জওহরলাল নেহরু এই ৩৭০ ধারা সংসদে এনেছিলেন। এ নিয়ে আলোচনার দিন আম্বেদকরজি একটিও প্রশ্নের উত্তর দেননি। আর প্রতিবাদ করেছিলেন ভারতকেশরী শ্যামাপ্রসাদ।
শ্যামাপ্রসাদ খুব কম বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন। উপাচার্য হিসেবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তিনি সমাবর্তন ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। পরাধীন ভারতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যমণ্ডিত শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুদেব বাংলায় ভাষণ দিলেন! সে সাহস কেবল শ্যামাপ্রসাদেরই ছিল। আজকে সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের প্রতিষ্ঠার সময় বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার সবচেয়ে বড় ভরসাস্থল ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। কাজী নজরুল ইসলাম এক পত্রে লিখেছিলেন নতুন স্বাধীন ভারতের কাণ্ডারী হবেন সুভাষচন্দ্র বসু আর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এই কৃতী বঙ্গসন্তান দেশের জন্য সবকিছিু ছেড়ে সুদূর কাশ্মীরে গিয়ে প্রাণ দিলেন।
অথচ, আজ যখন শ্যামাপ্রসাদের আত্মবলিদান সার্থক হয়েছে তখন বাংলার মানুষ রাজনৈতিক বিভেদ ভুলতে পারলেন না। ৩৭০ ধারা বিলোপের পথে হাতে হাত ধরে বাধা দিচ্ছে তৃণমৃল কংগ্রেস আর ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। সংসদের উচ্চ কক্ষে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি এর বিরোধিতা করেছেন। সংসদে বাংলা থেকে বামেদের কোনও প্রতিনিধি নেই। তাই তাঁরা বাইরে প্রতিবাদ করেছেন। গত সোমবার মহাজাতি সদনে সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা সংরক্ষণের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। দলীয় মুখপত্র প্রথম পাতায় ‘সংবিধানে ছুরিকাঘাত’ বলে অভিহিত করেছে ৩৭০ ধারা বিলোপকে। পাকিস্তানও বিব্রত। ইসলামাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ৩৭০ ধারা খারিজের এই ‘বেআইনি’ এবং একতরফা সিদ্ধান্তের মোকাবিলা করবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।
কিন্তু সারা ভারতের মহল্লায় মহল্লায় আজ উৎসবের চেহারা। শত শত মানুষ প্রাণ খুলে স্লোগান দিচ্ছেন—‘‘যাহা হুয়ে বলিদান মুখার্জি, ওহ কাশ্মীর হমারা হ্যায়।’’ সত্যিই জিতে গেলেন শ্যামাপ্রসাদ।
 সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত 
07th  August, 2019
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...

ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম সমালোচক তথা বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান। জেলের ভিতর সেই মৃত্যু নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিন্দার মুখে পড়েছেন পুতিন। ...

তাপমাত্রা বাড়তেই ভাবনা বদল। বুধবার বালুরঘাটে এই মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন পারদ আরও চড়ার পূর্বাভাস পেয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ভোটাররা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM