Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ডাক্তার আন্দোলন: জয় পরাজয় নয়, হাসপাতাল সমস্যা সমাধানই লক্ষ্য হোক
শুভা দত্ত

এত বড় একটা সমস্যার এমন সহজ সাবলীল সমাধান, সপ্তাহব্যাপী অনড় অচলাবস্থার এমন অনায়াস অবসান বোধহয় এ রাজ্যের শাসক-বিরোধী কোনও মহলই ভাবতে পারেননি। রাজ্যের স্বাস্থ্যপরিষেবার উপর ঘনিয়ে ওঠা অমন অতল কালো মেঘ যে এমন এক লহমায় সরে যাবে এবং থমকে থাকা সরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো ফের যে অমন দ্রুততায় স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্যে ভরে উঠবে, সিনিয়র জুনিয়রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে রোগীসেবায় তা বিরোধীরা তো বটেই, শাসকশিবিরের অনেকেও হয়তো মন থেকে বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি। অথচ, সেটাই ঘটল এবং এবারও সেই অসাধ্য সাধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অবশ্য, এনআরএসে দুষ্কৃতী হামলা ও হেনস্তার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার আন্দোলন থামিয়ে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক পরিষেবা ফিরিয়ে আনতে শেষ ভরসা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাই। কারণ, ডাক্তার আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি তখন এমন জটিল আকার নিয়েছে যে, সকলেই বুঝতে পারছেন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া কারও পক্ষেই ওই সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপাল উপদেশ দিতে পারেন, নানান জনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন, তবে কার্যক্ষেত্রে সমস্যা মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া মেটা মুশকিল। কিন্তু, অবস্থা যখন চরমে, রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে আন্দোলনের ঢেউ যখন ছড়িয়ে পড়েছে দিল্লি সমেত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বাস্তব পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে-বুঝতে মূল ঘটনাকেন্দ্র এনআরএসে না গিয়ে পিজিতে যাওয়ায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভ অভিমানের মুখে তখন তিনিও!
তাহলে? কীভাবে মিটবে আন্দোলন! কে মেটাবেন? ডাক্তারের অভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যপরিষেবা তলানিতে। চিকিৎসা না পেয়ে সাধারণ রোগীরা অথৈ জলে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা তাঁর সমমনোভাবাপন্নেরা রোগীসেবা চালু রেখে আন্দোলনের অনুরোধ জানাচ্ছেন। তাতে আন্দোলনরত জুনিয়রেরা বা তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে আসা সিনিয়রেরা কেউ কর্ণপাত করছেন না। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষাস্বাস্থ্য দপ্তর বা ডাক্তার সংগঠনের কর্তা-নেতাদের বৈঠক করার চেষ্টা দফায় দফায় ব্যর্থ হচ্ছে। উল্টে নির্মল মাজি শান্তনু সেনদের মতো ডাক্তার নেতারা আন্দোলনকারীদের অসন্তোষ ও কঠিন বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। আন্দোলনে বাড়তি ইন্ধন জোগাতে শুরু করেছে সরকারি হাসপাতালের বড় বড় ডাক্তারবাবুদের গণইস্তফা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমন যে শাসক-বিরোধী থেকে আমজনতা—সব মহলেই একরকম অকূল পাথারে! রাজ্যের হাসপাতাল সমস্যা কবে মিটবে, কীভাবে মিটবে, কে মেটাবেন কেউই যেন বুঝেই উঠতে পারছেন না! সঙ্গত কারণেই দুশ্চিন্তা গভীরতর হচ্ছে বাংলার ঘরে ঘরে, বিশেষত, অসহায় সাধারণ রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনেদের মধ্যে। দিল্লির এইমস সমেত দেশের বিভিন্ন নামজাদা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে আন্দোলন প্রতিবাদে নামতে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের সাধারণ মানুষজনের মধ্যে উদ্বেগ অনিবার্যভাবেই আরও বাড়ছিল। অনেককেই বলতে শোনা গেছে—এবার কী হবে? সব কিছু হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে না তো?!
তখনই অবশ্য এই কলমে লেখা হয়েছিল, সমাধান একটা হবেই। হতেই হবে। স্বাস্থ্যপরিষেবার মতো এমন অত্যাবশ্যক গুরুত্বের ক্ষেত্র আন্দোলনের জেরে দিনের পর দিন কিছুতেই বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। হাজার হাজার মরণাপন্ন রোগী কিছুতেই এভাবে সম্পূর্ণ বিনা দোষে পরোক্ষ লাঞ্ছনার শিকার হতে পারেন না। গত রবিবার এই লেখা প্রকাশের পরদিনই সেই ‘চমৎকার’ ঘটল এবং অনিবার্যভাবেই তা ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়ার প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে এবং হাসপাতালের অন্দর-বাহিরের নিরাপত্তা সমেত যাবতীয় সমস্যা সমাধানে সরকারি সক্রিয়তার পূর্ণ আশ্বাস দিয়ে নবান্নে এক মিটিংয়েই বাজিমাত করলেন মমতা। জুনিয়র সিনিয়র নির্বিশেষে সমস্ত চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী মমতার ভূমিকা ও সদর্থকতায় অভিভূত হয়ে একবাক্যে তুলে নিলেন আন্দোলন। আর তার ফলে দিনের পর দিন অচল হয়ে থাকা রাজ্যের হাসপাতাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে রাতারাতি সচল হল পরিষেবা, দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে আসা শিশু, বৃদ্ধ নারীপুরুষ গরিবগুর্বো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন, টিভিতে তাঁদের চোখ-মুখই বলে দিচ্ছিল— দুঃখের আঁধার রাত্রি কেটে গেছে।
কিন্তু, মজার ব্যাপার—মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টার স্ট্রোকে হাসপাতালের অচলাবস্থা দূর হতেই দেখলাম রাজনীতি ও তৎসংলগ্ন বিভিন্ন মহলে একশ্রেণীর লোক ওই টানাপোড়েনের নিষ্পত্তিতে কার জয় হল, কে ‘নতিস্বীকার’ করল তাই নিয়ে তরজায় মেতেছেন! এবং অনেক ক্ষেত্রেই বলতে শুনলাম, চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী নাকি ‘নতিস্বীকার’ করলেন আর নৈতিক জয় হল জুনিয়র ডাক্তারদের। সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’ বিরাট বড় টাইপে প্রথম পাতায় লিখল—‘মাথা নোয়ালো নবান্ন’! কেন? না, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের শর্ত মেনে (মানে মিটিংটার লাইভ টেলিকাস্টের ব্যবস্থা করা, ডাক্তারদের ১২ দফা দাবি মেনে নেওয়া ইত্যাদি!) মুখ্যমন্ত্রীকে সব ব্যবস্থা করতে হল! হাসপাতালের নানান সমস্যার কথা শুনতে হল— আশ্বাস দিতে হল দ্রুত সমাধানের! ভাবুন কাণ্ড! যেন ওদের ওইসব সাধারণ দাবি না মেনে, সমস্যার কথা না শুনে হাজার হাজার অসহায় অসুস্থ মরণাপন্ন মানুষকে আরও অসহায়তার দিকে ঠেলে দিয়ে গোঁ-ধরে বসে থাকলেই মুখ্যমন্ত্রী ভালো করতেন! সেটাই যেন প্রত্যাশা করেছিলেন কেউ কেউ! আহাম্মক আর কাকে বলে! হাজার হাজার রোগীর চরম ভোগান্তি দেখেও মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে
বসে থাকবেন আর ধান্দাবাজেরা আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের শিখণ্ডী করে ঘোলা জলে মাছ ধরে বেড়াবেন, রাজনৈতিক ফায়দা লোটায় মত্ত হবেন! কী মজা!
কিন্তু তাই কি হয়! হতে পারে!? হতে যে পারে না সেটা তো মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা সক্রিয়তা শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করে দিয়েছে। তাতেও নাছোড় আহাম্মকরা। রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা বেহাল, ডাক্তার নিরাপত্তা কতটা শিথিল ইত্যাদি প্রভৃতি নানান কিছু ঠারেঠোরে দেশ-রাজ্যের জনতাকে বোঝাবার চেষ্টা করে চলেছেন তাঁরা। অথচ তাঁরা এটা বলছেন না যে, জুনিয়র ডাক্তারেরাও সদিচ্ছার পরিচয় রেখে বৈঠকের স্থান নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেটা মেনে নিয়েছেন। ডাক্তারেরা তো নবান্নের নাম শুনে প্রথমে অন্য কোনও ‘নিরপেক্ষ’ জায়গার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি নবান্ন তো তাঁরাও মেনেছেন? তাহলে কি এটা সরকারের সামনে তাঁদের ‘নতিস্বীকার’ হল? মাথা নোয়ানো হল, হার হল! নাকি এতদ্বারা প্রমাণিত হল যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আন্দোলনরত জুনিয়র সিনিয়র ডাক্তারবাবুদেরও রোগীসেবার স্বার্থে আন্দোলন শেষ করে কাজে নামার একটা তাগিদ ছিল, সদিচ্ছা ছিল। আপনারাই বলুন।
বলতে কী, এ রাজ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নতুন নয়। রোগীর আত্মীয়পরিজন বা বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হাতে ডাক্তার নিগ্রহও নতুন না। এবং তা নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ আন্দোলনও কম দেখেনি এই বাংলা। জ্যোতিবাবুর আমল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানা—জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের ট্র্যাডিশন যে বহাল আছে সাম্প্রতিক ঘটনা তারই প্রমাণ। সেইসঙ্গে এটাও বলতে হয় অতীতেও আন্দোলন শেষ হয়েছে সমস্যা সমাধানের সরকারি আশ্বাসে কিন্তু কাল ঘুরতেই বোঝা গেছে সেই আশ্বাসে কাজের কাজ খুব কিছু হয়নি। এবারও হবে কি না সেটা সময়ই বলবে। তবে, এবারের বৈঠকের একটা বৈশিষ্ট্য আছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং অন ক্যামেরা এই বৈঠক করেছেন। এমনটা জ্যোতি বসুই হোন কি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য— বাম জমানায় যতদূর মনে পড়ছে একটি ব্যতিক্রম ছাড়া দেখা যায়নি। দ্বিতীয়ত, সিপিএমের আমলে হাসপাতাল পরিষেবার পরিকাঠামো পরিধি, হাসপাতালের সংখ্যা, অত্যাধুনিক চিকিৎসার যন্ত্রপাতির পরিমাণ ও রোগীদের কাছে তার সহজলভ্যতা, বিনামূল্যের চিকিৎসা, ওষুধপত্র ইত্যাদি আজকের মতো এত ছিল কি? বলছি না যে বাম আমলে সরকারি হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা পেতেন না, নিশ্চয়ই পেতেন। কিন্তু, গত সাত-আট বছরে সেই চিকিৎসার সুযোগ যে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজনের কাছে অনেক বেশি সহজপ্রাপ্য করে তুলতে পেরেছেন— সেই সত্য অস্বীকার করা যাবে কি?
তার মানে অবশ্যই এই নয় যে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে তেমন কোনও সমস্যা নেই। সাম্প্রতিকে ডাক্তার নিগ্রহের বেশ কয়েকটি ঘটনা প্রমাণ করেছে— সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট গলদ আছে। সংশ্লিষ্ট পুলিসের ভূমিকাও অনেক ক্ষেত্রে সন্তোষজনক নয়। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে হাসপাতাল কার্যত এক শ্রেণীর গুন্ডাপ্রকৃতির মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ। সেইসঙ্গে রোগীর বিপুল চাপ সামলাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তারের অভাব, ওষুধপত্রের জোগানের অভাব, দালালদের দাদাগিরি রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে হাসপাতালের ডাক্তার কর্মী কর্তাদের একাংশের দুর্ব্যবহার ইত্যাদি হরেক সমস্যা তো আছেই। মুখ্যমন্ত্রী গত সোমবারের বৈঠকে কোনও সমস্যাই কিন্তু এড়িয়ে যাননি। নিরাপত্তা জোরালো করতে তো ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। বাকিগুলোর সমাধান হতেও দেরি হবে না— অন্তত স্বাস্থ্যশিক্ষা দপ্তরের তথ্যভিজ্ঞরা তেমনই মনে করছেন।
এই অবস্থায় রাজ্যবাসী সাধারণের মতো
আমাদেরও বক্তব্য একটাই, ডাক্তার আন্দোলনে জয় পরাজয়ের হিসেব কষা নয়, রাজনীতি নয়। রাজ্যের হাসপাতাল সমস্যা সমাধানই লক্ষ্য হোক। মানুষ আধুনিক চিকিৎসার যাবতীয় সুযোগ পাক। তাই না?
23rd  June, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM