Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চিকিৎসক পাঁচ অক্ষর?
শুভময় মৈত্র

খণ্ড-ত কে আধখানা না হিসেব করে গোটা ব্যাঞ্জনবর্ণ ধরবেন? তাহলে ‘চিকিৎসক’-এ পাঁচটা ব্যঞ্জনবর্ণ, অর্থাৎ পাঁচ অক্ষর। চিকিৎসকদের চটকানো গত কয়েকদিন ধরে যেরকম চলছিল, তাতে শব্দ নিয়ে ভাবার থেকে অক্ষরের সংখ্যা গোনাই ভালো। সেখানে স্বরবর্ণ বাদ, অক্ষর যেভাবে হিসেব করা হয়, সে তিনই হোক, কিংবা চার অথবা পাঁচ। ছোটবেলায় ভালোভাবে পড়াশোনা করে, বহু কষ্টে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অসাধারণ ফল করার পর, পাঁচ বছর মোটা মোটা বইয়ের ভার বহন করে অসংখ্য ওষুধের নাম যাদের ঠোঁটের ডগায়, সেই মানুষগুলোর কথা শুনতেই পাচ্ছেন না রাজনীতির জনগণমন অধিনায়করা। যারা রোগীর খুলি খুলে স্নায়ুতন্ত্রে হাত বোলান, সেই মানুষগুলোর খুলি ফাটাচ্ছেন উত্তেজিত আত্মীয়রা।
এই পরিস্থিতিতে কোন দিকে যাবে সরকার? বহু মানুষের হৃদয়ে সঠিক সময়ে রক্ত পরিবহণের দায়িত্ব নেওয়া পরিবহ-রা যদি নিজের খুলি সামলাতে ব্যস্ত থাকেন তাহলে এ দেশে প্রায় ভেঙে পড়া অতি অপ্রতুল সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্ব নেবেন কে? অবশ্য এক দলের বড় নেতা ভুলেই যাচ্ছেন পরিবহ-র নাম, আর তাঁর দল থেকে পাল্টে যাওয়া নেতারা সেই নাম মুখস্থ করে বার বার আওড়াচ্ছেন। সঙ্গে খবরে ততটা প্রচার না পেলেও পাঁজরে ব্যাপক চোট লেগেছে যশ-এর। বর্ধমানেও আহত হয়েছেন এক নবীন চিকিৎসক। কেউ জেদ দেখিয়ে দেরি করেছেন যশ কিংবা পরিবহকে দেখতে যেতে, কেউ বা লোক দেখিয়ে ভিড় জমিয়েছেন মল্লিকবাজারের মোড়ে, মস্তিষ্ক প্রক্ষালনের হাসপাতালে। কেউ বলেছেন ভালো আছেন পরিবহ, কেউ বলছেন তাঁর একটা চোখ আর হয়তো ভালোভাবে দেখতে পাবে না এই রাজ্যের একচোখা রাজনীতি। সত্যি মিথ্যে জানতে চাইলে কোন নিরপেক্ষ সংবাদ খুঁজে পাওয়া শক্ত। সবেতেই মিশে আছে মনের মাধুরী। জনমানসে দু’অক্ষরের ‘চোখ’ দু অক্ষরের ‘আলো’ দেখবে এই আশা কম, অপ্রয়োজনীয় স্বর-বিহীন-বর্ণ গুলোকে এবঙ্গের তিন ‘আঁধারে’ মুছে দিয়ে। আর আমরা বাকি সবাই চার অক্ষরের ‘নাগরিক’। পাঁচ অক্ষরের ‘চিকিৎসক’দের পদত্যাগের গল্প শুনেছি টেলিভিশনের সাদা পর্দায়, সংবাদমাধ্যমের কালো অক্ষরে।
মিছিলে পথ হাঁটতে হাঁটতে গৌরচন্দ্রিকা ভুলে বিনায়ক সেন আসল কথাটা বলে দিয়েছেন। অন্য আরও অনেক কিছু পরিষেবার মতই স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও ধনী ব্যবসায়ীদের দখলদারি অব্যাহত। সমাজের সঙ্গে যেভাবে রাজনীতি আসে, তার একটা বিশেষ অংশে আলোচিত হয় চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে অর্থনীতি এবং রাজনীতির সম্পর্ক। এই পুরো বিষয়টাতে দুটো দিক আছে। এক হল নিম্নবিত্ত মানুষের জন্যে পরিষেবা। যার ব্যয়ভার বহন করার জন্যে গৌরী সরকার সেন ছাড়া আর কেউ নেই। এবার ধরা যাক সরকারি হাসপাতালের অবস্থা বিপর্যস্ত। সেটা সামলাতে না পেরে সরকার সাধারণ মানুষের জন্যে স্বাস্থ্য বিমার বন্দোবস্ত করে দিল। বেসরকারি হাসপাতাল অনেক বেশি পরিষ্কার, কিন্তু চিকিৎসার স্বচ্ছতা সেখানে শুধু লেখা থাকে ঝকঝকে দেওয়ালে। ভেতরে পুরোটা ঘোলা। এই বিমা সঙ্গে নিয়ে সুচিকিৎসার কথা শুনতে খুব ভালো। সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ধনতন্ত্রের এ এক অসাধারণ উদাহরণ। হয়তো অনেক বেশি প্রচার পায় রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে সরকার এবং আম্বানিদের যোগাযোগের আলোচনা। কিন্তু যে মুহূর্তে সাধারণ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে যাবেন বেসরকারি হাসপাতালে, তখন অবশ্যই তার থেকে মুনাফা লুটবেন স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীরা। মুনাফা মানেই যে দুর্নীতি এমন নয়। সমাজ সৃষ্টির মূলে তো আর সরকার ছিল না, তখন বিনিময়ের মাধ্যম ছিল বিভিন্ন পরিষেবা কিংবা সম্পদ। তারপর মুদ্রা এল, এল সরকার, দু’হাত আকাশে তুলে মাটিতে পা রাখল সংসদীয় গণতন্ত্র। সরকার যে সাধারণ দুঃখী মানুষকে উন্নত পরিষেবা দেবে এরকম সাম্যবাদী তত্ত্ব খাতায় কলমে লেখা হল। অবশেষে সরকার জনস্বার্থে বেশ কিছু মানুষের স্বাস্থ্যবিমা বানিয়ে ফেলল। হাতে যদি থাকে নিজের ছবি সাঁটা স্মার্টকার্ড, তাহলে মানুষ প্রথম ছোটে বেসরকারি হাসপাতালে। আর জনগণের টাকা হাতবদল হয় সরকার থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রে। প্রজাতান্ত্রিক ভারতেও এই ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বিদ্যমান। এতে দুর্নীতি কিংবা সম্পদশালীদের দোষ খুঁজতে যাওয়া বৃথা। কারণ যারা সচ্ছল, আইনের সুরক্ষা তাদেরই থাকে। আর স্বাস্থ্যবিমার আওতার বাইরে আরও বহুকোটি মানুষ চমকে যাওয়া পিত্ত কিংবা ফেঁপে ওঠা বৃক্ক নিয়ে ভ্যাপসা গরমে শুয়ে থাকেন সরকারি হাসপাতালের লোহা-বাঁধানো সিংহ দুয়ারের আশেপাশে।
সরকারি ব্যবস্থা যাতে ঠিকভাবে না চলে সেটা অবশ্যই নজর রাখেন সমাজের উচ্চবিত্ত এবং ক্ষমতাশালী মানুষ। সে শিক্ষাক্ষেত্রেই হোক, কিংবা স্বাস্থ্যে। বাসস্থানে হোক, কিংবা বিদ্যুতে। শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত মানুষদের যদি সরকারি পরিষেবা নিতে বাধ্য করা যায়, তাহলে তার বাইরে থাকা বিশাল একটা অংশ বেসরকারি ক্ষেত্রে ছুটতে বাধ্য। তাইতো এত বেসরকারি স্কুল, কলেজ। সবাই জানেন সরকারি জায়গায় শিক্ষকেরা ভালো, চিকিৎসকেরাও ভালো। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারি জায়গাগুলোকে যদি এমন খারাপভাবে সাজানো যায় যাতে আর্থিক কারণে বাধ্য না-হলে মানুষ সেখানে না যান, তাহলে একটা বড় অংশের মানুষ ছুটবেন তুলনায় বেসরকারি ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র ঝকঝকে পরিষেবার স্বার্থে। এ দেশে একশো তিরিশ কোটির মধ্যে যে-কোনও সময়ে দশ বা কুড়ি কোটি মানুষ সচ্ছল। এই বিপুল বাজারকে ধরতে চায় বেসরকারি উদ্যোগ, আর তাতে বন্ধুত্বপূর্ণ সহায়তা দেয় কল্যাণকামী রাষ্ট্র, তার নেতা, নেত্রী, মন্ত্রীরা—দলমত নির্বিশেষে। কিন্তু অন্যদিকে এই সরকারি ক্ষেত্রগুলোই তৈরি করে অসংখ্য উচ্চমানের চিকিৎসক। আমাদের দেশে যত মেডিকেল কলেজ আছে তার বেশিরভাগই সরকারি আর সেখানে অনেক ভালোভাবে চিকিৎসাশাস্ত্র শেখেন পড়ুয়ারা। বেসরকারি কলেজে চিকিৎসক হতে খরচ কোটি টাকার বেশি, সেখানে সরকারি জায়গায় তা হয়তো লাখেও পৌঁছায় না। তাই আবার সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রতিযোগিতায় অসংখ্য বেসরকারি উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় ‘নিট’ পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেন পড়ুয়ার অভিভাবকেরা, এবং সেই অর্থ যায় বেসরকারি ক্ষেত্রে। চার অক্ষরের সরকারি ক্ষেত্রকে পাঁচ অক্ষরের বেসরকারির তুলনায় সঠিক গুণমানে পেশ করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সে সৎ উদ্দেশ্য একেবারে অনুপস্থিত।
সোমবার সন্ধ্যাবেলার মুখ্যমন্ত্রী-পড়ুয়া বৈঠক যদি আর ক’দিন আগে করা যেত তাহলে প্রায় এক সপ্তাহ এত কষ্ট ভোগ করতে হতো না সরকারি চিকিৎসার আশায় ঘুরে বেড়ানো বহিরাগত মানুষদের। সরকার একটু ভাবুন। লড়াইয়ের বর্ণমালায়, রাজনীতির অক্ষরে সব সমস্যার সমাধান হয় না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ আবার এতগুলো ছাত্রছাত্রীর দিদি হতে পারলেন। তার কতটা রাজনীতি আর কতটা স্বতঃস্ফূর্ততা, কতটা ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা আর কতটা মানুষের মঙ্গল করা, কতটা অবস্থা সামলানোর কৌশল আর কতটা মানুষের প্রতি মমত্ববোধ তা বোঝা যাবে আরও বেশ কিছিদিন পরে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেলিভিশনের পর্দায় আলোচনার টেবিলে দেখে ভালো লাগল অনেক বেশি। কয়েকদিন আগে হাসপাতালে তিনি কেনই-বা গেলেন, আর কেনই-বা তরুণ চিকিৎসকদের স্লোগানে উত্তেজিত হলেন, কেনই-বা মাইকে ধমকালেন, সব উত্তরই অজানা। যাই হোক, সমস্যা মিটল আপাতত। দু-অক্ষরের ‘শান্তি’ এলে তবেই যুক্তাক্ষরে বাঁচবেন এই রাজ্যের মানুষ, মিলেমিশে।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
21st  June, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM