Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ক্ষমতার ‘হিন্দি’ মিডিয়াম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দৃশ্যটা ‘চক দে ইন্ডিয়া’ ছবির। মহিলাদের জাতীয় হকি শিবিরে যোগ দিতে আসছেন খেলোয়াড়রা। স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় নাম লেখা চলছে।
—‘নাম?’
—‘নেত্রা রেড্ডি।’
—‘মাদ্রাজি?’
—‘তেলুগু।’
—‘তামিল!’
—‘তামিল না, তেলুগু।’
—‘ওই হল, তামিল আর তেলুগুতে কী আর পার্থক্য?’
—‘যতটা পাঞ্জাবি আর বিহারির মধ্যে।’
উত্তর ভারতের সঙ্গে দক্ষিণের সীমারেখা। আর তার কারিগর আমরাই। আমাদের কাছে সাউথ ইন্ডিয়ান মানে মাদ্রাজি। দক্ষিণ ভারতের লোকজন নারকেল তেল খায়, অদ্ভুত ওদের উচ্চারণ, লুঙ্গি পরে বিয়েবাড়ি যায়... হাজারো আলোচনা। উত্তর ভারত মানে বিষম একটা নাক উঁচু ব্যাপার। আর দক্ষিণ মানেই রসিকতার খোরাক। তাই ওদের একটু ‘মানুষ’ করা দরকার। কীভাবে সেটা সম্ভব? হিন্দি শেখাতে হবে। ছোটবেলা থেকেই। দক্ষিণ ভারতের লোকজন হিন্দি তখনই পড়বে, যখন সেই ভাষা স্কুলে বাধ্যতামূলক হবে। ব্যাস! হাতিয়ার—ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি, ২০১৯। খসড়ায় ঘোষণা হল, তিনটি ভাষা ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়তে হবে। সেগুলির মধ্যে হিন্দি ও ইংরেজি আবশ্যিক। তিন নম্বরটি যে কোনও আঞ্চলিক ভাষা। দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা থেকেই খানিক চালিয়ে খেলার ভাবনা হয়তো মোদির ছিল। তাঁর স্লোগানে আবার গত ভোট থেকে একটা মডিফিকেশন এসেছে। এখন আর ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ নয়’, এই মুহূর্তে ‘সব কা সাথ, সব কা বিশ্বাস’। উন্নয়ন চাই। সংস্কার চাই। এখন প্রশ্ন হল, বলিউডের সৌজন্যে বিশ্বজনীন হয়ে ওঠা হিন্দি ভাষাকে গোটা দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়াটা আদৌ কি সংস্কারের আওতায় পড়ে? পড়লে তা কী ধরনের সংস্কার? সামাজিক? নিন্দুকে কিন্তু এর নেপথ্যে পুরোপুরি রাজনৈতিক হাওয়া দেখছে। একজন বাঙালির সঙ্গে বিহারের বাসিন্দার যা তফাৎ, একই পার্থক্য তামিলের সঙ্গে তেলুগুর বা কন্নড়ের। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরল... সব তো আলাদা রাজ্য। আমরা ঐক্যের কথা বলি, কিন্তু বৈচিত্র্যকে বা জাত্যাভিমানকে সম্মান করি না। ২০০১ সালের সেনসাস অনুযায়ী, আমাদের দেশে ১৬৩৫টি মাতৃভাষা রয়েছে। ১২২টি এমন ভাষা আছে, যা লিপিবদ্ধ করা হয়। এমন এক দেশে একটি মাত্র ভাষাকে অধিক গুরুত্ব দিতে গেলে সেই প্রচেষ্টা ভাবাবেগে আঘাত করতে বাধ্য। মোদি সরকারের অতীত এবং বর্তমান, দুই পাল্লায় ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির খসড়াটিকে বসালে একটা বিষয় অবশ্যই স্পষ্ট হয়ে যেত... উত্তর ভারতের হিন্দিভাষী রাজ্যগুলি ছাড়া অনেকেই কিন্তু এই ‘চাপিয়ে দেওয়া’ নীতি মানবে না। আর হয়েছেও তাই। শুধু একটা খসড়া, আর তাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে দক্ষিণ থেকে পূর্ব ভারতে। নেতৃত্ব দিয়েছে অবশ্যই দক্ষিণ। হিন্দিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিহাস কিন্তু কখনও সরকারের সঙ্গ দেয়নি।
* * *
মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি। ১৯৩৭ সাল। নির্বাচনে জিতে এসেছে কংগ্রেস। সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন রাজা গোপালাচারী। শাসনের এলাকা নেহাত কম নয়... গোটা তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা, কর্ণাটক, কেরলের অংশবিশেষ। পাশাপাশি রয়েছে লাক্ষাদ্বীপও। ওই বছর ৬ মে ‘সুদেশমিত্রণ’ পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লিখলেন রাজা গোপালাচারী। বিষয়, হিন্দি ভাষা। লিখলেন, সরকারি চাকরি সীমিত। সবার পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং অন্য চাকরির জন্য আমাদের চেষ্টা করতেই হবে। চাকরি হোক বা ব্যবসা, হিন্দি জানাটা অত্যন্ত জরুরি। দক্ষিণ ভারতীয়রা হিন্দি শিখলে দেশের অন্যত্র সম্মান পাবেন।’ ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির সর্বত্র স্কুলগুলিতে হিন্দি পড়ানো বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিলেন রাজাজি। আগুনে ঘৃতাহুতির সেই সূচনা। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে নেমে পড়েছিলেন পেরিয়ার। প্রকৃত নাম ই ভি রামস্বামী। সমাজ সংস্কারক তথা রাজনীতিবিদ। ততদিনে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। অভিযোগ গুরুতর... কংগ্রেস শুধুই উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণদের তাঁবেদারি করে। পেরিয়ার ছিলেন যার ঘোর বিরোধী। কেরলের ভাইকমে সত্যাগ্রহও করেছেন। স্বাভিমান আন্দোলনের জনক এবং জাতপাতের তীব্র বিরোধী পেরিয়ার যখন সরাসরি গোপালাচারীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হতেই কংগ্রেস বুঝে গিয়েছিল, পথ কঠিন হতে চলেছে। তার সঙ্গে আবার দাঁড়িয়ে গিয়েছে জাস্টিস পার্টি। যাদের পরে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরিয়ে পেরিয়ার রূপ দেন এক সামাজিক সংগঠনের—দ্রাবিড়ার কাজাঘাম। ভবিষ্যতে এই জাস্টিস পার্টি এবং দ্রাবিড়ার কাজাঘামের আদর্শ থেকেই জন্ম হয় ডিএমকে এবং এআইএডিএমকের। সরকারিভাবে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ১৯৩৭ সালের ৪ অক্টোবর। তা সত্ত্বেও অবস্থানে অনড় থেকে পরের বছর ২১ এপ্রিল সরকারি নির্দেশিকা জারি করে দিলেন রাজাজি। প্রেসিডেন্সির ১২৫টি স্কুলে বাধ্যতামূলক হল হিন্দি পঠন-পাঠন। তামিল অবমাননা এবং হিন্দি ভাষার অবাঞ্ছিত ওকালতির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল গোটা দক্ষিণ ভারত। বিক্ষোভ, অনশন, কালো পতাকায় হিন্দি বিরোধিতা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তিন বছর চলে প্রতিবাদ। দু’জনের মৃত্যু এবং পেরিয়ার সহ ১২০০ মানুষকে কারাবন্দি করার পর হিন্দির নির্দেশিকা বাতিলে বাধ্য হয় সরকার। এরপর ’৬৫ সালে সংবিধানের ১৫ বছর পূর্তির পর হিন্দিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে ফের উত্তাল হয় দক্ষিণ ভারত। মাদুরাইতে রীতিমতো দাঙ্গাও হয়ে যায় এই ইস্যুতে। শেষে প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ঘোষণা করেন, ইংরেজিই ভারতের সরকারি কাজে ব্যবহৃত হবে। তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
* * *
রাজাজির না হয় একটা স্পষ্ট বার্তা ছিল, হিন্দি শিখলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে। কিন্তু এখন তো আর সে সমস্যা নেই! হিন্দি না শিখলেও ভারতের বহু প্রান্তে অনায়াসে চাকরি-বাকরি জুটে যায়। তাহলে ক্ষমতায় ফেরা মাত্র এমন একটা মিসঅ্যাডভেঞ্চারের মানে কী? প্রাথমিকভাবে জানানো হল, ক্লাস এইট পর্যন্ত তিনটি ভাষা শিখতেই হবে। হিন্দি, ইংরেজি এবং অন্য যে কোনও একটি স্থানীয় ভাষা। ১৯৬৫ সালে সাংবিধানিকভাবে হিন্দিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা যে ধাক্কা খেয়েছিল, তা তো আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের অজানা নয়! তখন তো তাও আবার কেন্দ্রে ছিল মহাপরাক্রমী কংগ্রেস। পরপর দু’দফায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে আসা নরেন্দ্র মোদি নিজেকে সর্বকালের অন্যতম সেরা অকংগ্রেসি নেতা হিসেবে প্রমাণ করেছেন ঠিকই, তাতে কিন্তু ভারতের ‘বৈচিত্র্যে’র বাস্তবটা বদলে যায়নি। পরিস্থিতি এমন একটা দিকে গড়াল যে, নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর দুই হাইপ্রোফাইল মন্ত্রী অর্থাৎ নির্মলা সীতারামন এবং জয়শঙ্করকে দিয়ে বিবৃতি দেওয়াতে হল (দু’জনেই দক্ষিণী)। এক সুরে তাঁরা লিখলেন, সবকিছু যাচাই না করা পর্যন্ত এই খসড়া নীতি চূড়ান্ত করা হবে না। যেখানে একটু বাস্তববাদী হলে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল না। বাস্তববাদী অবশ্য আমরা সেই অর্থে কেউই নই। খসড়া দেখে সংশ্লিষ্ট কমিটির জন্যও তেমন কিছু বিশেষণ ব্যবহার করা যায় না। ইসরোর নামজাদা বিজ্ঞানী এবং শিক্ষানীতি নির্ধারক ওই প্যানেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন তার উপর দাবি করেছেন, হিন্দি পড়া বাধ্যতামূলক করার জন্য যে সুপারিশ, সে ব্যাপারে কোনও চাপ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। এমনকী তাঁর কমিটির বানানো খসড়া নীতি নিয়ে দিকে দিকে এমন হইচই শুরু হয়েছে, সেটাও নাকি কেউ ফোন করে তাঁকে জানায়নি। খবর দেখে তিনি জানতে পারেন, বিষয়টাকে অনেকেই ভালোভাবে নিচ্ছে না। তাই তড়িঘড়ি বৈঠক করে একটা বিকল্প ভার্সান দেওয়া হয়েছে। তাতে হিন্দি শব্দটিকে তুলে দিয়ে শুধু ভাষার উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ, অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত হিন্দি শিখতেই হবে, এমনটা আর নেই।
নরেন্দ্র মোদি গত পাঁচ বছরে একবারও কিন্তু হিন্দুধর্ম বা আরএসএস-বিজেপির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা নিয়ে মুখ খোলেননি! কারণটা স্পষ্ট। প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তিনি বিলক্ষণ জানেন, হিন্দুত্ব তাঁকে সরকারে টিকিয়ে রাখবে না। এটা তাঁর দলের আদর্শ হতে পারে, কিন্তু সরকার চালানোর ক্ষেত্রে এর কোনও বাড়তি ডিভিডেন্ড নেই। বরং অর্থনৈতিক এবং সংস্কারী পদক্ষেপ তাঁকে নতুন প্রজন্মের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। তাহলে নতুন সরকার গঠন হতে না হতেই ‘হিন্দিস্তান’ জিগির উঠল কেন? তাহলে কি আরএসএস এবং বিজেপির একাংশ অতিরিক্ত প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে? মোদির প্রথম জমানাতেও লাভ জিহাদ, গো রক্ষার নামে হিংসা, ঘর ওয়াপসি হয়েছে। সে সব নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। তা সত্ত্বেও তিনি শুধু প্রশাসনিক আঙ্গিকেই বিষয়গুলিকে সামাল দিয়েছেন। দলীয় নেতা হিসেবে নয়। এটাই মোদির সাফল্য ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে কিন্তু বিজেপি বদলে গিয়েছে মোদি জনতা পার্টিতে। অর্থাৎ, হাওয়ায় পাতা নড়লেও তার দায় মোদিকে নিতে হবে। কেউ দেখবে না, বিজেপির কোনও অংশ বা তাদের চালিকাশক্তি আরএসএস তাঁর কোনও সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে কি না। কাজেই হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার মতো মিসঅ্যাডভেঞ্চার আর না হলেই ভালো। হিন্দির যদি শ’দুয়েক বছরের ইতিহাস থাকে, তামিলের অতীত কিন্তু চার হাজার বছরের। তার গুরুত্ব খাটো করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীকে আরও একটা বিষয়ে নজর দিতে হবে। তাঁর সৈনিক এবং সেনাপতিদের বক্তব্যে। রাজ্যপাল হওয়া সত্ত্বেও তথাগত রায় বলেছেন, বাঙালি মেয়েরা যদি মুম্বইতে গিয়ে ডান্স বারে নাচতে পারে, তাহলে হিন্দি শিখতে সমস্যা কোথায়? হিন্দি ভাষা কিন্তু হিন্দুত্বের প্রতীক নয়। সনাতন ধর্মের ধারক-বাহক নয়। যুগের পর যুগ ধরে ভারতের নানা প্রান্তে সনাতন ধর্ম এক এক রূপে মানুষের আত্মায় জায়গা করে রয়েছে। তার কোনও নির্দিষ্ট প্যাটার্ন নেই। ‘চক দে ইন্ডিয়া’ ছবিতেই একটা দৃশ্য ছিল, যেখানে সব হকি খেলোয়াড় নিজেদের পরিচয় দিচ্ছিলেন। বাকিরা সবাই নিজেদের রাজ্যের নাম বললেও শুধুমাত্র একজন এগিয়ে এসে বলেছিলেন, তিনি ভারতীয়। এটাই শেষ কথা। কোনও ধর্ম বা রাজ্য বা ভাষার নয়, সরকার ভারতের। আপামর ভারতবাসী নরেন্দ্র মোদিকে মাথায় তুলে ফের দিল্লির মসনদে বসিয়েছে। কোনও ভাষার জন্য নয়। ধর্মের জন্য নয়। তাঁরও পরিচয় একটাই হওয়া উচিত... ভারতবাসী।
13th  June, 2019
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কপ্টারে করে পুরাতন মালদহে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:18:28 PM

৪০৬ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:36:13 PM

পূঃ বর্ধমানের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে কালনায় গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:56:28 PM

বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও: মমতা

02:45:58 PM

মোদি জিতলে এটাই শেষ নির্বাচন: মমতা

02:39:36 PM

রাজ্য ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিয়েছে: মমতা

02:37:39 PM