Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলায় রামবোকামির মরশুম
হারাধন চৌধুরী 

আমার মামার বাড়ি ভারত-বাংলাদেশের একটি সীমান্ত গ্রামে। বলা বাহুল্য, আমার মায়ের জন্ম দেশভাগের অনেক আগে। স্বভাবতই তাঁর স্মৃতির অনেকখানি জুড়ে ছিল অখণ্ড ভারতীয় গ্রামদেশ ও তার সংস্কৃতি। ১৯৪৭-এ মায়ের শৈশবের গ্রামের উপর দিয়েই ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের ভূগোল এবং ইতিহাস খুলেছিল এক নতুন অধ্যায়। সেই অধ্যায় আমার মায়ের মনে যে কিছুমাত্র সুখানুভূতি রেখে যেতে পারেনি তা আমি তাঁর শেষদিনেও অনুভব করেছি। ছোটবেলা মামার বাড়ি যেতে কিছুটা নৌকা চড়তে হতো। সরু সোনাই নদী। তার পুব দিকে বাংলাদেশের গ্রামগুলি আর পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগুলি পশ্চিম দিকে। নৌকা কিছুটা এগনোর পরই মায়ের মনটা কেমন যেন চঞ্চল হয়ে উঠত। আমার মুখটা ধরে পুব দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে বলত, ‘‘ওই দেখ, কেঁড়াগাছি গ্রাম। ওখানে একসময় রাম-সীতার মন্দির ছিল। খুব বড় করে রামনবমীর মেলা বসত। খুব প্রাচীন মেলা। সে ছিল আমাদের খুব আনন্দের দিন। সব ভাইবোনকে নিয়ে বাবা-মা মেলায় আসতেন। মেলায় আসা-যাওয়ার জন্য গোরুর গাড়ি ভাড়া করা হতো, এখন যেমন লোকে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে!’’
রামনবমী উদযাপন আর রাম-সীতার মেলার অনেক স্মৃতি রোমন্থন করতে শুনেছি মাকে, কিন্তু সৌভাগ্য যে, তার ভিতর অস্ত্রের ঝনঝনানি আর হিংসার তিলার্ধও ছিল না। এসবের ছিটেফোঁটাও থাকলে একটিবার উল্লেখ না-করার মতো দুর্বল স্মৃতি আমার মায়ের ছিল না। আমার দাদামশাই ছিলেন অতি শান্ত প্রকৃতির একজন মানুষ। একে বয়োজ্যেষ্ঠ, তার উপর কিছুটা লেখাপড়াও জানতেন। তাই গ্রামে তাঁর বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা ছিল। গ্রামের মানুষ সারাদিন খাটাখাটনির পর সন্ধ্যায় তাঁর কাছে এসে ভিড় জমাত। দাদামশাই কৃত্তিবাসী রামায়ণ খুলে বসতেন। সুর করে পড়তেন। ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেত রাম-সীতার মাহাত্ম্যকেন্দ্রিক গল্পগুলি। দাদামশাই মানুষটি আমার স্মৃতিতে খুব উজ্জ্বল নন। এসব দীর্ঘদিন শুনেছি তাঁর প্রতিবেশীদের শ্রদ্ধামিশ্রিত স্মৃতিরোমন্থনে। রামচন্দ্র তাঁদের কাছে যত-না ভগবান তার থেকে বেশি ছিলেন লোকশিক্ষা আর বিনোদনের প্রধান কেন্দ্র।
আমার ছোটবেলা কেটেছে মফস্‌সল এলাকায়। পুজোর সময় আধুনিক গান বাজনার সারারাত্রিব্যাপী বিচিত্রানুষ্ঠানের পাশাপাশি রামযাত্রাও হতো। বেশ মনে আছে, বড়দের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেশি রাতে দরজা খুলে বেরিয়ে যেতাম। বসে পড়তাম পাড়ায় রামযাত্রার আসরে দর্শক আসনের এক কোণে। খুব মজা পেতাম হনুমানের লম্ফঝম্প দেখে। অবাক হতাম রাম, সীতা, ভরত, লক্ষ্মণ প্রভৃতির সংলাপ শুনে বড়রা হাপুসনয়নে কাঁদছেন দেখে। অনেক পরে জেনেছি সেসব ছিল রাম-সীতাভক্তি। শ্রীরামচন্দ্রের পিতৃসত্যপালন ও প্রজাবাৎসল্য, সীতার পতিভক্তি, লক্ষ্ণণের রাম-সীতার ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠাই ছিল তাঁদের ভক্তিপ্রাবল্যের হেতু।
এসব থেকে পরিষ্কার হয়, ভগবান রামচন্দ্র বাঙালি-সংস্কৃতিরও অঙ্গ। রামচন্দ্র হালফিল উত্তর ভারত থেকে আমদানি কোনও দেবতা নন। দেখুন, ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষটি একজন বঙ্গসন্তান। তাঁর নাম রামমোহন। অষ্টাদশ শতকে বাংলা গদ্য সাহিত্যের আদি লেখকদের একজনের নামের সঙ্গে আবার রাম দু’বার এসেছেন—রামরাম বসু। খ্রিস্টান মিশনারিদের তিনি বাংলা ও সংস্কৃত শেখাতেন। বাংলা ভাষায় বাইবেল অনুবাদে উইলিয়াম কেরিকে তিনিই সাহায্য করেছিলেন। রামরাম বসু রামায়ণ, মহাভারতও সম্পাদনা করেছিলেন।
রামচন্দ্র নামটি বাঙালি-সংস্কৃতির অস্থিমজ্জায় কেমন, আরও দেখুন—এ-যুগে ধর্ম আন্দোলনের দু’জন বিস্ময়কর পুরুষ হলেন সাধক রামপ্রসাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস। রামদুলাল দে, রামতনু লাহিড়ী, রামকুমার চট্টোপাধ্যায় যথাক্রমে বাণিজ্য, শিক্ষা, সঙ্গীত জগতের তিনটি পরিচিত নাম। স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগের অন্যতম প্রধান নেতা রামমনোহর লোহিয়া থেকে হালফিল মার্কসবাদী কমিউনিস্ট নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, কেন্দ্রের বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রত্যেকেই কোনও-না-কোনোভাবে রামাশ্রয়ী।
‘রাম’ আমাদের সংস্কৃতিতে শুভসূচক। তাই একদা মানুষ গণনা করতেন এইভাবে—‘‘রাম, ২, ৩, ৪, ...।’’ অর্থাৎ ‘১’ সংখ্যার বদলে তাঁরা ‘রাম’ নাম নিতেন। তাহলে গণনাটি একটি সুখকর জায়গায় পৌঁছাবে—এই ছিল তাঁদের বিশ্বাস। একটি জনপ্রিয় ছড়াতেও এই চিন্তার প্রতিফলন রয়েছে—‘‘রাম দুই সাতে তিন অমাবস্যা ঘোড়ার ডিম।’’ রাম আমাদের সংস্কৃতিতে বৃহৎ, পবিত্র, মহান এবং সর্বশক্তিমান অর্থবোধকও হয়ে উঠেছেন। খুব বড় এবং ধারালো দা হল ‘রামদা’। বড় সাইজের ছাগল হল ‘রামছাগল’। গুছিয়ে মার দিলে লোকে বলে ‘রামধোলাই’ হয়েছে। বড়সড় ধাক্কাকে বলা হয় ‘রামধাক্কা’। খুব ভিতু ছেলে বা মেয়েকে আমরা বলি ‘রামভিতু’। নিন্দা, ঘৃণা, ব্যঙ্গ প্রভৃতিতেও তিনি—‘রামঃ রামো’ অথবা ‘রামগড়ুরের ছানা’ ...। আকাশে জলকণা আর আলোর ধনুকাকৃতি যে বহুবর্ণ নৈসর্গিক শোভা—সেটাকে আমরা চিনি ‘রামধনু’ নামে। ভূতের ভয় অনুভব করলে বা অদৃশ্য বিপদকালে আজও অনেকে রাম নাম নিয়ে থাকেন।
রামায়ণের রচয়িতা, মহাকবি বাল্মীকি হওয়ার আগে দস্যু রত্নাকর হিসেবে এতটাই পাপী ছিলেন যে, প্রচারিত আছে, তাঁর জিহ্বা রাম নাম উচ্চারণে অক্ষম ছিল। অবশেষে ‘মরা মরা ...’ বলতে বলতে ‘রাম রাম ...’-এ উত্তীর্ণ হন এবং এই জীবনের মতো পবিত্রতম হয়ে ওঠেন। রাজা হিসেবেও রামচন্দ্রকে আদর্শ বলে মনে করা হয়। তাই সবচেয়ে সুশাসিত রাজ্যপাটই রামরাজ্য বলে কীর্তিত হয়। স্বয়ং জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর আমৃত্যু রামভক্তির পরিচয় আমাদের অজানা নয়।
মানুষ এতদিন রামনাম নিয়েছে নিভৃতে অথবা রামনমবীর মতো বিশেষ অনুষ্ঠানের সময়গুলিতে। কোনোদিন তাঁর নাম কলুষিত করা হয়নি অস্ত্রের ঝনঝনানির মধ্য দিয়ে। রামনবমী পালন কোনোদিন টাগ-অফ-ওয়ারের সাবজেক্ট হয়ে উঠতে পারে—এ ছিল আমাদের কল্পনাতীত। গত দু’-তিন বছর যাবৎ বাংলা এই বিপদে পতিত হয়েছে। সদ্য-সমাপ্ত নির্বাচনের প্রচারের সময় থেকে যুক্ত হয়েছে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। কিছু লোক এটাকে তাদের অপছন্দের মানুষদের উত্ত্যক্ত করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। ‘জয় শ্রীরাম’ উচ্চারিত হচ্ছে পরিষ্কার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। এই উচ্চারণ কোনোভাবেই ভগবান শ্রীরামচেন্দ্রর প্রতি ‌জয়সূচক বা তাঁর মহিমাকীর্তনের অঙ্গ নয়। তাঁর নামটি সংকীর্ণ রাজনীতির চোরাগলি ধরে হাসি-মশকরার রোয়াকে এনে ফেলা হচ্ছে।
তার ফলে কেউ কেউ স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। তখন আমরা বিচার করতে বসছি, কার প্রতিক্রিয়া কতটা সংগত অথবা অসংগত হচ্ছে! সবচেয়ে দুর্ভাগ্য, এই ছ্যাবলামি যাঁরা করছেন তাঁদের হয়ে সাফাই গাওয়ার লোকেরও অভাব হচ্ছে না রাজনীতির উচ্চাসন থেকে। ভেবে দেখা হচ্ছে না, রামনাম কতটা কলুষিত হচ্ছে! বিশ্বাসীর কাছে রামনাম যদি একটি মহৌষধ কিংবা অস্ত্র হয়ে থাকে, তবে প্রাসঙ্গিক সত্যটিও মনে রাখা ভালো—ওষুধ এবং অস্ত্রের ভুল প্রয়োগের বোকামিটা যাঁরা করেন সেটা তাঁদেরই পক্ষে ব্যুমেরাং হয়ে ওঠে।
আমাদের বৃহত্তম গণতন্ত্র। কেন্দ্রে এবং রাজ্যে রাজ্যে সরকার তৈরি করতে পাঁচ বছর অন্তর আমাদের অন্তত দু’বার বিরাট নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এছাড়া থাকে পঞ্চায়েত এবং পুরসভার মতো লোকাল গভর্নমেন্ট তৈরির প্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। একদিকে উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য ভোট, আবার অন্যদিকে, ভোটগ্রহণেরই জন্য উন্নয়ন সাময়িকভাবে লাটে তুলে দেওয়া। অর্থাৎ মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে অন্তত তিনবার উন্নয়ন লাটে তুলে থাকি আমরা। এর মাঝে কেন্দ্রে বা রাজ্যে সরকার পড়ে গেলে এবং কোনও ধরনের উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠলে উন্নয়নের পাঠ আরও এক বা একাধিকবার গোল্লায় যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বাকি সময়টাতে কাজ কতটা হয় তা নিয়ে তর্কের অবকাশ রয়ে যায়। কারণ প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং চুরি, দুর্নীতি, কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ, দলাদলি, উপদলীয় কোন্দল আর ল্যাং মারামারি আমাদের অবিচ্ছেদ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তাই, সুশাসনের প্রতিশ্রুতি বিলিয়ে ক্ষমতা দখল করা রাজনৈতিক দলগুলির উচিত অবিলম্বে এই কুনাট্যে ইতি টেনে দেওয়া, যাতে করে উন্নয়নের ছিটেফোঁটা সমাজ পেতে পারে। নরেন্দ্র মোদি পুনর্নির্বাচিত হয়ে এলেও দেশের বিপুল বেকারত্ব আর রুগ্‌ণ অর্থনীতি কিন্তু রাতারাতি মিথ্যে হয়ে যাবে না। মানুষ বিজেপিকে ভাবমূর্তি মেরামতের এক বিরাট সুযোগ দিয়েছে, এ কিন্তু অভূতপূর্ব। বিজেপির উচিত, রামবোকামি ছেড়ে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা। বিশেষ নজর দাবি করে বাংলা। বাংলার দাবির ন্যায্যতা হল—বহুদিন পর বাংলা কেন্দ্রীয় শাসকদের এতটা উদ্বাহু সমর্থন জানিয়েছে।
শুধু রাজ্য সরকার আর রাজ্যের শাসক দলকে টাইট দিয়েই কিন্তু ২০২১-এ পার পাবেন না মোদিজি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখাতে হবে, কেন্দ্রের সঙ্গে, বিজেপির সঙ্গে যত বিরোধ বৈরিতা থাক না কেন, উন্নয়নের প্রশ্নে আজও তিনি আপসহীন। বাংলায় ২০২১-এর লড়াইটা উন্নয়ন বনাম উন্নয়নের হয়ে উঠবে কি? রামনাম নিয়ে এই অবাঞ্ছিত ছেলেখেলা ছেড়ে যে-দল বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আন্তরিকতা সবার আগে প্রমাণ করতে পারবে, আগাম বলে দেওয়া যায়, ২০২১ শুধু তার। লোকসভা ভোটের এই ফল এবং এর প্রভাব ততক্ষণে অনেকটাই ফিকে হয়ে আসবে কিন্তু যুযুধান সব পক্ষেরই জন্যে। 
04th  June, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। বৃষ: নতুন ...বিশদ

08:43:08 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে ১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া ...বিশদ

08:33:48 AM

উপাচার্য: আজ বৈঠক রাজভবনে
উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে ফের বিরোধ বাধল শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে। ...বিশদ

08:10:00 AM

বাসুকি নাগের সন্ধান!
পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হল? সমুদ্রমন্থনের সময় সাহায্য নেওয়া ...বিশদ

08:05:00 AM

আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM