Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যে এত হিংসা কেন!
শুভা দত্ত

ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় যেন একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এ ওকে মারছে, সে তাকে মারছে, পার্টি অফিস দখল করে নিচ্ছে, না হয় ভেঙেচুরে তছনছ করে দিচ্ছে, দল বেঁধে বাড়িতে বাড়িতে চড়াও হয়ে হুমকি দিচ্ছে, আসবাবপত্র, টাকাকড়ি, গয়নাগাটি লুটে নিয়ে যাচ্ছে, ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ ঘরসংসার ফেলে আত্মরক্ষার তাগিদে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হচ্ছেন, আবার কোথাও কোথাও তো রক্ত ঝরছে, খুনখারাপির ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে! এতে সব মিলিয়ে নৈহাটি বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মতো বেশ কিছু জায়গায় একটা রীতিমতো ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। আর তার জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত, মানুষের কাজকাম চৌপাট হওয়ার জোগাড়। পুলিস প্রশাসন অবস্থা আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক সর্বত্র অবস্থা পুরোপুরি আয়ত্তে আসছে না! নানান অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই চলেছে। ফলে, অভিযোগের আঙুল উঠছে পুলিসের একাংশের দিকে। অনেকেই বলছেন, পুলিসের ওই অংশ একটু যেন গা-ছাড়া গয়ংগচ্ছ ভাব দেখাচ্ছে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বাহিনীর যতটা ক্ষিপ্র ও সক্রিয় হওয়া উচিত, ততটা হচ্ছে না!
ফলে উত্তর-দক্ষিণ পূর্ব-পশ্চিম—বাংলার নানা জায়গায় একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমনকী, দুষ্কৃতী তাণ্ডবে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পুলিসের একাংশের এই ভূমিকায় বৃহস্পতিবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিসমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং! ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের ঘরে ফেরাতে এবং দখল হওয়া পার্টি অফিস পুনরুদ্ধারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে মমতা বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে সভা করেন। সেখানে নানান অনভিপ্রেত ঘটনা ও সেইসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিসি ব্যর্থতার অভিযোগ এনে তিনি কার্যত বাহিনীর সংশ্লিষ্ট অংশকে হুঁশিয়ারি দেন। নিজের মন্ত্রকের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ক্ষোভ জানানো দেখে মমতা-বিরোধীরা কেউ কেউ হয়তো মজা পেয়েছেন, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় টীকা-টিপ্পনীও কেটেছেন। কাটুন।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে ওইভাবে স্লোগান দেওয়া বা ভিড়জটলা কি পুলিসি নিরাপত্তার একটা চরম গাফিলতি নয়—আপনারাই বলুন? কে জয় শ্রীরাম বলবে, কে জয় হিন্দ বন্দেমাতরম্‌ বলবে সেটা নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত অভিরুচির ব্যাপার। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের চারপাশে অপরিচিত জনতার ভিড়, হুড়োহুড়ি কি স্বাভাবিক? সেখানে পুলিসের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে না, গোয়েন্দা পুলিসের কাছে আগাম খবর থাকবে না যে তাঁর যাওয়ার পথে এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে!? এবং সেই আগাম খবরের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে না!? বিশেষ করে ভোটের পর যখন পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক নয়, মারামারি ভাঙাভাঙি খুনোখুনি চলছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে তার দু’পাশের এলাকাতেই চলছে—তখন তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে এমন হালকা মনোভাব, এমন গা-ছাড়া আচরণ কেন! মানেটা কী? বৃহস্পতিবার ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা যখন গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া খুব বেশি কাউকে, মানে পুলিসের কর্তা-কর্মীদের কাউকে তো আশপাশে দেখা যায়নি! বরং, স্থানীয় লোকজনের অনেককেই মোবাইলে ছবি তুলতে তুলতে মুখ্যমন্ত্রীর যথেষ্ট কাছে চলে এসেছে, তাদের কেউ বাধা তো দিলেন না! শুধু তাই নয়, আশপাশে জড়ো হওয়া জনতাকে সরানোর ব্যাপারেও তো স্থানীয় পুলিস বাহিনীকে তেমন সক্রিয় হতে দেখা গেল না!
কেন গেল না, কেন দেখা যায়নি—তার পিছনে কোন রাজনীতির কী খেলা আছে সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না— কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতার ওই ঢিলেঢালা নিরাপত্তার ফাঁক দিয়ে সেদিন বড় কোনও ঘটনা যদি ঘটে যেত— কী হতো! কে দায় নিতেন? শুধু মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলছি না, যে কোনও মন্ত্রী বা ভিআইপি’র জন্যই তো এমন ঢিলেঢালা নিরাপত্তা বিপজ্জনক। ভোটের সময় দেখা গেল জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পাওয়া বাবুল সুপ্রিয়’র গাড়ি অবলীলায় ভেঙে চলে গেল কিছু দুষ্কৃতী! কী করে পারল? বিশেষ নিরাপত্তার সেই আঁটোসাটো বেষ্টনী সেখানেই বা কোথায় ছিল! ভগবানের অশেষ করুণা যে, দুষ্কৃতীরা গাড়ি ভেঙেই ক্ষান্ত দিয়েছে। বাবুলকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার পথে যায়নি। কিন্তু, যেতেই পারত। সেদিন নিরাপত্তাকর্মী কেন্দ্রীয় বাহিনীর যা হাবভাব দেখা গিয়েছিল তাতে দুষ্কৃতীরা অনায়াসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্তা করে যে যার ঘরে ফিরে যেতে পারত বলেই মনে করছেন তথ্যভিজ্ঞজনেদের অনেকেই। এবং তাঁদের এই আশঙ্কা যে একেবারেই অমূলক, টিভিতে সেই দৃশ্য দেখার পর এমনটা জোর দিয়ে বলা যাবে কি? কী ভয়ানক ভাবুন! আমাদের সৌভাগ্য সেই ভয়ানকের পুরো চেহারাটা শেষ অবধি আমাদের দেখতে হয়নি।
এ তো গেল একদিক। অন্যদিকে এই প্রশ্নটাও তো উঠছে যে—ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যে এত হিংসা কেন! কী হয়েছে যে হঠাৎ করে হিংসার এমন বাড়াবাড়ি? সন্দেহ নেই এবার ভোটের হাওয়া প্রথম থেকেই বেশ গরম ছিল। বিজেপি এ রাজ্যের ওপর বিশেষ নজর দেওয়ায় লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে একটা জোরালো রাজনৈতিক লড়াইয়ের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ দফায় দফায় এ রাজ্যে এসেছেন, প্রচার করেছেন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক তরজায় উত্তপ্ত বাগযুদ্ধে তাঁদের টক্করও চলেছে প্রায় সমানে সমানে। ভোটের ফলেও তার আভাস ভালোই মিলেছে। বিজেপি’র আসন একলাফে ২ থেকে ১৮-তে উঠে গেছে। হ্যাঁ, সেই ২০০৯ সালের পর এই প্রথম মমতার একচ্ছত্র আধিপত্যের বাংলায় তাঁর দল তৃণমূল আসন সংখ্যার বিচারে হয়তো একটু ধাক্কা খেয়েছে। তাতেই বা হয়েছেটা কী? খেলার মতো রাজনৈতিক লড়াইতে এমনটা তো হতেই পারে। তবে, আসন কমলেও মোট ভোটের শতাংশে তো মমতার তৃণমূল এগিয়েছে ৪ শতাংশ!
মানেটা কী দাঁড়ায়? কংগ্রেস, সিপিএমের শক্তিহীনতার পথ ধরে বিজেপি এ রাজ্যে শাসক তৃণমূলের প্রধান বিরোধী হিসেবে যেমন আত্মপ্রকাশ করেছে, আসন বাড়িয়েছে, ঠিক তেমনি কিছু আসন কমলেও তৃণমূল একলপ্তে ৪ শতাংশ ভোট বাড়িয়েছে। হ্যাঁ, লোকসভা ভোটযুদ্ধের এই ফলাফল থেকে এটুকু বলা যায় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম রাজ্য রাজনীতিতে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে। সেটা তো ইতিবাচকই বলতে হবে। সিপিএমের মতো ভয়ঙ্কর শক্তির সঙ্গে জীবন পণ করে লাগাতার যুদ্ধের মধ্য দিয়েই তো মমতা ক্ষমতার শিখরে এসেছেন। তিনি নতুন প্রতিপক্ষের সঙ্গে আজ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিচলিত হবেন কেন? ভোটফলেই তো দেখা যাচ্ছে জনসমর্থনের নিরিখে আগামী লড়াইয়ের জন্য শক্তির বাড়তি রসদও তিনি জোগাড় করে নিয়েছেন। বরং, রাজ্যে কোনও বিরোধী নেই তাই মমতার এত বাড়বাড়ন্ত বলে যাঁরা (পড়ুন সিপিএম কংগ্রেস) এতদিন হাহুতাশ করছিলেন, ভোটফলের এই চেহারা তাদেরকে কিছু স্বস্তি শান্তি দেবে। তাহলে, মোটের ওপর সকলেরই এই ভোটফলে সন্তুষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু, বাস্তব পরিস্থিতি তো তা বলছে না। চারদিকে গোলমাল হই-হাঙ্গামা মারপিট পার্টি অফিস দখল ইত্যাদি চলেই চলেছে! এবং অভিযোগের তির বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছুটছে রাজ্যের নতুন বিরোধী শক্তি হিসেবে জেগে ওঠা বিজেপি’র দিকে! শাসক তৃণমূলের নামও যে তিরের ফলায় উঠে আসছে না এমন নয়—তবে পরিমাণে তা কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, বিজেপি’র চেয়ে অনেক কম! তাই নয় কি?
অস্বীকার করার উপায় নেই—বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহিষ্ণুতা সংযম সৌজন্যের স্থান আজ রীতিমতো দুর্বল সংকুচিত। এই দুর্বলতার সূত্রপাত সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের শেষপর্বে কয়েকজন নেতার সৌজন্যে। পরবর্তীতে উগ্র মমতা বিরোধিতার পথে কয়েকজন নেতানেত্রী তো রাজনৈতিক পরিসরে সহিষ্ণুতার প্রায় গঙ্গাযাত্রা করিয়ে ছেড়েছেন। আজ তারই নিদারুণ ফলভোগ করছেন নৈহাটি-কাঁচরাপাড়া, বারাকপুর থেকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া— এমনকী এই কলকাতা মহানগরীও! ভোটফল প্রকাশের পর যেসব হাঙ্গামা হচ্ছে তাতে কতটা রাজনৈতিক বিদ্বেষ বা দখলদারি মানসিকতা ক্রিয়াশীল আর কতটা ব্যক্তিগত রাগ মেটানোর সুযোগ ইন্ধন হিসেবে কাজ করছে তা নিয়ে গবেষণা চলতে পারে, কিন্তু একটা ব্যাপার পরিষ্কার— মানুষ এই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস হিংসায় আতঙ্কিত বিরক্ত এবং একই সঙ্গে হতাশ। এই হতাশা আসন্ন ভোটগুলিতে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে। অন্তত তেমনটাই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞ মহলের একাংশ। তাঁরা খুব ভুল মনে করছেন— এমন বলা যাচ্ছে কি? সুতরাং, সাধু সাবধান। 
02nd  June, 2019
বারুদের স্তূপের উপর পশ্চিমবঙ্গ
হিমাংশু সিংহ

সংসদীয় রাজনীতিতে কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কারও মৌরসিপাট্টাই গণতন্ত্রে বেশিদিন টেকে না। সব সাজানো বাগানই একদিন শুকিয়ে যায় কালের নিয়মে। ইতিহাস কয়েক বছর অন্তর ফিরে ফিরে আসে আর ধুরন্ধর শাসককে চরম শিক্ষা দিয়ে তাঁকে, তাঁর ক্ষমতাকে ধুলোয় লুটিয়ে দিয়ে আবার ফকির করে দিয়ে যায়। সব ক্ষমতা এক ভোটে বিলীন। ধূলিসাৎ। আর এখানেই মহান গণতন্ত্রের জিত আর চমৎকারিত্ব। আর সেই দিক দিয়ে ২৩ মে-র ফল এই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকেও আবার এক মহান সন্ধিক্ষণের দিকেই যেন ঠেলে দিয়েছে। ‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ’ হয়নি, ‘২০১৯ বিজেপি ফিনিশ’—তাও হয়নি। উল্টে সারাদেশে বিজেপি থ্রি-নট-থ্রি (অর্থাৎ ৩০৩টি) আসন জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভোট-পণ্ডিতদের।
বিশদ

11th  June, 2019
মোদিজি কি ‘সবকা বিশ্বাস’ অর্জন করতে পারবেন?
পি চিদম্বরম

 নরেন্দ্র মোদি এবার যে জনাদেশ পেয়েছেন তা অনস্বীকার্যভাবে বিপুল। যদিও, অতীতে লোকসভা নির্বাচনে একটি পার্টি ৩০৩-এর বেশি আসন জেতার একাধিক দৃষ্টান্ত আছে। যেমন ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী ৩৫৩ এবং ১৯৮৪ সালে রাজীব গান্ধী ৪১৫ পেয়েছিলেন।
বিশদ

10th  June, 2019
 বিজেপি এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে
কঠিন চ্যালেঞ্জ মনে করছে কেন?
শুভা দত্ত

 কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটে গেল রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে। তাই আজও একই প্রসঙ্গ দিয়ে এই নিবন্ধ শুরু করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহেই লিখেছিলাম, ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় যেন একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
বিশদ

09th  June, 2019
ইচ্ছে-ডানায় নাচের তালে
অতনু বিশ্বাস

এ বছরের সিবিএসই পরীক্ষার ফল বেরতে দেখা গেল, প্রথম হয়েছে দু’টি মেয়ে। একসঙ্গে। ৫০০-র মধ্যে তারা পেয়েছে ৪৯৯ করে। দু’জনেই আবার আর্টসের ছাত্রী। না, পরীক্ষায় আজকাল এত এত নম্বর উঠছে, কিংবা আর্টস বিষয় নিয়েও প্রচুর নম্বর তুলে বোর্ডের পরীক্ষায় র‍্যাঙ্ক করা যায় আজকাল—এগুলোর কোনওটাই আমার আলোচনার বিষয়বস্তু নয়।
বিশদ

08th  June, 2019
ভারতের রাজনীতিতে ‘গেম মেকার’
মৃণালকান্তি দাস

মেধাবী হলেই যে পড়ুয়ার জন্য মোটা বেতনের চাকরি নিশ্চিত, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। শুধু প্রতিভা থাকলে আর পরিশ্রমী হলেই হবে না, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং ঠিকঠাক ‘গাইড’ না পাওয়ায় পড়ুয়ারা আজ আর সরকারি চাকরির লক্ষ্যভেদ করতে পারেন না।
বিশদ

07th  June, 2019
অবিজেপি ভোটে বাজিমাত
বিজেপির, এবং তারপর...
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আলোড়ন! নিঃসন্দেহে একটা জবরদস্ত আলোড়ন উঠেছে। লোকসভা ভোটফল প্রকাশ হওয়া ইস্তক সেই আলোড়নের দাপটে রাজ্য-রাজনীতি থেকে সাধারণের অন্দরমহল জল্পনা-কল্পনা, বিবাদ-বিতর্ক, আশা-আশঙ্কায় যাকে বলে রীতিমতো সরগরম! পথেঘাটে আকাশে বাতাসে যেখানে সেখানে ছিটকে উঠছে উৎকণ্ঠা নানান জিজ্ঞাসা।
বিশদ

06th  June, 2019
কর্ণাটক পুরনির্বাচন: আবার উল্টালো ভোটফল
শুভময় মৈত্র 

নির্বাচনে ভোটফল নিয়ে কখন যে কী ঘটছে তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না মোটেই। মানুষ অবশ্যই মত বদলাবেন। সে স্বাধীনতা তাঁদের আছে। সে জন্যেই তো ভোটফল বদলায়। নাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের কোনও অর্থই থাকে না।  
বিশদ

04th  June, 2019
বাংলায় রামবোকামির মরশুম
হারাধন চৌধুরী 

আমার মামার বাড়ি ভারত-বাংলাদেশের একটি সীমান্ত গ্রামে। বলা বাহুল্য, আমার মায়ের জন্ম দেশভাগের অনেক আগে। স্বভাবতই তাঁর স্মৃতির অনেকখানি জুড়ে ছিল অখণ্ড ভারতীয় গ্রামদেশ ও তার সংস্কৃতি। ১৯৪৭-এ মায়ের শৈশবের গ্রামের উপর দিয়েই ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের ভূগোল এবং ইতিহাস খুলেছিল এক নতুন অধ্যায়। 
বিশদ

04th  June, 2019
বিভাজনের ঘোলা জলে হারিয়ে যাচ্ছে বিকাশ
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

এক জার্মান দার্শনিক হিটলারের আমলে আমাদের সচেতন করেছিলেন এই বলে—তোমরা সবাই ছোট মানুষ (লিটল ম্যান) তোমাদের কোনও প্রশ্নের অধিকার আছে কি? বৃহৎ রাষ্ট্রযন্ত্রে তোমাদের অস্তিত্বটা কোথায়! তা কী অনুধাবন করতে পেরেছ? নাটবল্টুদের কোনও প্রশ্ন থাকা উচিত নয়।
বিশদ

03rd  June, 2019
সবকা বিকাশ কীভাবে হতে পারে
পি চিদম্বরম

 বিপুল জনসমর্থন সবসময় আশীর্বাদ হয় না, একটি দুর্বলতর বিরোধী শাসনকার্যকে আরও দুঃসহ করে তোলে এবং উপর্যুপরি দু’দফায় ক্ষমতালাভ শাসকের অজুহাত খাড়া করার সুযোগ কেড়ে নেয়। আমি নিশ্চিত যে মানুষের বিরাট প্রত্যাশা আর তাঁর মন্ত্রিসভার উপর কতখানি বোঝা চাপল সেই কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খুব ভালো করেই জানেন।
বিশদ

03rd  June, 2019
নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় ইনিংস: ভারতের
বিদেশ নীতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ভাবনা
গৌরীশংকর নাগ

 অবশেষে মাসাধিক কালব্যাপী প্রতীক্ষার অবসান। নির্বাচন অতিক্রান্ত ও ফল ঘোষণার পর মোদির দ্বিতীয় ইনিংসে চমকের প্রত্যাশায় জল্পনা তুঙ্গে। আর সেই ভাবনা থেকেই আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভারতীয় বিদেশনীতি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে যে কথাটি এসে পড়ে তা হল পপুলিজম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বিশদ

01st  June, 2019
ইমেজ বদল
সমৃদ্ধ দত্ত

কিছু কিছু ফলাফল বড় গোলমেলে হয়। এই যেমন এবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বহু আসনে এভাবে হেরে গেলেন সেটা নিয়ে বিস্তর ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, ময়নাতদন্ত চলছে। হওয়াই সঙ্গত। এইসব ব্যাখ্যা থেকে যেটা স্পষ্ট বোঝা গেল যে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে না।
বিশদ

31st  May, 2019
একনজরে
 লাহোর, ১১ জুন (পিটিআই): ভারতের আবেদনে সাড়া দিল পাকিস্তান। কিরঘিজস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমান। ‘নৈতিক দিকটি’ মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানাল ইমরান খানের ...

 দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ১১ জুন: রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতির অভিযোগ তুলে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেবে বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ...

গ্রেম স্মিথ : অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান অস্ত্র পেস বোলিং। ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে মন্থর, ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অজিদের এই অস্ত্র কাজ করেনি। অন্য ম্যাচে ভয়ঙ্কর মূর্তিতে আবির্ভূত হলেও মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সের মতো বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর বিন্দুমাত্র ত্রাসের সঞ্চার করতে ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রয়াত হয়েছেন শীলা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন এমেরিটাস শীলা গৌতম। গত ৮ জুন তিনি পরলোক গমন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি শীলা ফোম তৈরি করেন, যা ক্রমশ সফল ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন বিচক্ষণ রাজনীতিক। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,
১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,
১৯৫৭- পাকিস্তানের ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের জন্ম,
২০০৩- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৫৮ টাকা ৮৯.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.২১ টাকা ৮০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৯১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,২৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৩/৫০ সন্ধ্যা ৬/২৭। হস্তা ১৭/১৯ দিবা ১১/৫১। সূ উ ৪/৫৫/২০, অ ৬/১৭/৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে পুনঃ ১/৪৯ গতে ৫/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/১২ মধ্যে, বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৫/৫৪/৩৯ রাত্রি ৭/১৭/২৫। হস্তানক্ষত্র ২০/৪৩/৩৩ দিবা ১/১২/৫৮, সূ উ ৪/৫৫/৩৩, অ ৬/১৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৭/১২ গতে ১/১৭/৩৭ মধ্যে, কালবেলা ৮/১৬/২২ গতে ৯/৫৬/৪৭ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬/২৩ গতে ৩/৩৫/৫৭ মধ্যে। 
৮ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: ভ্রমণ যোগ আছে। মিথুন: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকে দিনে 
বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,১৯৫৭- পাকিস্তানের ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: ৪১ রানে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া 

10:35:44 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ২৩০/৭(৪০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮) 

10:03:16 PM

 বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১৬০/৬(৩০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

09:20:41 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১১০/২(২০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

08:34:26 PM