Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যে এত হিংসা কেন!
শুভা দত্ত

ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় যেন একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এ ওকে মারছে, সে তাকে মারছে, পার্টি অফিস দখল করে নিচ্ছে, না হয় ভেঙেচুরে তছনছ করে দিচ্ছে, দল বেঁধে বাড়িতে বাড়িতে চড়াও হয়ে হুমকি দিচ্ছে, আসবাবপত্র, টাকাকড়ি, গয়নাগাটি লুটে নিয়ে যাচ্ছে, ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ ঘরসংসার ফেলে আত্মরক্ষার তাগিদে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হচ্ছেন, আবার কোথাও কোথাও তো রক্ত ঝরছে, খুনখারাপির ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে! এতে সব মিলিয়ে নৈহাটি বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মতো বেশ কিছু জায়গায় একটা রীতিমতো ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। আর তার জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত, মানুষের কাজকাম চৌপাট হওয়ার জোগাড়। পুলিস প্রশাসন অবস্থা আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক সর্বত্র অবস্থা পুরোপুরি আয়ত্তে আসছে না! নানান অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই চলেছে। ফলে, অভিযোগের আঙুল উঠছে পুলিসের একাংশের দিকে। অনেকেই বলছেন, পুলিসের ওই অংশ একটু যেন গা-ছাড়া গয়ংগচ্ছ ভাব দেখাচ্ছে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বাহিনীর যতটা ক্ষিপ্র ও সক্রিয় হওয়া উচিত, ততটা হচ্ছে না!
ফলে উত্তর-দক্ষিণ পূর্ব-পশ্চিম—বাংলার নানা জায়গায় একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমনকী, দুষ্কৃতী তাণ্ডবে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পুলিসের একাংশের এই ভূমিকায় বৃহস্পতিবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিসমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং! ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের ঘরে ফেরাতে এবং দখল হওয়া পার্টি অফিস পুনরুদ্ধারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে মমতা বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে সভা করেন। সেখানে নানান অনভিপ্রেত ঘটনা ও সেইসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিসি ব্যর্থতার অভিযোগ এনে তিনি কার্যত বাহিনীর সংশ্লিষ্ট অংশকে হুঁশিয়ারি দেন। নিজের মন্ত্রকের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ক্ষোভ জানানো দেখে মমতা-বিরোধীরা কেউ কেউ হয়তো মজা পেয়েছেন, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় টীকা-টিপ্পনীও কেটেছেন। কাটুন।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে ওইভাবে স্লোগান দেওয়া বা ভিড়জটলা কি পুলিসি নিরাপত্তার একটা চরম গাফিলতি নয়—আপনারাই বলুন? কে জয় শ্রীরাম বলবে, কে জয় হিন্দ বন্দেমাতরম্‌ বলবে সেটা নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত অভিরুচির ব্যাপার। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের চারপাশে অপরিচিত জনতার ভিড়, হুড়োহুড়ি কি স্বাভাবিক? সেখানে পুলিসের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে না, গোয়েন্দা পুলিসের কাছে আগাম খবর থাকবে না যে তাঁর যাওয়ার পথে এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে!? এবং সেই আগাম খবরের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে না!? বিশেষ করে ভোটের পর যখন পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক নয়, মারামারি ভাঙাভাঙি খুনোখুনি চলছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে তার দু’পাশের এলাকাতেই চলছে—তখন তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে এমন হালকা মনোভাব, এমন গা-ছাড়া আচরণ কেন! মানেটা কী? বৃহস্পতিবার ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা যখন গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া খুব বেশি কাউকে, মানে পুলিসের কর্তা-কর্মীদের কাউকে তো আশপাশে দেখা যায়নি! বরং, স্থানীয় লোকজনের অনেককেই মোবাইলে ছবি তুলতে তুলতে মুখ্যমন্ত্রীর যথেষ্ট কাছে চলে এসেছে, তাদের কেউ বাধা তো দিলেন না! শুধু তাই নয়, আশপাশে জড়ো হওয়া জনতাকে সরানোর ব্যাপারেও তো স্থানীয় পুলিস বাহিনীকে তেমন সক্রিয় হতে দেখা গেল না!
কেন গেল না, কেন দেখা যায়নি—তার পিছনে কোন রাজনীতির কী খেলা আছে সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না— কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতার ওই ঢিলেঢালা নিরাপত্তার ফাঁক দিয়ে সেদিন বড় কোনও ঘটনা যদি ঘটে যেত— কী হতো! কে দায় নিতেন? শুধু মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলছি না, যে কোনও মন্ত্রী বা ভিআইপি’র জন্যই তো এমন ঢিলেঢালা নিরাপত্তা বিপজ্জনক। ভোটের সময় দেখা গেল জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পাওয়া বাবুল সুপ্রিয়’র গাড়ি অবলীলায় ভেঙে চলে গেল কিছু দুষ্কৃতী! কী করে পারল? বিশেষ নিরাপত্তার সেই আঁটোসাটো বেষ্টনী সেখানেই বা কোথায় ছিল! ভগবানের অশেষ করুণা যে, দুষ্কৃতীরা গাড়ি ভেঙেই ক্ষান্ত দিয়েছে। বাবুলকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার পথে যায়নি। কিন্তু, যেতেই পারত। সেদিন নিরাপত্তাকর্মী কেন্দ্রীয় বাহিনীর যা হাবভাব দেখা গিয়েছিল তাতে দুষ্কৃতীরা অনায়াসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্তা করে যে যার ঘরে ফিরে যেতে পারত বলেই মনে করছেন তথ্যভিজ্ঞজনেদের অনেকেই। এবং তাঁদের এই আশঙ্কা যে একেবারেই অমূলক, টিভিতে সেই দৃশ্য দেখার পর এমনটা জোর দিয়ে বলা যাবে কি? কী ভয়ানক ভাবুন! আমাদের সৌভাগ্য সেই ভয়ানকের পুরো চেহারাটা শেষ অবধি আমাদের দেখতে হয়নি।
এ তো গেল একদিক। অন্যদিকে এই প্রশ্নটাও তো উঠছে যে—ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যে এত হিংসা কেন! কী হয়েছে যে হঠাৎ করে হিংসার এমন বাড়াবাড়ি? সন্দেহ নেই এবার ভোটের হাওয়া প্রথম থেকেই বেশ গরম ছিল। বিজেপি এ রাজ্যের ওপর বিশেষ নজর দেওয়ায় লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে একটা জোরালো রাজনৈতিক লড়াইয়ের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ দফায় দফায় এ রাজ্যে এসেছেন, প্রচার করেছেন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক তরজায় উত্তপ্ত বাগযুদ্ধে তাঁদের টক্করও চলেছে প্রায় সমানে সমানে। ভোটের ফলেও তার আভাস ভালোই মিলেছে। বিজেপি’র আসন একলাফে ২ থেকে ১৮-তে উঠে গেছে। হ্যাঁ, সেই ২০০৯ সালের পর এই প্রথম মমতার একচ্ছত্র আধিপত্যের বাংলায় তাঁর দল তৃণমূল আসন সংখ্যার বিচারে হয়তো একটু ধাক্কা খেয়েছে। তাতেই বা হয়েছেটা কী? খেলার মতো রাজনৈতিক লড়াইতে এমনটা তো হতেই পারে। তবে, আসন কমলেও মোট ভোটের শতাংশে তো মমতার তৃণমূল এগিয়েছে ৪ শতাংশ!
মানেটা কী দাঁড়ায়? কংগ্রেস, সিপিএমের শক্তিহীনতার পথ ধরে বিজেপি এ রাজ্যে শাসক তৃণমূলের প্রধান বিরোধী হিসেবে যেমন আত্মপ্রকাশ করেছে, আসন বাড়িয়েছে, ঠিক তেমনি কিছু আসন কমলেও তৃণমূল একলপ্তে ৪ শতাংশ ভোট বাড়িয়েছে। হ্যাঁ, লোকসভা ভোটযুদ্ধের এই ফলাফল থেকে এটুকু বলা যায় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম রাজ্য রাজনীতিতে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে। সেটা তো ইতিবাচকই বলতে হবে। সিপিএমের মতো ভয়ঙ্কর শক্তির সঙ্গে জীবন পণ করে লাগাতার যুদ্ধের মধ্য দিয়েই তো মমতা ক্ষমতার শিখরে এসেছেন। তিনি নতুন প্রতিপক্ষের সঙ্গে আজ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিচলিত হবেন কেন? ভোটফলেই তো দেখা যাচ্ছে জনসমর্থনের নিরিখে আগামী লড়াইয়ের জন্য শক্তির বাড়তি রসদও তিনি জোগাড় করে নিয়েছেন। বরং, রাজ্যে কোনও বিরোধী নেই তাই মমতার এত বাড়বাড়ন্ত বলে যাঁরা (পড়ুন সিপিএম কংগ্রেস) এতদিন হাহুতাশ করছিলেন, ভোটফলের এই চেহারা তাদেরকে কিছু স্বস্তি শান্তি দেবে। তাহলে, মোটের ওপর সকলেরই এই ভোটফলে সন্তুষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু, বাস্তব পরিস্থিতি তো তা বলছে না। চারদিকে গোলমাল হই-হাঙ্গামা মারপিট পার্টি অফিস দখল ইত্যাদি চলেই চলেছে! এবং অভিযোগের তির বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছুটছে রাজ্যের নতুন বিরোধী শক্তি হিসেবে জেগে ওঠা বিজেপি’র দিকে! শাসক তৃণমূলের নামও যে তিরের ফলায় উঠে আসছে না এমন নয়—তবে পরিমাণে তা কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, বিজেপি’র চেয়ে অনেক কম! তাই নয় কি?
অস্বীকার করার উপায় নেই—বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহিষ্ণুতা সংযম সৌজন্যের স্থান আজ রীতিমতো দুর্বল সংকুচিত। এই দুর্বলতার সূত্রপাত সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের শেষপর্বে কয়েকজন নেতার সৌজন্যে। পরবর্তীতে উগ্র মমতা বিরোধিতার পথে কয়েকজন নেতানেত্রী তো রাজনৈতিক পরিসরে সহিষ্ণুতার প্রায় গঙ্গাযাত্রা করিয়ে ছেড়েছেন। আজ তারই নিদারুণ ফলভোগ করছেন নৈহাটি-কাঁচরাপাড়া, বারাকপুর থেকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া— এমনকী এই কলকাতা মহানগরীও! ভোটফল প্রকাশের পর যেসব হাঙ্গামা হচ্ছে তাতে কতটা রাজনৈতিক বিদ্বেষ বা দখলদারি মানসিকতা ক্রিয়াশীল আর কতটা ব্যক্তিগত রাগ মেটানোর সুযোগ ইন্ধন হিসেবে কাজ করছে তা নিয়ে গবেষণা চলতে পারে, কিন্তু একটা ব্যাপার পরিষ্কার— মানুষ এই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস হিংসায় আতঙ্কিত বিরক্ত এবং একই সঙ্গে হতাশ। এই হতাশা আসন্ন ভোটগুলিতে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে। অন্তত তেমনটাই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞ মহলের একাংশ। তাঁরা খুব ভুল মনে করছেন— এমন বলা যাচ্ছে কি? সুতরাং, সাধু সাবধান। 
02nd  June, 2019
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...

আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এবার বেলারুশ সীমান্তবর্তী চেরনিহিভ শহরের একটি আটতলা ভবনকে নিশানা করে মিসাইল ছোড়ে পুতিনের দেশ। এই হামলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাখরাহাটে আগুন লাগার ঘটনায় ভস্মীভূত প্রায় ৮০টি দোকান 

12:18:20 PM

৩৭৩ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

11:03:00 AM

আহমেদাবাদে রোড শো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

11:01:52 AM

যৌন হেনস্তা মামলা: আজ শুনানি, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং

10:55:48 AM

অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় একটি গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অকুস্থলে দমকল

10:45:23 AM

মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা জওয়ানরা

10:42:59 AM