Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় ইনিংস: ভারতের
বিদেশ নীতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ভাবনা
গৌরীশংকর নাগ

অবশেষে মাসাধিক কালব্যাপী প্রতীক্ষার অবসান। নির্বাচন অতিক্রান্ত ও ফল ঘোষণার পর মোদির দ্বিতীয় ইনিংসে চমকের প্রত্যাশায় জল্পনা তুঙ্গে। আর সেই ভাবনা থেকেই আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভারতীয় বিদেশনীতি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে যে কথাটি এসে পড়ে তা হল পপুলিজম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে সার্জিকাল স্ট্রাইক, ২০১৭-য় ডোকালাম সংকট এবং সম্প্রতি বালাকোট বিমান হানার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় অবস্থানে সামান্য হলেও ভারসাম্যের অভাব ঘটেছে, যাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তাত্ত্বিক পরিভাষায় 'Realist tilt' বলা যেতে পারে। শুধু অস্ত্র কেনা, অন্য দেশের সঙ্গে যৌথ মহড়া বা মিসাইল প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে ডিফেন্স মডার্নাইজেশন নয়, চাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর সমান গুরুত্ব আরোপ। বিশ্বব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে অবশ্য আশার কথা শোনা যাচ্ছে, কারণ ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বৃদ্ধির সম্ভাবনা ৭.৫ শতাংশ। তবে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা হল রপ্তানির ক্ষেত্রে ঘাটতি, যার জন্য প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির। ভারতের ক্ষেত্রে রপ্তানির পরিমাণ তার জিডিপি’র ১০ শতাংশ। এটা হওয়া উচিত ৩০-৪০ শতাংশ। এ বিষয়ে চীন এশিয়ার মধ্যে সবথেকে এগিয়ে। সুতরাং চীনের থেকে শিখতে হবে।
আবার দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক অর্থনীতির সুবিধা বা অসুবিধা—যাই বলি না কেন, সেটা যেমন তার দীর্ঘ ঔপনিবেশিক কারণে, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গির অভাব রয়ে গেছে। ফলে প্রায়শই পপুলিজম থেকে বেরিয়ে বা ভাবাদর্শের গণ্ডি অতিক্রম করে ভারত সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের যে অসামঞ্জস্য বা উন্নত মানব সম্পদ গঠনের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে সেভাবে নজর দিতে পারেনি। অথচ তা না করলে আন্তর্জাতিক বাজারে যথেষ্ট প্রতিযোগিতামূলক হওয়া সম্ভবপর নয়। সাম্প্রতিককালে চীনা অর্থনীতির শ্লথ বৃদ্ধির কারণ তার জোগানের দিকে ঘাটতি, বিশেষত সস্তা শ্রমিকের বড়ই অভাব। ভারত তুলনামূলকভাবে সেদিক থেকে এগিয়ে থাকলেও বিশ্ব ব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ হান্স টিমারের মতে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির কারণ প্রধানত তার অভ্যন্তরীণ চাহিদা। ফলে একদিকে যেমন কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতির বিপুল বৃদ্ধি ঘটছে, তেমনি আমদানি যতটা বাড়ছে, তার তুলনায় রপ্তানি বৃদ্ধির হার একেবারেই আশাপ্রণোদিত নয়। তবে মোদি-জেটলির যৌথ উদ্যোগে জিএসটি’র ফলে অবশ্যই আন্তরাজ্য পণ্য ও বাণিজ্যে জোয়ার এসেছে বলা যায়। সুতরাং এবার নতুন ইনিংসের শুরুতেই যেটা দেখা দরকার সেটা হল দক্ষিণ এশিয়ার অভ্যন্তরে এবং ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধি। সুতরাং নতুন অর্থনৈতিক কূটনীতির মধ্য দিয়ে ভারতকে সেই নেতৃত্ব দিতে হবে এবং ই-কমার্সকে আরও প্রসারিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। নতুন সরকারকে দেখতে হবে যাতে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন ব্যবস্থা, প্রযুক্তিগত আবিষ্কার, স্টার্ট-আপ বাড়ানো যায়। এমনকী নজর দিতে হবে যাতে উৎপাদনে আগামী দিনে আরও মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, ভারতে লিঙ্গবৈষম্য এখনও উদ্বেগজনক। ফলে একাধারে সামাজিক সচেতনতার প্রসার যেমন প্রয়োজন, তেমনি সরকারি স্তরে নতুন আইনি রক্ষা-কবচের ভাবনার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না—কারণ মহিলাদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এর অপরিহার্য পূর্বশর্ত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী দিনে মোদির বিদেশ নীতির একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে কীভাবে পাকিস্তানি প্ররোচনায় সায় না দিয়ে আঞ্চলিক স্থিতি ও বাণিজ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা যায়। ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি পাকিস্তান মোদির পুনঃ নির্বাচনকে অনেকটা উত্তর কোরিয়ার ঢঙে দেখতে চাইছে। তারা পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য এই সময়টিকে বেছে নিয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে ভারত-পাক বিরোধ আগামী দিনে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে গলার কাঁটা হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে লাভ হবে তৃতীয় রাষ্ট্রের, যেমন চীন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। সুতরাং আঞ্চলিক বাণিজ্য যাতে প্রসারিত হয়, তার চেষ্টা করতে হবে। বস্তুত, এটা তখনই সম্ভব যখন আমরা পণ্য পরিবহণের জন্য সোনালি চতুর্ভুজের মতো গতিশীল করিডর তৈরি করতে পারব। ইতিমধ্যেই ভারত (ক) ৩৩০০ কিমি বিস্তৃত পূর্ব-পশ্চিম করিডর, (খ) ১৩৬০ কিমি জুড়ে ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড সংযোগকারী ট্রাইল্যাটারাল হাইওয়ে, (গ) ভারত-মায়ানমারের মধ্যে কালাভান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ও (ঘ) ২৮০০ কিমি বিস্তৃত বাংলাদেশ, চীন, ভারত এবং মায়ানমার সংযোগকারী অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শুরু করতে পেরেছে (আরআইএস প্রকাশিত Assessing Economic Impacts of Connectivity Corridors, ২০১৮ দ্রষ্টব্য)।
সেইসঙ্গে আফগানিস্তানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের স্বার্থে ইরানের চাবাহার বন্দরকেও ব্যবহার করতে চাইছে। ইরানের তুলনামূলক সস্তায় সুলভ তেলও আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভারত মানবে কি না—নির্বাচনের দরুন সরকার তা নিয়ে সন্দিহান ছিল। কিন্তু নির্বাচন মিটতে না মিটতেই দেখা গেল এ বিষয়ে সরকার মার্কিন চাপের কাছে মাথা নুইয়েছে। ফলে অপরিশোধিত তেলের জোগানে টান পড়লে বা তেলের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির বিরূপ প্রভাব থেকে আমরা সহজে বেরতে পারব না। সুতরাং নতুন সরকারকে একদিকে যেমন টাপি প্রজেক্টে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ না করেও, মার্কিন সখ্যতা নিয়ে ভবিষ্যতে আমাদের ভাবতেই হবে। কারণ ট্রাম্পের নীতি হল 'America First'। ফলে আমেরিকা চীনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বাণিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। আবার হুয়েইকে আটকানোর মধ্য দিয়ে মার্কিন-চীন বিরোধ নতুন করে প্রযুক্তিগত ঠান্ডা যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। ফলে অর্থনীতিতে ডমিনো প্রভাব পড়ার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় মোদি সরকারের উচিত চীনকে অহেতুক ক্ষিপ্ত না করে সুনির্দিষ্ট স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করা। যেমন, এশিয়ান রিভ্যুতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কিরণ শর্মা জানাচ্ছেন, মোদি চাইছেন ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড হাইওয়েকে ইন্দো-চীন পর্যন্ত প্রসারিত করতে, যাতে চীনের BRI-এর সঙ্গে আংশিকভাবে পাল্লা দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও মায়ানমারের বাণিজ্য কেন্দ্রগুলির সঙ্গে ভারত তার প্রধান হাইওয়েগুলোকে সংযুক্ত করতে চাইছে। তবে বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল টুইং ইং-এর মতে, এশিয়ার ভারত ও জাপানের যোগাযোগ ব্যবস্থার নকশা যতটা না নিজের স্বার্থে তার থেকে বেশি চীনের প্রভাব রোধ করার জন্য। দ্বিতীয়ত, ভারত মহাসাগরে চীনকে আটকানো উচিত। কারণ ভবিষ্যতে যদি চীন একাধারে জাপান ও আমেরিকার মুখে পড়ে, তখন হয়তো সে ভারত মহাসাগরকে 'Strategic depth' হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে। এর ফলে একদিকে যেমন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতীয় আধিপত্য ক্ষুণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, তেমনি চীনের সামরিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের সম্প্রসারণের পথ এর ফলে উন্মুক্ত হতো।
পরিশেষে মোদির আমলে ভারতের বিদেশ নীতির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের সখ্যতা; সেই সঙ্গে জাপান, ইজরায়েল এবং CLMV সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি। উদাহরণ স্বরূপ ২০১৬-য় মোদির ভিয়েতনাম সফরের পরপরই ভারত-ভিয়েতনাম সম্পর্ক কমপ্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর পাশাপাশি ভারতের উচিত হবে ইবসা, ব্রিকস্‌, মেকং গঙ্গার মতো আঞ্চলিক অথচ বহুপাক্ষিক গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাওয়া। তবেই ভারত আগামী দিনে অর্থনৈতিক পাওয়ারহাউস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে রাখতে পারবে।
লেখক সিধু-কানহু-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
01st  June, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দীঘার সমুদ্র সৈকতে মিলল নীল ডলফিন!
টিভি বা সিনেমার পর্দায় নয়, নীল রঙের বিরল প্রজাতির ডলফিনের ...বিশদ

06:36:06 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে ৫৯.০২ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৫.০৮ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৩.২৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৪.৮৫ শতাংশ, মণিপুরে ৬৭.৬৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬৯.৯১ শতাংশ, মিজোরামে ৫২.৭৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫৫.৭৯ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৭২.৮৪ শতাংশ ও রাজস্থানে ৫০.২৭ শতাংশ, সিকিমে ৬৮.০৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে ৫৬.৮৭ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ৬৩.৪৪ শতাংশ, অসমে ৭০.৭৭ শতাংশ, বিহারে ৪৬.৩২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৬৩.৪১ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৬২.০২ শতাংশ, ত্রিপুরাতে ৭৬.১০ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৭.৫৪ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৫৩.৫৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:26:06 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা  পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৭৫.৫৪ শতাংশ, কোচবিহারে ৭৭.৭৩ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৭৯.৩৩ শতাংশ ভোট পড়ল

05:56:30 PM