Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 দেশ চেয়েছে একজন শক্তিশালী নেতা
আর রাজ্যের দাবি গণতান্ত্রিক পরিসর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

দেশের মানুষ শক্তিশালী নেতার পক্ষে স্পষ্ট রায় জানিয়েছেন। শত বিভাজিত বিরোধী শিবির অপেক্ষা একক নেতার প্রতি সাধারণ মানুষ যে ভরসা করেন আরও একবার বিজেপির পক্ষে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে তা প্রমাণিত হল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় বা রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিনের পক্ষে রায়ে যেমন ওই দেশের মানুষের শক্তিশালী নেতার পক্ষে জনমত প্রতিফলিত হয়েছিল, তেমনি আমাদের দেশে নরেন্দ্র মোদির এই বিপুল জয় ভোটারদের মজবুত সরকার এবং শক্তিশালী নেতার পক্ষে রায় বলা যায়।
অন্যদিকে দীর্ঘ বাম-কংগ্রেস রাজনীতি এবং পরবর্তী পর্যায়ে তৃণমূল বনাম বাম-কংগ্রেস রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে স্পষ্ট উঠে এল তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনীতি। বামেদের অপ্রাসঙ্গিক করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপি তৃণমূলের বিকল্প শক্তি হিসেবে এই লোকসভা নির্বাচন নিজেদের প্রতিষ্ঠা করল বলা যায়। বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে তৃণমূল কংগ্রেস মূলত শহরে তাদের অবস্থান জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু বিজেপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে মূলত গ্রামকে কেন্দ্র করে। রাজ্যে যে ফল প্রকাশিত হয়েছে তাতে স্পষ্ট মূলত গ্রামীণ এলাকায় বিজেপি তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
বিজেপি যে সমস্ত আসনে জয়ী হয়েছে তা মূলত কৃষিপ্রধান গ্রামীণ আসন। ২৭টি গ্রামীণ লোকসভার মধ্যে ১৫টি লোকসভা কেন্দ্রে তারা জয়ী হয়েছে। বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে বিজেপি যে ১৩৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ১০০টি গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্র। গ্রামবাংলায় এত উন্নয়নের পরেও গ্রামের সাধারণ মানুষের রায় কিন্তু তৃণমূলের পক্ষে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে রইল। বহুসংখ্যক মানুষ এই লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদান করে প্রমাণ করলেন যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরা ভোট দিতে পারেননি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণতন্ত্রের যে পরিসর সংকুচিত হয়েছিল, তারই স্পষ্ট প্রতিফলন এবারের নির্বাচনে পরিলক্ষিত হয়েছে। তৃণমূল সরকারের উপভোক্তারাও গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্নটিকে যে গুরুত্ব দিয়েছেন, ফলেই প্রকাশিত।
আবার আশা যাক দেশের ফলাফলের দিকে। লোকসভা নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে ঘটে যাওয়া পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল মোদি-অমিত শাহর ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে বিজেপির পরাজয় মোদি-অমিত শাহকে যথেষ্ট চাপে রেখেছিল। পাশাপাশি ২০১৪-২০১৮ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত ৩০টি লোকসভা উপনির্বাচনের ফলাফলও বিজেপির পক্ষে সহায়ক ছিল না। এর মধ্যে ৮টিতে বিজেপি হেরেছিল। নোটবন্দি এবং জিএসটি নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট ছিল না। ২০১৪-র দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দুর্নীতি দমনে মোদি কার্যত পিছিয়েছিল। উপরন্তু, আরবিআই থেকে সিবিআই-এর মতন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ করছিল বিরোধীরা। রাজ্যে রাজ্যে বিরোধীরা জোটের উদ্যোগ নিলেও উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র বাদে কোথাও তা সফল হয়নি। এইরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদির সামনে উঠে এল পুলওয়ামার ঘটনা এবং তাকে কেন্দ্র করে বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলা। শত বিভাজিত বিরোধী পক্ষের তুলনায় মোদির হাতে দেশ সুরক্ষিত—শেষ বিচারে ভোটারদের কাছে জাতীয় নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছিল। যাকে মোকাবিলা করা রাহুল গান্ধী বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর পক্ষে সম্ভব ছিল না। মানুষ সুস্থির সরকার, মজবুত সরকার এবং দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে একজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি অর্জনকারী ব্যক্তিকেই সামনে রেখে তাদের রায় দিয়েছিল।
শত বিভক্ত বিরোধীদের একত্রিত করবার চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন বটে, কিন্তু প্রত্যেকেরই অন্তরে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভিলাষ বারবার প্রতিফলিত হয়েছে। মায়াবতী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নাইডু থেকে শরদ পাওয়ার প্রত্যেকে নানাভাবে বুঝিয়েছেন দিল্লির নেতৃত্বের প্রশ্নে তাঁদের সুপ্ত বাসনা। আবার বৃহৎ দল হিসাবে কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও তাঁরা নির্বাচনের আগে মেনে নিতে চাননি। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এই প্রশ্ন কখনও বিরোধী নেতারা এড়িয়ে গেছেন, কখনও বা চালাকি করে এড়িয়ে গেছেন সবাই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এই বলে। অথচ মানুষ কিন্তু চেয়েছিল স্পষ্টভাবে একজন নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরে বিরোধীরা ভোটে যাক। সমস্ত বিরোধীরা কেবলমাত্র মোদির বিরোধিতা করেছেন অথচ নিজেরা একজনকে নেতা হিসাবে তুলে ধরতে পারেননি। আর যত মোদি বিরোধিতা করেছেন ততই নির্বাচনটা মোদি-কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছিল।
পাশাপাশি বিরোধী দলগুলি ব্যর্থ হয়েছিল ভোটারদের সামনে একটি সাধারণ কর্মসূচি প্রস্তুত করে তা তুলে ধরতে। পূর্বে যে কয়টি পাঁচমেশালি সরকার কেন্দ্রে তৈরি হয়েছিল তার অভিজ্ঞতা কিন্তু ভোটারদের কাছে একেবারেই সুখকর ছিল না। বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলো নানা বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ায়, অতীতের একাধিক জোট সরকারের কোনও নির্দিষ্ট দিশা ছিল না। বিশ্বনাথপ্রতাপ সিং থেকে দেবেগৌড়া সরকারের অভিজ্ঞতা মানুষের কাছে থাকায় নির্দিষ্ট কর্মসূচিহীন বিরোধীদের কখনওই বিকল্প হিসাবে ভোটাররা মেনে নেননি। শেষ বিচারে তাই দেশের মানুষ স্থায়ী সরকার এবং শক্তিশালী নেতার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।
আবার ফেরা যাক রাজ্যের ফলে। বাম-কংগ্রেস বনাম তৃণমূলের রাজনীতির মধ্যে বিজেপি ঢুকে পড়ল কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে তৃণমূলের বিরোধীশূন্য রাজনীতির ভাবনার মধ্যে। বাম এবং কংগ্রেসকে রাজ্য থেকে মুছে ফেলার উদ্যোগ তৃণমূল কংগ্রেস নিয়েছিল। তারই ফলশ্রুতি ছিল একের পর এক পুরসভা, পঞ্চায়েত জোরপূর্বক দখল, এমনকী বিরোধী দলের জেতা এমএলএ-দেরকেও তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভায় হাজির করিয়ে তৃণমূল নেত্রী দলের বিজয় হিসাবে দেখেছিলেন। দলের একাধিক নেতাকে কাজে লাগিয়ে, প্রশাসন ব্যবহার করে কংগ্রেসের শেষ দুর্গ মালদা, মুর্শিদাবাদ যেমন দখল নিয়েছিল শাসকদল, তেমনি জলপাইগুড়ির মতন বামেদের দখলে থাকা জেলাপরিষদেরও দখল নেয় তৃণমূল। রাজ্যে বিরোধীশূন্য রাজনীতির পরিসর তৈরি হলে মোদি-অমিত শাহরা ঝাঁপিয়ে পড়েন বাংলা দখলের জন্য। একের পর এক কর্মসূচি পালন করে বিজেপি তৃণমূল ভোটারদের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করতে সক্ষম হয় যে কেন্দ্রে সরকারে থাকা বিজেপি দলই একমাত্র তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তৃণমূল সরকারের ইমাম ভাতার উদ্যোগ এবং তিন তালাকের প্রশ্নে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের ভূমিকার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি ঘটনা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে তৃণমূলের সংখ্যালঘু তোষণ নিয়ে প্রশ্ন জাগে।
শেষে ২০১৮-র রক্তক্ষয়ী পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলে গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষের ক্ষোভ তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৈরি হয়। উপরন্তু তৃণমূল নেত্রীর মোদি-কেন্দ্রিক নির্বাচনী প্রচারও রাজ্য-রাজনীতিকে বিজেপিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে। প্রকৃতপক্ষে বিগত এক বছর ধরেই রাজ্যের সভাসমিতি আয়োজনের অনুমতি পাওয়াকে কেন্দ্র করে মোদি-অমিত শাহ বনাম মমতার দ্বন্দ্ব রাজ্যের ভোটারদের দ্বিমেরুকৃত করতে সাহায্য করেছিল। যে রাজ্য সরকার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষের কাছে কোনও না কোনও পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে, সেই সরকারি দলকে এত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হল মূলত গণতান্ত্রিক পরিসর সংকোচনের ইস্যুকে কেন্দ্র করেই।
 লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
25th  May, 2019
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...

একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দাঁতন থানার মেনকাপুরে মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের প্রচারে দলীয় কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

03:52:01 PM

আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের সমর্থনে রোড শো করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

03:47:55 PM

মুর্শিদাবাদের ডিআইজি হলেন আইপিএস ওয়াকার রাজা

03:33:55 PM

বলছে মাছ খেলে সে দেশদ্রোহী, আগে একবার মাছ খেতাম, ওই কথা শুনে এখন দু’বার খাই: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

03:30:53 PM

বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক জিতলে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে মাছ খাওয়া সব বন্ধ হয়ে যাবে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

03:28:11 PM

ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে রান্নার গ্যাসের দাম ৪৫০ হবে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

03:26:24 PM