Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির প্রত্যাবর্তন
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

ঘড়ি ধরে ঘুম ভেঙেছিল ঠিক সকাল ৫টায়। প্রথমে নিয়মমাফিক যোগব্যায়াম, তারপর খবরে চোখ রাখা। নাঃ, সব শান্তিতেই আছে... নিশ্চিন্ত মনে ব্রেকফাস্ট নিয়ে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাড়ে ৮টা নাগাদ খবর আসা শুরু হল... কিছু একটা হয়েছে গোধরায়... কয়েকজন মারা গিয়েছে। সংখ্যাটা বাড়তেও পারে... ট্রেনে কিছু... এখনও শিওর হওয়া যাচ্ছে না। সেদিন আবার বিধানসভায় বাজেট পেশ। খবর নিতে বলে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিন্তা একটা রয়েই গেল। তার আগের বছর, মানে ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন কেশুভাই প্যাটেলের থেকে... আর বিধায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এই পরশু দিন... ২৫ ফেব্রুয়ারি। ঝড়ের বেগে খবর আসতে শুরু করল বিধানসভায় পৌঁছনোর পর। সবরমতী এক্সপ্রেস... করসেবক... গণহত্যা... আগুন... মহিলা... শিশু। তখনই বুঝেছিলেন দিনটা বড্ড দীর্ঘ হতে চলেছে। কিন্তু ওই একটা ২৭ ফেব্রুয়ারির অভিশাপ কবলিত দিন যে মাস, বছর, দশক পেরিয়েও নিষ্কৃতি দেবে না, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। হিংসার মেঘের আড়াল থেকে যখন একটু আলো দেখা গেল, ততক্ষণে এক হাজারের উপর মানুষ ধর্মের নামে উস্কানির শিকার হয়ে গিয়েছেন। সবরমতী কাণ্ডের পরই চেষ্টা করেছিলেন, পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়। প্রতিবেশী রাজ্যগুলির থেকে পুলিসি সাহায্য পাননি... কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে সেনার জন্যে দরবার করেও লাভ হয়নি। বলা হয়েছিল, সংসদ হামলার পর সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রবল টানাপোড়েন চলছে... ওখান থেকে সেনা সরানো যাবে না। দূরদর্শনের পর্দায় হাতজোড় করে আবেদন রেখেছিলেন... সরকারকে সাহায্য করুন, অশান্তি ছড়াবেন না... কাজ হয়নি। রাজ্যের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে... দায়টাও তো নিতে হবে! তাই ওই ঘটনার পর থেকে নরেন্দ্র মোদি খুনি, মওত কা সওদাগর, হিন্দুত্বের নামে দাঙ্গা ছড়ানোর কারিগর। ১২ বছর পর যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার, তখনও পিছু ছাড়েনি গোধরার ভূত। কেউ তখন বলেনি, গুজরাতে গত এক দশকে তো কোনও দাঙ্গা হয়নি! উন্নয়নের রূপকার বা ভালো প্রশাসক নয়, প্রচার হয়েছিল তাঁর হিন্দু মেরুকরণ নিয়ে। মানুষ কিন্তু অন্য কিছু ভেবেছিল। তাই তিন দশক পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি... নরেন্দ্র মোদি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, এভাবেও ফিরে আসা যায়। পাঁচ বছর পরও প্রমাণ করলেন তিনি... আরও একবার।
আসলে আমরা যারা নিজেদের দারুণ পণ্ডিত বলে মনে করি, তারা একটা ঘটনা বা একজন ব্যক্তির সামনেটা শুধু দেখি। তাকেই বাস্তব ভেবে সেটাকে কাটাছেঁড়া করে নিজের মনের মতো একটা চেহারা খাড়া করে ফেলি। না দেখা বা না বোঝা অনেক কিছুই আড়ালে থেকে যায়। মোদির ক্ষেত্রেও কিন্তু বারবার এমনটাই হয়েছে। আর তাই বিরোধী বা মিডিয়ার প্রচার যে সুরেই বাঁধা থাক না কেন, জনমত পাশে থেকেছে নরেন্দ্র মোদির। এই লোকসভা নির্বাচনেও। এবার প্রশ্ন হল, নানাবিধ মিসাইল মার্কা বিরোধী আক্রমণ সত্ত্বেও অধিকাংশ ভোটার নরেন্দ্র মোদির উপরই কেন আস্থা রাখলেন?
প্রথমে দেখা যাক, বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি কেন এত ভোট পেলেন। এই লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এমন মেরুকরণের ভোট স্বাধীনতার পর ভারত আর দেখেনি। ধর্মীয় মেরুকরণ, সামাজিক মেরুকরণ, ব্যক্তি মেরুকরণ... এবং মোদি তথা বিজেপি তাতে অবিশ্বাস্যভাবে সফল। গত এক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি যে ভয়ানক কৌশলে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে, তা সমাজের সব স্তরে প্রভাব ফেলেছে। সঙ্গে রয়েছে বেনিফিশিয়ারি ভোট। উত্তরপ্রদেশ বা বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের যে মহিলাকে এতদিন রাত থাকতে ঘুমচোখে মাঠেঘাটে ছুটতে হতো... তাঁকে আর প্রাণ এবং সম্মান হাতে নিয়ে বেরতে হয় না। ‘টয়লেট’-এর জন্য মোদি সরকার যে কী আশীর্বাদ কুড়িয়েছে, তা শহরের মানুষের ধারণার বাইরে। কাঠ পুড়িয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে যাঁরা এতদিন রান্না করে এসেছেন, তাঁদের ঘরে পৌঁছেছে উজালা প্রকল্পের রান্নার গ্যাস।
এছাড়া রয়েছে তিন তালাক ইস্যু। বলা হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশে এবার বিজেপি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে। মহাজোটের জয় হবে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিশাল ফ্যাক্টর হয়ে বিজেপির ভোট কেটে নেবেন। সোনিয়া গান্ধী নিজে শুধু রায়বেরিলি কেন্দ্রে টিমটিম করে জ্বলছেন। আর সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি মিলেজুলেও ২০ ছুঁতে পারল না। মাঝখান থেকে এই মহাজোটের ভোট কেটে নিয়ে প্রিয়াঙ্কা আসনের ডালি তুলে দিলেন মোদির হাতে। সব হিসেব উল্টে দিয়ে একাই ৬০ পেরিয়ে গেল বিজেপি। এবং দেখার মতো বিষয় হল, যে রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি লেজেগোবরে হয়েছিল, সেই তিন রাজ্যই এবার জয়টীকা পরিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। অর্থাৎ, গোটা দেশ মোদির বিরোধিতায় যা যা প্রচার চালিয়েছিল, তার সবগুলোই ফ্লপ। মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছে মোদির। বিশেষ করে ৪৫ কোটি তরুণ প্রজন্ম।
১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি ভোটাররা এখনও মনে করে, নরেন্দ্র মোদির হাতেই দেশ নিরাপদ। পাকিস্তান একটা মারলে মোদি ওদের ঘরে ঢুকে পাল্টা মেরে আসবে। একটা জঙ্গি হানা পাকিস্তানি জঙ্গিরা করলে, মোদি সরকার সার্জিকাল স্ট্রাইক করবে। আবার বালাকোট হবে। এটা ঠিক, পাঁচ বছর আগে কিন্তু বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, প্রতি বছর ২ কোটি কর্মসংস্থানের। মোদি আরও বলেছিলেন, বিদেশ থেকে সব কালো টাকা এনে সাধারণ মানুষের প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ভরে দেবেন। এর কোনওটাই পূরণ হয়নি। তা সত্ত্বেও তরুণ ভোটাররা ঢেলে সমর্থন দিয়েছেন মোদিকে। কারণ এই প্রজন্ম বিলক্ষণ জানে, বিরোধী যে দলগুলি মোদির বিরুদ্ধে লড়ছে, তারা কেউ দেশে একটা স্থিতিশীল সরকার দেওয়ার মতো জায়গায় নেই। তাই জনমত একজনের পক্ষেই যেতে পারে, নরেন্দ্র মোদি।
এবার বিরোধীরা কেন হালে পানি পেল না, তার সম্ভাব্য কারণ। সবার আগে রাহুল গান্ধী। রাফাল দুর্নীতি নিয়ে দিনের পর দিন নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে গিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। ভোটের এই পরীক্ষায় প্রথম দিকে সাধারণ মানুষের থেকে কিছুটা নম্বরও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে, ততই পিছনের সারিতে চলে গিয়েছেন রাহুল। মানুষ ভেবে নিয়েছে, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মেটেরিয়াল নন। বরং মোদি বিরোধিতায় গোটা দেশে তখন দেখা গিয়েছিল একটাই মুখ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ৪২টি আসন সম্বল করেও প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করে মোদিকে হটিয়ে দেবেন। তিনি বুঝেছিলেন, মোদিকে যদি হারাতে হয়, তাহলে হাতের পাঁচটা আঙুল আলাদা থাকলে কাজের কাজ কিছু হবে না। বরং প্রয়োজন মুষ্টিবদ্ধ হাতের। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী—এই ছিল তাঁর ফর্মুলা। কিন্তু ভোটের আগে তাঁর সেই উদ্যোগে বাকি আঞ্চলিক দলগুলি কার্যত জলই ঢেলে দিল। প্রাক-নির্বাচন জোট হল না। প্রত্যেকটি আঞ্চলিক দল নিজের নিজের এজেন্ডায় ব্যস্ত।
ইভিএমের বোতামে প্রথম চাপ পড়ার আগেই মায়াবতীর মতো নেত্রীরা লাফাতে শুরু করলেন, প্রধানমন্ত্রী হতে তাঁর আপত্তি নেই। একজন ভোটার কখনও এই প্রবণতাকে ভালোভাবে নেয়নি, নিতে পারে না। পরিস্থিতি অনুকূল হলে এমন দাবিদার যে আরও তৈরি হবে, সে নিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে চর্চা হয়েছে। তার উপর কংগ্রেসের নামে বহু আঞ্চলিক দলের অ্যালার্জি। এও একটা বড় কারণ। কংগ্রেস বা কোনও বড় জাতীয় দলের সঙ্গ ছাড়া যে মহাজোট সম্ভব হতে পারে, তা দেশের ভোটাররা এখনও বিশ্বাস করে না। এই এতগুলো সমীকরণ ইউপিএ এবং প্রস্তাবিত মহাজোটের বিপক্ষে গিয়েছে। দিনের শেষে লাভ হয়েছে শুধুই মোদির। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির এমন উত্থান। প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট দখল করে এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল গেরুয়া শিবির। সেই অর্থে কোনও মুখ না থাকা সত্ত্বেও। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে মাত্র দু’টি আসনকে ১৮টিতে নিয়ে যাওয়া কম কথা নয়! এর নেপথ্য কারণ নিয়ে এখন প্রচুর কাটাছেঁড়া চলবে। বিশ্লেষণও হবে। কিন্তু দু’বছর পর বাংলার বিধানসভা নির্বাচন যে তৃণমূলের কাছে খুব সহজ হবে না, তা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
এবং সর্বোপরি বৃহস্পতিবার প্রমাণ হয়ে গেল, এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদিই দেশের যোগ্যতম প্রধানমন্ত্রী। এক্সিট পোলের অনুমান অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে তিনিই ফিরছেন... আবার। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। অন্তরায় তো অনেক কিছুই ছিল... নোট বাতিল, জিএসটি, ধর্মের মেরুকরণ...। তা সত্ত্বেও মানুষের রায় গেল মোদিরই পক্ষে। ফল ঘোষণার দিন দুয়েক আগে এক দোকানদার বলছিলেন, ‘মোদি আবার এলে কিন্তু ভালো হবে না দাদা... র‌্যাঁদা দিয়ে যেভাবে কাঠের টুকরো অল্প অল্প করে চেঁছে তোলে, ঠিক সেই অবস্থা হবে দেশের।’ এটাও একটা মত। কিন্তু গোটা দেশের নয়। আর একটি ঘটনা... লাঠি হাতে হেঁটে যাওয়া ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের প্রায় গা ঘেঁষে এগিয়ে গেল একটি রিকশ। বৃদ্ধ মানুষটি ভয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন।
তারপর লাঠি উঁচিয়ে বললেন, ‘২৩ তারিখ মোদি আসছে... তারপর তোদের দেখে নেব।’ এ তাহলে কোন মেরুকরণ? সামাজিক, ধর্মীয়, নাকি ব্যক্তি? হয়তো কোনওটাই নয়। নরেন্দ্র মোদি মানুষের মধ্যে একটা সাহস ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন। কোনও কিছুর ভয় বা স্বার্থের জন্য চুপ থাকার দিন শেষ। ছোবল না দিলেও ফোঁসটা করতেই হবে। আর একটা সমীকরণও আছে। যে পরিমাণ ভোট দেশজুড়ে বিজেপি এবারও পেয়েছে, তাতে আর বলা যাবে না ‘ওরা’ সাম্প্রদায়িক দল। প্রচুর মুসলিম ভোট এবার নির্ণায়ক শক্তি হয়ে মোদিকে দিল্লির কুর্সির দিকে আরও একবার ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু প্রভাবিত বেশ কিছু আসনও তার বড় প্রমাণ।
মওত কা সওদাগর, দাঙ্গাবাজ, মুসলিম বিরোধী... প্রচার যাই হোক না কেন, ভারত কিন্তু দেখিয়ে দিল, এসবের কোনও ভিত্তি নেই। তাই আবার মোদি সরকার... ভারতীয় জনতা পার্টি নয়, মোদি জনতা পার্টি। এমজেপি... এভাবেই ফিরে আসতে হয়। ‘অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?’ 
24th  May, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM