Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট গণনার সেকাল
একাল ও নতুন চ্যালেঞ্জ
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচনী রাজসূয় যজ্ঞের চূড়ান্ত পর্বে ভোট গণনা ও ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সমগ্র ভারতবাসী তথা বিশ্ববাসী। বিগত কয়েক মাস ধরে চলা রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাত, চাপানউতোর, দাবি, পাল্টা দাবির সত্যতা উঠে আসবে গণনার মধ্য দিয়ে। কে বা কারা জিতবে, কে বা কারা হারবে—সে বিষয়টি যেমন গণনার সঙ্গে যুক্ত আছে তেমনি ইভিএম-এর সঙ্গে ভিভিপ্যাট যুক্ত হওয়া এবং প্রতি বিধানসভা ক্ষেত্রে পাঁচটি করে নমুনা ভিভিপ্যাট গণনা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় গণনা প্রক্রিয়ায় এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ।
পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫১-১৯৫২ সালে। ওই নির্বাচনে মানুষ ব্যালট পেপারে সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচনে তাঁদের মতামত জানিয়েছিলেন। নির্বাচন পরিচালনার অনভিজ্ঞতার কারণে সেবার ভোট গণনা তিনদিন পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৯৯ সালের আগে পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমেই ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর ভোট গণনা ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে প্রথম নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়ে দ্রুত ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে একদিকে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে লাগল, অন্যদিকে ভোটদানের হার বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরাট সংখ্যক ব্যালট পেপার গণনা করে ফল প্রকাশ করা নির্বাচন কমিশনের কাছে আক্ষরিক অর্থেই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল।
১৯৫২-এর নির্বাচনে যেখানে মাত্র ১৭ কোটি ভোটার ছিলেন সেখানে এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৯০ কোটি। প্রথম নির্বাচনে যেখানে কেবল ৪৪.৮৭ শতাংশ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন সেখানে এবারে ভোটদানের হার গড়ে ৬৪ শতাংশের মতো। ৮০-র দশকের পর ভোটার সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যালট পেপার গণনাকে কেন্দ্র করে বিস্তর সমস্যা উঠে এসেছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল—
(ক) প্রার্থীর প্রতীকে সঠিক স্থানে ছাপ না পড়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক, (খ) ব্যালট পেপার নষ্ট করে দেওয়া বিশেষ করে ছিঁড়ে দেওয়া, জল দিয়ে নষ্ট করার মতো অভিযোগ, (গ) প্রার্থী পিছু যে ব্যালট পেপারের বান্ডিল গণনা কেন্দ্রে বাঁধা হতো, তাতে জালিয়াতি করার মতো অভিযোগ উঠত। পাশাপাশি একটি লোকসভা নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জানতে দু’দিন থেকে তিনদিন সময় পর্যন্ত লেগে যেত। এই দীর্ঘ গণনা প্রক্রিয়ায় ভোট কর্মীরা যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়তেন তেমনি ভোটপ্রার্থী ও তাঁর এজেন্টরাও এক সময় ক্লান্ত হয়ে বহু ক্ষেত্রেই গণনা থেকে উঠে আসতে বাধ্য হতেন, নতুবা প্রার্থীর এজেন্টদের ক্লান্তির সুযোগ নিয়ে ভোটের ফলকে প্রভাবিত করার ঘটনা বারবার লক্ষ করা গেছে। দু-তিনদিন ধরে ব্যালট পেপার গণনা পর্বে গণনা কেন্দ্রেই ব্যালট পেপার ছিনতাই থেকে শুরু করে ব্যালট পেপার নষ্ট করবার ঘটনা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মুখে শোনা যেত। গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তা বিধান করাও ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ গণনা পর্বে এগিয়ে থাকা প্রার্থীর প্রভাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকত, উঠত পরাজিত প্রার্থী এবং তাঁর এজেন্টদের উপর হামলা, ভয় দেখানোর মতো অভিযোগ।
১৯৫২-১৯৮৯ পর্যন্ত ব্যালট পেপার গণনা পর্বে মানুষ মূলত রেডিও সংবাদের মাধ্যমে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফল জানত। ১৯৭৭ সাল থেকে কলকাতা দূরদর্শন ঘণ্টায় ঘণ্টায় নির্বাচনী সংবাদ পরিবেশন শুরু করে। সেই সময় ইডেনের ক্রিকেট খেলায় যেভাবে কাঠের বোর্ড ব্যবহার করে স্কোর দর্শকদের জানানো হতো, তেমনি দূরদর্শনের বোর্ডের নম্বর পরিবর্তন করে বিভিন্ন দলের ফলাফল দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হতো।
টি এন সেশন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর একের পর এক নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন। সংস্কারের অঙ্গ হিসেবে তিনি ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ১৯৯৯ সালে ইভিএম মেশিন অন্তর্ভুক্ত করেন। ইভিএম মেশিন অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে চলে আসা ব্যালট পেপার গণনার ক্লান্তিকর কর্মযজ্ঞের পরিসমাপ্তি ঘটে। ভোট গণনায় শুরু হয় নতুন এক যুগের। এক একটি লোকসভা বা বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাগরিকদের জানানো সম্ভব হয় ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়। তবে সেই সঙ্গে বুথ ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার দরুন নতুন করে সমস্যাও উঠে আসে। কোন দল কোন বুথে হেরেছে বা জিতেছে তার উপর ভিত্তি করে নতুন করে তৈরি হয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা জাতিগত দ্বন্দ্ব। ১৯৮৯ সালের নির্বাচন থেকে সারা দেশে ভোটগণনাকে লাইভ টেলিভিশন সম্প্রসারণ করে দূরদর্শন। ওই পর্যায়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমেই ভোট হয়েছিল এবং ব্যালট পেপার মিশ্রিত করে গণনা প্রক্রিয়া চলে। ফলে গণনার সময় আরও বেড়ে গিয়েছিল। প্রায় তিন দিন ধরে দূরদর্শনের লাইভ সম্প্রসারণের মাঝে দর্শকদের মনোরঞ্জন-এর জন্য সিনেমা প্রদর্শন করা হয়েছিল। এ প্রজন্মের ভোটাররা অবগত না হলেও পঞ্চাশোর্ধ্ব সমস্ত ভোটারদের কাছে ১৯৮৯ সালের দীর্ঘ গণনাপর্বে দূরদর্শনে লাইভ সম্প্রসারণ এবং সিনেমা দেখার স্মৃতি অটুট হয়ে রয়েছে।
ইভিএম চলে আসার পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএম নিয়ে সন্তুষ্টই ছিল। এরপর থেকেই শুরু হয় ইভিএম মেশিনকে নিয়ে সন্দেহ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে ইভিএম মেশিনকে বিকৃত করে ভোটের ফল প্রভাবিত করার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। কোনও কোনও দল দাবি জানাতে শুরু করে ইভিএম-এ ভোট গ্রহণের পরিবর্তে পুরনো ব্যালট পেপার ফেরত আনতে। বিশেষ করে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর অধিকাংশ অ-বিজেপি দলগুলি দাবি তোলে ইভিএম-এর পরিবর্তে ব্যালট পেপার দিয়ে ভোট করানোর বিষয়ে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন পুরনো ব্যালট পেপারে ফিরে যেতে নারাজ। এই অবস্থায় সমাধান সূত্র হিসেবে ইভিএম-এর সঙ্গে ভিভিপ্যাট যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভিভিপ্যাট যুক্ত হওয়ায় ভোটার যাকে ভোট দিয়েছেন, সেখানে ভোট পড়েছে কি না ভোটার সরাসরি তা চাক্ষুষ করতে পারেন। ভিভিপ্যাটে যে পাত্র থাকে ভোটদানের পর প্রদত্ত ভোটের একটি ছোট্ট স্লিপ সেখানে জমা হয়। বিরোধীদের দাবি ছিল ভিভিপ্যাটের সমস্ত স্লিপ ইভিএমের পাশাপাশি গণনা করে দেখতে হবে। এই দাবিতে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট এবং পরবর্তী পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট লোকসভার অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভায় অন্তত পাঁচটি ভিভিপ্যাট নমুনা হিসাবে গণনা করে ভোটের ফলের সঙ্গে যাচাই করে দেখবার কথা বলেছিল। আর তার ফলেই তৈরি হয়েছে এবারের নির্বাচনে গণনাকে কেন্দ্র করে নতুন চ্যালেঞ্জ। ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনি ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনাকে কেন্দ্র করে উঠে আসতে পারে নানা বিতর্ক।
বিগত দুই দশক যেমন করে ভোটের ফল গণনার মধ্য বেলাতে আমরা পেয়ে অভ্যস্ত ছিলাম এবার কিন্তু সরকারিভাবে চূড়ান্ত ভোটের ফল জানতে কোথাও মধ্যরাত কোথাও বা পরের দিন চলে যাওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। সকাল ৮টায় গণনার শুরুতেই পোস্টাল ব্যালট দিয়ে গণনা শুরু হয়। পোস্টাল ব্যালট এর মধ্যে আবার সার্ভিস ব্যালট পেপারে যাঁরা ভোট দেন তাঁদের ব্যালটের বৈধতা বিচার করে গণনা করা সময়-সাধ্য কাজ। মূলত ভারতীয় সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত ভোটাররা সার্ভিস ব্যালট পেপারে ভোট দেন। ভোটার তালিকায় নাম সংশোধন পর্বেই কর্মরত ব্যক্তিকে জানিয়ে দিতে হয় তিনি সার্ভিস ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটদান করবেন। সেই অনুযায়ী তিনি যে এলাকায় কর্মরত সেই ইউনিট অফিসে অন লাইন-এ ব্যালট পেপার পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যা নিজস্ব পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে খুলতে হয়। কমিশনের পাঠানো QR Code খামে যুক্ত করে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচন আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়। সঙ্গে ডিক্লারেশন ফর্ম ১৩ (ক) পাঠানো বাধ্যতামূলক। গণনা পর্বে QR Code যাচাই করে ব্যালট পেপার বৈধ ঘোষণা করে গণনা করতে যথেষ্ট সময় লাগার কথা। পাশাপাশি ভোটে কর্মরত ভোট কর্মীদের ব্যালট পেপার গণনাও চলবে। এই পর্বের কাজ শুরু হবার পর ইভিএম গণনা পর্ব আরম্ভ হওয়ার কথা। লোকসভার অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভার জন্য ন্যূনতম ১৪টি টেবিলে গণনা হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ কোনও বিধানসভায় ২৮০টি বুথ থাকলে ২০ রাউন্ড-এ ইভিএম মেশিনের ভোট গণনা সম্পূর্ণ হওয়ার কথা।
এরপরেই শুরু হবে নির্বাচন কমিশনের নতুন চ্যালেঞ্জ ভিভিপ্যাটের গণনা। ভিভিপ্যাটের নমুনা চয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন ওই কেন্দ্রের নির্বাচন আধিকারিক। বিধানসভা পিছু পাঁচটি ভিভিপ্যাট এক সঙ্গে গণনা হবে না। একটির পর আরেকটি ভিভিপ্যাটের গণনার জন্য চূড়ান্ত ফল প্রকাশে এবার অতিরিক্ত সাত-আট ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহল। ভিভিপ্যাট গণনার জন্য আলাদা কাউন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। স্লিপগুলো যাতে স্পষ্ট করে দেখা যায় তার জন্য স্বচ্ছ ধারক রাখা হবে এবং ভিভিপ্যাট গণনার কাউন্টারটি বাইরে থেকে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা যাতে প্রত্যক্ষ করতে পারে সেই সুযোগও থাকছে। কিন্তু একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে, ইভিএমের কাউন্টিং শেষ হতেই জানা যাবে (অন্তত আন অফিসিয়ালি) কোন প্রার্থী জয়ী হলেন বা কোন প্রার্থী হারলেন। এই অবস্থাতে ইভিএম গণনার পর দীর্ঘ সময় ধরে ভিভিপ্যাটে স্লিপ গণনাতে কিছু কিছু বিষয়ের আশঙ্কা থেকেই যায়। যেমন—
(ক) ভিভিপ্যাটের স্লিপ এতই ছোট মুখে পুরে দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না,
(খ) ইভিএম-এ পরাজিত প্রার্থীর তরফ থেকে ভিভিপ্যাট গণনার সময় অতিরিক্ত বাধাদান-এর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিশেষ করে আমাদের মতো তীব্র রাজনৈতিক লড়াই-এর রাজ্যে তো নয়ই, (গ) সংশ্লিষ্ট বুথের ইভিএম-এ প্রাপ্ত ভোট এবং নমুনা ভিভিপ্যাটের প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে যদি সামান্যতম পার্থক্যও দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে গণনা প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। তবে ভিভিপ্যাটের গণনায় পাওয়া ফলাফল কেবলমাত্র ওই সংশ্লিষ্ট বুথের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে ধরা হবে। এবং ভিভিপ্যাটের গণনা থেকে পাওয়া তথ্যই চূড়ান্ত ফল বলে ওই সংশ্লিষ্ট বুথের ক্ষেত্রে গণ্য হবে। অর্থাৎ ভিভিপ্যাটের গণনায় অসঙ্গতি ধরা পড়লেও সমগ্র ফলাফলের উপর কিন্তু কোনও প্রভাব পড়বে না।
নির্বাচন কমিশনের কাছে ভিভিপ্যাট গণনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পরবর্তী পর্যায়ে বিরোধীদের দাবি মতো যদি পঞ্চাশ শতাংশ বুথে ভিভিপ্যাট গণনার দাবি মেনে নেওয়া হয়, তবে আমাদের পুরানো ব্যালট পেপার গণনার যুগেই ফিরে যেতে হবে।
 লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
16th  May, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবে ভেটো দিল আমেরিকা
রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্যালেস্তাইনকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিল আমেরিকা। গতকাল, ...বিশদ

03:55:00 PM

বিজেপিকে হারাতে বিকল্প তৃণমূল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:50:34 PM

পরিযায়ীদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:49:44 PM

আগে বিজেপির ভোট বন্ধ করুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:45:17 PM

৫৯৯ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

03:44:31 PM

বিজেপির এত বড় সাহস বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:44:20 PM