Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অর্থনীতি ‘ডেঞ্জার জোন’-এ প্রবেশ করেছে
পি চিদম্বরম

২০১৪-র নির্বাচনে পাল্লা দিতে নেমে নরেন্দ্র মোদি অর্থনীতি বিষয়ে একটি হঠকারী মন্তব্য করে বসেছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় আমি বলেছিলাম, ‘‘মোদিজির অর্থনৈতিক জ্ঞানটা একটি ডাক টিকিটের পিছনেই লিখে ফেলা যেতে পারে।’’ আমার মন্তব্যটি নির্দোষ ছিল, কিন্তু আমার বিশ্বাস, ওই মন্তব্যের কারণে মোদিজি আমাকে ক্ষমা করেননি! এটা কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, কিন্তু সময় বলে দিচ্ছে যে সেদিন আমি ঠিকই বলেছিলাম।
মোদি সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ অন্তে তার ত্রুটি-বিচ্যুতির ভিত্তিতে আমরা একটি লম্বা ‘চার্জশিট’ তৈরি করে ফেলতে পারি। আমার মতে, ওই তালিকার শীর্ষে থাকবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি। অব্যবস্থার কারণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: (১)ম্যাক্রো-ইকনমিক্স সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞতা এবং যেটা জানা নেই তা শিখে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অনীহা; (২) সরকারের পলিসি পরিবর্তনে ব্যবসা-বাণিজ্য, লগ্নিকারী এবং উপভোক্তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সেই বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর অক্ষমতা; এবং (৩) অর্থনীতিবিদদের প্রতি সরকারের অবজ্ঞা এবং আমলাদের উপর মাত্রাতিরিক্ত আস্থা।
একটি অন্যরকম খেলা
ভারতশাসন করা আর একটি রাজ্য সরকার পরিচালনা করা একেবারে অন্যরকম একটি ব্যাপার। একজন মুখ্যমন্ত্রীকে মুদ্রার বিনিময় হার, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি, মানিটারি পলিসি অথবা বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্কের পরিবর্তন (যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধ অথবা ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা) নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হতে হয় না। একজন মুখ্যমন্ত্রী দক্ষতার সঙ্গে তাঁর রাজ্যের অর্থনৈতিক দিকগুলি সামলে নিতে পারেন যদি রাজ্যের রাজস্ব আদায়টা ঠিকমতো হয়, খরচের উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ রাখেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অনুদান পেয়ে যান এবং ভালোমতন বেসরকারি লগ্নি আকর্ষণ করতে পারেন। মজবুত গণভিত্তি আছে এইরকম অনেক মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদীক্ষা না-থাকা সত্ত্বেও প্রশংসিত হয়েছেন, রাজ্যের অর্থনীতিটা চাঙ্গা রেখে দেওয়ার কারণে।
ভারতের অর্থনীতি সামলে দেওয়াটা হল একেবারে অন্যরকম একটি খেলা। সফল মুখ্যমন্ত্রীরাও অর্থমন্ত্রী পদে গিয়ে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা’ হয়েছেন। অন্যদিকে, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছাড়াই ড. মনমোহন সিং একজন অতুলনীয় অর্থমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন, কারণ তাঁর ছিল ম্যাক্রো-ইকনমিক্সে পণ্ডিত্য এবং প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে নিরন্তর হৃদ্য যোগাযোগ। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই যে উদারিকরণ অথবা যেসব আর্থিক সংস্কার সম্ভব হয়েছে এ-দেশে, ড. মনমোহন সিং ছাড়া এসব সম্ভব ছিল না।
ভুলের পর ভুল
অর্থনীতির মতো একটা বিরাট জিনিস সামলাবার ভারটা অনভিজ্ঞ এবং স্বৈরাচারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হলে তার ফল মিলতেও দেরি হয় না। ডিমনিটাইজেশন বা বিমুদ্রাকরণ হল এই ঘটনার একটি ‘ক্লাসিক’ উদাহরণ। সামান্য আন্ডার গ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারী কোনও অর্থনীতিবিদও একজন প্রধানমন্ত্রীকে দেশের চালু মুদ্রার ৮৬ শতাংশকেই ‘বেআইনি নোট’ ঘোষণা করে দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন না, তবু এটাই হয়েছে এই আমলে।
যেহেতু অরুণ জেটলি প্রকাশ্যে কোনোদিন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেননি, তাই সিদ্ধান্তগ্রহণের দায়ের পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর উপর বর্তায়। কৃতিত্বের সঙ্গেই এই ঘটনার দায়িত্ব মোদিজি স্বীকার করেছেন, কিন্তু তিনি মানেননি যে ডিমনিটাইজেশন অর্থনীতিকে বেলাইন করে দিয়েছে, ছোট ও মাঝারি (এমএসএমই) শিল্প ধ্বংস করেছে, চাকরি খেয়েছে এবং কৃষিক্ষেত্রের সঙ্কটটাকে তীব্রতর করেছে।
বিমুদ্রাকরণের অনুসরণে আরও অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক চরিত্রকে গুরুত্ব না-দিয়ে বাজেট রচনা করা হয়েছে; জিএসটি নির্ধারণ করা হয়েছে অত্যন্ত অদক্ষতার সঙ্গে এবং তারপর এটার রূপায়ণ ঘটেছে তড়িঘড়ি; অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) বিষয়টি আনাড়ির মতো সালটানো হয়েছে; রাজস্ব সংগ্রহের অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে সেটা পূরণ করার জন্য যা করা হয়েছে তা তো বেআইনি ব্যাপার এবং স্বৈরশক্তির প্রয়োগ মাত্র; এবং পরিকাঠামোগত অর্থনৈতিক সমস্যায় সমানে আমলাতান্ত্রিক জোড়াতাপ্পির সমাধান সন্ধান করা হয়েছে।
খারিজ রিপোর্ট কার্ড
অর্থমন্ত্রকের অধীন ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট পাঁচটি অর্থবর্ষ শেষে একটি রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করেছে। সহায়ক হিসেবে, ২০১৬-১৭ সালে যে বিমুদ্রাকরণ করা হল তার পরবর্তী বছরগুলির তথ্য ওই রিপোর্টে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হল। ওই রিপোর্টের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হেডলাইনগুলি নিম্নরূপ:
(এক) অর্থবর্ষ ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯-এর প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধি নেমে গিয়েছে ৮.২ শতাংশ থেকে ৭.২ শতাংশে, সেখান থেকে ৭.০ শতাংশে। তার মানে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৬.৫ শতাংশে।
(দুই) মোট আর্থিক ঘাটতি (গ্রস ফিনান্সিয়াল ডেফিসিট) ছিল জিডিপির ৩.৫, ৩.৫ এবং ৩.৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালের সংখ্যাটি ওইরকম হওয়ার কারণ হিসেবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে কর আদায়ের হার সংশোধিত হিসেবের (রিভাইজড এস্টিমেট) থেকে ১১ শতাংশ কম হয়েছিল।
(তিন) মূলধনী ব্যয় থমকে ছিল: ২০১৮-১৯ সালের জিডিপির ১.৭ শতাংশ, এটাই ছিল ২০১৫-১৬ সালে।
(চার) জিডিপি ডিফ্লেটর, যেটা কিনা ইনফ্লেশন বা মুদ্রাস্ফীতির দ্যোতক, সেটা ৩.১ শতাংশ থেকে ৪.২ শতাংশে চড়ে গিয়েছিল।
(পাঁচ) কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতির (সিএডি) পরিমাণটা জিডিপির .৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছিল ১.৯ শতাংশ, সেখান থেকে ২.৬ শতাংশ।
(ছয়) বেসরকারি উপভোগ ব্যয় এবং সরকারি উপভোগ ব্যয় দুটিই থমকে গিয়েছিল।
(সাত) স্থায়ী বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৮.২ শতাংশ থেকে ২৮.৯ শতাংশের মধ্যে থমকে ছিল—যেটা ২০১১-১২ অর্থবর্ষে অর্জিত ৩৪.৩ শতাংশের অনেক নীচে।
(আট) কৃষিক্ষেত্রে দুর্দশার ছবিটা প্রতিফলিত হয়েছে জিভিএ (গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড) বৃদ্ধির হারের স্পষ্ট হ্রাসের ভেতর—৬.৩ থেকে ৫.০, তার থেকে ২.৭ শতাংশ।
(নয়) শিল্পক্ষেত্রে জিভিএ বৃদ্ধি নিশ্চল; পরিষেবা ক্ষেত্রে জিভিএ বৃদ্ধির হার নিম্নগামী—৮.৪ থেকে ৮.১, তার থেকে ৭.৪ শতাংশ।
(দশ) ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পোর্টফোলিয়ো ইনভেস্টমেন্টের নিট ফ্লো ছিল নেতিবাচক।
বিজেপির দম্ভ ঘুচে গিয়েছে। অর্থনীতি নিয়ে আমাদের সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কাটাই ফলে গেল! উপরন্তু, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিসের (সিএসও—যেটাকে ইতিমধ্যেই অনেক অর্থনীতিবিদ সন্দেহের চোখে দেখছেন) পক্ষ থেকে যে বৃদ্ধির হার ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস (এনএসএসও) ইতিমধ্যেই গত ৪৫ বছরের ভিতরে সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের রিপোর্ট দিয়েছে। তারাই ফাঁস করে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের যে এমসিএ-২১ ডেটা বেস সিএসও ব্যবহার করেছে তাতে বিরাট গলদ ছিল। এটা প্রতিপন্ন হল যে এমসিএ-২১ ডেটা বেসের অন্তর্ভুক্ত ৩৬ শতাংশ কোম্পানি নিষ্ক্রিয় অথবা সেগুলির কোনও হদিশই নেই!
অনেক বছর ভারতীয় অর্থনীতি এতটা দুর্বল হয়নি। সুতরাং, মোদিজি অর্থনীতিকে এড়িয়েই আখ্যান ফাঁদার চেষ্টায় আছেন। পরবর্তী দফার ভোটাদের সামনে এটাই বড় সাবধানবাণী।
13th  May, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন চেন্নাই দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী তামিলিসাই সৌন্দারাজন

07:49:08 AM

রেকর্ড মাত্রায় ভোট দেওয়ার আর্জি প্রধানমন্ত্রীর
দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। আজ, ...বিশদ

07:47:05 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে নেতা কে পালানিস্বামী

07:44:55 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম

07:41:55 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

07:39:31 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। বৃষ: একাধিকসূত্রে প্রচুর অর্থাগমের ...বিশদ

07:36:35 AM