Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রিয়াঙ্কা কি পারবেন?
শুভা দত্ত

ভোটের বাজারে কিছুদিন ধরেই গুজব ছড়িয়েছিল, বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে প্রশ্ন করলে বলেছিলেন, ব্যাপারটা নিয়ে একটু সাসপেন্স থাকুক। সাসপেন্স সবসময় খারাপ নয়।
জল্পনার অবসান হল বৃহস্পতিবার। প্রিয়াঙ্কা দাঁড়াচ্ছেন না বারাণসীতে। শোনা যাচ্ছে, সোনিয়া গান্ধী নাকি চাননি, মেয়ে রাজনীতিতে এসেই প্রথমে মোদির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। প্রিয়াঙ্কার নিজের নাকি আপত্তি ছিল না।
মোদির বিরুদ্ধে ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন না ঠিকই, কিন্তু গৈরিক ব্রিগেডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি যে কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান সেনাপতি, তাতে সন্দেহ নেই। হাইকমান্ড নিশ্চয় বুঝেছিল, একা রাহুলকে দিয়ে চলবে না। তাই লোকসভা ভোটের ঠিক আগে প্রিয়াঙ্কাকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে এনেছে।
এর মধ্যে কংগ্রেস সমর্থকরা তাঁর মধ্যে প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীকে খুঁজে পাচ্ছেন। প্রিয়াঙ্কা নিজেও ঠাকুমার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলছেন, আমি ইন্দিরাজির আদর্শে চলব।
এবার ভোটে নরেন্দ্র মোদির হাতিয়ার হিন্দু জাতীয়তাবাদ। সন্ত্রাসদমন। এনআরসি করে অনুপ্রবেশকারী বিতাড়ন। তিনি অবশ্য উন্নয়ন নিয়ে বেশিকিছু বলছেন না। তবে তাঁর জনসভায় ভিড় হচ্ছে মন্দ নয়।
বিপরীতে প্রিয়াঙ্কাকে কেন্দ্র করেই কংগ্রেস এবার ঘুরে দাঁড়াতে চায়। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতারা স্মরণ করছেন, বিংশ শতাব্দীর ছয়ের দশকের শেষদিককার কথা। সেবার গুরুতর সঙ্কটে পড়েছিল তাঁদের দল। পরিত্রাতার ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছিলেন প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা।
সেইসময়টা ছিল খুব টালমাটাল। তার কয়েক বছর আগে অস্ত গিয়েছেন নেহরু। দেশে প্রবল অর্থনৈতিক সঙ্কট। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা থমকে দাঁড়িয়েছে। চাকরি-বাকরি নেই। যুবকরা খেপে উঠেছে। দলের প্রবীণ নেতারা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
এই অবস্থায় ইন্দিরা যে এসে দলকে ফের বাঁচিয়ে তুলবেন, তা অনেকেরই ভাবনার অতীত ছিল। কিন্তু নেহরু বুঝেছিলেন, তাঁর মেয়ের সেই ক্ষমতা আছে। তাঁর অবর্তমানে শক্ত হাতে কংগ্রেসের হাল ধরতে পারবে। মেয়েকে দলের সর্বোচ্চ পদটিতে বসানোর কাজটি তিনি করে গিয়েছিলেন সন্তর্পণে।
জরুরি অবস্থার অবসানের পর বরুণ সেনগুপ্ত একটি বই লেখেন—‘ইন্দিরা একাদশী’। তাতে আছে, কীভাবে মৃত্যুর আগে নেহরু কামরাজ পরিকল্পনার নামে একে একে ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন বয়োবৃদ্ধ নেতাদের। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল মেয়েকে নেতৃত্বের সামনের সারিতে নিয়ে আসা।
ইন্দিরার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী হওয়া অত সহজ হয়নি তা’বলে। নেহরুর পরে যিনি প্রধানমন্ত্রী হলেন, সেই লালবাহাদুর শাস্ত্রী ভালো চোখে দেখতেন না তাঁকে। ইন্দিরা একসময় নাকি হতাশ হয়ে ভেবেছিলেন, দেশ ছেড়ে চলেই যাবেন লন্ডনে।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরে শাস্ত্রীজি তাসখন্দে আচমকাই মারা গেলেন। তখন কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার মোরারজি দেশাই। তিনি খুব কঠোর প্রকৃতির মানুষ। কংগ্রেসের নেতারা অনেকে পছন্দ করতেন না তাঁকে। তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে ইন্দিরাকে মসনদে বসালেন।
অনেকেই ভাবতেন, ইন্দিরা শান্তশিষ্ট মুখচোরা মহিলা। কোনও ব্যাপারে জোরের সঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করতে পারেন না।
প্রবীণ কংগ্রেসিদের মধ্যে তাঁর একটা চালু নাম ছিল—‘গুংগি গুড়িয়া’। তার মানে বোবা পুতুল। অনেকে চেয়েছিলেন, ইন্দিরা সত্যিই প্রধানমন্ত্রী পদে কাঠপুতলির মতো বসে থাকুন, তাঁরা আড়াল থেকে দেশ চালাবেন।
ইতিহাস সাক্ষী, তাঁরা খুব ভুল ভেবেছিলেন।
ইন্দিরা যে দক্ষ রাজনীতিক হয়ে উঠবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। তিনি রাজনীতি করা পরিবারের সন্তান। তাঁর দুটি প্রজন্ম আগে নেহরু পরিবারের রাজনীতিতে প্রবেশ ঘটেছে। তাঁর ঠাকুর্দা ও বাবা, দু’জনেই জাতীয় রাজনীতিতে খুব নামকরা নেতা ছিলেন।
পরিবারের সুবাদে ছোটবেলা থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে ইন্দিরার পরিচয়। সেই আমলের আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যাঁরা ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, তাঁদেরও তিনি চিনতেন। শুধু রাজনীতিক নয়, বিশ্ববরেণ্য সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, চিত্রকর ও অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আলাপ ছিল। উঁচু মানের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তিনি বড় হয়েছেন। তাঁর চরিত্র ছিল সংবেদনশীল। দেশের দরিদ্র জনতা, বিশেষত তরুণরা কী চায়, তিনি ভালো বুঝতেন। ছয়ের দশকের শেষে যখন কংগ্রেসের মধ্যে নতুন ধ্যানধারণা আনা খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল, তখন তিনি হয়ে উঠেছিলেন অবিসংবাদী নেত্রী।
সেই আমলে বামপন্থীরা কথায় কথায় কংগ্রেসকে বড়লোকের দল বলে গাল দিত। কিন্তু ইন্দিরা যখন রাজন্যভাতা বিলোপ করলেন, ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ করলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিলেন, সিপিএমের মতো দলও তাঁর প্রশংসা না করে পারেনি।
একাত্তর সালে ইন্দিরার জনপ্রিয়তা উঠেছিল তুঙ্গে। ভোটেও তাঁর সামনে বিরোধীরা খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল।
কংগ্রেসিরা কেউ কেউ আশা করছেন, প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। আবার অনেকে ভাবছেন, অত দূর না হলেও প্রিয়াঙ্কার ক্যারিশমার জোরে অন্তত কেন্দ্রে জোট সরকার গড়ার মতো আসন পেতে পারে কংগ্রেস।
তাঁর উপর এত দূর আশা করা কি ঠিক হচ্ছে?
একথা সত্যি যে, প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ নন।
তিরিশ বছর আগে, ’৮৯ সালে তিনি প্রথম ভোটে প্রচার করেছিলেন বাবার হয়ে। সেবার রাজীব গান্ধীর কেন্দ্র ছিল আমেথি।
প্রিয়াঙ্কার জন্ম ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি। ’৮৯ সালে তিনি বছর সতেরোর কিশোরী। তখন থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি।
তারপর দীর্ঘ বিরতি। ’৯৯ সালে তিনি ফের প্রচারে রায়বেরিলিতে। লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী অরুণ নেহরু। তিনি একসময় রাজীব গান্ধীর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।
বিপরীতে কংগ্রেস প্রার্থী ক্যাপ্টেন সতীশ শর্মা। ২৭ বছরের তরুণী প্রিয়াঙ্কা সেবার খুব আক্রমণাত্মক। মানুষকে প্রশ্ন করছেন, কেয়া, আপ উস ব্যক্তি কো ভোট দেঙ্গে জিসনে মেরি পিতা কো পিঠ মে ছুরি ভুঁকি হ্যায়? আপনারা কি সেই ব্যক্তিকে ভোট দেবেন, যিনি আমার বাবার পিঠে ছুরি মেরেছেন?
সেবার সতীশ শর্মা জয়ী হন। তার মানে, প্রিয়াঙ্কার প্রচারে ফল হয়েছিল।
২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে সকলের আশা ছিল, রাজীব তনয়া নিজে প্রার্থী হবেন। কিন্তু তিনি হননি। সেবার সোনিয়া তাঁর আমেথি কেন্দ্র ছেড়ে সরে গেলেন রায়বেরিলিতে। আমেথিতে প্রার্থী হলেন রাহুল। সবাই বুঝল, তিনিই নেহরু-গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরসূরি, প্রিয়াঙ্কা নন।
আমেথিতে রাহুলের হয়ে প্রচারে দেখা গেল তাঁর বোনকে।
২০১৪ সালে আরও একবার উত্তরপ্রদেশে জোরালো দাবি উঠল, প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী হতে হবে। এলাহাবাদের কংগ্রেস কর্মীরা একটা ব্যানার তৈরি করেছিলেন, যাতে লেখা—‘‘মাইয়া অব রহতি বিমার, ভাইয়া পর পড় গয়ি ভার, প্রিয়াঙ্কা ফুলপুর সে বনো উম্মিদবার, পার্টি কা করো প্রচার, কংগ্রেস সরকার বানাও তিসরি বার।’’
এর অর্থ—মা সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ভাই রাহুলের উপর বেশি চাপ পড়ে যাচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা ফুলপুর থেকে প্রার্থী হোন। তৃতীয় বার কংগ্রেস সরকার বানান।
তিনি এই আবেদনেও সাড়া দেননি। কিন্তু ভোটের কৌশল রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। শোনা যায়, উত্তরপ্রদেশে তাঁর মত নিয়ে অন্তত ২০ জন প্রার্থী ঠিক হয়েছিল। দেশের অন্যান্য প্রান্তেও প্রার্থী ঠিক করার সময় তাঁর পছন্দ অপছন্দ গুরুত্ব পেয়েছিল।
২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের ভোট ছিল মোদি সরকারের অ্যাসিড টেস্ট। তার ক’মাস আগে নোটবন্দি হয়েছে। রাতারাতি ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট বাতিল। ব্যাঙ্কে বিরাট লাইন। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ।
অনেকে ভেবেছিলেন, ভোটে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। কংগ্রেস ভোটে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার জন্য প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য নিয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির যাতে জোট হয় সেজন্য অখিলেশ সিং যাদবের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। নভজ্যোৎ সিং সিধুসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে কংগ্রেসে নিয়ে আসার কৃতিত্বও নাকি তাঁর। ২০১৮ সালে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে যাতে রাহুলের অভিষেক হয় তাও নাকি তিনিই নিশ্চিত করেছিলেন।
অর্থাৎ দীর্ঘকাল ধরে তিনি নেপথ্যে থেকে কংগ্রেস সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। এতদিনে সামনে এলেন।
ইন্দিরা যখন কংগ্রেসের দায়িত্ব নেন তখন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন দক্ষিণপন্থীরা। সে-যুগে কংগ্রেসের মধ্যেই ছিল দক্ষিণপন্থী লবি। অন্যদিকে, ইন্দিরা ছিলেন বামঘেঁষা। গরিবদরদি ভাবমূর্তি ছিল তাঁর।
সেইসময়কার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির কিছু মিল আছে।
এখনও দক্ষিণপন্থীরা জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ। তাদের দল বিজেপি। অভিযোগ, তারা ধনীদের তোষণ করে। মোদি গত লোকসভা ভোটের আগে বলেছিলেন বটে যে ক্ষমতায় এলে কালো টাকার কারবারিদের শায়েস্তা করবেন। বাস্তবে কিছুই করেননি।
কংগ্রেস ইন্দিরার আমলের মতোই গরিবদরদি কর্মসূচির কথা বলছে। রাহুল গান্ধী বলেছেন, ক্ষমতায় এলে ‘ন্যায়’ প্রকল্প রূপায়ণ করবেন। দেশের সবচেয়ে গরিব পরিবারগুলি মাসে কমপক্ষে ১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবে।
কংগ্রেসের একটা বড় অভিযোগ, মোদির আমলে ভারতের সহনশীলতার ঐতিহ্য নষ্ট হয়েছে।
একথা ঠিক যে, গত কয়েক বছরে গোরক্ষার নামে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ খুন হয়েছেন। তার পিছনে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের মদত ছিল।
কংগ্রেসের আর একটা হাতিয়ার ‘রাফাল দুর্নীতি’। কয়েক মাস ধরে রাহুল গান্ধী টানা অভিযোগ করে আসছেন অত্যধিক দাম দিয়ে ফ্রান্স থেকে যুদ্ধবিমান কিনছে এনডিএ সরকার। বিমান কেনার চুক্তিতে বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন মোদির বন্ধু শিল্পপতি অনিল আম্বানি।
ধরে নেওয়া যায়, এবারও প্রিয়াঙ্কা লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের কৌশল রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। বিজেপিকে কোন কোন ইস্যু তুলে আক্রমণ করা হবে, সে-ব্যাপারে নিশ্চয় তার মতামত নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু কেবল ইস্যু তুললেই হল না, তা জনসাধারণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা চাই। ইন্দিরা ঩সেই কাজটি পেরেছিলেন। প্রিয়াঙ্কা কি পারবেন? শুধু কংগ্রেসিরা নন, বিজেপি-বিরোধী সব দলই চাইছে তিনি সফল হোন। কারণ, সর্বভারতীয় স্তরে মোদির মোকাবিলা করার মতো আর কোনও নেতা বা নেত্রী নেই।
26th  April, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কোচবিহারের ভেটাগুড়ির তৃণমূল ব্লক সভাপতি অনন্ত বর্মনকে মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি

08:54:02 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত

08:53:00 AM

কোচবিহারের ৬/১৯৭ নং বুথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুষ্কৃতীরা ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ

08:51:53 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমলনাথ

08:48:55 AM

ভোট দিলেন তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা লোকসভা ভোটের প্রার্থী কে আন্নামালাই

08:46:12 AM

কোচবিহারের মাথাভাঙায় ৬/২৭৪ বুথের এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

08:44:22 AM