Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা 

সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত। রাজনীতির আলোচনায় প্রিয়জনের সঙ্গেও মনোমালিন্য করতে দ্বিধা করে না কারা? মধ্যবিত্ত। সাহিত্য নয়, সিনেমা নয়, সঙ্গীত নয়, বিজ্ঞান নয়, যে কোনও আড্ডা, আলোচনার ভরকেন্দ্রে সবথেকে বেশি করে চলে আসে রাজনীতি কোন শ্রেণীর কাছে? মধ্যবিত্ত। অথচ লক্ষ করে দেখলে দেখা যাবে কৃষকের জন্য স্পষ্ট করে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস বলেছে ক্ষমতায় এলে বছরে ৭২ হাজার টাকা নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা করা হবে। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি বলেছে ৬ হাজার টাকা বছরে ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফার করা হবে দেশের সমস্ত কৃষককে। ক্ষুদ্র দোকানিদের জন্য বলা হয়েছে ৬০ বছরের পর পেনশনের ব্যবস্থা হবে। শ্রমিকদের পেনশন ছাড়াও বিমা এবং বিশেষ সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে। আয়ুষ্মান ভারত নামক স্বাস্থ্যপ্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা করে মেডিক্লেম পাবেন বিপিএল মানুষেরা। কংগ্রেস ঘোষণা করেছে ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টিকে এবার ১৫০ দিনে পরিণত করা হবে। বামপন্থীদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছে যে কোনও শ্রমের ন্যূনতম মজুরি এমন করা হবে যাতে মাসিক রোজগার অন্ততপক্ষে ১৮ হাজার টাকা হয়। শিল্পপতিদের জন্য লগ্নির সুবিধা ও কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড়ের অবাধ সুবিধা দেওয়া হবে।
এই যে এত প্রতিশ্রুতি তার প্রত্যেকটি কিন্তু খুব ফোকাসড। অর্থাৎ কোনও ধোঁয়াশা নেই। স্পষ্ট। কৃষকরা কত টাকা ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফার পাবেন সেই টাকার অঙ্ক স্পষ্ট। কত টাকা প্রিমিয়াম দিলে দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষের মেডিক্লেম পাওয়া যাবে সেটা স্পষ্ট। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ দিনের কাজ বেড়ে ১৫০ দিন হবে এই আশ্বাসটি স্পষ্ট যে ৫০ দিন আরও বেড়ে যাবে জব কার্ড পাওয়ার সুযোগ। কৃষক, ক্ষুদ্র দোকানি ও শ্রমিকদের বয়স ৬০ হলে পেনশন পাওয়া যাবে এটাও স্পষ্ট। কিন্তু মধ্যবিত্তদের জন্য অত্যন্ত স্পষ্ট করে কোনও দলের প্রতিশ্রুতি থাকে না। কিংবা কোনও সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনও মধ্যবিত্তের জন্য বিপুল উন্নয়ন প্যাকেজ কখনও করেছে বলে শোনা যায় না। গোটা দেশে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তা সে কৃষক হোক, শ্রমিক হোক, বিপিএল হোক হাজারো প্রকল্প আছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের। কিন্তু নিছক মধ্যবিত্তের জীবনযাপনের উন্নতি হবে এরকম প্রকল্প কি প্রত্যক্ষভাবে আছে? নেই। মধ্যবিত্তদের জন্য কী আছে? দেখা যায় এই শ্রেণীর জন্য শুধু ফিল গুড, শুনতে ভালো, বেশ আধুনিক চালাক চালাক শব্দ দিয়ে ঘেরা কথামালা থাকে। স্মার্ট সিটি, ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া। ‌ইউপিএ আমলে ছিল ভারতনির্মাণ। বাজেটে যখনই আয়কর নিয়ে ঘোষণা করা হয় দেখা যায় সেটি নানাবিধ শর্তের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ সরাসরি স্ল্যাব কমানো হয়। সরাসরি আয়করের শতাংশ কমানো হয় না। যা হয় সব ঘুরিয়ে। এবং প্রচুর হিসেব নিকেশ করে দেখা যায় বিশেষ কোনও লাভই হয়নি।
আজ যুবসমাজের কর্মসংস্থান একটি জ্বলন্ত ইস্যু। চাকরি চাই। কাজ চাই। কিন্তু কোনও দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে সরাসরি স্পষ্ট সোজা ঘোষণা নেই যে সরকারে এলে এই কাজ দেওয়ার জন্য কী করা হবে। যা বলা হয়েছে সেটাও স্রেফ ধোঁয়াশা আর গোল গোল কথা। এই সেক্টরে এত চাকরি হবে, এই দপ্তরে এতগুলি নিয়োগ হবে। নতুন কোনও এক ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এরকম কোনও নির্দিষ্ট ঘোষণা কিন্তু নেই। সোজা কথায় মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাসকে স্রেফ হাওয়া খাইয়ে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর। আর এই শ্রেণী সেটা বুঝুক না বুঝুক রাতদিন রাজনীতি, ভোট, দল নিয়েই মেতে আছে।
আজকের ভারতের শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত সাধারণত বেসরকারি পরিষেবার উপর নির্ভরশীল জীবনযাপনের ক্ষেত্রে। জ্বর হলে পাড়ার ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়। গলব্লাডারে স্টোন হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নার্সিংহোমে যেতে হয়। সরকারি হাসপাতালে যাওয়া হয় না তা নয়। তবে ডেট পাওয়া সমস্যা, বেড পাওয়া অনিশ্চিত, এসব থাকে বলে ওটা অ্যাভয়েড করে মধ্যবিত্ত আর উচ্চ মধ্যবিত্ত। একটু বড় অংশই ছেলেময়েদের পাঠায় বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়ামে। আর একটু বড় ক্লাস হলে আকাশ বা ফিটজির মতো টিউটোরিয়াল ইনস্টিটিটিউটে। প্রায় কোনও সরকারি প্রকল্পের আওতায় এই শ্রেণী আসে না। সরকারি বা স্পনসর্ড স্কুলে মিড ডে মিল ছাড়া। ফলে মোটের উপর দেখা যায় মিডল ও আপার মিডল ক্লাস সরকারের উপর তেমন একটা নির্ভরশীল নয়। নিজেদের প্রয়াসে চাকরি পেতে হয়। কাজ খুঁজতে হয়। সেটা সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক। যদি আমাদের প্রতিদিনের জীবনে পুরসভা, কাউন্সিলারকে লাগতে পারে। চেনাশোনা থাকলে ভালো। সামাজিকভাবে একটা আত্মগরিমার প্রকাশ দেখা যায় কাউন্সিলার বা বিধায়ক যদি আমাকে চেনে তাহলে। কিন্তু সিংহভাগ মানুষের তাও চেনাজানা থাকে না। অর্থাৎ মিডল ক্লাস ও আপার মিডল ক্লাস সরকারের থেকে বিশেষ যে কিছু পায় এমন নয় (এখানে ডি এ কিংবা অবসরের বয়স ৬২ এসব ধরা হচ্ছে না)। অথচ লক্ষ করা যায় এই শ্রেণীটিই সবথেকে বেশি পলিটিক্স নিয়ে কথা বলে। সবথেকে বেশি রাজনীতির ঝগড়া করে, তুলকালাম আক্রমণ করে একে অন্যকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপে গ্রুপে ঘুরে বেড়ায় পলিটিক্যাল বিষয়ে কমেন্ট করার জন্য। যে দলের হয়ে এঁরা চেনা আপনজনদের আক্রমণ কিংবা অপমান করতে এইসব ঝগড়ার সময় দ্বিধা করে না, সেইসব দলের কোনও নেতাই কিন্তু এঁদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। এমনকী দেখা করতে গেলেও যে দেখা করবেন এমনও নয়। অথচ মিডল ক্লাস ও আপার মিডল ক্লাস সবথেকে বেশি ভোকাল রাজনীতি নিয়ে। আমাদের চারপাশের সমাজে এই ক্লাসের মধ্যে দেখা যায় সবথেকে বেশি যে দুটি জিনিস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান আছে সে-দুটি হল পলিটিক্স আর মিডিয়া। মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাস এই দুটি বিষয়েই সবথেকে বেশি চর্চা করে। কারণ এই দুটি বিষয়ের জন্য কোনও অনুশীলনের দরকার হয় না। প্রতিদিনের জীবনে চোখের সামনেই ঘটছে। বই নিয়ে, সঙ্গীত নিয়ে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে, প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে হলে অনুশীলন করতে হবে। জানতে হবে। সেই প্রয়াস করার থেকে যে দুটি বিষয়ে যে কোনও সময় যে কোনও অভিমত দেওয়া সহজ, সেটার চর্চা অনেক কমফর্টেবল। তাই পলিটিক্স আর মিডিয়া প্রিয় বিষয় আলোচনার।
রাজনৈতিক দলগুলি মধ্যবিত্তদের মধ্যে সবথেকে বেশি আলোচিত। অথচ মধ্যবিত্তদের জন্য তাঁরা কিছু করে না কখনও। আমাদের জীবনযাপন ১০ বছর আগের তুলনায় যদি বদলে যায় তাহলে সেটা আমাদের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব কিংবা ব্যক্তিগত অসাফল্য অথবা দুর্ভাগ্য। সরকারের কোনও প্রকল্পের কারণে আমার জীবনযাত্রার মানই বদলে গিয়েছে এটা কিন্তু মিডল ও আপার মিডল ক্লাসের ক্ষেত্রে তেমনভাবে দেখা যাবে না। মিডল ক্লাসের সমস্যা হল তারা আর্থিক, শিক্ষা ও সামাজিকভাবে সবথেকে শক্তিশালী জাতি। কিন্তু অর্গানাইজড নয়। ধরুন নাসিক থেকে কৃষক পদযাত্রা হবে। সেখানে আমি যদি কৃষক হই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যোগ দিতে পারি জীবিকার তাগিদে। হয়ও সেরকম। দিল্লির রামলীলা ময়দানে শ্রমিকদের সমাবেশ হবে। সেখানে দেখা যায় প্রায় সব রাজনৈতিক দলের শ্রমিক ইউনিয়ন একজোট। আমি ইউনিয়নের কেউ না হলেও নিছক একজন শ্রমিক হিসেবে নিজের স্বার্থেও সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাই। কিন্তু মিডল আর আপার মিডল ক্লাসের কোনও সম্মিলিত দাবিই নেই। তাদের কোনও সমন্বয়ও নেই। তারা শুধু নিজেদের মধ্যেই লড়াই করে নীতি,আদর্শ, রাজনৈতিক অবস্থান, নেতানেত্রীর প্রতি ভক্তি নিয়ে। কিন্তু স্রেফ মধ্যবিত্ত আর উচ্চ মধ্যবিত্তের স্বার্থ রক্ষা করতে কখনও এই ক্লাসকে একজোট হতে দেখা যায় না। এটা মিডল ক্লাসের দুর্বলতা। আর রাজনৈতিক দলগুলির শক্তি। রাজনৈতিক দলগুলি মিডল আর আপার মিডল ক্লাসকে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ইউজ করে। কিন্তু তাদের জন্য কোনও প্রকল্প ঘোষণা করে না, প্ল্যান নেই, নির্দিষ্ট ঘোষণাও নেই। অথচ এরাই রাজনীতির ডিসকার্সে সবথেকে সরব।
২০১৯ সালে শহুরে মধ্যবিত্ত অর্থাৎ আরবান মিডল ক্লাস কীভাবে ভোট দেবে সেটা অনেকটাই কিন্তু স্থির করে দেবে নরেন্দ্র মেদি ও রাহুল গান্ধীর ভবিষ্যৎ। ২০১৪ সালে আরবান মিডল ক্লাসের ভোটের বিপুল অংশ নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই দেখা গিয়েছে আরবান মিডল ক্লাসের সামান্য মোহভঙ্গ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির প্রতি। গুজরাতের ৪২টি শহুরে বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩৬টি। যেটা আগে ছিল ৩৮। আবার তার থেকেও উদ্বেগ হল গ্রামীণ আসনগুলির মধ্যে বিজেপির দখলে থাকা ১৪টি আসন কংগ্রেস দখল করে নিয়েছিল। গ্রামের ক্ষোভের পাশাপাশি যদি শহুরে মধ্যবিত্তও ক্রুদ্ধ হয় তাহলে বিজেপির আসন অনেকটা ধাক্কা খাবে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া তিনটি রাজ্যের ভোটে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়েও দেখা যাচ্ছে ৮০টি শহুরে আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র ৪৬ শতাংশ দখল করতে পেরেছে। যেটা ২০১৩ সালে ছিল ৮০ শতাংশ। তাহলে কি মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত ভোটে সামান্য সুইং আসতে চলেছে ২০১৯ সালে?
পশ্চিমবঙ্গে এই প্রবণতা আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। কারণ সিপিএমের আরবান মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাস ভোটের সিংহভাগ বিজেপি দখল করে নিচ্ছে। কারণ একদা সিপিএম সমর্থকদের কাছে ধীরে ধীরে রাজনীতিটা হয়ে গিয়েছে অ্যান্টি মমতা বনাম প্রো মমতা। তারা মমতার উপর এতটাই ক্ষিপ্ত যে মমতাকে হারতে দেখাই একটি আত্মতৃপ্তি। সেটা চাক্ষুষ করার জন্য এই ‘মনে সিপিএম ভোটে বিজেপি’ শ্রেণীটি মমতা বিরোধী ভোট দিচ্ছে। আরবান মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাসের একটি সমস্যা আছে। সেটি হল তাঁরা সাধারণত প্রতিদিন সেইসব মানুষের সঙ্গেই আলোচনা করেন, বা রাজনীতির ইনফরমেশনের আদানপ্রদান করেন যাঁরা সিংহভাগই তাঁদেরই সমাজ ও শ্রেণীভুক্ত। কালেভদ্রে হয়তো সাব অলটার্ন কিংবা কৃষক অথবা গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে দেখা হলে মিডল ও আপার মিডল ক্লাসের আমরা প্রশ্ন করি, কী বুঝছেন? কী হবে এবার? কারা জিতবে? কিন্তু মোটের উপর সারাদিন, সারা মাস, সারা সপ্তাহ আমরা সচরাচর নিজেদের সমাজের সঙ্গেই বেশি কথা বলি। তাই ক্রমেই ওই চেনা সমাজের কথাগুলিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাদের সঙ্গেই তর্ক করি। তাদের কথার বিরোধিতা করি। তাদের কথায় সমর্থন করি। কিন্তু এই যে নিরন্তর সরব আলোচনা, এসবের আড়ালে একটা নীরবতার জগৎ থাকে। যাঁরা কিছু‌ই বলেন না। শোনেন। পাড়ার আড্ডাস্থল, ক্লাব, অফিসের টিফিন টাইম, স্কুলের স্টাফরুম, চায়ের দোকানের চিৎকৃত এইসব আলোচনার পাশ থেকে এই নীরব লোকেরা মাথা নিচু করে নির্লিপ্তভাবে চলে যান কলেজে, অফিসে বা বাড়িতে। অথবা গ্রামে ১০০ দিনের কাজ করেন, ভেঙে যাওয়া টালি সারাচ্ছেন, বিডিও অফিসে লাইন দিয়েছেন, স্বনিযুক্তির সামগ্রী নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন। এঁরা কী ভাবছেন? এঁরা কোথায় ভোট দেবেন? সরব অংশ প্রেডিকটেবল। তাঁদের মধ্যে রহস্য নেই। ভোটের সবথেকে ইন্টারেস্টিং চরিত্র আসলে এইসব শহর আর গ্রামের নীরব অংশ! যাঁরা এখনও কম কথা বলেন! তাঁদের ভোট কে পাবেন? হয়তো সেটাই স্থির করে দেবে কারা জিতবে!  
19th  April, 2019
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

02:51:45 PM

এই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে আর দেশে নির্বাচন হবে না: মমতা

02:49:42 PM

আদালতও কিনে নিয়েছে এরা: মমতা

02:49:12 PM

২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার প্রতিবাদে কোনও সরকারি কর্মচারী বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না: মমতা

02:48:14 PM

কেউ এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না,এটাই চ্যালেঞ্জ: অভিষেক

02:47:00 PM

অধীর আজ খাচ্ছে সাইবাড়ির রক্ত মাথা ভাত: অভিষেক

02:46:00 PM