Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সেই প্রশ্নগুলির জবাব মিলছে না কেন?
মোশারফ হোসেন 

দেশজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এই মুহূর্তে গনগনে আঁচ। রাজনীতির মাটি গরম। রাজনীতির বাতাস গরম। কারণ দেশে ভোট যে শুরু হয়ে গিয়েছে! ভোটগ্রহণ সব মিলিয়ে সম্পন্ন হবে সাত দফায়। প্রথম দফাটি হয়ে গেল গত ১১ তারিখে। ওইদিন সব মিলিয়ে ২০ টি রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৯১ টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। ভোটদাতাদের ‘বিবেচনা’ কয়েক লাখ ইভিএমে বন্দি হয়ে কড়া পাহারায় স্ট্রং রুমে বিশ্রাম নিচ্ছে। সেগুলি ফের বাইরের আলো দেখতে আরও প্রায় সওয়া এক মাস বাকি।
ওই ৯১টি কেন্দ্রে রাজনৈতিক উথালপাথাল আপাতত স্থগিত থাকলেও বাকি ভারতে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম। সেই ভারতে রয়েছে আরও প্রায় সাড়ে চারশো আসন। আগামী ছ’দফায় সেগুলিতে প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয় নাগরিকদের বিবেচনার প্রতিফলন ঘটার কথা। সেই কোটি কোটি নাগরিক তথা ভোটারদের বিবেচনা নিজেদের পক্ষে আনতে রাজনৈতিক দলগুলির ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। প্রতিটি দলেরই ছোট বড় মাঝারি নেতা নেত্রীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার নির্বাচনী প্রচার সভায় এলাকার পর এলাকা সরগরম। যত বড় দল, তত বেশি আসনে প্রার্থী। নেতানেত্রীর সংখ্যাও সেই অনুসারে। হরেক রকম আঞ্চলিক দল। দু-চারটে সর্বভারতীয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে নবীন পট্টনায়ক, চন্দ্রবাবু নাইডু থেকে অখিলেশ যাদব, মায়াবতী থেকে নীতীশ কুমার। ছুটে বেড়াচ্ছেন সবাই। চষে বেড়াচ্ছেন যাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব। তবে এদের সবাইকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন প্রধান দুই সর্বভারতীয় দলের দুই নেতা নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধী। এবারের ভোটে নরেন্দ্র মোদির সামনে বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। মমতাকে ঘায়েল করার তীব্র বাসনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি বার বার হানা দিচ্ছেন মমতার গড় বাংলায়। সর্বভারতীয় কংগ্রেস দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীও গত কয়েক বছরের মধ্যে নিজেকে অভাবনীয় এক উচ্চতায় তুলে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি গোটা ভারত জুড়ে লাগাতার সক্রিয়তায় মোদিজির স্বস্তি অনেকটাই কেড়ে নিয়েছেন। একদিকে মমতা অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর সুতীব্র আক্রমণ ঠেকাতে তূণের সমস্তরকমের তিরই প্রয়োগ করে চলেছেন নরেন্দ্র।
গত পাঁচ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে জনগণের দেওয়া করের টাকায় প্রায় একশোবার বিদেশ ভ্রমণ করা মোদি পরের পাঁচবছরের জন্য নিজের গদিটি অটুট রাখতে এখন দেশের কোণে কোণে ছুটছেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—দেশের প্রতিটি প্রান্তে মোদির এই ছুটে বেড়ানো দেখে বহু ভারতবাসীরই গত ২০১৪ সালের এই সময়টির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। দৃপ্ত চেহারা, আসাধারণ বাচনভঙ্গিমা, তুলনাহীন শরীরী ব্যঞ্জনা সেসময় ভারতবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। কোটি কোটি মানুষকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করেছিল গুজরাতনন্দনের একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি। ক্ষমতায় এলে তিনি বিদেশে পাচার হওয়া লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবেন। না, টাকা ফেরালেও তিনি তার একটি কপর্দকও নিজে নেবেন না। নেওয়ার কোনও বাসনাই তাঁর নেই। কারণ, তিনি তো দেশবাসীর সেবায় আত্মোৎসর্গীকৃত এক সন্ন্যাসীসম। তাঁর নিজের জন্য কোনও পয়সাকড়ির প্রয়োজন নেই। তাহলে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা তিনি কী করবেন? নিজের প্রশ্নের জবাব নিজেই দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, প্রতিটি ভারতবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা সমানভাবে ভরে দেবেন। তাতে কত করে পাবেন প্রতিটি ভারতবাসী? মাথাপিছু পনেরো লক্ষ টাকা। শুনে চোখ ছানাবড়া হয়ে উঠেছিল দিন আনা দিন খাওয়া বিপুল সংখ্যক ভারতবাসীর। এত টাকা! এও কি সম্ভব? আবার মানুষটি যেভাবে বলছেন তাতে তাঁকে অবিশ্বাস করতেও মন সায় দেয় না। বরং বিশ্বাসের দিকেই পাল্লা ভারী হয়।
আর কী বললেন মোদি? তিনি ক্ষমতায় এলে বছরে দু’কোটি ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি ঘটবে কোটি কোটি শিক্ষিত অথচ একটি চাকরি জোগাড় করতে না পারার ব্যর্থতায় মরমে মরে থাকা অসংখ্য তরুণ প্রাণের। একবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অর্থ সাধারণ হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য সিংহাসন। অর্থাৎ মোট অন্তত দশ কোটি বেকারের চাকরি। লোকটা নাকি গুজরাতে গত বারো-তেরো বছরে এমন অবিশ্বাস্য উন্নয়ন ঘটিয়েছেন যে বেকার নামক শব্দটিই ওই রাজ্যের অভিধান থেকে ধাঁ হয়ে গিয়েছে। সেখানে ঘরে ঘরে সুখ। সুখের জোয়ার। সুখের বান। সুখ-স্বস্তির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে রাজ্যটা। একসময়ে ছিলেন দরিদ্র চা-ওয়ালা। তিনি এমন অসাধ্যসাধনই করেছেন। তাঁর সাফল্য তো আসলে বিপুল সংখ্যক গরিব ভারতবাসীরই সাফল্যের নামান্তর। সে ওই স্যুটবুট পরা বড়লোকদের নয়, আসলে আমজনতারই প্রকৃত প্রতিনিধি।
এত কথা বাকি ভারত জানল কী করে? ওমা তাও জানো না? টিভির পর্দায়, খবরের কাগজের পাতায় পাতায়, হোর্ডিংয়ে-পোস্টারে, নেতাদের বক্তৃতায়, ঘরোয়া জমায়েতে ও কথাই তো বলা হচ্ছে। সবাই যখন একই কথা বলছে, ব্যাপারটা নিশ্চয়ই সত্যি। মনমোহন সিং নামের মানুষটির গত দশ বছরের শাসনে প্রায় মরতে বসা দেশটায় নতুন করে প্রাণসঞ্চারের জাদু-জল তো মোদিজির হাতের কমণ্ডলুতেই রাখা রয়েছে। তা ব্যবহারের সুযোগ চাই। তাহলে ভারতবাসীর পবিত্র কর্তব্য কী? মোদি নামক নয়া দেবদূতকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে যা করণীয় তা করতেই হবে। হলও তাই। হ্যামলিনের সেই বাঁশিওয়ালার ডাকের মতো লাখো লাখো ভোটার ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। তাঁকে সিংহাসনের দিকে এগিয়ে দিলেন। দেশসেবার জন্য ‘সর্বস্বত্যাগী’ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তামাম ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তারপর? সম্ভবত মাথাপিছু পনেরো লাখ টাকার আশাতেই ব্যাঙ্কের দরজায় দরজায় লম্বা লম্বা লাইন পড়ল। সবাই ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট খুলতে চায়। জনধন অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্ট তো খোলা হল। কিন্তু টাকা ঢুকল কই? বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা কালো টাকা আসার কথা ছিল। তার দেখা তো মিললই না, উল্টে নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়াদের জাদুর জোরে হাজার হাজার কোটি সাদা টাকা দেশের বাইরে চলে গেল। দেশের টাকা মেরে ভাগনেওয়ালাদের কেউ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দাওয়ায় বসে তাঁর স্বকণ্ঠে ‘ভাই’ বলে আপ্যায়িত হয়েছেন, কেউবা বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানমঞ্চ আলো করে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। আবার, এক ভাগনেওয়ালা নাকি প্রধানমন্ত্রীর এক বিশ্বস্ত সেনাপতিকে আগাম জানিয়েই দেশ থেকে ধাঁ হয়েছেন বলে নিজেই দাবি করেছেন। কেন এমন হল?
দেখতে দেখতে পাঁচবছর কেটে গেল। সেই বছরে দু’কোটি চাকরির ব্যাপারটা কী হল? শুধু চাকরি! মেক ইন্ডিয়ার মাধ্যমে আরও বহু কোটি কর্মসংস্থানের স্বপ্ন? পাঁচ বছরে মোট দশ কোটি চাকরি! সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ হয়েছে তো? আর মেক ইন ইন্ডিয়া? ভারতবাসী সকাল থেকে রাত অবধি যে যে পণ্য ব্যবহার করে তার শতকরা আশিটিতেই তো মেড ইন চায়না ছাপ! এর জন্য কার ব্যর্থতা দায়ী?
তারপরও রয়ে যাচ্ছে আচমকা নোট বাতিল ও অপরিণত জিএসটি চালুর বিষয়দুটি। গত ২০১৬ সালের নভেম্বরের এক সন্ধ্যায় আচমকাই পাঁচশো ও এক হাজার টাকার চালু সমস্ত নোটকে বাতিল ঘোষণা করেছিলেন মোদিজি। তখন কী বলেছিলেন? বলেছিলেন, নোট বাতিলের ফলে কালো টাকার কবর হবে, আর কোমর ভেঙে যাবে জঙ্গিদের। এর সুবাদে নিত্যপণ্যের দাম কমবে, কোটি কোটি কর্মসংস্থান হবে। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সুখের দিশা মিলবে। দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ লেজ গুটিয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। দেশবাসী নিশ্চিন্তে দিন কাটাতে পারবেন।
ওই নোট-বাতিল পর্বের পর আড়াই বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কী ফল পেলেন ভারতবাসী? বাতিল হওয়া তথাকথিত বিপুল পরিমাণ কালো টাকার প্রায় সবটাই ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে। অর্থাৎ কালো টাকার দানবীয় যে উপস্থিতির গল্প ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তা নেহাতই রটনা ছিল। অথবা, মোদিজির ওই পদক্ষেপের সুযোগে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা কোনও অদৃশ্য জাদুর ছোঁয়ায় সাদা হয়ে গিয়েছে। এতে লাভবান হল কারা? অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ কী পেলেন? পেলেন বেশ কিছুদিনের জন্য সীমাহীন উদ্বেগ। নিজের কষ্টার্জিত টাকা ঠিকঠাক রাখতে দুর্ভোগের একশেষ হতে হল। এটিএমের সামনে লাইন দিতে গিয়ে কিছু মানুষের অকালমৃত্যু হল। শুধু তাই নয়, নোট বাতিলের জেরে লক্ষ লক্ষ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রাতারাতি কাজ খোয়ালেন। তাঁদের উপার্জন গেল, জীবিকা গেল। অনেকেই নড়বড়ে শিরদাঁড়া চুরমার হয়ে গেল। দিনের স্বস্তি, রাতের ঘুম উড়ে যাওয়া অনেক মানুষ চিরকালের মতো মুখ খুবড়ে পড়লেন। এর দায় কার?
আর জিএসটি? নেহরুকে পাল্লা দিয়ে নয়া ইতিহাস রচনার তীব্র বাসনায় মেদিজি মধ্যরাতে সংসদের অধিবেশন ডেকে যে অপরিণত জিএসটি চালু করলেন তার ফল কী হল জানেন তো? আপনি না জানলেও কোটি কোটি সাধারণ ভারতবাসী তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। এখনও পাচ্ছেন। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কোমর ভেঙে গিয়েছে। বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হয়েছে। যারা কোনও রকমে টিঁকে গিয়েছে তাদের হালও যথেষ্টই খারাপ। এর জেরে লক্ষ লক্ষ সাধারণ কর্মচারীকে মালিকরা দরজা দেখিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। বহু সকার ব্যক্তি নতুন করে বেকার হয়েছেন। তাঁদের পরিবার পরিজন অথৈ জলে পড়েছেন। পরিবারের ভরণপোষণ, সন্তানের শিক্ষা, ভবিষ্যৎ—সব কিছুই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন পরিণতির জন্যই কি ২০১৪ সালে বিপুল সমর্থন দিয়ে মোদিজিকে ক্ষমতায় আনার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ওই লক্ষ লক্ষ মানুষ? এটাই কি তাদের প্রত্যাশা ছিল? মোদিজির বহু প্রতিশ্রুত ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশের’ই বা কী হল? কোথায় গেল ‘আচ্ছে দিন’?
ফের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। নিজের পক্ষে ভোট জোগাড়ে আপাতত তাঁর পরিশ্রমের শেষ নেই। ফের হরেক রকম গল্প শোনাচ্ছেন। হরেক আবেগে সুড়সড়ি দিচ্ছেন। কিন্তু তার আগে আগের প্রশ্নগুলির জবাব দিন। নতুন ক্লাসে ভর্তি হতে চাইলে আগের ক্লাসের রিপোর্ট কার্ড দেখানোই দস্তুর। সেখানে পাশ করতে হয়। মোদিজির গত পাঁচ বছরের রিপোর্ট কার্ড কী বলে?  
16th  April, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপায় রোড শোর মাধ্যমে প্রচার সারলেন কংগ্রেস প্রার্থী ওয়াইএস শর্মিলা

12:45:14 PM

অসমে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে নদীর জলে ডুবল ইভিএম
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই নদীর জলে ডুবে নষ্ট হল ইভিএম ...বিশদ

12:19:14 PM

ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর ক্যাম্পে বিস্ফোরণ, মৃত ৩
ইরাকে ইরান সমর্থিত বাহিনীর সেনা ক্যাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। যাকে ঘিরে ...বিশদ

11:56:50 AM

কংগ্রেস ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতা তাজিন্দর সিং বিট্টু

11:42:36 AM

ফের অধীর চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান
ফের অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হল। ...বিশদ

11:26:47 AM

শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বজায় থাকবে ...বিশদ

11:18:53 AM