Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লোকসভা ২০১৯: বাংলার ভোটে
মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে?
শুভা দত্ত

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ভোটযুদ্ধ ২০১৯। আগামী লোকসভার দখল কে নেবেন, আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে দেশ-শাসনের ভার তার ফয়সালা হবে এই যুদ্ধের ময়দানে। গত বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়ে গেল সেই যুদ্ধ। আমাদের রাজ্যে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার—উত্তরবঙ্গের এই দুই রণাঙ্গনে টানটান উত্তেজনার মধ্যে যুযুধান পক্ষের নেতামন্ত্রী, সেনাসামন্ত, কেন্দ্রীয় প্যারামিলিটারি, রাজ্য পুলিস বাহিনী এবং অবশ্যই ভোট কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জমজমাট উদ্বোধন হল লোকসভা যুদ্ধের। এবং এই যুদ্ধে জয়-পরাজয়ের যাঁরা আসল বিচারক, ভোট মেশিনের বোতামে যাঁদের আঙুলের একটি হালকা চাপ ঠিক করে দেবে আমাদের দেশের আগামী পাঁচ বছরের হত্তাকত্তা-বিধাতাকে— সেই আমজনতা সার বেঁধে সকাল থেকে সন্ধে লাইনে দাঁড়িয়ে রইলেন সুশৃঙ্খলভাবে এবং প্রয়োগ করলেন তাঁদের নির্বাচনী ক্ষমতা। তাঁদের আনুকূল্যে ওই দুই রণাঙ্গনে ভোট পড়ল আশি শতাংশেরও বেশি। তার চেয়েও বড় কথা, ভোট পড়ল একেবারে যাকে বলে নির্বিঘ্নেই।
কিন্তু, আশঙ্কা যথেষ্টই ছিল। ওই দুই যুদ্ধের ময়দানে বহিরাগতদের দিয়ে বড় গোলমাল পাকানোর চেষ্টা হতে পারে বলে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট মহলে খবর ছিল বলেও শুনেছিলাম। কিন্তু, শেষঅব্দি কিছু যে ঘটেনি তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিসেরও বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য হতে পারে। তার কারণ, উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলো নিয়ন্ত্রণে বা ভিন রাজ্য থেকে দুষ্কৃতী ঢোকার রাস্তা বন্ধ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে রাজ্য পুলিসের ভূমিকা ও কৃতিত্ব কোনও অংশে কম ছিল না। অথচ, এই পুলিস বাহিনীকে নিয়ে ভোটের আগে কত কথা! পুলিস নাকি শাসকদলের হুকুম মেনে চলে, তাদের হয়ে কাজ করে! তা যদি হতো তাহলে কি এমন নির্বিঘ্ন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আমরা দেখতে পেতাম? আলিপুরদুয়ারে তো গোটা দিনে কোথাও একটা চড়া গলাও শোনা গেল না। কোচবিহারে যেটুকু টিভিতে দেখাল অত বড় লোকসভা ক্ষেত্রের নিরিখে সেটা কিছুই নয় বলা যায়! তবে, জেলাশাসকের অফিসে ধর্না নিয়ে একটি দলের প্রার্থীর দেহরক্ষী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান যে অতিসক্রিয়তা দেখালেন এবং রাজ্য পুলিসের সঙ্গে প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। বাহিনী, সে রাজ্যের হোক কী কেন্দ্রের— পারস্পরিক মর্যাদা রক্ষা করতে হবে না! রাজ্যে পুলিস তো অন্যায্য হস্তক্ষেপ করতে যায়নি। ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তো তাঁদেরও কিছু কম নয়। ভোটের সময় জেলাশাসকের অফিসের গুরুত্ব কে না বোঝেন? তো সেই অফিসে গোলমাল হলে তা থামাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁদের তো উদ্যোগ নিতেই হবে। সেখানে তাঁদের কাজে ভোট নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর কেউ কেউ বা প্রার্থীর দেহরক্ষী যদি প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়, তবে কি সেটা শোভন সঙ্গত হয়? আশা করা যায়, নির্বাচন কমিশন ব্যাপারটা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। এমন অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে ভোটযুদ্ধের আগামী দিনগুলোতে না ঘটে তার ব্যবস্থা করবেন। আসলে, সংঘর্ষের বড় ঘটনা না ঘটলেও যুযুধান পক্ষগুলোর মধ্যে, বিশেষত, তৃণমূল বিজেপি শিবিরের মধ্যে, একটা চড়া লড়াইয়ের মেজাজ আছেই। একটা সময় পর্যন্ত এ রাজ্যে প্রধান যুযুধান ছিল সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। রাজ্যে কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভূমিকা সেই আশির দশকের পর থেকে ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। মমতার তৃণমূলের উত্থানের পর সেই দুর্বলতা আরও প্রকট হয়েছে। পরবর্তীতে দেশে কংগ্রেসের সরকার হলেও রাজ্যে কংগ্রেসের স্বাস্থ্য ফেরেনি বরং রাজনৈতিক দিক থেকে জনমহলে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে গিয়েছে। ফলে, তৃণমূলের জন্মের পর থেকে ভোটযুদ্ধই হোক কি দৈনন্দিন রাজনৈতিক সংঘাত— মূল লড়াইটা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল একা মমতা বনাম তৎকালের শাসক সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামেদের। নানা সময়ে কংগ্রেস সহ আরও অনেকেই এই মমতা-বিরোধী শিবিরের দোসর হয়েছিল, সেটাও অনস্বীকার্য। এই পর্বতপ্রমাণ প্রতিকূলতা ঠেলেই মমতাকে এগতে হয়েছে দিনের পর দিন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অবিচল থাকতে হয়েছে তাঁর মা-মাটি-মানুষের সেবায়। শারীরিক লাঞ্ছনা থেকে প্রায় প্রাণঘাতী আঘাত সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। এবং তাঁর এই বিদ্রোহিণী জননেত্রী ভাবমূর্তিতেই মজেছে বাংলার মানুষ, আর তার জেরেই ২০১১ সালে অজেয় বলে কথিত সিপিএমের লালদুর্গ ধূলিসাৎ হয়েছে, মা-মাটি-মানুষের নেত্রী অভূতপূর্ব জনজোয়ার তুলে সিপিএম ও তার শরিকদের কেবল ক্ষমতাচ্যুতই করেননি, প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রচনা করেছেন এক নতুন ইতিহাস। অতঃপর সিপিএমের ছেড়ে যাওয়া মৃত্যুপথযাত্রী পশ্চিমবঙ্গের বুকে মাত্র কয়েক বছরের ঐকান্তিক চেষ্টায় নতুন প্রাণসঞ্চার করেছেন, উন্নয়নের বিপুল উদ্যোগে বাংলার পাহাড়-জঙ্গল থেকে সাগর সাজিয়ে দিয়েছেন অভাবনীয় রঙে, গরিব সাধারণের ঘরে ঘরে নানান সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন হাসি এবং বিশ্বের দরবার থেকে আদায় করে নিয়েছেন সম্মান স্বীকৃতি। কন্যাশ্রী সবুজসাথীর মতো সরকারি প্রকল্প আজ বিশ্ববন্দিত। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ আজ বিশ্ববাংলা।
এই বদলে যাওয়া বাংলায় আজ সিপিএম কোথায়! কংগ্রেসই বা কোথায়? দূরবিনে দেখতে হয়। কিন্তু, প্রকৃতির নিয়মে কোনও শূন্যস্থানই শূন্য থাকে না। বাংলার রাজনীতিতেও থাকেনি। সিপিএম কংগ্রেসের দুর্বলতা এবং জনসমর্থন হারানোর পথ ধরে শূন্যস্থান ভরাতে একটু একটু করে উঠে এসেছে বিজেপির গেরুয়া বাহিনী। আজ এই ২০১৯ সালের ভোটযুদ্ধের সময় সকলেই স্বীকার করবেন—এ রাজ্যের প্রধান যুযুধান মমতার তৃণমূল এবং বিজেপির পদ্মশিবির। বিজেপি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ শাসনের এক টার্ম শেষ করে পরের টার্ম দখলের জন্য ঝাঁপিয়েছে। ভোটপূর্ব জনসমীক্ষাগুলোর প্রায় প্রত্যেকটিতেই মোদিজির ক্ষমতায় ফিরে আসার আভাস মিলেছে। কিন্তু নানান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ও শেষ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলের চেহারা চরিত্র দেখে উত্তরপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশ দক্ষিণ ভারত এবং পশ্চিম ভারতের কিছু রাজ্যে এবার কতটা কী মিলবে তা নিয়ে মোদিজি শিবিরে কিছু চিন্তা জেগেছেই। সেই ঘাটতি মেটাতে এবার বাড়তি নজরে পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। ফলে, বাংলায় পদ্মবাহিনীর সঙ্গে এ রাজ্যে মমতার তৃণমূলের টক্করে যে বাড়তি তাপ ছড়াবে তাতে সন্দেহ কি? এবার রাজ্যে ভোটযুদ্ধের ময়দানে নিরাপত্তা জোরালো করতে আধা সেনার বহর বৃদ্ধি তার ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছে। তার সঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতাদের গরম গরম বক্তৃতা এবং এমনকী রাজ্যের সভাগুলোতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির মমতামুখী আক্রমণে অতিরিক্ত ধার সেই ইঙ্গিতকে যে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে তাতেই বা সন্দেহ কি?
কিন্তু, কথা হল—ভোটটা তো দেবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাঁদের সিংহভাগ যে এখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প হিসেবে কাউকে ভাবছেন না সেটাও তো ভোটপূর্ব সমীক্ষাগুলোতে উঠে এসেছে। এ রাজ্যে ভোটযুদ্ধের ফল তৃণমূলের পক্ষে ৪২-এ ৪২ হবে কি না জানা নেই, তবে হলেও আশ্চর্য হবেন কি কেউ? আমার এক বন্ধু বলছিলেন, মমতা ৪২-এ ৪২ ডাক দেওয়ার পরও কিন্তু ব্যাপারটা নিয়ে পথেঘাটে সাধারণের মধ্যে হালকা কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বরং, তাঁদের কথা শুনলে মনে হয়েছে এমন ফল হতেও পারে। ৪২-এ ৪২ না হোক ৪০ কি ৩৬ হলেও কি কম? রাজ্যে যে মাত্রায় উন্নয়ন হয়েছে, গ্রাম শহরের প্রান্তিক গরিব থেকে সাধারণ মধ্যবিত্ত যেভাবে সেই উন্নয়নের সুযোগ সুবিধা পেয়েছে তাতে মমতা ছাড়া অন্য কিছু তাঁরা কেন ভাববেন! তাছাড়া বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ ত্রিপুরা ইত্যাদি থেকে মাঝেমধ্যেই যেসব খবর এসেছে বা আসছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রতি ভক্তি বিশ্বাস আরও জোরদারই হচ্ছে। শান্তি সম্প্রীতির ক্ষেত্রেও তো পশ্চিমবঙ্গ গত সাত বছরে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখন প্রশ্ন হল, বাংলার আজকের পরিস্থিতিতে মানুষের মনে মুখ্যমন্ত্রী মমতার যে ভাবমূর্তি তাকে কেবল কথা দিয়ে আর অভিযোগ ব্যঙ্গবিদ্রুপের হুল ফুটিয়ে কিছুমাত্র বিচলিত করা কি সম্ভব?! বাংলার ভোটে বঙ্গজনতার এই মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে? এই প্রশ্ন যতদূর জানি রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলেও উঠেছে। এ রাজ্যের পদ্মশিবিরে মমতার সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে পারেন এমন নেতা বা নেত্রীর অভাবও যে আছে সেটাও কি অস্বীকার করতে পারছেন দলের শীর্ষস্তরের কর্তারা? কিন্তু তা বলে তো যুদ্ধের আগেই বসে পড়া যায় না। তাই যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বশক্তি দিয়েই লড়তে নেমেছে বিজেপি। আর সেই আক্রমণ ঠেকিয়ে একাধিপত্য বজায় রাখতে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রথম দফার লড়াই শেষ। দ্বিতীয় দফাও আসন্ন। প্রথম দফা নির্বিঘ্ন হওয়ায় মানুষ যে বুকে বাড়তি বল পেয়েছেন এবং ভোট ব্যাপারে তাঁদের উৎসাহও যে বেড়েছে তা সংশ্লিষ্ট মহলের প্রায় সকলেই স্বীকার করছেন। এখন দেখার শেষদফার লড়াই অব্দি এই শান্তি-আমন বজায় থাকে কি না, নানা প্ররোচনা রুখে ভোটশান্তি বজায় রেখে মমতার বিশ্ববাংলা সম্প্রীতির বাংলা দেশে নতুন নজির গড়তে পারে কি না—ভোটফলের পাশাপাশি তা নিয়েও কিন্তু বাংলার জনমহলে কৌতূহল বাড়ছে।
14th  April, 2019
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজ

01:10:02 PM

রানাঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিলে মতুয়াদের ভিড়

12:53:00 PM

ফরাক্কা ব্যারেজের উপর পণ্যবাহী লরিতে আগুন
ফরাক্কা ব্যারেজের ৪৮ নম্বর গেটের কাছে আজ হঠাৎই একটি পণ্যবাহী ...বিশদ

12:40:38 PM

আজ আউসগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী জনসভা, নেত্রীকে শুনতে হাজির বিপুল সংখ্যক মানুষ

12:30:00 PM

প্রয়াত চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক সাউ
প্রয়াত চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক ও চন্দননগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র অশোক ...বিশদ

12:27:00 PM

ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, ভোট আবহে অভিযোগ অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকের
তাঁকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন ভোটের ...বিশদ

11:49:57 AM