Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটে জিততে হাতিয়ার যখন বিজ্ঞাপন
মৃণালকান্তি দাস

‘পেটিএম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর এবার পরশ বিন্দিতেও।’ ট্যুইটারে এমনই কটাক্ষ করেছিলেন রায়গঞ্জের বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। গাঁয়ে-গঞ্জে মহিলাদের টিপের পাতাতেও মোদির ছবি ছাপিয়ে বিজেপির এমন অভিনব নির্বাচনী প্রচার এর আগে কোনওদিন দেখেনি এই বাংলার মানুষ। শুধু কী তাই! নমো ব্র্যান্ডের টিশার্ট, কাপ, নোটবুক সবেতেই মোদি। ট্রেনের টিকিটে মোদির ছবি থেকে বিমানের বোর্ডিং পাসেও মোদির ছবি— সব বিষয়েই বার বার নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি রেলের চায়ের কাপ নিয়েও বিতর্ক চরমে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি কাপের ছবি। কাঠগুদাম শতাব্দী এক্সপ্রেসে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ লেখা সেই কাপে চা পরিবেশন করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে রেল ও অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে নোটিস পাঠাতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। পরে অবশ্য রেলের তরফে সেই কাপ তুলে নেওয়া হয়। কন্ট্রাক্টরকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টিকে ‘অনিচ্ছাকৃত ও অসাবধানতাবশত একটা ভুল’ বলে স্বীকার করে নেওয়া হয় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। কেউ বলছেন, ভোট বাজারে বিজেপির প্রচারের অস্ত্র হয়ে উঠেছে ‘ব্র্যান্ড নমো’, ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’। জনসংযোগের অভিনব কৌশল তো বটেই।
আসলে ভোট বাজারের বিপণন কৌশল নরেন্দ্র মোদি নিজের হাতের তালুর মতো বোঝেন। এমনটা মনে করেন তাঁর প্রতিপক্ষরাও। ব্র্যান্ড মোদিকে কীভাবে প্রচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হয়, সেটা তাঁর নখদর্পণে। মোদিই মুখ, তিনিই ভরসা। নানা বিতর্কে বিদ্ধ বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের রণতরী সাজিয়েছে সেই নরেন্দ্র মোদিকেই কাণ্ডারী করে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হটকেকের মত বিকোচ্ছে মোদি নামাঙ্কিত হুডি, কফি মগ, শাড়িও। ভোট ঘোষণার আগেই একের পর বিজেপি সংসদ সদস্য যখন ‘নমো এগেইন’ লেখা হুডি পড়ে ভরিয়ে তুলেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল, তখন পাল্লা দিয়ে তাঁদের সেই পোস্টে কমেন্ট করছেন, রিট্যুইট করছেন স্বয়ং মোদি। উদ্দেশ্য অবশ্যই পরিষ্কার। নিজের ব্র্যান্ডের প্রচার। ‘নমো’ অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদি। এই নাম যেভাবে পারো, যত পারো, ছড়িয়ে দাও। পৌঁছে দাও বাড়ির শোয়ার ঘর পর্যন্ত। তা সে পুরনো দিনের মতো প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন-ব্যানারেই হোক বা আধুনিক প্রযুক্তি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুক-ট্যুইটারের মতো বিস্তীর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। সর্বত্র বিজেপির প্রচারের প্রধান ‘মুখ’ করে তোলো মোদিকেই। এই কৌশল দেশের যুব সম্প্রদায়কে আকর্ষিত করবে, যার প্রভাব পড়বে ভোট বাক্সে। এমনই আশা গেরুয়া শিবিরের।
ধরুন, ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’-এর প্রচারের গল্পটাই। ২০১৪-য় ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখে বার বার শোনা গিয়েছে দু’টি শব্দ। ‘চৌকিদার’ ও ‘প্রধান সেবক’। রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হতেই কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষ শুরু হয় ‘চৌকিদার’ শব্দটি নিয়ে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’ লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস সভাপতির ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানের পাল্টা জবাব দিতে নতুন স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’। সঙ্কটে তিনিই দেশের ‘পরিত্রাতা’ বোঝাতে ওই স্লোগান দিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ট্যুইটে। সেই ভিডিওতে রয়েছে একটি গান। আর সেই গানের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে কখনও দেখা যাচ্ছে কোনও জনসমাবেশে, কখনও বা কোনও যুদ্ধের ট্যাঙ্কের উপরে। নানা রকমের কর্মকাণ্ডে। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে দেখা যাচ্ছে, ‘আপনাদের পাহারা দেওয়ার জন্য দেশের সেবার জন্য এই চৌকিদার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গানের সুরে সুর মিলিয়ে আমজনতাও বলছে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার হুঁ’। ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে করা সেই ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, ‘আমি একা নই। যাঁরাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছেন, সমাজের কলুষ, ত্রুটিবিচ্যুতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁরা সকলেই চৌকিদার। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যাঁরা লড়াই করে চলেছেন, তাঁরাও চৌকিদার। আজ প্রতিটি ভারতীয় নাগরিক বলছেন, ম্যায় ভি চৌকিদার।’ ব্যস! রাতারাতি ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ হয়ে গেল এই লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার। বিজেপির সব নেতা-কর্মীর নামের আগে এখন একটাই বিশেষণ। ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’!
বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, চৌকিদার তো তারাই— যারা কোটি কোটি টাকার মালিক। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর তথ্য বলছে, গত লোকসভা ভোটে জয়ী ৫২১ জন সদস্যের হলফনামা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮৩ শতাংশ সাংসদই কোটিপতি! ৫২১ জনের মধ্যে কোটিপতি সাংসদ ৪৩০ জন। এঁদের মধ্যে বিজেপির সদস্য হলেন ২২৭, কংগ্রেসের ৩৭, তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে দলের ২৯ এবং বাকিরা অন্য দলের কিংবা নির্দল সদস্য। এই সদস্যদের মধ্যে ৩২ জন রয়েছেন যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকারও বেশি। লোকসভার মোট সদস্য ৫৪৩ জন। এডিআরের হিসেব অনুযায়ী সদস্যদের গড় সম্পত্তি দাঁড়াচ্ছে ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ওই ৫২১ সদস্যের মধ্যে মাত্র ২ জন রয়েছেন যাঁদের সম্পত্তির মূল্য ৫ লাখেরও কম।
বিজ্ঞাপন প্রচারের শুরুটা হয়েছিল অনেক আগেই। গত ২৪ ডিসেম্বর গুজরাতের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নমো পণ্য বিক্রির অনলাইন পোর্টাল চালু করে। যারা দাবি করেছে যে এসব পণ্য হচ্ছে নমো মন্ত্রের পণ্য। তাদের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র মোদি ইন্সপায়ার্ড প্রোডাক্টস আর দ্য ওয়ে টু সে হোয়াট ইউ স্ট্যান্ড ফর’। যার বাংলা দাঁড়ায় ‘আপনার মূল্যবোধকে তুলে ধরার উপায় হচ্ছে সেই সব পণ্য, যেগুলো তৈরি হয়েছে নরেন্দ্র মোদির চেতনায়’। মোদি কুর্তা, মোদি জ্যাকেট এবং মোদি টি-শার্টের পর এবার বাজারে নামানো হয়েছে মোদি শাড়িও। সাধারণ শাড়ির উপর ডিজিটাল প্রিন্টারের মাধ্যমে বসানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখাবয়ব। আর এই শাড়িই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা দেশে।
নমো-কে ‘বিকাশ পুরুষ’ বা প্রগতির পুরুষ হিসেবে তুলে ধরার প্রচারে মূলধারার প্রচারমাধ্যম বা দলীয় সমর্থকদের সভা-সমাবেশ ছাড়াও নতুন মাধ্যমগুলোর ভূমিকাও কম নয়। নির্বাচনী বৈতরণী পার করাতে শাসকদলের প্রধান হাতিয়ার মোদির বিজ্ঞাপনের জন্য বিজেপি হাতছাড়া করেনি বলিউডকেও। যদিও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। বিরোধীদের আপত্তির জেরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মুক্তি পায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মজীবনী নিয়ে সিনেমা ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি।’ তবে এরই মধ্যে একটি নতুন টিভি চ্যানেলের জন্ম হয়েছে। নয়া চ্যানেলটির নাম ‘নমো টিভি’। একটি চব্বিশ ঘণ্টার স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল। আর কেউ নয়, চ্যানেলের বিষয়বস্তু শুধুমাত্র সেই তিনিই। খোদ নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। যে চ্যানেলের সম্ভবত কোনও বৈধ অনুমতিপত্র নেই। এবং যাকে নিয়ে আচারবিধির বাধ্যবাধকতায় সামান্য কদিন জলঘোলা হল বটে, কিন্তু আটকানো যায়নি। নির্বাচন কমিশনের উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে— নমো টিভি কোনও সংবাদ চ্যানেল নয়, একটি বিজ্ঞাপনী প্ল্যাটফর্ম মাত্র। যা প্রচারের জন্য ডিটিএইচ পরিষেবা সংস্থাগুলির কোনও সরকারি ছাড়পত্র প্রয়োজন হয় না। গত ৩১ মার্চ থেকে ডিটিএইচ পরিষেবার গ্রাহকদের কাছে এই চ্যানেল লভ্য। ফেসবুকে নমো টিভির পেজে ফলোয়ার সংখ্যা ইতিমধ্যে পনেরো লাখ। যাকে বলে বিজ্ঞাপনের আধুনিকীকরণ!
কী দেখানো হচ্ছে নমো টিভিতে? প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০১৯-এর সবকটি নির্বাচনী প্রচারের সরাসরি সম্প্রচার। প্রতিটি জনসভা থেকে লাইভ। বিভিন্ন নির্বাচনী মঞ্চে মোদির গা-গরম করা পুরনো বক্তৃতা। গত লোকসভায় নানা সেশনে মোদিজির ভাষণ। এনডিএ সরকারের সাফল্যের নানা পরিসংখ্যান। মাঝে মাঝে যোগব্যায়াম, দু’একটি সিনেমা। মোদিময় এই চ্যানেলে মাঝে মাঝে অন্য নেতার মুখও যে ভেসে উঠছে না তা নয়, ঘুরেফিরে আসছে জিএসটি নিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ভাষণ, রাজনাথ সিং, অমিত শাহের রোড শো। সদ্য বাজারে আসা এই ‘নমো টিভি’, ‘নরেন্দ্র মোদি’ মোবাইল অ্যাপ, যা ইতিমধ্যেই প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড হয়ে গিয়েছে ১ কোটিরও বেশি হ্যান্ডসেটে। প্লে-স্টোরে থাকা অ্যাপের ভাঁড়ারে উঁকি দিলে গুনে শেষ করা যাবে না মোদির নাম ব্যবহার করে তৈরি করা অ্যাপের সংখ্যা। কোনওটিতে রয়েছে মোদির সঙ্গে সেলফি বা ছবি তোলার যান্ত্রিক কায়দা, কোনওটিতে মোদির জনপ্রিয় উক্তির সঙ্কলন, তো কোনওটিতে শুধুই বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরানোর ডাক। এই সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
ইন্টারনেট সমীক্ষক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্ডিয়ার সমীক্ষা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখের পর থেকে শুধুমাত্র গুগলকে বিজ্ঞাপন বাবদ রাজনৈতিক দলগুলি দিয়েছে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। যার এক তৃতীয়াংশই দিয়েছে বিজেপি। মোট ৫৫৪টি বিজ্ঞাপনে বিজেপি খরচ করেছে ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। গুগলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে গেরুয়া শিবিরের ধারে কাছে নেই কংগ্রেস-সহ অন্য জাতীয় দলগুলি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। তাঁরা খরচ করেছে মোট, ১ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। গুগলকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের নিরিখে কংগ্রেস রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। মাত্র ৫৪ হাজার ১০০ টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। এবছর অবশ্য বিজ্ঞাপন নিয়ে বেশ কড়াকড়ি করেছে গুগল। টাকা দিলেই বিজ্ঞাপন দেওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য প্রয়োজন পড়ছে নির্বাচন কমিশনের অনুমতির।
আসলে, নবীন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার সেরা মাধ্যম যে সোশ্যাল মিডিয়াই, তা অনেক আগেই টের পেয়েছিল বিজেপি। দলীয় অনুমোদনে ও ভোট-রাজনীতির স্বার্থে একজন নেতার ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ চরিত্রায়নে অন্যায় নেই ঠিকই। এও ঠিক, ভারতের মতো অর্ধপক্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতির দেশে, যেখানে ক্যারিশমার মোহ থেকে আজও বেরতে পারেননি দেশের ভোটাররা। আজও এ দেশের ভোটাররা আগমার্কা গণতন্ত্রের খোঁজ করেন না, এই দেশ একজন সার্জিকাল স্ট্রাইকার চায়। সেটাও জানে বিজেপি। অতএব, গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ল নয়া বিজ্ঞাপন। ‘‌মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’‌— মোদি থাকলে সবই সম্ভব।
লোকসভা ভোটের মুখে ৫০৯ শব্দের এক বিস্ফোরক ব্লগে বিজেপির উদ্দেশ্যেই বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি। যার শিরোনাম ছিল: দেশ আগে, দল তার পরে, ব্যক্তি সব শেষে। ‘ব্রাত্য’ আদবানিকে নিজের ঢঙেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে ভোলেননি মোদি। হয়তো তিনি ভালো করেই জানেন, ব্র্যান্ড মোদির অবিসংবাদী নির্মাণের পথে সব কাঁটাগুলি ইতিমধ্যে উপড়ে ফেলা গিয়েছে, এগুলি তাদের মধ্যে একটি-দু’টির শেষ মরণখোঁচা মাত্র। দলের মার্গদর্শন নিয়ে এসব আপ্তবাক্যে তাঁর আর প্রয়োজন নেই। কারণ, দেশ ও দল ব্র্যান্ড মোদিতে এসে মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে। তিনিই এখন এ দেশের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা!
২০১৪ নির্বাচনেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিল গেরুয়া শিবিরের প্রচারের মূল অস্ত্র। স্লোগান উঠেছিল, ঘর ঘর মোদি। এবারেও সেই একই পথে দিল্লি জয়ের প্রচেষ্টায় বিজেপি। আর আপাতদৃশ্যে মনে হচ্ছে, বিজেপির প্রচার-কুশীলবদের রি-ব্র্যান্ডিং অভিযানের তোড়ে বিরোধীদের রাজনৈতিক প্রশ্নগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। ভোটের ময়দানে এই বাংলার মাটিতে মোদিকে একমাত্র টক্কর দিচ্ছেন সেই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। কটাক্ষ করে বলেছেন,
দেশের প্রধানমন্ত্রী কাজের চেয়ে এখন বেশি নিজের বিজ্ঞাপন করেন।
12th  April, 2019
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান
মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান তৃণমূল নেতৃত্বের। উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী ...বিশদ

06:16:29 PM

নিজের মোবাইল থেকে একাধিক ছবি ও তথ্য ডিলিট করেছে রাজারাম, ফরেন্সিকে পাঠানো হল ফোন

06:11:00 PM

বক্তৃতা দিতে দিতে জ্ঞান হারালেন নীতিন গাদকারি
নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আচমকাই জ্ঞান হারালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ...বিশদ

04:41:33 PM

দেবাংশুর প্রচারে উত্তেজনা
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারের সময় ...বিশদ

04:28:51 PM

বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:08:00 PM

২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM