Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির উল্টো ফুটে এক আশ্চর্য বালক
হারাধন চৌধুরী 

এক হাতে একটি মৃত মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে দশ টাকার একটি নোট। একজন কাঁদো কাঁদো মুখ করে ছুটে যাচ্ছে। হাত দুটি, পা দুটি খুব ছোট তার। কারণ, মানুষটিও ছোট খুব। মাত্র ছ’বছরের ছেলে। গন্তব্য তার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কারণ সে যখন রাস্তায় সাইকেল চালাচ্ছিল তখন তারই সাইকেলের তলায় চাপা পড়ে মুরগি ছানাটি। সেটি তার পোষা নয়। কোনও পড়শির। রাস্তায় খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছিল। তখনই এই দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় ছেলেটি ভীষণ বিচলিত হয়ে পড়ে। হয়তো তার ভেতর অপরাধ বোধ জেগে উঠে থাকবে। ছেলেটি তখনও জানে না যে মুরগি ছানাটি মারা গিয়েছে। জীবিত ও মৃতের তফাতজ্ঞান তার হয়নি নিশ্চয়। সাইকেল চালানো ফেলে রেখে মুরগি ছানার দেহটি সে প্রথমে নিয়ে গিয়েছিল তার বাড়িতে—বাবা মায়ের কাছে—সেটিকে বাঁচাতে হবে দাবি নিয়ে। সে বলতে থাকে, মুরগি ছানাটিকে তাঁরা তখনই যেন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু ছেলেটির বাবা মা উল্টে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে প্রাণীটি মারা গিয়েছে, তাকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়। অতএব ছেলেটি আর বাবা মায়ের উপর ভরসা না-করে নিজেই ছুটে গিয়েছিল স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। হাতে করে নিয়ে গিয়েছিল নিজের জমানো দশ টাকার একটি নোটও। সেটি নার্সের হাতে দিয়ে—‘এখনই ওষুধ দিয়ে একে সারিয়ে তোলো’—গোছের কিছু বলেছিল! মৃতদেহটি নার্সের টেবিলে রেখে বাড়ি ফিরে সে নিয়ে গিয়েছিল একশো টাকারও একটি নোট। কিন্তু, নার্সের পক্ষে যে কোনোভাবেই ছেলেটিকে খুশি করা সম্ভব ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেটি বাড়ি ফিরেছিল মৃত মুরগি ছানা আর এক বুক হতাশা নিয়ে।
তবে, এই ঘটনা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্সদের অবাক করেছিল। একটি শিশুর ভেতর এত বড় হৃদয়ের সন্ধান পেয়ে তাঁরা অভিভূত হয়ে যান। এক নার্সই মোবাইল ফোনে এই বিরল শিশুর ছবি তুলে রেখেছিলেন। সেটাই পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। আমরা জেনে যাই, সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে চমকপ্রদ এই ঘটনার নায়কের নাম ডেরেক সি লালচানহিমা। সে থাকে মিজোরামে আইজল জেলার সাইরাং অঞ্চলে। ফেসবুক পোস্টে হাজার হাজার লাইক পড়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে। লাখের কাছে মানুষ তার ছবি শেয়ার করেছেন। বিখ্যাত ব্যক্তিরাও ডেরেকের মানবিক মুখের প্রশংসা করেছেন। তার স্কুলও তাকে পুরস্কৃত করেছে। এরপর বিষয়টির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে প্রথাগত সংবাদ মাধ্যম। নানা ভাষার কাগজে এবং টিভিতে খবর হয়েছে।
দেশ এখন এক ‘যুদ্ধপরিস্থিতি’র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভোটযুদ্ধ। এর উত্তাপ গোলাগুলির যুদ্ধের থেকে ঢের বেশি। ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র। সুতরাং এই নির্বাচনে ভারতবাসীর রায় কোন দিকে যায় তা জানার জন্য বস্তুত সারা দুনিয়া আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে—ভারত আবার চৌকিদারের হাতে থাকবে নাকি যিনি চৌকিদারকেই চোর ‘সাব্যস্ত’ করে দিলেন তাঁর হাতে চলে যাবে? ৯০ কোটি ভোটার মিলে ৫৪৩ জন সদস্যকে নির্বাচন করে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাঠাবেন। আমাদের রাজনীতির কারবারিদের নাওয়া-খাওয়া-ঘুম ছুটে গিয়েছে। সবার মিশন ‘দিল্লি চলো’। সুতরাং প্রতিটি মিডিয়ার শিরোনাম দখল করে ফেলেছে এই বিরাট ইভেন্ট। অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবরই এই ঘোলা জলে হারিয়ে যাচ্ছে কিংবা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। তার ভেতরেও যে আমরা জেনে গেলাম সাইরাংয়ের ঘটনা, চিনে ফেললাম পাহাড়ি গাঁয়ের ছেলে ডেরেক সি লালচানহিমাকে—এটা নিঃসন্দেহে ভালো ব্যাপার। সবার আগে ধন্যবাদ দিতে হবে যে নার্স এই আশ্চর্য বালকের ছবি নিয়েছিলেন এবং যে বা যাঁরা ঘটনাটিকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন। তা নাহলে প্রথাগত সংবাদ মাধ্যমে ঘটনাটি আদৌ প্রচার পেত কি না সংশয় থাকে।
আজকের নির্বাচনী আবহে ডেরেকের মুখটি কিন্তু বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ঠেকছে। কারণ, ডেরেক যে হৃদয়ের পরিচয় দিয়েছে সেটি একজন খাঁটি মানুষের। যে মানুষের কথা বলে গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ—ঈশ্বরজ্ঞানে জীবের প্রতি প্রেম প্রদর্শন করবে। ভোটে যাঁরা দাঁড়ান তাঁদের প্রত্যেকেরই দাবি থাকে—তাঁরা মানুষের সেবা করার সুযোগ চান। যে প্রার্থী পুনর্বার নির্বাচিত হওয়ার আশা নিয়ে সামনে আসেন তিনি বলেন, ‘‘আরও বেশি সেবা করার সুযোগ চাই।’’ কিন্তু, ৬৮ বছরব্যাপী বহুদলীয় নির্বাচনী গণতন্ত্র অনুশীলনের ইতিহাসের পাতায় রাজনীতির কারবারিদের যে ছবি ধরা রয়েছে তাতে তাঁদের বেশিরভাগের মুখের কথার সঙ্গে আচরণের সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বঘোষিত জনসেবকদের অনেকেই নিজেকে চিনিয়ে দেন এক-একজন ক্ষমতালোভী হিসেবে। আর সেই ক্ষমতার কুর্সিতে আরোহণ করার জন্য কেউ কেউ যা করে থাকেন তা ভদ্রসমাজের কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। নিজেকে বড় দেখানোর জন্য প্রতিপক্ষকে পাঁকে নামানোর অদম্য চেষ্টা—মান্য রীতি হয়ে উঠেছে। কুকথার স্রোতেই থেমে থাকে না তাঁদের অ্যাডভেঞ্চার—নিজেরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থেকে ভক্ত সমর্থকদের একাংশকে লেলিয়ে দেন অন্যায় যুদ্ধের ময়দানে। প্রতিটি ভোটের আগে পরে এইভাবে কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যে যায়, কত পরিবার যে চিরকালের মতো সর্বস্বান্ত হয় তার নিরপেক্ষ খতিয়ান আমরা কোনোদিনই পাব না। এর পরেও দেখা যায়—রাজনীতির কারবারিদের দল বদল, পক্ষ বদলের বাঁদরামি। হঠাৎ একদিন দেখা গেল (ধরা যাক) ‘লাল’ দলের একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি ‘সবুজ’ কিংবা ‘গেরুয়া’ দলে ভিড়ে গিয়েছেন! কী ব্যাপার—না, আগের দলে থেকে জনসেবা করার বড় সমস্যা হচ্ছিল! অথচ, ওই মহামান্যকে জেতানোর জন্যই ‘লাল’ দলের কিছু কর্মী সমর্থক ‘সবুজ’ এবং ‘গেরুয়া’ দলের লোকেদের হাতে বেধড়ক ঠ্যাঙানি খেয়েছিলেন কিংবা কেউ কেউ প্রাণও দিয়েছিলেন। উল্টো ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে। (সেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজকোষের কত অর্থের আদ্যশ্রাদ্ধ হয়েছে, এখানে তা উহ্য।) আবার এমনও কিছু মহামান্যের আবির্ভাব ঘটে যাঁরা দল বা পক্ষ বদল করেছেন চরকি কাটার মতো করে। কোনও ঘাটের জল খেতে বাকি নেই তাঁদের। মানুষের সেবা করার জন্য কিছু নারী পুরুষ এতটা আকুল হবেন বিবেকানন্দ নিশ্চয় কল্পনাও করেননি।
‘মানুষ’ শব্দের অর্থ না-জেনে মানুষের সেবা করতে গেলেই এই নিষ্ঠুর সার্কাস দেখানো সম্ভব। শিক্ষিত সমাজ জানে এবং মানে যে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র রাজনীতিকে বাদ দিয়ে নয়। তবু, যুব সমাজের শিক্ষিত সংবেদনশীল অংশ আজ রাজনীতিতে নামার, রাজনীতি অনুশীলনের, রাজনীতিকে ভালোবাসার কারণ খুঁজে পায় না। প্রতারণার সীমাহীন প্রতিযোগিতা রাজনীতির প্রতি সমস্ত আকর্ষণ নষ্ট করে দিয়েছে। তাঁরা কৃতজ্ঞ নির্বাচন কমিশনের প্রতি—এই জন্য যে ভোটযন্ত্রে প্রার্থীদের সঙ্গে ‘নোটা’ অপশনটাও রাখা হয়েছে। যাঁরা রাস্তায় নেমে রাজনৈতিক ভ্রষ্টাচারের প্রতিবাদ করতে পারেন না এটা তাঁদের একান্ত হাতিয়ার। এবার সারা দেশে নতুন ভোটার (১৮-১৯ বছর বয়সি) দেড় কোটি বা মোট ভোটারের ১.৬৬ শতাংশ। আর মোট যুব (১৮-৩০ বছর বয়সি) ভোটার ২০ কোটি। বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আরও তাৎপর্যপূর্ণ—মোট প্রায় সাত কোটি ভোটারের মধ্যে নতুন ভোটার প্রায় তিন শতাংশ আর যুব ভোটার প্রায় দেড় কোটি। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ নোটা-য় ভোট দিয়েছিলেন। গত বছর রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মিজোরাম বিধানসভার ভোটেও ০.৫-২ শতাংশ হারে নোটা-য় ভোট পড়েছিল। অনেকগুলি আসনে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে নোটা ভোটের সংখ্যা বেশি ছিল। বেশকিছু জবরদস্ত প্রার্থীকেও ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল নোটা। নোটা একাধিক আসনে নির্ণায়কের ভূমিকা নিয়েছিল। নোটা কি পারবে রাজনীতির অনুশীলনটাকে মানবিক করে তুলতে—নীতি খুঁজতে আমাদের আর দূরবিন হাতড়াতে হবে না?
আমাদের বাংলা থেকে বহু দূরে একটি পুচকে ছেলে একটি মুরগি ছানাকে বাঁচানোর জন্য কত কীই না করল! তাও সেটি তার নিজেরও নয়, কোনও এক প্রতিবেশীর। তারই কারণে সেটি রক্তাক্ত হয়েছিল। পাছে তাকে বকাঝকা করা হয় কিংবা তার বাবা মায়ের কাছে দাম চাওয়া হয়—এই ভেবে ডেরেকের পক্ষে পালিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিংবা, ধরা পড়ে গেলে হাত ধুয়ে ফেলার মতো অজুহাতও দিতে পারত সে। লোকে সেটা মেনেও নিতে পারত বলে অনুমান হয়। কিন্তু, ওইটুকু ছেলে পুরো উল্টো পথে হেঁটেছে—মানুষের পথে—যে পথে হাঁটার সাহস বড়রা হারিয়ে ফেলেছি। এই ডেরেকের সামনে কোনও মানুষ আহত হলে সে আরও কী কী করতে পারত কল্পনা করি। বুকটা ভরে ওঠে।
কিছু ক্ষমতালোভীর সৌজন্যে রাজনীতি যখন বৃহৎ আকারে এক মুরগির কারবার হয়ে ওঠে তখন একটি সত্যিকার মুরগির বাচ্চাকে বাঁচানোর আকুতি থেকে শিক্ষা নেবে রাজনীতি! যদি একশো বছরেও বাস্তব হয়—সেই যুগের ভাগ্যবান প্রজন্ম পরখ করতে পারবে প্রকৃত ঈশ্বরসেবার স্বাদ। 
09th  April, 2019
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...

আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এবার বেলারুশ সীমান্তবর্তী চেরনিহিভ শহরের একটি আটতলা ভবনকে নিশানা করে মিসাইল ছোড়ে পুতিনের দেশ। এই হামলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ১০০০ হওয়ায় লক্ষ্মী পুজোয় মাতলেন পূর্বস্থলীর মুকশিমপাড়া এলাকায় মহিলারা

01:36:33 PM

সেকেন্দ্রা অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচার তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের
জঙ্গিপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভার সেকেন্দ্রা অঞ্চলে ...বিশদ

01:34:01 PM

পুলিসের সঙ্গে বচসা দঃ মালদহের বিজেপি প্রার্থীর
প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন ...বিশদ

01:31:52 PM

আগে নিজের রাজ্য সামলাক যোগী, উত্তরপ্রদেশে কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয় না: মমতা

01:22:48 PM

১০০ দিনের টাকা, আবাসের টাকা বন্ধ করেছে বিজেপি: মমতা

01:20:32 PM

এবারে ২০০ পার করবে না বিজেপি: মমতা

01:19:51 PM