Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আধাসেনা নামিয়ে কি ভোটযুদ্ধে
মমতাকে ঘায়েল করা যাবে?

শুভা দত্ত 

রাজ্যে ভোটের হাওয়া গরম হচ্ছে। জেলায় জেলায় শাসক এবং বিরোধী—দুই শিবিরের প্রচারও একটু একটু করে গতি পাচ্ছে। মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রার্থীদের অনেকেই নেমে পড়েছেন জনসংযোগে। দেওয়াল লেখাও চলছে জোরকদমে। ভোটপ্রার্থীদের সমর্থনে পোস্টার ব্যানার দলীয় পতাকাও দেখা দিতে শুরু করেছে চারপাশে। এবং প্রচারের এই ফাইনাল রাউন্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস যে সর্বত্রই অনেকটা এগিয়ে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো রাজ্যের ৪২ লোকসভা আসনের প্রার্থীতালিকা অনেক আগেই প্রকাশ করে দিয়েছেন। প্রত্যাশা মতোই সেখানে বেশ কয়েকজন নবীন প্রার্থী এসেছেন এবং নানান কারণে বাদ গিয়েছেন আগের তালিকার কয়েকজন। নবীন প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী— মিমি আর নুসরত। কলকাতার যাদবপুর আর উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ওই দুই অভিনেত্রী। তাঁদের মনোনয়ন নিয়ে বিরোধীরা কেউ কেউ কিছু কটুকাটব্য করছেন। সেসবের যোগ্য জবাবও দিয়েছেন প্রার্থীরা। কিন্তু, মমতার মনোনয়ন নিয়ে যে বিরোধী-শিবির এতকিছু বলছে তাদের প্রার্থীতালিকা কিন্তু বেরল পরে। শুক্রবার রাতে এই লেখা যখন লেখা হচ্ছে তখনও বাম-কংগ্রেস ‘জোটে’র (শুনছি জোট বলা যাবে না, বলতে হবে সমঝোতা) একপক্ষ অর্থাৎ সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট ২৫ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ‘সমঝোতা’ বজায় রেখে কংগ্রেসের তালিকা আসবে পরে। বিজেপি শনিবার তালিকা দেবে। তাতে শুনছি একজন নামী ফ্যাশন ডিজাইনার প্রার্থী হচ্ছেন যাদবপুরে। তাহলে? ফ্যাশন ডিজাইনার প্রার্থী হতে পারলে অভিনেত্রীর বেলায় এত আপত্তি এত কটু কথা কেন?
রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, এসব আসলে রাজনৈতিক দুর্বলতারই একটা লক্ষণ। মমতার মাস্টারস্ট্রোক সামলাতে হিমশিম শিবিরের কৌশল মাত্র। আসলে অতীতে দেখা গেছে মমতা যাঁকেই প্রার্থী করেছেন অতি সামান্য ব্যতিক্রম বাদ দিলে তিনি জিতেই ফিরেছেন। মমতার ছোঁয়ায় অসম্ভবও অনায়াসে সম্ভব হয়েছে। ভুললে চলবে কেন, সিপিএমের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো সেকালের অমন প্রভাবশালী দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রার্থীকে হারিয়েই জাতীয় রাজনীতিতে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতিতে অসম্ভব বলে যে কিছু নেই, প্রতিপক্ষ যেমনই হোন তাঁর শক্তিকে উপেক্ষা করা যে চরম নির্বুদ্ধিতা—সেটা সেদিন প্রমাণ করে দিয়েছিলেন মমতা। ২০১১ সালে মমতার একক চেষ্টায় সিপিএমের ধূলিসাৎ হওয়া—সেও তো ওই সত্যটিকেই প্রকারান্তরে প্রমাণ করেছিল। তো দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে এহেন রাজনীতিকের দূরদর্শিতাকে মান্যতা না দিয়ে যাঁরা যা ইচ্ছে তাই বলে বেড়াচ্ছেন—তাঁদের কী-ই বা বলা যাবে? সময়ই সব বলে দেবে। এখন এটুকুই বলার যে, ওই দুই প্রার্থী সম্পর্কে যা সব বলা হচ্ছে তা বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরোধী, বাংলার সাধারণ মানুষের না-পসন্দ। রাস্তাঘাটে কান পাতলেই সেটা মালুম হচ্ছে। অবশ্য, ভোটের সময় এমন অনেক নির্বুদ্ধিতাই দেখা যায়।
তবে, সব মিলিয়ে ভোটের হাওয়া যে গরম হচ্ছে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। অবশ্য, এখনও ভোটের আগের মারামারিটা শুরু হয়নি। একদম শান্তভাবেই এগচ্ছে ভোট প্রচার। প্রচারের সিংহভাগ এখন তৃণমূলের দখলে। সিপিএমের মহম্মদ সেলিমের মতো মমতা-বিরোধী শিবিরের কেউ কেউ প্রচারে নেমেছেন বটে, তবে বাম-কং সমঝোতাপন্থীরা বা গেরুয়া শিবির এখনও পুরোদমে নামেনি। নামলে যে ভোটযুদ্ধের তাপ উত্তেজনা আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু, তার আগেই রাজ্যের জেলায় জেলায় আধা সামরিক বাহিনী নেমে ভোটের গরম হাওয়ায় তাপ বাড়ানোর নতুন মাত্রা যোগ করে দিয়েছে। কোথাও তারা রুট মার্চ করছে, কোথাও রাস্তা আটকে গাড়ি তল্লাশি করছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজীবনে এসবের কিছু প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে। এর আগে এমন তো দেখেনি পশ্চিমবঙ্গ—ভোটের এত আগে থেকে আধা সামরিক বাহিনীর এমন টহল! সাত দফা ভোটের মতো এই আধা সামরিক তৎপরতা তাই রাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় কৌতূহলের একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তবে শান্ত একটা রাজ্যে এভাবে ভোটের এত আগে আধা সামরিক বাহিনী নামিয়ে দেওয়াকে তিনি ‘রাজ্য ও রাজ্যবাসীর অপমান’ হিসেবেই দেখছেন। তাঁর ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছে। পাল্টা ধর্নায় বসেছে পদ্মবাহিনীও! ফলে, ভোটযুদ্ধের আগে রাজ্য-রাজনীতির বাজার আর এক প্রস্থ চড়েছে।
কিন্তু, কথা হল—সাত দফা ভোট এবং আধাসেনার এমন অগ্রিম তৎপরতা কেন? সাধারণ মানুষের ভোট নিরাপত্তা না কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও সতর্কবার্তা পাঠানো? এর আগে রাজ্যে লোকসভায় যেসব ভোট হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ছিল না বলছেন? সব ভুয়ো কারবার হয়েছে? কিছু ঘটনা নিশ্চয়ই ঘটেছে, মারামারিও হয়তো হয়েছে—কিন্তু ভোটের সময় তেমন কোথায়, কোন রাজ্যে না হয়? ভোট ছাড়াই তো গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশ সমেত দেশের উত্তর দক্ষিণের নানা রাজ্যে অজস্র মারদাঙ্গা খুনোখুনি হয়েছে, নিরীহ সাধারণ থেকে লেখক বুদ্ধিজীবীর প্রাণ গেছে! আমাদের রাজ্য সে তুলনায় তো স্বর্গই বলতে হবে। অন্তত, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে এই বাংলায় বসে সে কথা স্বীকার করতেই হয় এবং তার জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসনের তাতেই বা সন্দেহ কী? তো যিনি এতদিন ধরে এমন সংকটে বিপদে রাজ্যটাকে আগলে রাখলেন, একক চেষ্টায় উন্নয়নের এমন নজির তৈরি করলেন, মা-মাটি-মানুষের জন্য নিরাপত্তা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে অতন্দ্র অবিচল রইলেন—তিনি ভোটে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না! বিরোধীরা হাজার কথা বলতেই পারেন, গোটা পশ্চিমবঙ্গকে স্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি করতেই পারেন কিন্তু যাঁরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা বাস্তব খতিয়ে দেখবেন না! নির্বাচন কমিশন তো শুনছি পুরনো ভোটের তথ্যপরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে বিরোধীদের, বিশেষত বিজেপি’র দাবি প্রায় খারিজই করে দিয়েছেন। তাঁদের মতে, বাড়তি নিরাপত্তার জন্য রাজ্যের সামান্য কিছু এলাকা স্পর্শকাতর চিহ্নিত করা যায়—তার বেশি নয়। তাহলে? ভোটের এত আগে থেকে আধা সামরিক বাহিনী কেন?
আমরা এক মুহূর্তের জন্যও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের বিরুদ্ধে নই। কেন্দ্র কি নির্বাচন কমিশন চাইলে আসতেই পারে বাহিনী—যখন খুশি আসতে পারে। তবে কী, আধা সামরিক বাহিনী এলাকায় টহল দিলে বা পথ আটকে গাড়ি মানুষের খানাতল্লাশি করলে যে আমজনতার স্বাভাবিক জীবন কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে, তা কি বলে বোঝাতে হয়। বিশেষ করে এলাকা যখন শান্ত, কোথাও ঝুটঝামেলা নেই ভোট আসছে এগিয়ে—তখন সেনা নামলে আমজনতার মনে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব এবং সেই সঙ্গে এক ধরনের আশঙ্কাও কি ঢুকে পড়ে না মানুষের মনে? সেই সঙ্গে রাজ্যের যিনি সর্বময় কর্তা, মুখ্যমন্ত্রী, যাঁর প্রশাসনিক দক্ষতায় গোটা রাজ্যে শান্তি বহাল আছে—এমন অসময়ে বাহিনী নিয়োগ কি তাঁর রাজনৈতিক সততা সদিচ্ছা প্রশাসনিক যোগ্যতার প্রতি অবিশ্বাস নয়? বিশেষত, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রবাদপ্রতিম জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জাতীয় রাজনীতিতে যাঁর ভূমিকা আজ অগ্রগণ্য, আসন্ন লোকসভা যুদ্ধে জাতীয় বিরোধী শিবিরের যিনি অন্যতম প্রধান মুখ এবং সত্যি বলতে কী যাঁর শাসনে এই ভোটযুদ্ধের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেও রাজ্য একেবারে শান্ত, ঝুটঝামেলাহীন—সেইখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী! একটু অস্বাভাবিক লাগছে না?
প্রশ্নটা আমাদের নয়, রাজ্যের আম পাবলিকের। তাঁদের আরও প্রশ্ন—এভাবে আধাসেনা নামিয়ে কি ভোটযুদ্ধে মমতাকে ঘায়েল করা যাবে? আধাসেনা কি মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিপুল উন্নয়ন, জঙ্গলমহল থেকে দার্জিলিং পাহাড় গরিবের জীবনমানের এমন অভাবনীয় উন্নতি সাম্প্রদায়িক প্রীতি রক্ষায় তাঁর অনমনীয় দৃঢ়তা অসাধারণ প্রশাসনিক দক্ষতা সব ভুলিয়ে দিতে পারবে? বিজেপি শাসনে নোটবন্দির মতো ঘটনাগুলোতে যে দুর্দশা মানুষকে ভোগ করতে হয়েছে, যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়েছে—সে সবও কি ভুলিয়ে দিতে পারবে? ভোটের এত আগে নিরাপত্তা বাহিনী নামিয়ে দেশের বাকি অংশের কাছে হয়তো রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটা নেতিবাচক বার্তা পাঠানো যেতে পারে, তবে তাতে রাজ্যের মানুষের মতি বদলাবে কি? মমতার প্রতি তাঁদের আনুগত্য ভালোবাসা কিছুমাত্র টাল খাবে কি? এসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য প্রশ্নকর্তা বঙ্গবাসী মাত্রেই জানেন। আসলে, ক্ষমতার আগ্রাসন কেউই পছন্দ করেন না। বাংলার মানুষ ২০১১ সালে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এবার তার ব্যতিক্রম হয় কি না—বলবে ২৩ মে’র ভোটফল। তবে, এ পর্যন্ত জনমনের যা আভাস মিলছে তাতে এটুকু বলাই যায়, ভোটের এত আগে বাহিনী নামায় ভোটযুদ্ধের ময়দানে মমতার রাজনৈতিক অবস্থানই আরও জোরালো হল। 
17th  March, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM