Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অথ শ্রীমহাভারত কথা
গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়

আবার এক মহাভারত যুদ্ধ সমাগত। রণবাদ্য বাজিয়ে যুদ্ধের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে, আকাশে-বাতাসে সেই যুদ্ধের বার্তা ভাসছে, প্রস্তুতি চলছে নানা স্তরে, সর্বত্র সাজ সাজ রব উঠে গেছে। বাদী, সম্বাদী, বিবাদী সব দলই নানা উপায়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। সাম, দান, দণ্ড, ভেদাদি প্রতিটি উপায়ই সমাজের নানা স্তরে নানাভাবে পরীক্ষিত হচ্ছে। কোথাও সামনীতি অনুসরণ করে মধুর বাক্যে জনসংযোগ চলছে, কোথাও চলেছে দান দ্বারা সমাজের এক এক অংশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা। দণ্ড নীতিও স্থির হয়ে নেই। যার যত বকেয়া অপরাধ আছে তার হিসেব নেওয়া চলছে। সঙ্গে রয়েছে ভেদ প্রক্রিয়া। তার ফলে হঠাৎ করেই বহুকালের বিশ্বস্ত সাথী কোনও অছিলায় পুরাতন সঙ্গীকে ত্যাগ করে নতুন সঙ্গীর সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছে। কেউ বা উপেক্ষা নীতিকে আশ্রয় করে নিজের ঘরটুকু সামলাবার চেষ্টা করে চলেছে। চারদিকে অনৃত ভাষণের ঝড়ে সত্য, ধর্ম, ন্যায় ইত্যাদির মতো চির কল্যাণকারী বিষয়গুলি বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। এই যুদ্ধের নির্ণায়ক জনগণেশ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে অগ্র-পশ্চাৎ বোধ হারিয়ে ফেলছে। সকল ক্ষেত্রের এই উদ্বায়ী অবস্থা যেমন সময়ে সময়ে মহাভারত যুদ্ধের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে, তেমনই মনে পড়ে যাচ্ছে স্কুলের নীচের ক্লাসের সেইসব পিশুনতাগ্রস্ত মেয়েদের কথা যারা অন্যের কৃতিত্বকে সব সময়েই ছোট করে, তুচ্ছ করে বলতে ভালোবাসত।
রবীন্দ্রনাথ মহাভারতকে দেখেছিলেন ‘একটি জাতির স্বরচিত স্বাভাবিক ইতিহাস’ রূপে। সেই জাতি যদিও এই বহু সহস্র বৎসরের ব্যবধানে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিরাজ করছে, তবু ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির বিরাম নেই। মূলের সঙ্গে যুক্ত অথবা বিচ্ছিন্ন—সবার মধ্যে আজও মহাভারতকথার দুর্নিবার আকর্ষণ প্রবলভাবে রয়ে গেছে। তাই আজ থেকে প্রায় তিরিশ বছর আগে যখন প্রথমবার টিভি’তে রাহী মাসুম রজার তৈরি স্ক্রিপ্টে মহাভারত দেখানো হচ্ছিল তখন কলকাতায় যেমন বাস-ট্রাম ফাঁকা চলত তেমনই খবর ছিল পাকিস্তানেও সেই সময়টায় পথঘাট জনবিরল হয়ে পড়ত। সবাই তখন নিবিষ্ট মনে টিভি’র পর্দায় এই বিশাল ভারতের নিতান্ত আপন সেই প্রাচীন কথার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেত। মহাভারতের সেই পুরুষার্থ, স্বার্থ বা পরমার্থের কাহিনীর মধ্যে সবাই নিজের মতো, আপন করা কিছু খুঁজে পেত।
বহুচর্চিত ও বহুশ্রুত সেই মহাভারত কাহিনীর বিভিন্ন পর্বকে আমরা চিরকালই জীবনের নানা পর্যায়ে নানাভাবে ঘটতে দেখি। বর্তমানের এই ভোটযুদ্ধ, অর্থাৎ ভারত খণ্ডের সকল সাবালক মানুষকে যুক্ত করা এই যুদ্ধও তেমনই এক ঘটনা। সেই যুদ্ধের সলতে পাকানো শুরু হয়েছে বেশ কিছুকাল আগেই। মানুষ চিরকালের মতো আজও চায় স্বার্থ, শঠতা, চৌর্য, মিথ্যা ইত্যাদি যেন জয়ী না হয়। সততা ও পুরুষার্থের জয়ের মধ্যে আজও মানুষ নিজের জয়কে খুঁজে পায়, তাদের শুভবুদ্ধি আজও জানায় পরিবারের, সন্তানাদি সকলের শাশ্বত কল্যাণ, স্বস্তি ও সমৃদ্ধি নিহিত রয়েছে ধর্মের জয় ও অধর্মের পরাজয়ের মধ্যে। তবু দুর্যোধনের অন্নদাস বা হস্তিনাপুরের সিংহাসনের নিঃশর্ত রক্ষাকারী হিসেবে দ্রোণ, ভীষ্ম ইত্যাদির মতো মহাবীরেরাও যেমন একবস্ত্রা কুলবধূ দ্রৌপদীর রাজ্যসভা মধ্যে বস্ত্র হরণের সময়েও প্রতিবাদহীন হয়ে নপুংসকের মতো নিশ্চুপে বসেছিলেন তেমনই বর্তমান সমাজেও বহু মানুষ নানাবিধ দাসত্বের চাপে চারদিকে ঘটে চলা শত সহস্র অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার নিঃশব্দে দেখে যেতে বাধ্য হয়ে আছে। ত্রাস বা দাসত্ব, কারণ যাই হোক, অধিকাংশ মানুষই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। সবাই এখন নীরব দর্শক, অপেক্ষা করে আছে সেই মহাক্ষণের যখন আসন্ন ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়ে তারা নিঃশব্দে নিজেদের মতামত জানাতে পারবে, হয়তো বা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনও করতে পারবে।
মহাভারতে উল্লেখিত অধিকাংশ প্রধান রাজ্যগুলির অবস্থান ছিল বিন্ধ্য পর্বতের উত্তরে এবং গাঙ্গেয় অববাহিকা ও তার পশ্চিমের অংশে। সে সব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম, সেচ ছাড়া ফসল ভালো হয় না। স্বাভাবিকভাবে জন্মানো তৃণের ওপর নির্ভর করে গো-পালন করা ছিল সেখানে এক গুরুত্বপূর্ণ জীবিকা, যা আজও সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গাভি ছিল অমূল্য। রাজা নহুষের এক উপাখ্যানে পাই মহর্ষি চ্যবনের মূল্য হিসেবে যখন তাঁর সমগ্র রাজ্যও অকিঞ্চিৎকর বিবেচিত হয় তখন এক তপস্বী বলেন গো এবং ব্রাহ্মণ উভয়ই অমূল্য। তাই মহর্ষির মূল্যস্বরূপ একটি গাভিই ঠিক বলে বিবেচিত হয়। রাজা নহুষও সমস্যামুক্ত হন। আজও গোধন সেই বলয়ের শ্রেষ্ঠ ধন। গোপালন করা এক গুরুত্বপূর্ণ জীবিকা।
গোপালন এবং গোধন অপহরণের নানা ঘটনার কথা মহাভারতে রয়েছে, একেবারে সেই আদি পর্ব থেকেই। হস্তিনাপুরে গোধন চুরি নিয়ে রাজার কাছে অভিযোগের বর্ণনা আমরা পাই। বিরাট পর্বে গোধন অপহরণ এক বিরাট আকার পেয়েছে। মৎস্য দেশের অধিপতি অর্থাৎ বর্তমানে উত্তর-পূর্ব রাজস্থানের তৎকালীন রাজা বিরাটের ছিল বিপুল গোসম্পদ। প্রধানত সেই সম্পদের জোরেই তিনি ছিলেন কুবের তুল্য ধনী। তাঁর আশ্রয়েই পাণ্ডবেরা অজ্ঞাতবাসের এক বছর কাটিয়েছিলেন। তাঁদের অজ্ঞাতবাসের শেষ দিনটিতে মৎস্য দেশের পার্শ্ববর্তী ত্রিগর্ত্তদেশের রাজা সুশর্মা বিরাট রাজার গোধনের একাংশ হরণ করতে এসে বিরাট রাজার সাহায্যকারী পাণ্ডব ভাইদের বিক্রমে পরাজয় স্বীকার করে নতমস্তকে ফিরে যান। পরদিনই দুর্যোদন সপারিষদ বিশাল সৈন্যসহ বিরাট রাজার ষাট হাজার গাভি হরণ করলে যে যুদ্ধ হয় তাতে দুর্যোধনদের সকলেই হতচেতন হয়ে পড়ে। কর্ণের এক ভাইসহ অন্য বহুজনের মৃত্যুও হয়। হতচেতন কৌরবদের উত্তরীয়গুলি অর্জুন হরণ করে উত্তরার পুতুলের জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু হতচেতন কাউকে তারা হত্যা করে না। বর্তমানেও বেশ কিছুকাল ধরে সেই গোবলয় অঞ্চলে নানাসময়ে গোধন হরণ ও হরণকারীর নিগ্রহ বা মৃত্যুর খবর আমরা পাই। তবে পার্থক্য এই থাকে গোধন হরণকারীকে নিগ্রহ করলে বা তার মৃত্যু ঘটলে তার অদ্ভুত সব ব্যাখ্যা করা হয়। গোধন হরণকারী কোন সম্প্রদায়ের বা জাতির তার ওপরে প্রায়ই নির্ভর করে সেইসব আলোচনার তীব্রতা। সেই আলোচনায় মানুষের জীবিকা, অর্থনীতি বা চৌর্যদোষের কোনও স্থান থাকে না। এখন মানুষ যত সম্প্রদায়ে বিভক্ত মহাভারতের যুগে তা ছিল না। এখন যেমন স্বর্গলাভের প্রকৃষ্টতম উপায় হিসেবে অন্য মতাদর্শীদের হত্যা বা লুণ্ঠন শ্রেষ্ঠতম উপায় বলে একদল মানুষ প্রচার করছে, মহাভারতের যুগে সম্মুখ সমরে মৃত্যুকেই স্বর্গলাভের উপায় বলা হতো। যুধিষ্ঠিরের মতো ধর্মপরায়ণ মানুষও ‘অশ্বত্থামা হত ইতি গজ’ বলার জন্য নরকে গমন করেছিলেন, সেই মানবধর্মের কথা আমরা জানি। দুর্যোধনাদির দুর্বৃত্ততার কথা তাঁর মাতা-পিতা সর্বদাই মানতেন ও নিন্দা করতেন। যুধিষ্ঠিরের সততা শত্রুপক্ষীয়দেরও প্রশংসার বিষয় ছিল। পুত্রস্নেহের বিবশতার কথা ধৃতরাষ্ট্রকে বহুবার স্বীকার করতে দেখা গেছে। তখন বলা হতো ‘শত্রোরপি গুণা বাচ্যা দোষা বাচ্যা গুরোরপি’ অর্থাৎ শত্রুরও গুণাগান করা উচিত এবং গুরু দোষযুক্ত হলে তা বলা উচিত। সেসব নীতিকথা এখন হালে পানি পায় না। এখন প্রতিপক্ষের গুণগান করার বা গুরু বা নেতার দোষ দেখার মতো লোক নেই। তারা সাহস, সততা সব হারিয়ে উলুখাগড়া হয়ে গেছে। ফলে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হলে উলুখাগড়ার প্রাণ যাবেই, ‘নষ্টমেব হি’। ভোটযুদ্ধের উদ্‌঩যোগপর্বের প্রাণহানি শুরু হয়ে গেছে। নিশ্চয় তা প্রতিবারের মতো যুদ্ধ শেষ হলেও চলবে। এই প্রাণহানি রোধে বা দোষীদের শাস্তিবিধানে চিরকালীন দৃষ্টান্তে হয়তো এবারও ব্যর্থ হবে প্রশাসন।
গোবলয়ের অর্থনীতি এবারের ভারতযুদ্ধে এক নির্ণয়কারী ভূমিকা নিতে চলেছে। গোরক্ষকদের একদেশদর্শিতার কারণে বাস্তব ক্ষেত্রে গোপালকেরা ও কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছে। গত কয়েকবছরে পশু খাদ্যের মূল্য প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি ঘটেছে। ফলস্বরূপ গো পালকেরা গোরু চুরির ভয় দূর হওয়ায় নিজেদের গোরুর পালকে মুক্ত করে দিচ্ছে যাতে তারা নিজেরাই চরে খায়। চারণভূমিই যেখানে নেই সেখানে কৃষকের শস্যক্ষেত্রে হামলা হচ্ছে। ফসল নষ্ট হচ্ছে। রাত জেগে কৃষকেরা ফসল পাহারা দিচ্ছে। দুর্ভাবনায় তাদের রাতের ঘুম চলে গেছে। আগে দুধ না দেওয়া গাভি বা অকেজো বলদকে গোপালকেরা অল্প মূল্যে বিক্রি করে দিয়ে সেগুলি পালন করার দায় থেকে মুক্ত হতো। সেই পশুগুলি স্বল্পমূল্যের মাংসের জোগান দিয়ে বহু মানুষকে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করত। ইদানীং সেই সাম্যাবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে।
সুখ-দুঃখের মতো জয়-পরাজয়ও চক্রবৎ পরিবর্তিত হয়। চক্রবৎ পরিবর্ত্তন্তে। জগতে এ নিয়মের কোনও ব্যত্যয় নেই। শুধু কর্মটাই তো আমাদের আয়ত্তে থাকে, অধিকারে থাকে। ফল থাকে তো সেই ওপরওয়ালারই হাতে।
14th  March, 2019
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বই ৭/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ পাঞ্জাব)

07:45:09 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট ঈশান কিষাণ, মুম্বই ১৮/১ (২.২ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

07:42:30 PM

আইপিএল: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত পাঞ্জাবের

07:13:17 PM

কপ্টারে করে পুরাতন মালদহে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:18:28 PM

৪০৬ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:36:13 PM

পূঃ বর্ধমানের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে কালনায় গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:56:28 PM