Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গোঁফ দিয়ে যায় চেনা?
অতনু বিশ্বাস

উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনের অকুতোভয় সাহসিকতা আর কর্তব্যনিষ্ঠায় মোহিত ভারতবাসী। তারা খুঁজতে চায় সেই রসায়নের গূঢ় তত্ত্ব। সুকুমারী দুনিয়ার হেড অফিসের বড়বাবু তো সেই কবেই বলেছেন, গোঁফ দিয়েই নাকি চেনা যায় আমাদের সব্বাইকে। তবু, ছেলেবেলা থেকে এনিয়ে সন্দেহ আমার পুরোদস্তুর। সত্যি সত্যিই গোঁফই কি আমাদের আইডেন্টিটি? এবং একমাত্র? তাহলে যার গোঁফ নেই, তার আইডেন্টিটির কী হবে? তবু, এনিয়ে হাজার গণ্ডা প্রবাদ রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কোথাও পড়েছি, কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রাজপুত। আবার কখনও শুনেছি, শিকারি বিড়ালের গোঁফ দেখলেই চেনা যায়। ইত্যাদি, ইত্যাদি।
আসলে নানান স্টাইলের গোঁফ পরিণত হয়েছে প্রায় প্রবাদেই। বীরাপ্পানের মত প্যাঁচানো গোঁফ, প্রজাপতির মত উড়ুক্কু গোঁফ, স্ট্যালিনের চওড়া গোঁফ। এমনকী গল্প-সাহিত্যের চরিত্রদের গোঁফই বা কম কীসে? যেমন আগাথা ক্রিস্টির গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো-র বর্ণনাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তার সূঁচোল গোঁফজোড়া ছাড়া। খেলার ছলে হাতি-লোফেন যিনি সেই ষষ্ঠীচরণের গোঁফ সম্পর্কে সুকুমার কিন্তু কবিতায় নীরব। তবু ছেলেবেলা থেকে আবোল তাবোলের পাতায় ষষ্ঠীচরণের ছবিতে পেল্লাই মাপের গোঁফ দেখেই অভ্যস্ত আমরা। ‘যোধা আকবর’ ছবিতে দেখেছি, সম্রাট আকবরের গোঁফ পরিচর্যার জন্যে নাপিতের পিছনে খরচ করা হতো মোটা অর্থ। হিটলারি গোঁফ চ্যাপলিনের নাকের নীচে ঠাঁই পেয়ে হয়ে যায় অন্য ধরনের স্টাইল স্টেটমেন্ট। আর তা যেন একাকার হয়ে যায় ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’-এর সেলুলয়েডে। সঠিক গোঁফের স্টাইল কি সত্যিই জয় করতে পারে হৃদয়? আসলে গোঁফ থাকলেই যে হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে, সেটাও বোধকরি ঠিক নয়। তাসের দেশে চার চারটে রাজা রয়েছে, কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, কেবলমাত্র ‘কিং অব হার্ট’-এরই গোঁফ নেই। তা সত্ত্বেও সে হয়ে বসেছে হৃদয়ের রাজা।
তবু, আজ দেখি এমনই এক গোঁফে মজেছে ২০১৯-এর ভারতবর্ষ। উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের প্যাঁচানো গোঁফ নিয়ে এক অভূতপূর্ব আবেগের ঢল নেমেছে দেশজুড়ে। সে গোঁফজোড়া পরিণত হয়েছে স্টাইল স্টেটমেন্টে। আর গাছে কাঁঠাল দেখলে, গোঁফে তেল মাখা তো আমাদের নিত্যদিনের অভ্যেস। দেশের সেলুনে সেলুনে নাকি অভিনন্দন-মার্কা গোঁফ করবার আবদার নিয়ে লাইন পড়ছে জনতার। কোনও কোনও সেলুন নাকি ‘আমরা অভিনন্দন-গোঁফে বিশারদ’ ধরনের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বা দেবে বলে ভাবছে। খবরে প্রকাশ, বেঙ্গালুরুর কোনও এক সেলুন নাকি বিনামূল্যে অভিনন্দন-স্টাইলের চুলদাড়ি কেটে দিচ্ছে গ্রাহকদের। আর সেই সুযোগের সদ্ব্যবহারের জন্যে লাইন পড়ছে সকাল থেকে।
আমূলের বিজ্ঞাপনের একটা পরোক্ষ অবদান হয়তো আছে এর পিছনে। পঞ্চাশ বছরের বেশি ধরে ওই ছ’বছরের মেয়েটা বড় বড় হোর্ডিংয়ে আর সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনে জাতির হৃদস্পন্দনকে চিত্রিত করে চলেছে নিশ্চিতভাবে। এবারেও প্রথমে অভিনন্দনের প্রত্যাবর্তনকে কার্টুনায়িত করল আমূল। তারপর মিনিট খানেকের এক ভিডিও প্রকাশ করল, ‘#আমূল মুচ: টু অভিনন্দন ফ্রম আমূল’। এ তাদের ‘মুচ নেহি তো কুছ নেহি’ শীর্ষক প্রচারের একটা অঙ্গ ছিল। ভিডিওটিতে দেখা গেল জীবনের সর্বক্ষেত্রের পুরুষরাই অভিনন্দনের স্টাইলে গোঁফ পাকাচ্ছে। আর শুধু পুরুষরাই বা কেন, একটি ছোট্ট মেয়ে এক গ্লাস দুধ খেয়ে করে ফেলেছে সাদা রঙের গোঁফের দাগ। এক বীর সৈনিককে এ এক অনবদ্য সম্মান প্রদর্শন। আমরা অভিভূত। কিন্তু সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখে বোঝাই যাচ্ছিল যে, এবার গোঁফে তা দেবে ভারতবর্ষ।
এক অর্থে এ কিন্তু দেশের পক্ষে বড় আশার কথা। দেশের জনগণ শুধুমাত্র রুপোলি পর্দা আর ক্রিকেট মাঠের তারকাদের পোশাক-আশাক, চুল-দাড়ি-গোঁফই নকল করে না, এক বীর সৈনিকের গোঁফের স্টাইল অনুকরণ করতেও ছোটে দলে দলে। পর্দার তারকাদের ছাপিয়ে আসমুদ্র-হিমাচলের নায়ক হয়ে উঠতে পারে দেশের প্রতিরক্ষায় নিয়ত সৈনিকরাও। এমনকী মেয়েরা পর্যন্ত নকল অভিনন্দন-মার্কা গোঁফ লাগিয়ে ছবি তুলে পোস্ট করছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনের এই জবরদস্ত গোঁফটাকে আমরা আগে জানতাম বীরাপ্পানের স্টাইলের গোঁফ বলে। বস্তুত তামিলিয়ান গোঁফ নামেই পরিচিত এটা, তামিল সাহিত্যে এ ধরনের গোঁফের বর্ণনা রয়েছে প্রভূত। তামিল পুরুষরা নাকি অনেকেই এ ধরনের গোঁফ রাখত এক সময়। এর একটা পারিভাষিক নামও অবশ্য রয়েছে—‘গানস্লিঙ্গার’। সেসব নাম অবশ্য এখন ধুয়ে মুছে যেতে পারে একেবারে। ‘উইং কম্যান্ডার গোঁফ’ বা ‘অভিনন্দন গোঁফ’ নামেই হয়তো ভবিষ্যতে পরিচিত হয়ে যাবে এটা।
অভিনন্দনের গোঁফ এতটাই উত্তাল করেছে দেশের লোককে যে আমার মত গোঁফ-খেজুরে লোকও অভিনন্দন-স্টাইলের গোঁফের প্রত্যাশায় সেলুনের লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি সকাল থেকে। হঠাৎ করে মনে হয়, অভিনন্দন বর্তমানের মত বীর মানসিকতার সৈনিক কিন্তু এদেশে অগণিত। সীমান্তে তারা অতন্দ্র প্রহরী। দুর্ভিক্ষে ফাঁকা আর বন্যায় ভিটে তলিয়ে গেলেও কর্তব্যে যারা অবিচল। ঘরেতে প্রতীক্ষ্যমানা প্রিয়াকে ছাপিয়ে যাদের স্নায়ুতন্ত্রীতে দেশপ্রেম উৎসারিত হয় ফল্গুস্রোতের মত। এই অভিনন্দন তো তাদের এক প্রতিনিধি মাত্র, পরিস্থিতির ফাঁকে ঘটনাক্রমে যার কথা জেনেছে দেশবাসী। কিন্তু অগণিত দেশপ্রেমী সৈনিকের গোঁফ তো আর অভিনন্দনের মত নয়। তাদের কারও গান্ধী-গোঁফ, কারও চ্যাপলিন গোঁফ, কেউ স্যার আশুতোষের মত গোঁফের মালিক, কারও গোঁফ ভগৎ সিংয়ের মতো, কারও আবার অ্যাস্টেরিক্স-মার্কা গোঁফজোড়া। আবার সুভাষচন্দ্র বসুর ছবিতে তাঁর গোঁফ দেখেছি বলে তো মনে পড়ছে না। শহিদ ক্ষুদিরামের স্বল্প জীবনে ভালো করে গোঁফ গজাবার সময়টাও তো হয় নি। ‘পথের দাবী’র সব্যসাচীর প্রতিটা ছদ্মবেশের সঙ্গে সঙ্গে বদলে বদলে যায় পোশাক, বদলায় গোঁফ-দাড়ি-চুলের ধরন। তাঁর সমস্ত প্রকরণের মধ্য দিয়েই সব্যসাচী উজ্জ্বল হয়ে ওঠে পাঠকের হৃদয়ে। হঠাৎ মনে পড়ল আমার এক স্কুলের সহপাঠীর শ্মশ্রু-গুম্ফবিহীন মুখ। সেও সীমান্তের প্রহরী। কর্তব্যে অবিচল। শুনেছি একদা ডিউটিতে থাকাকালীন শ্রীনগরের লালচকে তাদের বাসে গ্রেনেড হানা হওয়ার কাহিনী। তাই হঠাৎ মনে হল, সেনা হোক বা সাধারণ জনতা, গোঁফ-দাড়ির ছাঁচে তাদের দেশপ্রেমকে সংজ্ঞায়িত করা বোধহয় নেহাতই বালখিল্য প্রচেষ্টা মাত্র। গোঁফজোড়া অমন না হলেও বীর ভারতীয় উইং কম্যান্ডার নিশ্চয়ই কোনও গোপন তথ্য ফাঁস করে দিতেন না পাকিস্তানি মেজরের কাছে।
একদিকে দেশসুদ্ধ লোক হেড অফিসের বড়বাবুর বক্তব্যকে আপ্তবাক্য ধরে নিয়েছে—‘গোঁফ দিয়ে যায় চেনা’। কিন্তু তারা খেয়াল করতে ভুলেছে তার আগের লাইনটা—‘গোঁফের আমি, গোঁফের তুমি’। তাই অন্যের গোঁফের স্টাইলকে নকল করলেই বদলে যাবে না আমার আমিত্ব-টুকু। সেলুনের লাইনে এবার ছিল আমার পালা। আমি কিন্তু হঠাৎ করে লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। পিছনের লোকজন খুশিও হল, অবাকও হল বেশ—আমার এই অর্বাচীন কাজে।
আমার হল এক সম্যক উপলব্ধি। গোঁফ কিংবা চুলের স্টাইল দিয়েই বোধকরি চেনা যায় না দেশপ্রেমের স্পন্দন। ধরা যায় না তার ব্যাপ্তিটুকু। দেশপ্রেম চেনা যায়, উপলব্ধি করা যায় হৃদয় দিয়ে। দেশমায়ের প্রতি অনাবিল ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে চেতনার গভীরে। দেশপ্রেম বাস করে হৃদয়পুরে। তা হল হৃদয়ের অন্তঃস্থলে উৎসারিত স্রোতস্বিনীর তরঙ্গ। সীমান্তের অগণিত প্রহরী বা দেশের অগণন সিভিলিয়ানের হৃদয়ের গভীরে যা বয়ে চলে অনির্বাণ। জীবনের কোনও বিরল মুহূর্তে কিংবা জাতির জীবন-প্রবাহের কোনও এক সন্ধিক্ষণে তাদের কারও কখনও বা হঠাৎ সুযোগ আসে জীবনের কোনও ফলবান খণ্ডকে জয় করার। এক সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তখন মুক্তি ঘটে অন্দরে অন্তরে বসত করা অব্যক্ত উচ্ছ্বাসটুকুর। আর সুযোগ আসে নিজের বুক চিরে হৃদয়ের অন্তঃস্থলে প্রতিষ্ঠিত, সঙ্গোপনে সুরক্ষিত দেশমাতৃকার প্রতিচ্ছবি দেখানোর। সেই ম্যাজিক-মুহূর্তে জীবনই যে তাকে করে তোলে ‘অভিনন্দিত’।
 ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতার রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
12th  March, 2019
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
৫ কোটি টাকা ‘তোলা’ চেয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন কেএলও (কোচ ন্যাশনালিস্ট) এবার সরাসরি হুমকি চিঠি দিল রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে। ...

একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM