Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শিশুদের বাজেট
শুভময় মৈত্র

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই বাজেটে বানানোর সময় শিশুদের মত নেওয়া হয় না মোটেই। শিশুদের অবস্থা অনেকটা হতদরিদ্র মানুষের মত। গরিবদের ভালো খারাপ ঠিক করে সমাজের সম্পদশালী মানুষেরা। তেমনই ছোটদের ভালোমন্দ প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে। সমাজ-সংসারের সাদামাটা নিয়মে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের অবস্থা যেমন তথৈবচ, শিশুদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তানকে তো বংশগতির দারিদ্র্যের দায় নিতেই হবে। তবে আরও জটিল বিষয় হল তুলনায় মধ্যবিত্ত বা সম্পদশালী ঘরে জন্মালেও এ দেশে শিশুদের জীবন খুব সুখের নয়। ছোটবেলা থেকেই যে ধরনের প্রতিযোগিতার মুখে তাদের পড়তে হচ্ছে তাতে বর্তমানে খড়ের গাদায় শৈশব খোঁজার সুযোগটাই অনুপস্থিত। তবে শৈশব হারিয়ে গেলেও প্রকৃতির নিয়মে শিশুরা তো থাকবেই। তাই একবার ফিরে তাকানো যেতে পারে এ বছরের অন্তর্বর্তী বাজেটে শিশুরা কী পেল সেই খোঁজে। এ বিষয়ে তথ্যভিজ্ঞ মহল অনেক সময় নজর রাখেন ক্রাই (চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ, অর্থাৎ শিশুদের অধিকার এবং আপনি) এর আকাশপাতায়। উৎসাহী পাঠক-পাঠিকা সম্পূর্ণ তথ্যের জন্যে সেগুলো খুঁজে দেখতে পারেন। আপাতত অল্প কিছু পরিসংখ্যানে নজর রাখা যাক।
আজকের দিনে ভারতে জনসংখ্যা একশো ত্রিশ কোটির বেশি। আদমশুমারির হিসেবে প্রতি পাঁচজনে প্রায় দুজন আঠারো বছরের নীচে, অর্থাৎ হিসেব মোটামুটি পঞ্চাশ কোটির। সোজাসাপটা সংখ্যা বলছে এবারের বাজেটে শিশুদের জন্যে ধরা হয়েছে নব্বই হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। সহজে ভাগ করার জন্যে একে এক লক্ষ কোটিই ধরা যাক। সেক্ষেত্রে আঠারোর নীচে প্রতিটি নাগরিকের জন্যে সারা বছরের বরাদ্দ দু’হাজার টাকা, দিনে ছ’টাকার সামান্য কম। এটা অবশ্য বড্ড গোদা পরিসংখ্যান। সরকার সেই জায়গায় অন্যরকম কিছু যুক্তি পেশ করতে পারে। সংসারের আয়ের একটা অংশ তো অবশ্যই শিশুদের পেছনে খরচ হয়, সুতরাং সেই হিসেবে হয়তো শিশুরা আর একটু বেশি দুধেভাতে থাকবে। অঙ্কে অঙ্ক বাড়ে, তবে বরাদ্দ বাড়ে না। তাই শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়ার জন্যে যদি মহাকাশবিজ্ঞানের অঙ্ক কষে ভালোমন্দ বুঝতে হয় তাহলে ব্যাপক মুশকিল।
সহজ জনগাণিতিক জ্ঞানের মাপকাঠিতে এই বরাদ্দ গত বছরের থেকে বেড়েছে মাত্র ০.০১%
এবং পৌঁছেছে ৩.২৫% এ। এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে ২০০৩-৪ এর বাজেটে এই বরাদ্দ ছিল মাত্র ২.২%, যা ইউপিএ রাজত্বের মাঝপথে ২০০৭-৮ আর্থিক বছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪.৯৩% এ। শেষ চার বছরের বিজেপি শাসনে এই পরিসংখ্যান ৩.২৬%, ৩.৩২%, ৩.৩২% এবং ৩.২৪%। অন্তর্জালের কল্যাণে আর কোন বিপ্লব না ঘটুক, তথ্য বিপ্লব ঘটে গেছে অবশ্যই। সেজন্যেই খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যায় গত কয়েক বছরের সঙ্গে এ বছরের অন্তর্বর্তী বাজেটের তুলনা।
শিশুদের বাজেট বিশ্লেষণের আগে আরও দু-একটি তথ্য মনে করিয়ে দেওয়া যাক। আমাদের দেশে মোটামুটি ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু বলে ধরা হয়, ইংরেজিতে যাকে বলে চাইল্ড। সংবিধানের ২১ এর ‘ক’ ধারা বলে যে ছয় থেকে চোদ্দ বছর বয়েসের শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক। শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত বাবা মায়ের শিশুদের ধরে গুণভাগে অনেকটা বাড়িয়ে কমিয়ে দিনে দৈনিক ছ টাকাকে ছয় ছক্কা ছত্রিশ টাকা করলেও কীভাবে সেই অর্থে একটি শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য কিছু ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করা যায় সে প্রশ্নে ঢুকে নিজেদের আর বেশি অপ্রস্তুত না করাই ভালো। সবটুকু অবশ্য খারাপ বলা যাবে না। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের প্রায় ৯৭.২% শিশু স্কুলে নাম লিখিয়েছে। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম স্কুলে না যাওয়া শিশুর সংখ্যা তিন শতাংশের নীচে নামল। তবে এতে আত্মশ্লাঘার খুব কারণ নেই। শিক্ষার মানের সমীক্ষা কিন্তু অন্যরকমের খবর আনছে। দশ-এগারো বছরের বাচ্চারা, অর্থাৎ যারা মোটামুটি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছে, তাদের অঙ্কের জ্ঞান এই মুহূর্তে বেশ গোলমেলে। ২০১৮ সালের হিসেব জানাচ্ছে তাদের মধ্যে মাত্র আঠাশ শতাংশ বাচ্চা ভালোভাবে ভাগ করতে পারে। দশ বছর আগে এই শতাংশ ছিল অনেক বেশি, প্রায় সাঁইত্রিশ।
অঙ্কের কচকচিতে আর বেশি না গিয়ে এটা মনে করিয়ে দেওয়া ভালো যে শিশুদের মোট বাজেটে শিক্ষার জন্যে বরাদ্দ কমছে বছর বছর। জনগণতান্ত্রিক ভারতবর্ষে আধা-সামন্ততান্ত্রিক আধা-পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শিশুশিক্ষার বরাদ্দ কমলে শিশুদের শিক্ষার মান যে কমে এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। কারণ তা নাহলে ভবিষ্যতের কোনও সরকার হয়তো ‘পেটে খিদে থাকলে পড়াশোনা ভালো হয়’ গোছের নীতিবাক্য শুনিয়ে তার পিছনে কিছু তথ্যরাশি পেশ করার সুযোগ খুঁজত।
এবারের অন্তর্বর্তী বাজেটে কৃষকদের জন্যে অনেক ভেবেছে সরকার, ভেবেছে শ্রমিকদের কথাও। বাজেট বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে মেহনতি মানুষের জন্যে বিকল্প অর্থমন্ত্রীর হাহাকার। কথায় কথায় মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশের পিছিয়ে থাকা অংশের জন্যে ভীষণ দুশ্চিন্তায়। ভোটের আগে কত তাড়াতাড়ি চাষির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে সেই উদ্দেশ্যে ভারতে ইন্টারনেটের তারগুলো কোদাল চালিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এমন গতিতে কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে কৃষকপ্রতি প্রথম কিস্তির ডিজিটাল ক্যাশ ছিটকে বেরচ্ছে যে পরমাণুবিজ্ঞানে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে ইলেকট্রনের গতিবেগ নিয়ে। দুঃখী চাষির কথা ভাবতে গিয়ে মোদি সরকার না পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়ে যায়! দুহাজার টাকায় কতোগুলো মৌলিক বৈদ্যুতিন কণা সেই নিয়ে ঐকিক নিয়মে গবেষণা চলছে অর্থমন্ত্রকে। এমনিতেই কৃষকদের যে কোনও লম্বা মিছিলের শেষে মঞ্চে উপবিষ্ট থাকেন রাহুল গান্ধী। তার ওপর প্রিয়াঙ্কা যোগ দিয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। হিন্দি বলয়ে বিজেপির ভোটের ভাগ কমছে। এইসময় আর কৃষকদের ভোট অন্যদিকে ভেসে যেতে দেওয়া যায় না। তাইতো সামনের বছরের (২০১৯-২০) অন্তর্বর্তী বাজেটের গল্পে গোঁজামিল দিয়ে বর্তমান আর্থিক বছরের (২০১৮-১৯) বরাদ্দ থেকেই টাকা সরিয়ে রাখা হয়েছে কৃষকদের চোখের জল মোছানোর জন্যে। শ্রমিকদের জন্যে অবশ্য হাতে হাতে টাকা নেই, বরং সেখানে ভবিষ্যতে পেনশনের হাতছানি।
তাহলে শিশুদের জন্যে নতুন ভাবনা নেই কেন? তার কারণ একেবারে পরিষ্কার। একশো ত্রিশ কোটির দেশে আশি কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, বাকি পঞ্চাশ কোটি বয়সে ছোট। যার ভোট নেই তার জন্যে লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে ভাবার সময় থাকে না শাসকদলের। সেই জন্যেই বাজেট বক্তৃতায় শিশুদের কথা খুঁজতে গেলে দূরবিন প্রয়োজন। তবে চশমা ছাড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবারের বাজেটের বিশালাকার অক্ষরের ভীষণ চমক ‘ভিশন ২০৩০’। আজ থেকে এগারো বছর পর দেশ ঠিক কোথায় পৌঁছবে তার চালচিত্র। দশ ট্রিলিয়ন (একের পর তেরোটা শূন্য) ডলারের অর্থনীতি বোঝাতে আলোচনা করা হয়েছে দশটি মূল বিষয়ের। পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে উন্নত পরিকাঠামোর কথা আছে, আছে সবার ডিজিটাল ইন্ডিয়া। আছে ভারতকে পরিচ্ছন্ন এবং দূষণমুক্ত করার কথা। শিল্পায়নের জন্যে আছে “মেক ইন ইন্ডিয়া”। এটা অবশ্যই ভবিষ্যতে রাখতে হবে, কারণ গত ছাপ্পান্ন মাসে ভারত ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ই রয়ে গেছে। ভোটমুখী ভবিষ্যতের চটজলদি রচনা লিখতে গিয়ে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর গল্পও আছে বড় করে। কোথাও কিন্তু আজকের শিশুদের কথা নেই। বাজেট প্রস্তুতকারক সংস্থা বেমালুম ভুলে গেছে যে ২০৩০ এর যুবকদের একটা বড় অংশকেই আজকের শিশুদের বাদ দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানের সাত থেকে সতেরো ২০৩০ সালে আঠারো থেকে আঠাশ হবে। তখন তারাও ভোট দেবে। আজকের দিনে তাদের দেখতে না পাওয়াকেই বলে ‘দূরদৃষ্টিতে ছানি’।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত
22nd  February, 2019
বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

 গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন।
বিশদ

মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

15th  February, 2019
রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
স্মার্ট সিটি এবং সুশাসন
রঞ্জন সেন

স্মার্ট হওয়া ভালো, কিন্তু আরও ভালো হল সুশাসিত হওয়া। আর এটা হয় না বলেই রাতারাতি স্মার্ট বলে দেগে দেশের স্মার্ট সিটিগুলিতে হঠাৎ প্রয়োজনে জরুরি পরিষেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে তার প্রশস্ত রাজপথে চরে বেড়ায় গোরু। তার পরিণতিতে মানুষের প্রাণও যায়।
বিশদ

12th  February, 2019
ভোটের কৈফিয়ত
পি চিদম্বরম

একটা আত্মবিশ্বাসী সরকার স্বাভাবিক অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করত আর এটাই করা উচিত, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের মতো জিনিসটার ঘাটতি রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মধ্যে। শুধু বিজেপি এমপিদের বিষণ্ণ মুখগুলোর দিকে তাকান বিশেষত যাঁরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন এবং আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।
বিশদ

11th  February, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

10th  February, 2019
হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
একনজরে
 ইসলামাবাদ, ১৬ ফেব্রুয়ারি: ইমরান খান জমানায় নয়া পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত জঙ্গি। ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। এহেন হাফিজ সইদ এবার সাংবাদিকতার পাঠ দেবে। লাহোরে এই নতুন স্কুল ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আগামীকাল, সোমবার শীতলা মায়ের স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাবে উত্তর হাওড়া। প্রতি বছরই এই দিনে মাইক ও ডিজে’র দাপটে বাসিন্দারা ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে শহরজুড়ে পোস্টার দিল সিপিএম। বিভিন্ন মোড়ের পাশাপাশি সরকারি কার্যালয়ে হলুদ কাগজের উপর কালো কালিতে লেখা পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে জানতে চাওয়া হয়েছে, জনগণের উন্নয়নের টাকায় কেন বিলাসবহুল গাড়ি কেনা হল?  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোয়েস ইস্ট বেঙ্গল এফসি এবার বিদেশের মাটিতে অফিসিয়াল মার্চেন্ডাইজ বিক্রি করবে। ক্লাবের জার্সিসহ বিভিন্ন স্মারক বিক্রি করা হবে। কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগে সামিল বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ও লন্ডন শারদ উৎসব।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৭০ টাকা ৯২.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৮.৯৫ টাকা ৮২.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৯৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, দ্বাদশী ৪/৫৭ দিবা ৮/১০ পরে ত্রয়োদশী ৫৬/৩৮ রাত্রি ৪/৫১। পুনর্বসুনক্ষত্র ২৬/২৫ অপঃ ৪/৪৬। সূ উ ৬/১১/২৯, অ ৫/৩০/৫০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৫২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/১৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ত্রয়োদশী রাত্রি ২/৩৩/১৫। পুনর্বসুনক্ষত্র ২/১৩/৫৩, সূ উ ৬/১২/৫৭, অ ৫/২৮/১২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭/৫৮ থেকে ৯/৫৮/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১০/১০ থেকে ৮/৫২/৮ মধ্যে, বারবেলা ১০/২৬/১১ থেকে ১১/৫০/৩৪ মধ্যে, কালবেলা ১১/৫০/৩৪ থেকে ১/১৪/৫৯ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬/১০ থেকে ৩/১/৪৬ মধ্যে।
১১ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিবাহ যোগ আছে। বৃষ: কোনও উচ্চতর পদের জন্য ডাক আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল- চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র 

07:10:04 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ১- চার্চিল ব্রাদার্স ১ (৭৮ মিনিট) 

06:52:14 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ০- চার্চিল ব্রাদার্স ১ (৬৮ মিনিট) 

06:42:37 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ০- চার্চিল ব্রাদার্স ০ (বিরতি) 

06:00:22 PM