Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অন্নদাতা না ভোটব্যাঙ্ক!
মোশারফ হোসেন

সালটা ছিল ১৯০১। আঠাশ বছর বয়সি এক সুঠাম যুবক কলকাতা থেকে বরিশালের চাখার গ্রামের দিকে চলেছেন। সেখানেই তাঁদের বেশ কয়েক পুরুষের বসবাস। যুবকটি এর আগে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে একইসঙ্গে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের পাশাপাশি আইনও পাশ করেছেন। কিছুদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক হিসেবে কাজ করলেও অল্পদিনের মধ্যেই তা ছেড়ে আইন ব্যবসাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জুনিয়র হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছেন। অল্পস্বল্প সুনামও অর্জন করেছেন।
সেদিন সেই ঝকঝকে যুবকটি বরিশালের দেহেরগতিতে সবে খেয়া পার হয়েছেন। ওখান থেকে তাঁর গ্রামের বাড়ি খুব দূরে নয়। অনেকদিন বাদে ফিরছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা হবে। উৎফুল্ল মন। খেয়া নৌকা থেকে নেমে সামান্য এগতেই একটা শিশুকণ্ঠে তীব্র কান্নার আওয়াজ কানে পড়ল। তাকিয়ে দেখলেন, কিছুটা দূরে নদীতীরের একটা কুঁড়েঘরের সামনে ছোটখাটো ভিড়। মনে হল শিশুর কান্নার শব্দটা ওখান থেকেই আসছে। কৌতূহলী যুবক জোরে পা চালিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই কুঁড়েঘরের সামনে পৌঁছে গেলেন। দেখলেন, গরিব পরিবারের সংসারের যা কিছু সম্বল—সামান্য টিনের তোরঙ্গ থেকে শুরু করে তৈজসপত্র, থালা বাসন, ঘটি বাটি, বালতি কড়াই, লাঙল, কোদাল, কাস্তে প্রভৃতি সমস্ত কিছু উঠোনের এক পাশে জড়ো করা রয়েছে। আর, সাত-আট বছরের একটি শিশু মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। তার খালি গা। তবে দু’হাত দিয়ে শক্ত করে বুকে চেপে রেখেছে ছোট্ট একটা কাঁসার থালা। ওই থালাটি কেড়ে নিতে থানার পেয়াদা জোরাজুরি করতে গেলেই সে প্রতিবাদ জানিয়ে চিৎকার করে কাঁদছে। ওই থালাটুকু না নেওয়ার কাতর আর্জি জানিয়ে শিশুটির বাবা-মা পেয়াদাকে অনুনয় বিনয় করছে। কিন্তু পেয়াদার হম্বিতম্বি থামছে না। ওদের ঘিরে জড়ো হওয়া জনতা নীরবে ঘটনাটি উপভোগ করছে। শহুরে পোশাক-আশাক পরিহিত আগন্তুক যুবককে দেখে শিশুটির আশঙ্কা যেন আরও বেড়ে গেল। সে আরও তীব্রস্বরে কাঁদতে লাগল। জনতাও খানিকটা সরে দাঁড়াল। পেয়াদাকে প্রশ্ন করে যুবকটি জানতে পারলেন, কুটিরের বাসিন্দা লোকটি এক গরিব চাষি। দেনার দায়ে তার সর্বস্ব ক্রোক হয়েছে। সেগুলি নিতেই লোকজনসহ পেয়াদা এসেছে। চাষির ঘরের বাকি সমস্ত সামগ্রী বিনা বাধায় হস্তগত হয়েছে। বাকি কেবল ওই ছোট্ট থালাটি। শিশুটি ওই ছোট্ট কাঁসার থালাটি কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নয়। কারণ, ওই থালাতেই সে রোজ খায়।
শিশুটির কান্না যুবকের হৃদয়ে অদ্ভুত মোচড় দিল। তিনি তৎক্ষণাৎ নিজের পকেট থেকে চাষির সেই ঋণের টাকা মিটিয়ে দিলেন। পেয়াদার হম্বিতম্বি বন্ধ হল। আর, প্রিয় থালাটি কাছে রাখতে পেয়ে শিশুর মুখে হাসি ফুটল। গ্রামের বাড়িতে ফিরলেও নদীতীরের ঘটনাটি অস্থির করে তুলেছিল চাখারের সেই যুবকটিকে। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন, যে ভাবেই হোক, বাংলার গরিব কৃষকদের তিনি মহাজনি ঋণের ফাঁস থেকে মুক্ত করবেন। কয়েকদিনের মধ্যেই বরিশাল শহরে গিয়ে সটান দেখা করলেন আধুনিক বরিশালের নির্মাতা অশ্বিনীকুমার দত্তের সঙ্গে। অশ্বিনীকুমার সেসময় ওই এলাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী ও সম্মাননীয় কংগ্রেস নেতা। বরিশাল পুরসভার চেয়ারম্যান। যুবকটি নিজের পরিচয়সহ কয়েকদিন আগের ঘটনাটি বিবৃত করলেন। বললেন, গরিব চাষির দুঃখ ঘোচানোর কিছু আমি কিছু করতে চাই। কোন পথে যাব, উপদেশ দিন। অশ্বিনীকুমার বললেন, রাজনৈতিক নেতারাই পারেন এমন সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে। তাঁরাই আইনসভার সদস্য হন। আইন কানুন বানান। তোমার লক্ষ্যপূরণের জন্য রাজনীতির ময়দানই সঠিক পথ। প্রবীণ নেতার বক্তব্য যুবককে প্রচণ্ড প্রভাবিত করল। তিনি রাজি হলেন রাজনীতিতে নামতে। অশ্বিনীকুমার দত্তের আশীর্বাদে অল্পদিনের মধ্যেই যুবকটির জীবনের মোড় ঘুরে গেল। ভোটে দাঁড়িয়ে বরিশাল পুরসভার কমিশনার নির্বাচিত হলেন। কিছুদিনের মধ্যে জেলা বোর্ডের সদস্যও। আরও পরে নিজের প্রতিজ্ঞাপূরণের লক্ষ্যে সেদিনের যুবকটি একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম দিয়েছিলেন। নাম কৃষক প্রজা পার্টি। দলটির নির্বাচনী প্রতীক ছিল লাঙল। দলের প্রধান স্লোগান—‘লাঙল যার, জমি তার, ঘাম যার, দাম তার’। অল্পদিনের মধ্যেই কৃষিপ্রধান বাংলায় ওই দলটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তিনি একবার কলকাতার মেয়র ও পরে ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ( সেসময় মুখ্যমন্ত্রী পদটি ওইনামেই অভিহিত হতো) পদে আসীন হন। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই প্রথম যে উল্লেখযোগ্য কাজটি করেছিলেন, তা হল ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন। এই বোর্ডের মাধ্যমেই দীর্ঘকালীন মহাজনি ঋণের ফাঁস থেকে বাংলার গরিব কৃষকদের মুক্তির দিশা মেলে। এই মানুষটির নাম এ কে ফজলুল হক। বাংলার বাঘ আশুতোষের প্রিয় এই ছাত্র নিজেও একসময় ‘শের এ বাংলা’ অভিধায় ভূষিত হয়েছিলেন। শোনা যায়, ‘প্রিয় স্যার’ আশুতোষের পুত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রথমবার মন্ত্রী হওয়ার পিছনে ফজলুল হকের বিশেষ ভূমিকা ছিল। পরবর্তীকালে ভিন্ন দুই দলের নেতা হিসেবে দু’জনে বাংলায় যৌথ সরকার গড়েছিলেন যা শ্যামা-হক সরকার বলে পরিচিতি লাভ করেছিল।
সেই ১৯০১ সালের পর শতাধিক বছর কেটে গিয়েছে। দেশ সত্তর বছরেরও বেশি স্বাধীন। কিন্তু ঋণের ফাঁস থেকে কৃষকের সত্যিকারের মুক্তি আজও ঘটেনি। দেনার দায়ে দেশে প্রতিবছরই বেশ কয়েক হাজার কৃষককে আত্মহত্যা করতে হয়। ভোটের পর ভোট আসে। কৃষককে নিয়ে রাজনীতি হয়। তাদের সমর্থন নিয়ে দড়ি টানাটানি চলে। ভোট চলে যায়। কারও বিদায় ঘণ্টা বাজে। কেউ ক্ষমতায় আসে। কিন্তু কৃষককুল প্রায় পুরনো তিমিরেই রয়ে যায়। কারণ, কৃষককে স্থায়ীভাবে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য যে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরি এবং তা রূপায়ণে কঠোর নিষ্ঠা প্রয়োজন, তার অভাব রয়েই যায়। এর জন্য গভীর ভাবনা-চিন্তা প্রয়োজন। প্রয়োজন প্রকৃত আন্তরিকতা।
এদিকে, ভোটের দায় বড় দায়। তুলসীপাতার যেমন ছোটবড় বলে কিছু নেই, ভোটের বেলায়ও তাই। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার ভোটের দামই সমান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামনে কোনও ভোট এসে পড়লে রাজনীতির লোকজনের মধ্যে কৃষকপ্রীতি চনমন করে ওঠে। বিপুল সংখ্যক কৃষক পরিবারের ভোটারদের প্রভাবিত করতে ঋণমকুবের দাবি তোলা হয়, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় অথবা ঋণমকুবের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই সহজলভ্য জড়িবুটিতে রোগের সাময়িক উপশম হয় বটে, কিন্তু আসল সমস্যা রয়েই যায়। বরং রোগকে আরও গুরুতর করে তোলে। মরশুমের শুরুতে যথাসময়ে সহজ পথে ঋণ থেকে শুরু করে সুবিধাজনক মূল্যে চাষের উপকরণ জোগানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরবর্তী স্তরে সেচের সুবিধা, উৎপাদিত ফসল লাভজনক মূল্যে সহজে বিক্রির ব্যবস্থা আরও গুরুত্বপূর্ণ। আর, চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সঠিক চাষিটিই যাতে বিমার টাকা অথবা ক্ষতিপূরণ পান, তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়ম কানুনের কিছু সংস্কার জরুরি। নইলে, কেবল নির্দিষ্ট এলাকায় জমি থাকার সুবাদেই ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত-নন, এমন সবাই একইভাবে খয়রাতি পেলে সুবিচার হয় না। আর, ঋণ মকুবের বিষয়টিকে সাধারণ নিয়মে পরিণত করা হলে ঋণ পরিশোধের প্রবণতা কমে। এতে প্রকৃত অসহায় ঋণগ্রস্ত চাষিদের চেয়েও কিছু ধান্দাবাজের পোয়াবারো হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই টোটকায় ভোটের বাক্স হয়তো ভরে, কিন্তু দেশের অর্থনীতির বাক্স খালি হতে থাকে। ব্যাঙ্কের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ না-করা, টাকা মেরে বিদেশ পালিয়ে যাওয়া ধনীরা দেশের শত্রুর পর্যায়েই পড়ে। আর, চাষির সমস্যার স্থায়ী সুরাহা করার উদ্যোগ না নিয়ে কেবল ভোটের লক্ষ্যে তাদের ঋণের ঘায়ে সস্তা মলম লাগানোও প্রকৃত বন্ধুত্বের পর্যায়ে পড়ে না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাড়ে চার বছর ঘুমিয়ে থাকলেও শেষবেলায় হঠাৎ জেগে উঠেছেন। লোকসভা ভোটের কড়া নাড়ার আওয়াজ শুনে বলছেন, কৃষকদের তিনি ‘অন্নদাতা’ ভাবেন।
বড্ড দেরি করে ফেলেছেন মোদিজি! এই বোধোদয়টি খানিক আগে হলে মঙ্গল হতো। আপনার তো বটেই, দেশেরও।
08th  January, 2019
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দুর্নীতিগ্রস্তদের বাড়িতে রেড করতে গেলে তৃণমূল হামলা চালায়: নরেন্দ্র মোদি

03:05:00 PM

আপনাদের স্বপ্নই, আমার সংকল্প: নরেন্দ্র মোদি

03:03:00 PM

বাংলা বলছে ৪ জুন, ৪০০ পার: নরেন্দ্র মোদি

03:02:09 PM

বাম ও তৃণমূল সরকার বালুরঘাটকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে: নরেন্দ্র মোদি

03:02:03 PM

সন্দেশখালির মহিলাদের নির্যাতনের দৃশ্য গোটা দেশ দেখেছে: নরেন্দ্র মোদি

03:02:00 PM

রামনবমী আটকাতে এখানে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে: নরেন্দ্র মোদি

03:01:15 PM