Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রধানমন্ত্রী: আকস্মিক বনাম আত্মঘাতী
শুভময় মৈত্র

‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইটি এবং তার ওপর ভিত্তি করে লেখা সিনেমা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক সম্পর্কে অনেকেই অবহিত। ২০১৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে একটি জীবনী প্রকাশ করেন সঞ্জয় বারু। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঞ্জয়বাবুর যথেষ্ট পরিচিতি আছে। এছাড়াও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ২০০৪ সালের মে মাস থেকে ২০০৮ এর আগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পরামর্শদাতা এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া। এই সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি যে বই লেখেন তাতে পরিষ্কার বলা আছে যে মনমোহন সিংয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বে রিমোট কন্ট্রোল ছিল সোনিয়া গান্ধীর হাতে। বইটি প্রকাশিত হওয়ার সময় বেশ খানিকটা হইচই হয়েছিল। তবে সংবাদমাধ্যমের নিয়মমতোই আস্তে আস্তে সে সব খবর মুদিখানা কিংবা চপ-মুড়ির শৈল্পিক ঠোঙায় বিলীন। বইটির খবর মোটামুটি ভুলেই গিয়েছিল ভারতের জনগণ। একথা মানতেই হবে সুখপাঠ্য বইটিতে নতুন খবর তো বিশেষ কিছু ছিল না। মনমোহন সিং-এর রাজনৈতিক কার্যকলাপে যে সোনিয়া গান্ধীর প্রত্যক্ষ নির্দেশ থাকবে এতে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। স্বাধীনতার আগে পরে সব সময়েই কংগ্রেসের সমর্থক এবং অনুগামীরা নেতৃত্বের জন্যে গান্ধীদের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে গান্ধী কখনও মহাত্মা, কখনও বা পদবিতে নেহেরু, আর তারপর থেকে পুরোটাই ইন্দিরা-রাজীব-সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা-রাহুল। আগের নরসিমা রাও বা ভি পি সিংয়ের মতো আজকেও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বা শচীন পাইলট আছেন। কিন্তু সব মিলিয়ে কংগ্রেস সামনের লোকসভা নির্বাচনে ভালো সংখ্যক আসন পেলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা রাহুল গান্ধীর-ই। তাঁর মা বিদেশে জন্মানোর কারণে সেই কেদারায় বসতে পারেননি। ২০০৪ সালে দূরদর্শনের সরাসরি সম্প্রচারে সদ্য লোকসভা ভোটে জেতা অভিনেতা গোবিন্দার কান্না নিশ্চয় এখনও অনেকের মনে আছে। সোনিয়াজিকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কাতর আবেদনে কতটা অভিনয় আর কতটা অন্তরের আকুতি সেকথা ঈশ্বরই জানেন। তবে এটা সত্যি যে ২০০৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সর্বময় নেত্রী ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। দলটাকে একজোট করে ভোটে লড়িয়েছিলেন তিনিই। ভোটের পর বামেদের সমর্থনে ন্যূনতম কিছু কর্মসূচির ভিত্তিতে পরপর দুটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে সোনিয়া গান্ধীর অবদান অনস্বীকার্য। সেই হিসেবে নিজে প্রধানমন্ত্রী না হতে পারলে তাঁর সরাসরি প্রভাব যে প্রধানমন্ত্রীর ওপর থাকবে সে অঙ্ক কষতে মহাকাশ বিজ্ঞানী হতে হয় না। শ্রীযুক্ত সঞ্জয় বারুর লেখা বই সেই ইতিহাসের স্বচ্ছ বর্ণনা।
এবার আশা যাক সাম্প্রতিক ঘটনায়। এই বইটি নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে। নতুন বছরে জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখে তা বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এর মধ্যেই তার ট্রেইলার অন্তর্জালে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ছবির পরিচালক বিজয় রত্নাকর গুট্টে। কিন্তু বিষয়টির প্রচার এমনভাবে হচ্ছে যে পরিচালকের নাম সম্ভবত কেউই জানেন না। লেখক সঞ্জয় বারু এই সুযোগে আবার কিছুটা প্রচারের আলোয়, কিন্তু চিত্রনাট্যকারের নাম যে মায়াঙ্ক তেওয়ারি সেটাও অল্পসংখ্যক চলচ্চিত্রপ্রেমী ছাড়া বাকিদের অজানা। তবে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন অভিনেতা অনুপম খের। তিনি একাধারে মনমোহন সিংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, ছবিটির প্রচার করছেন শক্তহাতে এবং সর্বোপরি তিনি আজকের দিনে বিজেপির এক বড় নেতা। ছবির স্বল্পাংশ দেখে বোঝা গেল প্রত্যেকের অভিনয় অসাধারণ। বিভিন্ন চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁদের প্রায় সকলকেই বাস্তবের মানুষগুলির মতো দেখতে লাগছে। কথাবার্তাও একই রকম। ব্যতিক্রম শুধু রাহুল গান্ধী। তাঁর চরিত্রটির চেহারা একেবারেই তাঁর মত দেখতে নয়। অবশ্যই এর রাজনৈতিক কারণ আছে, সে কথায় আমরা একটু পরেই আসছি। প্রচারধর্মী এই ছবিটি থেকে যে ফসল ঘরে তুলতে চায় বিজেপি, তা হল মনমোহন সিং ভালো মানুষ। তাঁর আড়ালে কলকাঠি নাড়া গান্ধী পরিবার (পড়ুন সোনিয়া গান্ধী) ক্ষমতা দখলের জন্যে লালায়িত। অর্থাৎ এই ছায়াছবি গান্ধী পরিবার বিরোধী একটি প্রচার।
কিন্তু বিজ্ঞাপনের জগতে একটা কথা খুব চলে, তা হল যে-কোনও বিজ্ঞাপনই ভালো বিজ্ঞাপন। অর্থাৎ যেখানে প্রচারটাই মুখ্য বিষয় সেখানে আসল প্রশ্ন হল জনমানসে উপস্থিতি প্রকট কি না। চরিত্রটিকে ভালো কিংবা খারাপ ভাবে দেখানোর ব্যাপারটা গৌণ। সেই হিসেবে এই ছবিতে গান্ধী পরিবার যথেষ্ট প্রচার পাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে প্রচারধর্মী ছবির মাধ্যমে বিজেপির মূল উদ্দেশ্য যদি সফল না হয় তাহলে কিন্তু সম্পূর্ণ প্রয়াসটাই আত্মঘাতী। সে ব্যাপারে বিজেপি অবশ্যই সচেতন। তারা ভালোই জানে যে এই ছবিতে সোনিয়া গান্ধীকে খলনায়িকা হিসেবে দেখানো গেলেও রাহুলকে ততটা বড় খলনায়ক হিসেবে দেখানো শক্ত। সন্তানের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চাইছে কুচক্রী মা, এটাই সারমর্ম। ফলে মায়ের চরিত্র অবশ্যই নেতিবাচক। কিন্তু তার ছেলের চরিত্রকে একইরকম নেতিবাচক দেখাতে হলে ছবিতে সেই চরিত্রের ধার থাকত অনেক বেশি। বিজেপি জানে যে এই মুহূর্তে সোনিয়া গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কিন্তু রাহুলের আছে। তাই এই ছবিতে রাহুলের গুরুত্ব একটু কম রাখা হয়েছে, চেহারাও তার মত নয়। সব মিলিয়ে রাহুল বিরোধিতা কিংবা রাহুলের অস্তিত্বের মাত্রা এখানে কম থাকারই কথা। অর্থাৎ অভিনেতার চেহারা রাহুলের মত হলে প্রচারের তীব্রতায় পুরোটাই ব্যুমেরাং হয়ে যেতে পারে সে কথা বুঝেছেন এই ছবির কর্মকর্তারা। তাই ‘আকস্মিক প্রধানমন্ত্রী’ ছবিতে রাহুলের ভোলবদল যুক্তিগ্রাহ্য এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকের দৃষ্টিভঙ্গিতে মোটেই তা সমাপতন নয়। ছবিটির পিছনে স্পষ্ট চিন্তন দলের অনিবার্য উপস্থিতি।
একশো তিরিশ কোটির দেশে যে-কোনও কিছুতেই এক হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। ফলে যে-কেউ প্রধানমন্ত্রী হলেই তা ‘‘আকস্মিক’। সেটা মনমোহনই হোন কিংবা নরেন্দ্র মোদি। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কিন্তু ক্ষমতা প্রায় অসীম। ভারতের মতো বিশাল দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর একজন প্রধানমন্ত্রীর দেশকে দিশা দেখানোর সুযোগ থাকে অগাধ। মনমোহন সিং সৎ, গুণী এবং বিদ্বান মানুষ। ধরে নেওয়া যাক তাঁর আমলে ভালো কাজ কিছু হয়নি। প্রচারধর্মী ছবিতে তো বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছেই যে তার কারণ সোনিয়া গান্ধী। অর্থাৎ মনমোহন ভুল করে ক্ষমতা হারালেও সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আগে ‘আত্মঘাতী’ পদবি যোগ করা যাবে না। মোদির ক্ষেত্রে দায় কিন্তু পুরো নিজের। সেখানে দলের মধ্যে অমিত শাহকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর অধিকার একশো শতাংশ। পিছন থেকে পুতুল নাচানোর মতো কোনও শক্তি সেখানে নেই। আদানি, আম্বানিরা যেটুকু আছেন সেটুকু সব রাজত্বেই থেকে থাকে, তাদেরকে এর বেশি গুরুত্ব দেওয়া ঠিক হবে না। সেই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠবেই যে দেশের প্রধানমন্ত্রী এত বেশি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কেন? আধার তো কংগ্রেস আমলের। তাকে জনগণের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টায় ব্রতী তাঁর সরকার। জিএসটি-র অনেকটা কাজও কংগ্রেসের আমলে হয়েছে। চটজলদি সেটা লাগু করে দেশের মাঝের সারির ব্যবসায়ীদের বিপুল ঝামেলায় ফেলেছেন এই প্রধানমন্ত্রী। রাফেল কেনাকাটার শুরুও কংগ্রেস আমলে। তার দাম নিয়ে গন্ডগোল করে এখন পিছনের পায়ে ছাপান্ন ইঞ্চির ছাতিওলা দেশনেতা। কালোটাকা ফিরিয়ে প্রত্যেক দেশবাসীকে পনেরো লক্ষ দেওয়ার গল্প নোটবাতিলের ধাক্কায় চুটকির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী একটু ভাবলেই দেখবেন যে কমনওয়েলথ গেমস বা থ্রি-জি’র কেলেঙ্কারিতে বিপর্যস্ত কংগ্রেস ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর তাঁর সামনে অন্তত দুটো পাঁচ বছরের রাজত্ব রেকাবিতে সাজিয়ে রাখা ছিল। কিন্তু প্রথমটাতেই যতটা ঘেঁটে গেল, তাতে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয়টার সম্ভাবনা কমছে অনেকটা। আকস্মিক প্রধানমন্ত্রীর পিছনে সোনিয়া গান্ধীর কলকাঠি নাড়ার প্রচারধর্মী ছবি একগাদা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রধানমন্ত্রীকে কতটা বাঁচাতে পারে সেটাই এখন দেখার।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত
05th  January, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাই ৪/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ লখনউ)

07:34:19 PM

আইপিএল: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত লখনউয়ের

07:13:38 PM

দীঘার সমুদ্র সৈকতে মিলল নীল ডলফিন!
টিভি বা সিনেমার পর্দায় নয়, নীল রঙের বিরল প্রজাতির ডলফিনের ...বিশদ

06:36:06 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে ৫৯.০২ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৫.০৮ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৩.২৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৪.৮৫ শতাংশ, মণিপুরে ৬৭.৬৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬৯.৯১ শতাংশ, মিজোরামে ৫২.৭৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫৫.৭৯ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৭২.৮৪ শতাংশ ও রাজস্থানে ৫০.২৭ শতাংশ, সিকিমে ৬৮.০৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে ৫৬.৮৭ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ৬৩.৪৪ শতাংশ, অসমে ৭০.৭৭ শতাংশ, বিহারে ৪৬.৩২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৬৩.৪১ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM