Bartaman Patrika
সম্পাদকীয়
 

পুজো আসছে, বাজার চড়ছে:
এই ট্রাডিশন কি চলতেই থাকবে!
শুভা দত্ত

চারটে হাইব্রিড আধ-কাটা রজনীগন্ধার ছোট মালা, বেল কুঁড়ির ছ’ইঞ্চি সাইজের দশটা মালা আর চার-পাঁচটা জবা কুঁড়ি সঙ্গে একটু বেলপাতা তুলসীপাতা কুচো ফুল—দাম তিনশো কুড়ি টাকা! হ্যাঁ, এই দামেই গত বৃহস্পতিবার আমার এক বন্ধুকে শ্যামবাজারের ফুল দোকানে এই দাম চোকাতে হয়েছে! যুক্তি কী? না কোনও তেমন যুক্তি নেই। ফুল দোকানির সাফ কথা, আমরা কী করব? পাইকাররা বলে দিয়েছে দু’দিন লুটব—বৃহস্পতি আর শুক্র! কেনও? না জন্মাষ্টমী। ভাবুন একবার! এমনিতে যে ফুলমালা বেলপাতাটুকুর দাম ৫০-৬০ টাকা ছাড়াবে না, জন্মাষ্টমীর জন্য তাই তিনশো প্লাস! প্রকৃত অর্থেই কি এটা লুটে নেওয়া নয়!? কিন্তু, পুজো অর্চনার বাধ্য-বাধকতায় আম বাঙালিকে এই লুট ওই দুদিন কার্যত মুখ বুজেই সইতে হল। আজ বলে নয়, প্রতি বছরই উৎসব অনুষ্ঠান কি পুজোগণ্ডার মুখে এমন অত্যাচার সইতে হয় সাধারণ মানুষজনকে। এবং এটা যেন একটা রেওয়াজই হয়ে গেছে। আলাদা করে বলারই আর অপেক্ষা রাখে না। কারণ, একটা কোনও উপলক্ষ পেলেই ফড়ে-পাইকারদের একাংশের যথেচ্ছ দাম বাড়িয়ে মোটা মুনাফা লোটার এই প্রবণতা তো নতুন নয়। সেই কোন কাল থেকে বছরের পর বছর চলে আসছে। আমাদের পুজো-পার্বণের এ এক চেনা ছবি। আজ এটুকুই বলা যেতে পারে যে, দিন যত গিয়েছে তাদের এই চটজলদি মুনাফা লোটার প্রবণতা এবং তার ব্যাপ্তি সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। কারণ, দামের ভয়ে ভক্তিপ্রাণ বাঙালি তো পুজো-আচ্চা তুলে দিতে পারে না। তাই ফি-বছর পুজোর মুখে ফড়ে-পাইকারদের ওই চড়া দামের অত্যাচার তাঁদের সইতেই হয়। সে অত্যাচারের মাত্রা বাড়লে ভুক্তভোগীদের দুশ্চিন্তা বাড়বে না! জানি না অন্য দেশ-রাজ্যে পুজো উৎসবের দিনে এমন হয় কি না! কিন্তু, আমাদের রাজ্যে হয় এবং হয়েই চলেছে। আর সে জন্যই আজ একটা বিস্ময় মেশানো প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ বাঙালির ঘরে ঘরে—পুজো আসছে, বাজার চড়ছে: এই ট্র্যাডিশন কি চলতেই থাকবে!?
এই প্রশ্ন বৃহস্পতি-শুক্রবারের জন্মাষ্টমীর চড়া ফুলবাজার দেখেই উঠে পড়ল এমন ভাবলে ভুল হবে। নিশ্চয়ই সেটা একটা কারণ। কিন্তু সেটাই একমাত্র কারণ নয়। একটু লক্ষ করলেই দেখবেন, প্রতি বছর ঠিক এই সময়, মানে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর মুখে নানা অছিলায় কেবল ফুল-বেলপাতা নয়, শাক-সব্জি, ফলমূল থেকে যাবতীয় জিনিসপত্রের দাম ধকধক করে বেড়ে যায়! শুধু তাই নয়, গত কয়েক বছর শুনছি দুর্গাপুজোর অব্যবহিত পরে লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজার থেকে তাজা শাক-সব্জি, ফলমূল সব নাকি হাওয়া হয়ে যায়! তার জায়গা নেয় নিকৃষ্টমানের জিনিসপত্তর। পুজোর তাগিদে আগুন দামে সেই অতি নিকৃষ্ট মানের শাক-সব্জি ফলমূল কিনতে বাধ্য হন মানুষ! কেন এমন হয়? এর পিছনেও নাকি ফড়ে-পাইকার-মজুদদারদের কারসাজি! ওরা জানে, পুজোর মরশুমে চাহিদা থাকে তুঙ্গে। বাজারে পুজোর কাঁচা আনাজ ফলমূলের মতো সরঞ্জাম বিকোতে সময় যাবে না। ভালো মনোমতো না পেলেও লোকে পুজোর সামগ্রী কিনবেন। অন্য সময় মনের মতো জিনিস না পেলে যে মানুষটি না কিনে চলে যেতে পারেন পুজোর সময় পারবেন না। তাই, ভালো মালটা স্টোরে রেখে সেখানে জমানো যাবতীয় হাবিজাবি বাজারে চালান করে দেয় ওই মুনাফাবাজেরা, সঙ্গে লাগায় চড়া দাম। লাভ দু’দিকে—চড়া দামে চড়া মুনাফা সঙ্গে যে জিনিস রোজকার বাজারে বিকোনো মুশকিল হতো তা বিকিয়ে গেল অনায়াসে! কী মজা বলুন! অন্যদিকে, আর একটা যুক্তিও আছে—বৃষ্টি। আমাদের জাতীয় উৎসব দুর্গাপুজো আসে বর্ষার অব্যবহিত পর শরতের নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা ভাসিয়ে। কিন্তু বিশ্বজোড়া উষ্ণায়ন ও দূষণবিষে নাজেহাল প্রকৃতির ছন্দে এখন অনেক সময়ই তাল ঠিক থাকছে না। ফলে, বিলম্বিত বর্ষা ঢুকে পড়ছে শরতের আঙিনায়। শরতের নির্মেঘ আকাশেও জমা হচ্ছে ঘন কালো বজ্রবিদ্যুৎ ভরা মেঘ আর তার অঝোর বর্ষণে বানবন্যার মতো সমস্যা অব্দি ঘনাচ্ছে! তাতে ফসলেরও যে কিছু ক্ষতি হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। এবার এই ভরা ভাদ্রে তেমনই দেখা যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারও কলকাতা মহানগরী সমেত রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে জোর বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু, এবার দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা অনেক দেরিতে ঢুকেছে। আষাঢ়, শ্রাবণের বেশির ভাগটাই ছিল মোটের ওপর শুখা। উত্তরবঙ্গে অবশ্য তখন বৃষ্টি হয়েছে নাগাড়ে। অসম, ত্রিপুরার মতো পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তো রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কোথাও কোথাও বন্যাও হয়ে গেছে! কিন্তু আমাদের কলকাতায় বৃষ্টি ছিল ছিটে-ফোঁটা! তখন শুনেছি, বাজারে বলা হচ্ছিল, এবার পুজোয় শাক-সব্জি, ফলমূল কিস্যু মিলবে না। মিললেও যা দাম হবে...! কেন? কেন কী? দেখছেন না কী ভয়ঙ্কর রোদ। বৃষ্টির ছিটে-ফোঁটা নেই! মাঠ তো ফুটিফাটা, জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে গেছে ধান-সব্জি-ফল-ফলারির চাষ। বাজারে আসবে কী, আসবে কোত্থেকে?
সত্যি, কথাটায় যুক্তি আছে। সেই যুক্তির খোঁচায় আম বাঙালির মনে সেই সময় থেকেই এবারের লক্ষ্মীপুজো, ভাইফোঁটা নিয়ে খুচখুচ চিন্তার প্রবেশ। ভাইফোঁটা কারণ, বৃষ্টিবিহীন দিনের মাছ বাজারেও তখন ভাটির টান। ভালো মাছ নেই। আষাঢ় শ্রাবণ চলে যাচ্ছে ইলিশ দূরস্থান, সামান্য রুই কাতলাও নেই তেমন! যা আছে ছোট-বড় সবই ফর্মালিনে চোবানো সাদাটে সাতবাসি। আর দাম সে তো চড়েই আছে। কী হবে? হল। শেষ অব্দি শ্রাবণের একেবারে শেষে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি এল দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতার সুখ্যাত জায়গাগুলোতে জলও জমল। কখনও জোড়া, কখনও একক নিম্নচাপের জেরে, তারপর থেকে গত বৃহস্পতিবার অব্দি বৃষ্টির রেশ চলল ভালোই। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে তারপরও বৃষ্টি আছে। হচ্ছে এবং হবে। অনেকে বলছেন, এই বৃষ্টি এবার পুজো না দেখে যাবে না। অন্যদিকে, পুবালি বাতাস উঠতে ইলিশও এল বাজারে। সব মিলিয়ে ভাদ্রের শুরুতে খিচুড়ি, ইলিশে বর্ষার মৌজ বেশ ভালো মতোই ঢুকে পড়ল বাঙালির হেঁশেলে। আমরা ভাবলাম— যাক বাবা, বাঁচা গেল। শুখার হাত থেকে রেহাই। পুজোতে এবার অন্তত তরতাজা শাক-সব্জি, ফলমূল, মাছ সব মিলবে। দাম একটু হয়তো বেশি হবে, হোক। সে আমাদের গা-সওয়া। একেবারেই না মেলা বা পচাধচা মেলার চেয়ে সে ঢের ভালো। কিন্তু, সেখানেও গেরো! অসময়ের বৃষ্টি! আর তাতেই নাকি সাড়ে সর্বনাশ হচ্ছে ফল-ফসলের এবং তার জেরে পুজোর বাজারে তার টানাটানি পড়ার ঘোর সম্ভাবনা। বোঝো কাণ্ড! বৃষ্টি না হলে বিপদ, বৃষ্টি হলেও বিপদ! তাহলে আমরা যাই কোথায়? প্রকৃতিদেবীই বা কী করেন? কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে আধুনিক চাষবাস, সেচ প্রযুক্তি—কিছুই কিছু না। সময়ে বৃষ্টি, শুধু সময়ে হলেই হবে না মাপমাত্রা বজায় রেখে বৃষ্টি (আজকের এই দূষণ-জর্জর পৃথিবীতে যা ক্রমশ দুর্লভ হচ্ছে) না হলে পুজো উৎসবের দিনে এমন ভোগান্তি চলতেই থাকবে? উত্তরটা এখনও মেলেনি।
এর মধ্যেই সঙ্কট ঘনীভূত করতে ঢুকে পড়েছিল মাল পরিবহণে ধর্মঘট। এটাও অনেকটা যেন ট্র্যাডিশনের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুজোর আগ দিয়ে ভাড়া বাড়ানোই হোক কি ড্রাইভার কর্মীদের নিরাপত্তা কোনও একটা অজুহাতে ধর্মঘট ডাকাটা বহুদিন যাবৎই দেখা যাচ্ছে একটা রেওয়াজের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন ধর্মঘট হলে সেই অছিলায় রাতারাতি বাজারে যাবতীয় জিনিসপত্রের দাম চড়ে যায়, রান্নার গ্যাস, কেরোসিন জোগানেও টান পড়ে—আর সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে বাংলার সাধারণ মানুষের ঘরে। দামের আগুন, ঘর-গেরস্তালির পুজো-পার্বণের জিনিসপত্র পাওয়া নিয়ে চিন্তা, দুশ্চিন্তা এবং তার সঙ্গে ঘরে-বাইরে নানান টানাপোড়েন—বাঙালির সংবৎসরের উৎসবের আয়োজন উদ্‌঩যোগ আনন্দকে হাজার একটা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। সে পাড়ার পূজার উদ্যোক্তাই হোন (কর্পোরেট মার্কা ঢাউস পুজোর কথা বলছি না) কি নগর মহানগর গ্রাম-গ্রামান্তের গরিব মধ্যবিত্তজন—চিন্তার ভাঁজ পড়ে সকলের কপালেই। এত এত বছরেও এই চিন্তার হাত থেকে মুক্তি মিলল না বাঙালির! পুজো আসছে, বাজার চড়বে: এই ট্র্যাডিশন চলেই চলেছে। এবার তো আবার অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ থেকে দেশে আর্থিক মন্দার পূর্বাভাস মিলছে। মোদিজি বা তাঁর সরকার তা স্বীকার না করলেও একটা কাঁটা খচখচ করবেই দেশজনতার মনে।
তা সত্ত্বেও মহামায়া মা দুর্গা, মা লক্ষ্মী, কি মা কালী, মা জগদ্ধাত্রীর বাৎসরিক আরাধনায়, তাঁদের নিয়ে আনন্দযজ্ঞের আয়োজনে বাঙালি এবারও নিশ্চিতভাবেই মাতোয়ারা হবে। কারণ একটাই, বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত ভক্তিপ্রাণ উৎসব প্রিয় আবেগ। এই আবেগের উচ্ছ্বাসেই প্রতিবছর ঝড়-জল-বৃষ্টি-বন্যা-খরা থেকে আর্থিক মন্দা, বাজারে দামের চোখরাঙানির মতো যাবতীয় প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেও বাঙালি শারদোৎসবের আয়োজনে অবিচল এককাট্টা থেকেছে—এমনকী, এই হাইটেক মোবাইল বন্দি যুগেও! এটা কম বড় কথা নয়। এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না এটা হলফ করে এখুনি বলে দেওয়া যায়। কিন্তু, আগুনে বাজার—তা কী হবে!
উৎসবের আনন্দ-পথে সবচেয়ে বড় কাঁটাটা তো সেখানেই—তাই না?
25th  August, 2019
মানবসম্পদ সৃষ্টির ব্যর্থতা

জনসংখ্যা নিয়ে মত দু’রকম। একদল মানুষ একটি দেশে জনসংখ্যা কম রাখার পক্ষে। তাঁরা মনে করেন, স্বল্প সংখ্যক মানুষকে সহজেই পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত মানের পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া সম্ভব। অন্য পক্ষের বক্তব্য, বেশি জনসংখ্যা কোনোভাবেই অগ‍্রগতির অন্তরায় নয়, বরং অনেকাংশে সহায়ক। বিশদ

অবশেষে আশার আলো

রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত স্বাধীন ভারতের আদি সমস্যা। মোদিযুগে সেটা ভয়ংকর খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে। সংঘাতের কেন্দ্রে একাধিক বিষয়।
বিশদ

18th  April, 2024
স্বখাত-সলিলে বিজেপি

শাসন ব্যবস্থার যে সংসদীয় গণতান্ত্রিক মডেল ভারত গ্রহণ করেছে, সেখানে বিভিন্ন স্বীকৃত রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারে। দলবহির্ভূত নাগরিকও প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারেন ‘নিদল’ প্রার্থী হিসেবে। বিশদ

17th  April, 2024
ব্যক্তিপুজো!

বিক্রির নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সবচেয়ে মূল্যবান ‘ম্যাজিক পণ্য’ যে নরেন্দ্র মোদি, আর একবার যেন তা বুঝিয়ে দিল বিজেপি। কেন একথা উঠছে? নির্বাচন এলে জাতীয়, আঞ্চলিক প্রায় সব দলই ইস্তাহার প্রকাশ করে। সেটাই দস্তুর। বাংলা নববর্ষের দিন, সংবিধানপ্রণেতা আম্বেদকরের জন্মদিনকে স্মরণে রেখে রবিবার সেই ইস্তাহার প্রকাশ করেছে দেশের শাসকগোষ্ঠী।
বিশদ

16th  April, 2024
শুরুর মুহূর্তেই অশুভ ইঙ্গিত

সাধারণ নির্বাচনের জন্য দেশজুড়ে ভোট নেওয়া হবে মোট সাত দফায়। প্রথম দফার ভোট গ্রহণের বাকি আর মাত্র তিনদিন। তামিলনাড়ু-সহ ১৭টি রাজ্য এবং জম্মু ও কাশ্মীরসহ চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি লোকসভা আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে ১৯ এপ্রিল। উল্লেখ্য, এদিন পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৬টি রাজ্যের কিয়দংশ আসনেই ভোট নেওয়া হবে।
বিশদ

15th  April, 2024
কণ্ঠস্বরে কীসের ইঙ্গিত?

ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, হিন্দু ভাবাবেগ উস্কে দিতে তত বেলাগাম হয়ে উঠছেন নরেন্দ্র মোদি! এতদিন তবু দেখা গিয়েছে, হিন্দুধর্ম, তার সনাতনী ঐতিহ্য, রামমন্দিরের মতো বিষয়গুলিকে নিয়ে ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন মোদি। বিশদ

14th  April, 2024
চোরাস্রোত

ভোট মানে জনমত যাচাই। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সেই জনমত যাচাই শুরু হয়ে যাবে গোটা দেশে। দেড় মাস ধরে এই যাচাইয়ের কাজ শেষ হলেই জানা যাবে, দিল্লির মসনদ এবার কার দখলে থাকবে। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট, নাকি বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের হাতে। বিশদ

13th  April, 2024
আদালতের দায়িত্ব বৃদ্ধি

প্রতিষ্ঠার তিনবছরের মধ্যে একটি কোম্পানি কোনও রাজনৈতিক দলকে আর্থিক অনুদান বা চাঁদা দিতে পারবে না। ভারতে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে প্রায় চার দশক যাবৎ। কোম্পানির তরফে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা প্রদানের নিষেধাজ্ঞা কিছু শর্তসাপেক্ষে তুলে দিতে ১৯৮৫ সালে সংসদে ধারা ২৯৩এ সংশোধন করা হয়। বিশদ

12th  April, 2024
দুর্নীতির শিকার রাজকোষ

সারা দেশে একটি আধুনিক কর ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা শিল্প-বাণিজ্য মহল এবং অর্থনীতির পণ্ডিতরা কখনও অস্বীকার করেননি। তবে তাঁদের দাবি ছিল, এই সিস্টেম চালু করতে হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে।
বিশদ

11th  April, 2024
ফাঁকা মাঠে গোলের মতলব! 

বিজেপির ঘোষিত লক্ষ্য দেশকে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ করে তোলা। ‘ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে’ যুদ্ধ ঘোষণা করেই জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখেন নরেন্দ্র মোদি।
বিশদ

10th  April, 2024
কেন্দ্রের ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ নীতি!

‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ আর্থিক কেলেঙ্কারি’ ( কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর বক্তব্য) নির্বাচনী বন্ডের তথ্য ফাঁস হতেই সব অঙ্ক কেমন জলের মতো মিলে যেতে শুরু করেছে! মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান বক্তব্য, অভিযোগের নামে নানা অজুহাতে শুধু বিরোধী নেতা-নেত্রীদের ফাঁসাতে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিশদ

09th  April, 2024
বিলম্বিত বোধোদয়

সোনিয়া গান্ধী এখন অসুস্থ। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি অনেক দিন যাবৎ তেমন নজরে পড়ে না। তবে তিনি যখন রাজনীতিতে ফুলফর্মে এবং দেশজুড়ে কংগ্রেসের সর্বেসর্বা ছিলেন, তখনও তাঁর লোকদেখানো হম্বতম্বি নজরে পড়েনি।
বিশদ

08th  April, 2024
হাস্যকর দাবি

পয়লা এপ্রিল দিনটির কথা মনে রেখেই কি দেশবাসীকে ফের ‘বোকা’ বানানোর চেষ্টা  করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা আরবিআইয়ের এক অনুষ্ঠানে তাঁর লম্বা-চওড়া ভাষণ শুনে তেমন মনে হওয়াই স্বাভাবিক। চলতি বছরে ৯০-এ পা দিল ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। বিশদ

07th  April, 2024
মোদি আমলে নব চেহারায় দুর্নীতি

ভোট এলেই একটা করে নতুন স্লোগান সামনে আনেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে তিনি বলেছিলেন, বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। বিশদ

06th  April, 2024
আত্মরক্ষা অথবা আত্মসমর্পণ

নেহরু-গান্ধী প্রবর্তিত ‘কুশিক্ষা’ ব্যবস্থা নিয়ে বরাবর আপত্তি ছিল গেরুয়া শিবিরের। তাই মোদি সরকার নিয়ে এসেছে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০। কিন্তু বিরোধী দলগুলি তো বটেই, দেশের বহু শিক্ষাবিদ এই নয়া শিক্ষানীতি মেনে নিতে পারেননি। বিশদ

05th  April, 2024
অন্য ‘গ্যারান্টি’ দাবি

ইন্দিরা গান্ধী দেশজুড়ে ইমারজেন্সি জারি করেন ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন। ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’ থেকে দেশকে রক্ষা করার অজুহাতে তিনি প্রয়োগ করেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫২।
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ১৭ রানে আউট গায়কোয়াড়, চেন্নাই ৩৩/২ (৪.২ ওভার)(বিপক্ষ লখনউ)

08:02:13 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট রবীন্দ্র, চেন্নাই ৪/১ (১.১ ওভার)(বিপক্ষ লখনউ)

07:47:07 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ লখনউ)

07:44:56 PM

আইপিএল: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত লখনউয়ের

07:13:38 PM

দীঘার সমুদ্র সৈকতে মিলল নীল ডলফিন!
টিভি বা সিনেমার পর্দায় নয়, নীল রঙের বিরল প্রজাতির ডলফিনের ...বিশদ

06:36:06 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে ৫৯.০২ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৫.০৮ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৩.২৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৪.৮৫ শতাংশ, মণিপুরে ৬৭.৬৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM