কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বাম শরিক আরএসপি বহরমপুরে প্রার্থী দিলেও সিপিএম সরাসরি অধীর চৌধুরীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিল। তাই, কান্দিতে সিপিএমের ভোট অধীর পাবেন, সেটা তৃণমূল নেতৃত্ব জানতেন। কিন্তু ডেভিডের গড়েই কেন তৃণমূল পিছিয়ে থাকল? যে বুথের কর্মিসভায় অন্তত আড়াইশো তৃণমূল কর্মী থাকেন, সেখানে সেই ভোট তৃণমূল পেল না কেন? রাজ্যে তৃণমূলের নির্বাচনী বিপর্যয়ের জন্য অধিকাংশ জায়গায় বামের ভোট ঢালাও রামে যাওয়াকে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিহ্নিত করেছেন। তবুও অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বীজপুর বিধানসভা ক্ষেত্রে দীনেশ ত্রিবেদীকে জয়ী করতে পারেননি বলে প্রকাশ্যে নিজের ব্যর্থতা কবুল করেছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। যদিও শুভ্রাংশুর এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হয়ে তাঁকে ছ’বছর সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। সরাসরি অন্তর্ঘাতের অভিযোগ না আনলেও তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে কিন্তু সেই ইঙ্গিত রয়েছে। বালুরঘাটে দলের একাংশের ভূমিকা নিয়ে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সংশয় রয়েছে। বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদের কথায়, ‘বামফ্রন্ট প্রার্থী মাত্র ৭২ হাজার ভোট পেয়েছেন। সব ভোট বিজেপিতে পাঠিয়েছে সিপিএম। তবে বিজেপি টাকা ছড়িয়েছে। সেই জন্য আমাদের দলের কেউ কেউ প্রভাবিত হয়েছেন। বিজেপিকে গোপনে সমর্থন জুগিয়েছেন।’
আদি তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের বিভাজনে যাঁরা দলছুট হয়ে পড়েছিলেন, তাঁরাও নিজেদের রাজনৈতিক সম্মান বাঁচাতে ও সবক শেখাতে হয়তো বিজেপিতেই আশ্রয় খুঁজেছেন। ভোটের ফলেই দেখা যাচ্ছে দিকে দিকে তৃণমূলের চোরাস্রোতও কিছুক্ষেত্রে বিজেপির জয়ের অন্যতম কারণ। এই সংগঠন নিয়ে শুধু হাওয়ায় ভরসা করে একটি লোকসভা কেন্দ্র উল্টে দেওয়া মুখে কথা নয়। ‘চুপচাপ পদ্মে ছাপ’, ‘বাইরে তৃণমূল, ভিতরে বিজেপি’ স্ট্র্যাটেজিতেই ওই ব্রাত্য তৃণমূলীরা গেরুয়া শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। আরও অভিযোগ, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়তে দিয়ে, পুরনো নেতাদের সাইডলাইনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়ে এখনই সতর্ক না হলে আরও ফোপড়া হবে শাসক দলের সংগঠন। মনে রাখা দরকার, ২০১১-র বিধানসভায় বামেদের পরাজয়ের বিষয়টিও। যে পরাজয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বাম সংগঠন। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তারজন্য তৃণমূলকে সজাগ থাকতেই হবে। মনে রাখতে হবে, এখানে ১৮০ আসন টার্গেট করে বাংলায় ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। হাতে কিন্তু সময় কম!