গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
করেন ঢালাও নগদ ও মদ। ভোট মানেই যেখানে টাকার স্রোত, টাকা দিয়ে দল ভারি করা, পোস্টার মেরে দিলে টাকা, মিছিলে গেলে টাকা, পোলিং এজেন্ট হলে টাকা।
কে না জানে, নির্বাচন কমিশনের কড়া নির্দেশ, একটা লোকসভা কেন্দ্রে কোনও প্রার্থীর খরচ ৭০ লক্ষ টাকার বেশি হবে না। বারাণসীতেও নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী খরচ ৭০ লক্ষের মধ্যেই থাকবে? মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে তিনি করলেন বিশাল রোড শো, বিপুল সমারোহ। জানা গেল, খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা, মাত্র। সঙ্গে খরচ করা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার লিটার জল। রোড শোয়ের আগে গোটা শহরের সমস্ত রাস্তা ধুয়ে মুচে চকচকে করার দায়িত্ব ছিল পুরসভার উপর। বারাণসী পুরসভার প্রায় ৪০টি ট্যাংকার এবং ৪০০ কর্মীর উপর দায়িত্ব ছিল শহরের প্রতিটি রাস্তা ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়ার। সব মিলিয়ে বারাণসী থেকে বিজেপি প্রার্থীর মোট খরচ তাহলে কত দাঁড়াবে? অবধারিত বিশ্বরেকর্ড। বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রোড শোতে খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। আর এই পুরো টাকাটাই হিসেবের বাইরের। অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তথ্য বলছে, এই বছর ভারতের নির্বাচনে ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি, কংগ্রেসসহ বড় দলগুলি, ডলারের হিসাবে যা দাঁড়ায় ৭০০ কোটি। যেখানে বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খরচ হয়েছিল ৬৫০ কোটি ডলার। কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস নামে একটি মার্কিন সমীক্ষা সংস্থা গবেষণা করে দেখিয়েছে, ভারতে মাথাপিছু গড় আয় যেখানে ২০০ টাকারও কম, সেখানে ভোটের জন্য ব্যয় মাথাপিছু গড়ে ৫৬০ টাকা। সমীক্ষকদের হিসাবে, ২৩ মে নির্বাচন শেষ হতে হতে এই খরচ ছাড়িয়ে যাবে ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু, এটা কেবলমাত্র বৈধ ব্যয়। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস, সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের মতো কিছু সংস্থার করা সমীক্ষা দেখাচ্ছে, এই টাকা আসলে গোপন ব্যয়ের সাড়ে তিন শতাংশ মাত্র। এই রেকর্ডে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা গর্ব অনুভব করতেই পারেন। কিন্তু, রেকর্ড ছাপিয়ে এই বিশ্বরেকর্ডে সাধারণ মানুষের কী যায় আসে!