উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হাজারো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কর্মসংস্থান থেকে ফসলের ন্যায্য দাম, গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, সার্বিক উন্নয়ন ইত্যাদি ইত্যাদি। এদিকে, নগরায়ণের প্রয়োজনে গাছকাটা বা শিল্পায়নের জন্য নানা উদ্যোগের বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে বিকল্প ব্যবস্থার ভাবনাচিন্তার প্রতিফলন তেমন দেখা যাচ্ছে না। প্ল্যাস্টিক বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে জলা ভরাটের বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ কোথায়? দু’-একজন ছাড়া কেউ কি ভোটের প্রচারে বা রোড শোয়ের সময় অথবা সমাবেশে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি বক্তব্যে আনছেন? মুখে বলি, সকলেই পরিবেশবান্ধব পরিস্থিতি চাই। কিন্তু, তার প্রতিফলন হয় না। এই ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলির উদাসীনতা হতাশ করছে। অথচ মানুষকে এ প্রসঙ্গে সচেতন করার দায়িত্ব তো তাদেরও। মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন করতে হলে তো দূষণ কমিয়ে পরিবেশ রক্ষা করতেই হবে। ব্যক্তিগতভাবে কোনও দলের নেতা বা নেত্রী বিক্ষিপ্তভাবে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে কিছু উদ্যোগ নিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা নেহাতই নগণ্য।
ধন্যবাদ জানাতে হয় সেইসব পরিবেশ কর্মীকে যাঁরা সোচ্চারে পরিবেশ বাঁচানোর দাবিটি তুলছেন। পোস্টার দিয়ে এই উদাসীন মানসিকতার পরিবর্তন চাইছেন। বলা হচ্ছে, এই ‘পরিবর্তন চাই’য়ের সঙ্গে একদলকে সরিয়ে অন্যদলকে আনার বা রাজনৈতিক পালাবদলের কোনও সম্পর্ক নেই। এ আবেদনটি শুধুই প্রকৃতি বাঁচানোর। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিকেও এ ব্যাপারে সচেতন করার। সত্যিই ভুললে চলবে না, পরিবেশ দূষণ দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে উদ্বেগও। লোকসভা নির্বাচনে দেশের নীতি নির্ধারকদের নির্বাচিত করবেন যে সাধারণ মানুষ তাঁদের বেঁচে থাকাটাই যদি কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় তাহলে পরিবেশের ব্যাপারে উদাসীনতার কারণে অবশ্যই কাঠগড়ায় তোলা যায় রাজনৈতিক দল এবং ভোটপ্রার্থীদের। পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বটি কিন্তু আমার আপনার সকলের। তাই, এটি রক্ষায় সকলকেই সচেতন হতে হবে।