রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এই সময় বাজারে যেমন পটলও পাওয়া যাচ্ছে, আবার সিমও মিলছে। ফুলকপি আছে নানা আকারের। বাঁধাকপিও। মটরশুঁটির দেখা তেমন না পাওয়া গেলেও, মুলো বা নতুন আলু জানান দিচ্ছে, শীতের ভরা বাজার এল বলে। কিন্তু দিনকয়েক আগেও সেসবের দামে চোখে জল আসত সাধারণ ক্রেতার। কোথাও মূলো ৫০ টাকা কেজি, তো একটা ফুলকপি ৪০ টাকা হাঁকতে দ্বিধা করেননি অনেকেই। পেঁয়াজের দরের ঝাঁঝে যখন বাজার করার বাসনা রসতলে যাওয়ার উপক্রম, তখন একসঙ্গে চড়া দর হেঁকেছে পটল-বেগুন বা টম্যাটো। ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে সেসব দর। তাতেই লাগাম দিতে আসরে নামে রাজ্য সরকারের বাজার সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্স। পুলিসের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও হানা দিতে শুরু করে একাধিক বাজারে। তার সুফল খানিকটা পেতে শুরু করেন সাধারণ ক্রেতা। দামের যে লম্ফঝম্ফ দিন কয়েক আগে ছিল, তা বাগে এসেছে কিছুটা।
কিন্তু এরই মধ্যে উল্টো সুরে গাইছে মুরগির মাংস। সপ্তাহখানেক আগেও যেখানে মুরগির মাংসের কেজি ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, তা দুম করে বেড়ে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় উঠে গিয়েছে। পোলট্রির ডিমের দাম প্রতি পিস পাঁচ টাকা থেকে বেড়ে এক ধাক্কায় সাড়ে ৫, কোথাও ৬ টাকা হয়ে গিয়েছে। কাঁচা আনাজের চড়া দর নিয়ে মাতামাতির সুযোগ নিয়েই চুপিসারে মাংসের দর বাড়িয়ে দেওয়া হল কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। যেখানে রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আওতায় হরিণঘাটা মিট গত দেড় বছর ধরে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে কেন খোলাবাজারে দর এতটা চড়ল, তার ব্যাখ্যা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। মাছের দর এমনিতেই অস্বাভাবিক চড়া। ২৫০ টাকার নীচে কাটা মাছ নেই। একটু ভালো জাতের রুই বা কাতলা হলে, তার দর কোথাও ৩০০ টাকা, কোথাও সাড়ে ৩০০ টাকা। পরিস্থিতি এতই খারাপ, গড়পড়তা ৬০ টাকার লোইট্যা মাছ পর্যন্ত প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পার্শে, ভেটকি বা পাবদার কথা না হয় বাদই রাখা গেল। এই পরিস্থিতিতে অল্প কয়েকদিনের জন্য ভরসা জুগিয়েছিল মুরগির মাংস ও ডিম। কিন্তু সেই সুখ সইল না।