বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আগত তীর্থযাত্রী এবং আমজনতাকেও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছেন গঙ্গাসাগর মেলা কমিটি ও প্রশাসনিক কর্তারা। জিবিডিএ-র আধিকারিকদের কথায়, ভুট্টার দানা ও নির্দিষ্ট কয়েকটি গাছের আঠা দিয়ে তৈরি ওই সমস্ত জিনিস ১০০ শতাংশ পরিবেশবান্ধব ও জৈব পচনশীল। এই মর্মে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দিয়েছে। প্রতিটি ব্যাগের গায়ে সরকারি সিলমোহর দিয়ে তা নির্দিষ্ট করে লেখা রয়েছে। পাশাপাশি ওই সব জিনিস ব্যবহারের পর তিনমাসের মধ্যে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। শুধু তাই নয়, তা পচে গিয়ে তৈরি হবে উর্বর সার। যা আগামী দিনে চাষের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
সাগরমেলাকে প্লাস্টিক-মুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে জিবিডিএ ও জেলা প্রশাসন। এতদিন পর্যন্ত মেলার সময় প্লাস্টিকের ব্যাগ, ক্যারিব্যাগ, স্ট্র, শোলা থেকে তৈরি থালা, বাটি ব্যবহার হয়ে আসছিল। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, এবার জোরদারভাবে তার মোকাবিলা করা হবে। কোথাও তা ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। তিনি জানান, মেলার সময় ওই সব জিনিস ব্যবহারের পর সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। তাতে জল আরও দূষিত হয়ে যায়। সেই কারণে ঠিক হয়েছে, একেবারে কাকদ্বীপ লট থেকে সাগরে ঢোকার মুখে এ নিয়ে প্রচার ও ওইসব জিনিস দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। এছাড়াও মেলার ক’দিন বিভিন্ন দোকান ও যেখানে যেখানে মানুষ জিনিস কিনতে যাবেন, সেখানেও তা রাখা হবে। ওই জিনিস সরবরাহ করার জন্য হুগলি জেলার কোন্নগরের একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। ভুট্টার তৈরি জিনিসগুলি যে জৈব পচনশীল তার পরীক্ষাও প্রশাসন করে নিয়েছে।
প্লাস্টিক নয়, এমন কোনও জিনিসের উপর ‘ডাই ক্লোরো মিথেন’ দিলে তা দ্রুত গলে যায়। ভুট্টার তৈরি ওই সব জিনিসের উপর ফেলে দেখা গিয়েছে, তা গলে গিয়েছে। প্লাস্টিকের উপর ফেলার পর তার কোনও ক্ষতি হয়নি। একেবারে অবিকৃত রয়েছে।