বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্যের ফুলচাষীদের প্রতি বছর যে কয়েকটি বিশেষ বিশেষ পুজোয় ফুল বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা ঘরে ঢোকে তার মধ্যে কালী পুজো অন্যতম। হাওড়া জেলার যেসব জায়গায় জবা ফুল চাষ হয় তার মধ্যে কুলগাছিয়া, বাগনান, ঘোড়াঘাটা, দেউলটি অন্যতম। এইসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ সারা বছর বিভিন্ন ফুল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভোরে গাছ থেকে ফুল তুলে বাছাই করে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট বাজারে বিক্রি করেন। কোলাঘাট বাজারের পাশাপাশি হাওড়ার মল্লিকঘাট ফুল বাজারেও ফুল বিক্রি করে সেই টাকায় সংসার চালান তাঁরা। যদিও বছরের বিশেষ ক’টা দিন বাজারে কয়েকটি বিশেষ ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, ওই সময় ফুলচাষীরা একটু অতিরিক্ত উপার্জনের মুখ দেখেন। যেমন কালীপুজোয় জবা ফুলের চাহিদা। জবা ফুল চাষীরা বলছেন, জবা ফুল শীতকালে এমনিতেই কম হয়। নবরাত্রিতে জবার দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তারপর সেই দাম একেবারে পড়ে যায়। আবার কালীপুজোর সময় জবার চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। সেই কারণে এই সময় জবার দাম একলাফে অনেকটাই বেড়ে যায়। কুলগাছিয়ার বাসিন্দা জবাচাষী নেপাল গুচ্ছাইত জানালেন, দীর্ঘ ৪০ বছর জবা ফুল চাষ করে আসছি। প্রতি বছর কালীপুজোর সময় জবার দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তিনি জানান, নবরাত্রীর সময় হাজার পিস জবা ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। তারপর দাম পড়ে গিয়েছিল। কালীপুজোতে দাম নিশ্চিত আরও বাড়বে। অন্যদিকে অমর ধারা জানান, দুর্গা পুজোর পর ১০০০ পিস জবার দাম কমে ৪০-৫০ টাকা হয়ে গিয়েছিল। সোমবার থেকে জবা ফুল হিমঘরে ঢুকতে শুরু হলে বাজার চড়তে শুরু করবে। অশোক ধারা জানালেন, এমনিতে কালীপুজোর সময় বাতাসে হালকা ঠান্ডার আমেজ থাকে এবং শিশির পড়ার কারণে জবা ফুলের ফলন অনেটাই কমে যায়। কিন্তু বাজারে জবার চাহিদা থাকায় দাম বাড়ে। ফলে কালীপুজোতে জবার দাম যে বাড়বে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কালী পুজোতে জবা ফুলের দাম বৃদ্ধি সর্ম্পকে সারা বাংলা ফুল চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক নারায়ণ নায়েক জানান, শুক্রবার পাইকারি বাজারে হাজার পিস জবা ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় যেমন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দাম উঠেছিল, কালীপুজোতেও সেইরকম দাম উঠবে বলেই মনে হয়।