গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আলোচনার সূত্রপাত করে বিজেপি নেতা চন্দ্রকুমার বসু রাজ্যে শিল্পের কোর সেক্টর বলতে যা বোঝায়, সেখানে বিনিয়োগ না আসার জন্য জমির সমস্যাকে তুলে ধরেন। শিল্পের জন্য সরকারি উদ্যোগে জমি অধিগ্রহণের কথা বলেন। শিল্পায়নের জন্য অটোমোবাইল ও লোহা-ইস্পাত শিল্পে বিনিয়োগ জরুরি। তবে শিল্পায়নে খামতির কথা তুললেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রশংসা করেন বিজেপি নেতা।
কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এরাজ্যে উন্নয়নের সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে যায়। কিন্তু ভিন রাজ্যে এটা হয় না। উন্নয়নের জন্য সেখানে সরকারি ও বিরোধীরা একসঙ্গে পথ চলে। অতীতে কিন্তু রাজ্যে এটা ছিল। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল তৈরির জন্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় আলোচনায় বসেছিলেন সেই সময়ের বিরোধী নেতা জ্যোতি বসুর সঙ্গে। প্রদীপবাবুর দাবি, রাজ্য সরকার দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে জিডিপি বৃদ্ধি সর্বাধিক বলে দাবি করে থাকে। কিন্ত বাস্তবে মাথাপিছু আয় বাড়ছে না।
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, স্বাধীনতার পর কেন্দ্রীয় সরকারের মাশুল সমীকরণ ও শিল্পের লাইসেন্স নেওয়ার নীতির জন্য এরাজ্য শিল্পে পিছিয়ে পড়ে। পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি শিল্পে এগিয়ে যায়। ১৯৯০ এর দশকে কেন্দ্রীয় নীতি পরিবর্তনের পর রাজ্যে শিল্পায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১১ সালে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর সব স্তব্ধ হয়ে যায়। এব্যাপারে তিনি কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ তুলে দেন।
তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেন, কেন্দ্রীয় নীতি পরিবর্তনের পর তৎকালীন বাম সরকার রাজ্যে শিল্পায়নের উদ্যোগ নিতে দেরি করেছিল। নতুন বড় শিল্প অন্য রাজ্যে চলে যায়। ‘সানরাইজ ইন্ডাস্ট্রি’ রাজ্যে সেভাবে আসেনি। চা, চটের মতো পুরনো বড় শিল্প রাজ্যে আছে। কিন্তু সেখানেও আধুনিকীকরণে খামতি আছে। আম্বানি, আদানি, টাটা গোষ্ঠীর মতো বড় শিল্প সংস্থা রাজ্যে বিনিয়োগ করেনি। বাঙালিদের মধ্যে বড় শিল্পোদ্যোগী না থাকাটাও এব্যাপারে বড় বাধা। সৌগতবাবু মনে করেন, সিঙ্গুরে টাটার গাড়ি শিল্প উর্বর জমিতে না করে অন্য কোথাও করা হলে সফল হতো। রাজ্যে বড় শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে জমি পাওয়া একটা বড় সমস্য। এখানে বেশিরভাগ জমিই উর্বর কৃষি জমি। দেশের অর্থনীতিতে মন্দা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন সৌগতবাবু।