ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
স্বপন দেবনাথ জানান, এখানে গতবার ২৮০টি স্টল ছিল। এবার তা বেড়ে ৩০০ হয়েছে। মেলায় উত্তরোত্তর বিক্রি বাড়ছে। গতবছর ৬ কোটি টাকার বেশি বিক্রি হয়েছে। নতুন ধরনের ডিজাইনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রত্না ঘোষকর জানালেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁত শিল্পীরা এসেছেন। একসময় এইসব শিল্পীদের কথা ভাবাই হয়নি। তন্তুজ, মঞ্জুষা একসময় লাভজনক ছিল না। এখন তা অনেক লাভজনক হয়েছে।
তন্তুজের স্টলে দেখা গেল এবারের আকর্ষণ ৫টি নতুন ডিজাইনের টাঙ্গাইল শাড়ি। শাড়িগুলির নাম ও তার বাজার মূল্য হল, অপূর্বা ৩৮৫০ টাকা, শ্রেয়সী ৪৩৭৫টাকা, রুচিরা ৩২৫০টাকা, শুভাঙ্গী ৫১২৫, নবপত্রিকা ১৬০০ টাকা। অহিংস সিল্ক বা এরি সিল্কের সম্ভার এবার সেখানে বিশেষ আকর্ষণ। যা গ্রীষ্মে ঠান্ডা, শীতে গরমের অনুভূতি আনে। এরি সিল্ক দিয়ে ঐতিহ্যবাহী শাড়ির সম্ভার, গৃহসজ্জার জিনিস, সুতি, রেশম, লিনেন, উলের স্কার্ফ, জ্যাকেট, কামিজ, চাদর পাওয়া যাচ্ছে এখানে। ১০৪টি প্রাথমিক তন্তুবায় সমিতি, ৩০টি খাদি সমৃদ্ধ সমিতি, ৪১টি হস্ততাঁত মহল্লা, ৩২ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এখানে অংশ নিয়েছেন। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ অধিকারের ৬০ জন কারুশিল্পী, ৫৮ জন ব্যক্তি তাঁতশিল্পী, আনন্দধারা থেকে ২০ জন অংশগ্রহণকারী, তন্তুজ, বঙ্গশ্রী, পশ্চিমবঙ্গ শিল্পী সমবায় মহাসংঘ লিমিটিডে ও মঞ্জুষা রয়েছে। এছাড়া আছে হস্ততাঁতের থিম প্যাভেলিয়ন, পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ এবং ভারত সরকারের বস্ত্র মন্ত্রকের অধীনস্থ তন্তুবায় সেবাকেন্দ্র। এদিন দেখা গেল, বস্ত্রসম্ভারের পাশাপাশি, সেখানে ঐতিহ্যবাহী বাঁকুড়ার বিকনা ও বর্ধমানের দরিয়াপুরের ডোকরা নিয়ে পসরা সাজিয়ে রয়েছেন শিল্পী। তারই পাশে শোভা পাচ্ছে কোচবিহারের শীতলপাটি, নতুনগ্রাম বর্ধমানের কাঠের পুতুল, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের পটচিত্র। মেলায় ঘুরতে গিয়ে খাবার জন্য আকর্ষণীয় ফুডজোনও রয়েছে।