গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সংসদে অভিযোগ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গে জমি দেয় না বলেই বাংলায় রেলের প্রচুর প্রকল্প অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু মমতার সরকার জমি দিতে টালবাহানা করলে রেল নীরের কারখানা তৈরির কাজ কীভাবে দ্রুতগতিতে এগনো সম্ভব হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে শুধুমাত্র হাওড়ার সাঁকরাইলেই নয়। ২০২০ সালের মধ্যে সারা দেশের মোট ছ’টি স্থানে রেল নীর পানীয় জলের বোতল তৈরির কারখানা তৈরি করা হবে। বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইআরসিটিসি’কে (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন)। হাওড়া বাদে দেশের অন্য যে পাঁচটি জায়গায় রেল নীরের কারখানা তৈরি হবে, সেগুলি হল নাগপুর, গুয়াহাটি, জব্বলপুর, ভুসওয়াল এবং উনা। এই মুহূর্তে সারা দেশে রেল নীরের মোট ১০টি কারখানা বা প্ল্যান্ট রয়েছে। যেগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা নতুন উত্তরপ্রদেশের হাপুর, আমেদাবাদের সানন্দ এবং ভোপালের মান্দিদীপ প্ল্যান্ট। উল্লিখিত তিনটি কারখানাতেই উৎপাদন শুরু হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। এবার হাওড়া সহ দেশের ছ’টি জায়গায় নতুন প্লান্ট তৈরি হলে সবমিলিয়ে রেল নীরের কারখানার সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬টি।
ইতিমধ্যেই রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলন্ত ট্রেনে বা স্টেশন চত্বরের অন্যত্র বিক্রি করা হবে রেল নীর পানীয় জলের বোতলই। যদি রেল নীর পানীয় জলের বোতলের অভাব দেখা যায়, তাহলে অন্য অনুমোদিত ব্র্যান্ডের পানীয় জল বিক্রি করতে পারবেন নথিভুক্ত হকাররা। অথবা ট্রেনেও তা সরবরাহ করা যাবে। আজ রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চালু থাকা ১০টি কারখানার উৎপাদন দিয়ে রেল নীরের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। ১০টি প্ল্যান্টের সৌজন্যে চাহিদা পূরণ হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে। আরও ছ’টি কারখানায় উৎপাদন শুরু হলে এই চাহিদা পূরণের হার দাঁড়াবে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। রেল জানিয়েছে, আগামীদিনে বিজয়ওয়াড়া, বিশাখাপত্তনম এবং ভুবনেশ্বরে রেল নীর প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আরও বেশি চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। রেল নীরের জিজিএম সীয়া রাম বলেছেন, ‘সাধারণত সারা দেশে রেল নীরের চাহিদা থাকে প্রতিদিন প্রায় ১৮ লক্ষ লিটার। গরমে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২৫ লক্ষ লিটার। অথচ সারা দেশে রেল নীরের দৈনিক ক্যাপাসিটি ১০ থেকে সাড়ে ১০ লক্ষ লিটার।’ হাপুর রেল নীর প্ল্যান্টের দৈনিক ক্যাপাসিটি এক লক্ষ লিটার।