ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
আমেরিকা-চীন শুল্ক-যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জেরেই ব্যাঙ্ক সহ আমদানিকারীদের কাছে বেড়ে গিয়েছে ডলারের চাহিদা। তার প্রভাবই পড়েছে ভারতের বাজারে। যার জেরে গত কয়েকদিন ধরে টানা পড়ে চলেছে টাকা। শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় ডলার পিছু টাকার দর ছিল ৭১.৬৬ টাকা। সোমবার দিনের শুরু থেকেই হু হু করে পড়তে থাকে টাকার দাম। গোড়াতেই ৪২ পয়সা কমে যায় টাকার দর। এক ডলারের নিরিখে টাকার দাম দাঁড়ায় ৭২.০৮ টাকা। পরে শেয়ার বাজার খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও পতন ঘটে টাকার। সবমিলিয়ে ৫৯ পয়সা কমে এক সময় এক ডলারের দাম হয় ৭২.২৫ টাকা। তবে, দেশীয় সংস্থাগুলির ইক্যুইটির চাহিদা থাকায় টাকার পতনে আর নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়নি। এছাড়া, বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত তেলের দাম কমায় ডলারের তুলনায় টাকার দর আর নিম্নমুখী হয়নি। ৩৬ পয়সা কমে তা এদিন থেমে যায় ৭২.০২ টাকায়।
তবে শুধু ভারতীয় মুদ্রা নয়, আমেরিকা-চীনের বাণিজ্য-যুদ্ধের জেরে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের দামও নিম্নমুখী। গত ১১ বছরে সবথেকে বেশি পতন ঘটেছে ইউয়ানের। এমনকী, দাম পড়েছে তুরস্কের মুদ্রা লিরা, অস্ট্রেলীয় ডলারেরও। তবে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধিকে চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ স্টিমুলাসের কথা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। শুক্রবার দেশ ও বিদেশের লগ্নিকারী ও শিল্পমহলকে বার্তা দিয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা এবং ২৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত প্যাকেজ ঘোষণা করেন সীতারামন। তুলে নেওয়া হয় ‘সুপার রিচ ট্যাক্স’ নামে পরিচিত ‘লং টার্ম’ ও ‘শর্ট টার্ম’ মূলধনী লাভের উপর অতিরিক্ত কর। এমনকী, এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পও বাণিজ্য নিয়ে চীনের সঙ্গে খুব শীঘ্রই আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন।
ফলে সবমিলিয়ে এদিন চাঙ্গা হয়েছে দেশের শেয়ার বাজার। গত কয়েকদিন ধরে পতনের পর এদিন ৭৯২.৯৬ পয়েন্ট অর্থাৎ ২.১৬ শতাংশ বেড়ে সেনসেক্স দাঁড়িয়েছে ৩৭.৪৯৪.১২ পয়েন্ট। পাশাপাশি, ২২৮.৫০ পয়েন্ট তথা ২.১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে নিফটি থেমেছে ১১০৫৭.৮৫ পয়েন্টে। এদিন সবথেকে বেশি বেড়েছে ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারের দর। তারপর রয়েছে এইচডিএফসি, বাজাজ ফিনান্স, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এল অ্যান্ড টি, এসবিআই প্রভৃতি শেয়ারের দাম।