পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিল্কের চারটি ভাগ। মালবেরি, তসর, মুগা ও এরি। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মালবেরি। পিওর সিল্ক শাড়ি থেকে দক্ষিণ ভারতীয় নানা সিল্ক এর আওতায় পড়ে। এরপর আছে তসর। তারপর আসে মুগা। দামের ভারে সবচেয়ে এগিয়ে মুগা। তবে অপ্রতুলতার কারণে এরি রয়েছে বিশেষ আসনে। ব্যক্তিগত স্তরে অসমে এর চাষ হয়। কোকরাঝোড় জেলায় তা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের রংপুরেও এরির চাষ হয়। ভারতের আর কোথাও এরি নিয়ে কোনও সংস্থা বা চাষির মাথাব্যথা আছে বলে শোনা যায় না। পশ্চিমবঙ্গে সেই কাজটি করতে চাইছে তন্তুজ। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে বোড়ো উপজাতির কয়েকটি পরিবার ভ্যারান্ডা গাছের পাতায় এরির চাষ করে। খোয়ারডাঙা আদিবাসী মহিলা তন্তুবায় সমবায় সমিতির উদ্যোগে সেখানে এরি সিল্ক বোনা হয়। তন্তুজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমরা সমিতিকে আশ্বস্ত করেছি, তাদের বিপণনে কোনও সমস্যা হবে না। ঘরোয়াভাবে যে এরি চাষ এতদিন হয়ে এসেছে, তাকেই এবার বাণিজ্যকভাবে বাজারে আনতে চাইছি আমরা। একসময় বাপ-ঠাকুরদারা এরির ফতুয়া বা পাঞ্জাবি পরতেন। কিন্তু সেসব দিন আর নেই। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে এরির তেমন পরিচয় নেই। আমরা আধুনিক ডিজাইনে কেতাদুরস্ত পোশাক তৈরি করছি, যা নতুন প্রজন্মের পছন্দ হবে। এর ‘আইসোথার্মিক’ গুণ বারোমাস আরাম দেবে যে কোনও বয়সের ব্যক্তিকে।
তন্তুজের কর্তারা বলেন, সিল্কের সাধারণ শাড়িতেও এবার আমরা নানা বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেছি। তারই অন্যতম ডিজিটাল প্রিন্ট। এর ডিজাইন যতটা চটকদার ও আধুনিক, তা শাড়ির উপরও ফুটে উঠছে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে। পুজোয় সেই সিল্ক শাড়ির চাহিদা বাড়বে বলেই আশা করছেন তাঁরা। এমনকী বালুচরি ও অন্যান্য জামদানির ডিজাইনেও যাতে বৈচিত্র আনা যায়, তার জন্য ডিজাইন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে তন্তুজ। ফলে একঘেয়ে নকশার বাইরে নতুনত্বের স্বাদ পাবেন ক্রেতারা, দাবি করছেন কর্তারা।