বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন দেশে কত পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ পৌঁছবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে সেই দেশ সরকারি বা প্রশাসনিক জট কতটা হালকা করেছে, তার উপর। এই বিষয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ক নিয়মিত দেশগুলির র্যা ঙ্কিং করে। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর নরেন্দ্র মোদি বিশ্ব ব্যাঙ্কের ওই সমীক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ভারতকে ওই র্যা ঙ্কিংয়ে প্রথম সারিতে উঠে আসতেই হবে। যত বেশি সামনের দিকে উঠবে দেশ, তত বেশি বিদেশি লগ্নি আসবে। কিন্তু শিল্পের জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগের বেশিরভাগটাই যেহেতু রাজ্যগুলির উপর বর্তায়, তাই সবক’টি রাজ্যকে ওই বিষয়ে এগিয়ে আসার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। কোন কোন বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তার তালিকা রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। এতে রাজ্যগুলির মধ্যেও প্রতিযোগিতার বাতাবরণ তৈরি হয়। তাতে ফলও ফলে হাতেনাতে। ২০১৫ সালে যেখানে বিশ্ব ব্যাঙ্কের তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১৪২ নম্বরে, পরবর্তী তিন বছরে তা ধাপে ধাপে উঠে আসে ১৩০, ১০০ এবং ৭৭তম স্থানে। মোদির লক্ষ্য, এবার ভারত উঠে আসুক সেরা ৫০-এর তালিকায়।
কোন কোন বিষয়ে প্রশাসনিক জট কাটাতে হবে, তার জন্য এবার ১৮৭টি দিক চিহ্নিত করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম ধাপে সেই বিষয়গুলি ধরে সংস্কারের পথে হাঁটছে রাজ্য। সেই কাজ শেষ করার জন্য সময় ধার্য করা হয়েছিল গত মার্চ মাস পর্যন্ত। পরে তা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রক যে অন্তর্বর্তী হিসেব পেশ করেছে, তাতে উঠে এসেছে ওই হিসেব। বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্যগুলি যেসব সংস্কারের দাবি খাতায়-কলমে করছে, তা বাস্তবে আদৌ হয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখবে কেন্দ্র। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হবে তারপরই।
এখনও পর্যন্ত যে সংস্কারের পথে হেঁটেছে রাজ্যগুলি, তার হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ ১৮৭টি সংস্কারের মধ্যে করতে পারেনি ২৫টি কাজ। গুজরাত করেনি ২২টি কাজ। রাজস্থান ও হরিয়ানায় বাকি আছে ২৬টি কাজ। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, যে সংস্কারগুলি রাজ্য করেনি, তার মধ্যে আছে শিল্পের জন্য জমির জোগান, জমির চরিত্র বদল ও জমি সংক্রান্ত সরকারি ছাড়পত্র, পরিবেশের ছাড়পত্র, নির্মাণ সংক্রান্ত অনুমোদন, শ্রম আইন, বিদ্যুৎ সংযোগ, এক জানালা ব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয়। তবে কেন্দ্র জানাচ্ছে, অনলাইন ব্যবস্থা বা প্রশাসনিক স্বচ্ছতার প্রশ্নে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।