নয়াদিল্লি, ৮ আগস্ট (পিটিআই): ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় সমস্যায় পড়বে পাকিস্তানই। ভারতের অর্থনীতিতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। অভিমত, ট্রেড প্রোমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার। সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহিত সিংলা বলেছেন, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। এর মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত ২৫৬ কোটি ডলার বাণিজ্য নষ্ট করবে। তবে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে চোরাচালান বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোহিত। তিনি বলেন, পাকিস্তান ভারতকে মোস্ট ফেভারড নেশন বা সর্বাধির সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেয়নি। তাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করলে ক্ষতি পাকিস্তানেরই। পাকিস্তানের সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট বিক্রমজিৎ সিং। উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। বারত মূলত অর্গানিক কেমিক্যালস, তুলো, পরমাণুচুল্লি, বয়লার, প্লাস্টিক পণ্য, দানাশস্য, চিনি, চা-কফি, তামা প্রভৃতি রপ্তানি করে। অন্যদিকে পাঞ্জাবের ব্যবসায়ী সংগঠনও বলেছে, পাকিস্তানের সিদ্ধান্তে তারা নিজেরাই ভুগবে। কারণ ভারত তাদের থেকে বিশেষ কিছু আমদানি করে না। উল্টে সব্জি থেকে শুরু করে নানবিধ পণ্য ভারতের কাছ থেকে কেনে পাকিস্তান । পাকিস্তানে সব্জির ঘাটতি হলেই ভারত থেকে কিনতে হয়। এখন সেটা হবে না। ফলে পাকিস্তানে জিনিসের দাম বাড়বে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জিপসাম, সিমেন্ট পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু এখন এগুলি নিয়ে ভারতের সমস্যা নেই। তবে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ওয়াঘা দিয়ে হবে না। এই সিদ্ধান্ত ড্রাই ফ্রুট আমদানিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে ওই সংগঠন।
এদিকে, বাণিজ্য সম্পর্ক বন্ধ করা নিয়ে ট্যুইটারে পাকিস্তানকে ঠাট্টা করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তিনি লিখেছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাতিল করেছে পাকিস্তান। এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে বিশাল ক্ষতি। একটা ইনস্টাগ্রামে একটি প্রোমোশনাল পোস্ট দেওয়ার জন্যবিরাট কোহল. যতটা অর্থ নেন, এই ক্ষতি তার সমান। খুব খারাপ খবর। কী করে আমরা এই বিশাল ক্ষতি পূরণ করব। সূত্রের খবর প্রতি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিরাটের আয় সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা।