কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দেশের একটি প্রথম সারির বণিকসভা এবং নামী শিল্প উপদেষ্টা সংস্থার যৌথ সমীক্ষাটি বলছে, আগামী চার বছরে ভারতে যেভাবে ডিজিটাল লেনেদেন বাড়বে, সেই বৃদ্ধির হার বাকি সমস্ত দেশের হারকে ছাপিয়ে যাবে। ২০.২ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির হার হবে সবচেয়ে দ্রুত গতির, দাবি ওই সমীক্ষায়। তাদের হিসেবে বৃদ্ধির হারে ভারতের পরই থাকবে চীন এবং আমেরিকা। চীনের বৃদ্ধি হার দাঁড়াতে পারে ১৮.৫ শতাংশ এবং আমেরিকায় তা হতে পারে ৮.৬ শতাংশ। অবশ্য বৃদ্ধির হারের নিরিখে ভারত এগিয়ে রইলেও, মোট লেনদেনের অঙ্কে এই দেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকবে। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সবার আগে আছে চীন। তাদের মোট ডিজিটাল পেমেন্টের অঙ্ক ১ লক্ষ ৫৬ হাজার মার্কিন ডলার।
সমীক্ষাটির আভাস, বিশ্বে যত ডিজিটাল লেনদেন হবে, তাতে ভারতের অংশীদারি হতে পারে ২.০২ শতাংশ। বর্তমানে সেসেই হার ১.৫৬ শতাংশ।
সমীক্ষায় দাবি, ডিজিটাল কমার্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, রিয়েল টাইম পেমেন্টস-এর মতো প্রযুক্তিকে কাজে লগিয়ে যেভাবে পেমেন্ট দুনিয়ায় নিত্যনতুন উদ্ভাবন হচ্ছে, তা ভারতকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে আগামী দিনে। টেলিকম সংস্থা, ব্যাঙ্ক, ওয়ালেট কোম্পানি এবং ই-কমার্স ব্যবসা ডিজিটাল লেনদেনকে সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন জোগাচ্ছে। সমীক্ষাটির বক্তব্য, এদেশে ডিজিটাল লেনদেনে আরও বেশি করে গতি আনতে পারে প্রিপেইড ইনস্ট্রুমেন্ট সংস্থাগুলি। তাদের মধ্যে যদি অভ্যন্তরীণ সংযোগ স্থাপন করা যায় বা ইন্টার-অপারেটিবিলিটি চালু করা যায়, তাহলে লেনদেনের পথ আরও সহজ হবে। বর্তমানে দেশে ওই ধরনের প্রিপেইড ইনস্ট্রুমেন্ট সংস্থা, যারা সাধারণ মানুষের হয়ে টাকা মিটিয়ে দেয়, তাদের সংখ্যা প্রায় ৫০। সেই সংখ্যাও আরও বাড়বে বলে ধারণা সমীক্ষাটির।