পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সম্প্রতি এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট সীতারাম শর্মা। তিনি বলেন, পশ্চিম বা দক্ষিণ ভারতে যেভাবে বেসরকারি বিনিয়োগ জায়গা করে নিয়েছে, তার তুলনায় পিছিয়ে পূর্ব ভারত। পশ্চিমবঙ্গেও বড় অঙ্কের বেসরকারি পুঁজি আসেনি। বরং এখানে অনেক বেশি শক্তিশালী সরকারি বিনিয়োগ। এ রাজ্যে যে বাণিজ্য সম্মেলনগুলি হয়েছে, সেখানেও বিনিয়োগ প্রস্তাব অনেকটাই এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারি শিল্পক্ষেত্র থেকে। আবার কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক টানাপোড়েনে সেই বিনিয়োগের বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সীতারাম শর্মার কথায়, একমাত্র শিল্পমহলের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ এক্ষেত্রে বড় জায়গা নিতে পারে। শিল্প গড়া ছাড়াও শিল্পমহলের কিছু ভূমিকা থাকে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার। শিল্পমহলের সঙ্গে সরকার যত বেশি কথা বলবে, তত বেশি করে সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই সরকার ও শিল্পমহল যতক্ষণ না মুখোমুখি বসছে, ততক্ষণ সেই সুযোগ পাওয়া অসম্ভব, জানান সীতারামবাবু।
শিল্পমহল বলছে, মুখ্যমন্ত্রী যে শিল্প সংক্রান্ত কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন, ১৫ দিন অন্তর সেই কমিটির বৈঠক বসত। শিল্প ও অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে সেখানে শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সব দপ্তরের মন্ত্রী ও আমলারা থাকতেন। সেখানে বিভিন্ন বণিকসভা ও সংগঠন থেকে সদস্য হাজির থাকতেন। পরবর্তীকালে ১৫ দিনের রুটিনে ঢিলেমি শুরু হয়। দু’টি বৈঠকের মাঝে সময়ের দূরত্ব বাড়তে থাকে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে বৈঠকের রাশ নেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তিনিই ওই বৈঠকে হাজির থেকে শিল্প সংক্রান্ত সমস্যার চটজলদি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতেও ঢিলেমি শুরু হয়। একসময় দেখা যায়, অমন একটি বৈঠক যে হতো, প্রশাসনই তা যেন ভুলতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজন শিল্পপতিকে মাথায় রেখে নবান্নে একটি শিল্প সংক্রান্ত কমিটি ফের গঠন করেন বটে, কিন্তু সেখানে শিল্পমহলের মতামত প্রকাশের জায়গা তেমন নেই বলেই জানাচ্ছেন শিল্পকর্তারা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়মিত কোনও বণিকসভার অনুষ্ঠানে দেখা যায় না। তাই পারস্পরিক মত আদানপ্রদানের জায়গাও ক্ষীণ, এমনটই বলছে শিল্পমহল। কিন্তু সেই জায়গা তৈরি করা যে জরুরি, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের শিল্প-সম্পর্ক সহজ করতে তাঁদেরও যে কিছু ভূমিকা থাকতে পারে, সেই বিষয়েই সোচ্চার হচ্ছেন শিল্পকর্তারা। তাঁদের দাবি, সরকার আবার সেই কোর কমিটির বৈঠক ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিক। তাতে সরকার ও শিল্পমহল উভয়েরই মঙ্গল, এমনটাই মনে করছেন তাঁরা।