কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এদিন পূর্বস্থলী থানার মাঠে আম চাষিদের নিয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কালনা মহকুমার উদ্যান পালন আধিকারিক পলাশ সাঁতরা, মহকুমার কৃষি আধিকারিক আশিস বারুই, পূর্বস্থলী-২ ব্লক সহ কৃষি আধিকারিক জনার্দন ভট্টাচার্য এবং দুবাইয়ের ওই এক্সপোর্টার। পূর্বস্থলী সাংস্কৃতিক মঞ্চের উদ্যোগে ওই আলোচনা সভায় প্রায় ১০০জন স্থানীয় আমচাষিও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রশাসনের আধিকারিকদের সুস্বাদু পাকা আম কেটে খাওয়ানো হয়। এদিন স্থানীয় চারজন আম চাষির সঙ্গে কথা বলেন সুব্রতবাবু। তারপরেই তিনি পূর্বস্থলীর আম দ্বিগুণ দামে দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত বছর দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া জেলা থেকে সর্বপ্রথম আম্রপালি জাতের আম দুবাইয়ে পাড়ি দিয়েছিল। দুবাইয়ের একটি রেজিস্ট্রিকৃত এক্সপোর্ট সংস্থা ওই আম দুবাইয়ে সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিল। প্রথম বছর এক টন আম্রপালি আম যায়। দুবাইয়ে ওই আম পাঁচগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই সংস্থার কর্ণধার হলেন সুব্রত ঘোষ। তবে আগামী বছর থেকে আর বাঁকুড়ার আম নয়, পূর্বস্থলীর হিমসাগর আম বাণিজ্যিকভাবে তিনি দুবাইয়ে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিন সুব্রতবাবু বলেন, গত বছর পূর্বস্থলীর হিমসাগর আম চেখে দেখেছিলাম। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য আমের থেকে পূর্বস্থলীর আম অনেক গুণে ভালো। দুবাইবাসীরা এই আম লুফে নেবে। প্যকেটজাত ও রপ্তানি করার দায়িত্ব আমাদের। বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে পরিচর্যা করা পাকা আম প্রয়োজন। তাহলেই আমরা পূর্বস্থলীর আম চাষিদের কাছে থেকে দ্বিগুণের বেশি দাম দিয়ে সেই আম সংগ্রহ করব।
এদিন সুব্রতবাবুর ওই কথা শুনে স্থানীয় আমচাষিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আমচাষি সুধীর শীল, গোঁসাইদাস মণ্ডল বলেন, স্থানীয় পাইকারি বাজারে পাকা হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অন্য জেলায় পাঠালে কিছু বেশি দাম পাওয়া যায়। তবে পাঠানোর জন্য অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া লাগে। সেই তুলনায় বাগান থেকেই এক্সপোর্টের জন্য সরাসরি বিক্রি করে দিলে দ্বিগুণ দাম পাব। এমনটা হলে আর্থিক ভাবে লাভবান হব। এটাই আমরা চাই
প্রসঙ্গত, গত চার বছর ধরে পূর্বস্থলী থানার মাঠে আম উৎসব করে চলেছে পূর্বস্থলী সাংস্কৃতিক মঞ্চের সদস্যরা। এবার তিন দিনের আম উৎসব শুরু হয়েছে ২ জুন থেকে। এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা সকল মানুষকে বিনামূল্যে পাকা আম ও আম পোড়া শরবত খাওয়ানো। গত বছর রাজ্য আম উৎসবে পূর্ব বর্ধমান জেলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিল পূর্বস্থলীর আম। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা, পূর্বস্থলীর আম চেখে প্রশংসা করেছিলেন। তার জেরেই এবার দুবাইয়ের ওই এক্সপোর্টার সরাসরি পূর্বস্থলীর আম দর্শনে আসেন।