পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ রাজ্যে শিল্পের আশা সবচেয়ে বড় করে দেখছেন বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সত্যম রায়চৌধুরী। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার এবার বাংলার শিল্পের জন্য একটা রোড ম্যাপ তৈরি করুক। এখানে ছোট শিল্পের রমরমা। সেগুলিকে চাঙ্গা রাখতে বড় শিল্প থাকাটা জরুরি। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এবার বাংলার দিকে নজর দিক। এখানে যাতে ভারী শিল্প আসতে পারে, তার জন্য পরিকাঠামো গড়ার পাশাপাশি আর যা যা করণীয়, তা করুক। যে শিল্পগুলি রাজ্যে ধুঁকছে, সেগুলিকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করুক দিল্লি। বন্ধ কারখাখানাগুলি যাতে খোলা যায়, তার জন্য পদক্ষেপ করুক তারা।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স বলছে, যে বিপুল ভোটে মোদি সরকার ক্ষমতায় ফিরে এল, তাতে তাদের এখনই জোর দেওয়া উচিত মূলধনী খরচে, যাতে দেশে চাকরির বাজার চাঙ্গা হয়। আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, দেশের স্বার্থেই এবার ক্ষুদ্র রাজনীতি বন্ধ হোক। রাজনৈতিক দলগুলি যেন জাতীয় স্বার্থেই একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। এ রাজ্যেও যাতে সেই সৌজন্য বজায় থাকে, তার আশা প্রকাশ করেছে মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এখানকার ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায় বলেন, দ্বিতীয়বারের জন্য দিল্লির ক্ষমতায় আসার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। ভোট মানেই রাজনৈতিক চাপানউতোর। আমরা আশা করব, ভোট মেটার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ঝগড়া শেষ হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্য এবার হাতে হাতে মিলিয়ে কাজ করবে, এমনটাই আশা রাখি আমরা। তাতে আখেরে আমাদেরই লাভ হবে।
সর্বভারতীয় বণিকসভা অ্যাসোচেমের প্রেসিডেন্ট বি কে গোয়েঙ্কা বলেন, আমরা সর্বতোভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকব। অ্যাসোচেমের তরফে ইতিমধ্যেই নতুন সরকারের জন্য প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচি তৈরি করা রয়েছে। সেগুলি সরকারের কাজে লাগতে পারে বলেই আমাদের আশা। জেএসডব্লু’র চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দালের কথায়, দেশীয় শিল্প সংস্থাগুলিকে প্রতিযোগিতার বাজারে জায়গা করে দিতে নতুন সরকার দেশীয় সম্পদকে কাজে লাগাতে সাহায্য করুক। দেশীয় কাঁচামালের জোগান সহজ করুক তারা। অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চাকরির বাজার বাড়ানো জরুরি। সেই দিকে নজর দিক মোদি সরকার, চান ওই জিন্দাল কর্তা। বিজেপিকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি গোদরেজ কর্তা আদি গোদরেজ বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন যদি বাড়াতেই হয়, তাহলে আশা করব, কর্পোরেট ট্যাক্স কমাবে কেন্দ্র। ৩০ শতাংশ কর বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় চড়া। অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপের চেয়ারম্যান ডাঃ প্রতাপ রেড্ডির কথায়, আমরা চাইব, কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় আসুক আরও বেশি সংখ্যক মানুষ।