পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অন্যতম লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্য দামে অপ্রচলিত মুরগির মাংস পৌঁছে দেওয়া। কোয়েল, টার্কি, খরগোশ বা বনরাজার মতো মাংসের পাশাপাশি কালো পাঁঠা বা রেওয়াজি খাসির মাংসও বিক্রি করে তারা। কাঁচা বা প্রসেসড মাংসের পাশাপাশি হরেক রকমের ‘রেডি টু কুক’ বা প্রায় রান্না করা খাবারও বেচতে শুরু করে তারা। সেসব মাংস জনপ্রিয়তা লাভ করে দ্রুত। তবে দপ্তরের মূল ফোকাস ছিল মুরগির মাংস বিক্রি।
অপ্রচলিত মাংসের পাশাপাশি এখন জাঁকিয়ে বসেছে মুরগির মাংসের চাহিদাও, বলছেন দপ্তরের কর্তারা। এর কারণ যেমন হরিণঘাটা মিটের ব্যানারে পাড়ায় পাড়ায় খুচরো মাংস বিক্রির সুযোগ করে দেওয়া, তেমনই আছে বড় ও নামজাদা রেস্তরাঁ বা অনলাইন শপিং সংস্থার হাত ধরে পাইকারি বিক্রি। বাজারের তুলনায় দাম কম থাকার কারণে প্রতিযোগিতার বাজারে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে হরিণঘাটা, বলছেন দপ্তরের কর্তারা।
তাঁদের বক্তব্য, বিক্রি বৃদ্ধির হার আচমকা বেড়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা। ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, গত আর্থিক বছরের শেষে আমাদের দিনে গড়ে উৎপাদন হতো সাড়ে চার টন মুরগি। কিন্তু সেই চাহিদা এই মে মাসে এসে সাত টনে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এমন, আমরা চাহিদা মতো জোগান দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। হরিণঘাটায় আমাদের যে প্ল্যান্ট আছে, সেখানে এখন সারা রাত মুরগি কাটা চলছে। রাত দশটা থেকে কাজ শুরু হয়ে শেষ হচ্ছে সকালে। এরপর দিনভর দু’টি শিফটে চলছে মাংস প্রসেস করার কাজ। তাছাড়া খামার থেকে সন্ধ্যায় মুরগি ধরে, তা কাটা হলে ক্ষতিও কম হয় বলে দাবি করেছেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তিনি বলেন, সন্ধ্যায় মুরগি আনার ক্ষেত্রে, তাদের মুত্যুর হার কম হয়। তাছাড়া মুরগির ওজনের ক্ষেত্রেও কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। রাতের শিফটে মুরগি কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এটাও একটা বড় কারণ।
খোলাবাজারে মুরগির দাম পড়ে গেলে কি ব্যবসা হারাবে হরিণঘাটা? এই আশঙ্কায় অবশ্য এখনই হতাশ হতে রাজি নয় দপ্তর। কর্তাদের কথায়, বাজারে দাম যাই-ই হোক না কেন, হরিণঘাটা মিটের মুরগির মাংসের দাম গত কয়েক বছর ধরেই বাজার থেকে কম। ভবিষ্যতেও সেই রেকর্ড ধরে রাখা যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা। সেক্ষেত্রে চাহিদা অটুট তো থাকবেই, পাশাপাশি পাইকারি মাংস বিক্রির বহর বাড়িয়ে, আরও বেশি লক্ষ্মীলাভের আশায় তাঁরা। বাকিটা বলবে ভবিষ্যৎ।