বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
রবিবার যাঁরা বাজার গিয়েছেন, তাঁরা দেখেছেন, বাজারে মাছ, মাংস থেকে তরিতরকারি উপচে পড়েছে সর্বত্র। ছুটির বাজারে যত বেশি ভিড়, তত বেশি দাম, তাও জানেন সবাই। কিন্তু যাঁরা রোজ বাজার করেন, তাঁরা বোঝেন, সপ্তাহের সাতদিনই এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে বাজারদর।
এই সময় বাজারজুড়ে গ্রীষ্মের আনাজ প্রচুর। জোগান কম আছে বলে দাম বেশি, অন্তত বাজার ঘুরলে এই তত্ত্ব খাড়া করা কঠিন। কিন্তু দর দেখলে তা মালুম হবে না। পটলের কিলো ৪০ টাকা। ‘দিশি’ তকমায় কোথাও ৫০ টাকাও দর চলছে। একই হাল ঢ্যাঁড়সেরও। বাজারে এখন দু’রকমের ঝিঙে। ছোট আকারের গোলচে ঝিঙের দর ৩০ টাকা হলেও, লম্বা ঝিঙে রবিবার ৫০ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে। চেহারা ও রঙের তফাতে বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। রবিবারের বাজারে এঁচোর বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বিন বিকিয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এমনকী গাঁটি কচুও ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কোথাও কোথাও। করলার দর ৬০ টাকা। ছোট ছোট উচ্ছে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। পেঁপে ৪০ টাকা, কুমড়ো ২৫ টাকা। সজনে ডাঁটাও ১২০ টাকার নীচে নেই। গাজরের দর ৬০ টাকা কেজি। কাঁচকলা জোড়া ১৫ টাকায় কেনার অভিজ্ঞতাও হয়েছে কারও। এমনকী ছোট আঁটির লাল শাক বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়। রবিবারের বাজারে পুঁইশাক বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজিতে। টম্যাটোর দর ৬০ টাকা কেজি প্রতি। শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পরিস্থিতি বুঝে পাতি লেবুও চার টাকা প্রতি পিস। আলুর চোখরাঙানি বাড়ছে দিন দিন। জ্যোতি এরই মধ্যে ১৫ টাকা। চন্দ্রমুখী ১৮ থেকে ২০ টাকা।
তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছে আদা ও রসুন। দিন কয়েক আগে আদার দর ১২০ টাকা থেকে বড়ে ১৫০ টাকায় থেমেছিল। এখন তা এক ধাক্কায় ১৮০ টাকায় উঠেছে। প্রায় একই অনুপাতে বাড়ছে রসুন। তার দর ১৬০ টাকা। কাঁচালঙ্কা ১০০ টাকার নীচে নেই কোথাও। বাজারওয়লারাই বলছেন, গরমের কারণেই দাম বেশি। আবার রমজান মাস চলে আসাকেও আনাজের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন অনেকেই। কারণ যাই-ই হোক, তা আয়ত্তের মধ্যে কবে আসবে বা আদৌ আসবে কি না, তার উত্তর দেবে কে?