কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শিল্পের গা থেকে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করার লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ সালের জন্য যে র্যা ঙ্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে মোট ৩৭২টি বিষয় সামনে এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ শিল্প বা ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক আছে, সেইসব সরকারি দপ্তরে প্রশাসনিক সংস্কার করার ক্ষেত্রে ওই ৩৭২টি দিক সামনে রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কোন কোন রাজ্য সেগুলিতে কী কী পদক্ষেপ করল, তার উপর নির্ভর করেছিল প্রতিযোগিতা। কিন্তু একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার শর্ত দিয়েছিল, মোট ৭৮টি ক্ষেত্রকে তারা বেছে নেবে, যেখানে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করল, তার পাশাপাশি জানা হবে সেই পদক্ষেপগুলি আদৌ কারও উপকারে এল কি না। অর্থাৎ সরকার শুধু খাতায় কলমে সংস্কার করল, নাকি বাস্তবে তা ফলপ্রসূ হল, তাও বিবেচনা করা হবে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে। খাতায় কলমে সংস্কারের মার্কশিটে গোটা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান পায় পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু সার্বিক মূল্যায়নে তার ঠাঁই হয় দশম স্থানে।
এবার ফের সেই প্রতিযোগিতাপর্ব শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের প্রতিযোগিতার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ৮০টি বিষয়। সেখানে খাতায় কলমে কোন রাজ্য কী পদক্ষেপ করল, তা আর যাচাই করা হবে না, জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা বলেছে, সেই পদক্ষেপগুলিতে আদৌ কারও উপকার হল কি না, এবার সেটাই মূল বিবেচ্য বিষয় হবে। অর্থাৎ রাজ্য সরকারগুলির নিজস্ব দাবিকে আর গুরুত্ব দেবে না কেন্দ্র। বরং সেই দাবিগুলি কতটা বাস্তবসম্মত, তার যাচাই হবে। আগামী ১৫ জুনের মধ্যে রাজ্যগুলিকে যাবতীয় তথ্য এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত নথি পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকে। যাঁরা প্রশাসনিক সংক্রান্ত পরিষেবা গ্রহণ করেছেন, তাঁদের ‘ফিডব্যাক’ সংক্রান্ত তথ্য দিল্লিতে পাঠাতে হবে ৩০ জুনের মধ্যে।
যেহেতু বিশ্ব ব্যাঙ্ক গোটা বিশ্বে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে, তাই এই র্যা ঙ্কিংকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কারণ বিদেশি বিনিয়োগ কোন দেশে কতটা আসবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে ওই র্যা ঙ্কিংয়ের উপর, এমনটাই জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে ভারত যদি প্রথম সারিতে উঠে আসতে চায়, তাহলে সব রাজ্যকে একযোগে উদ্যোগ নিতে হবে। একমাত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই সেই উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব।