পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০০৮ সালে টেলিকমিউনিকেশন ট্যারিফ অর্ডারের ৪৬তম সংশোধনীতে ট্রাই সমস্ত টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেয়, পোস্ট পেইড সংযোগের ক্ষেত্রে কাগজের বিল গ্রাহককে দেওয়া বাধ্যতামূলক। যদি কোনও গ্রাহক তাঁর ই-মেলে সেই বিল চান, তাহলে তা দিতে পারে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। কিন্তু তার জন্য সেই গ্রাহকের সম্মতি প্রয়োজন। এর বাইরে নিজের ইচ্ছামতো কোনও গ্রাহককে শুধু ই-মেলে বা অন্য কোনও ভাবে বিল দিতে পারবে না সংস্থাগুলি।
কাগজের বিল আসে বিনামূল্যে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বা পরিষেবা আদৌ বাস্তবসম্মত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চায় ট্রাই। তারা জানাচ্ছে, কাগজের বিল নিয়ে তাদের কাছে অভিযোগ ও মতামত জমা পড়ছে বিভিন্ন মহল থেকে। টেলিকম সংস্থাগুলি তো বটেই, এমনকী সংসদ সদস্য, বিধায়ক এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রশাসনের কর্তারাও বলছেন, এই প্রথা তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক ট্রাই। এর পিছনে বেশ কয়েকটি যুক্তি উঠে এসেছে। প্রথমত, যেহেতু কাগজ তৈরি করতে প্রচুর গাছ কাটতে হয়, সেই কারণেই পরিবেশের উপর চাপ পড়ে। বিল দেওয়ার রীতি কমলে সেই সমস্যা খানিকটা হালকা হয়। দ্বিতীয়ত, যেভাবে মোবাইলে ডেটা ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে, তাতে ই-মেলে বিল পেতে আগ্রহী হবেন অনেকেই। এমনকী ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পক্ষেও তা জোরালো হবে। তৃতীয়ত, পোস্ট পেইড বিলের গ্রাহকদের ৯০ শতাংশ ই-বিল নিতে বেশি আগ্রহী, দাবি মোবাইল সংস্থাগুলির। সেক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ গ্রাহকের জন্য তা বাধ্যতামূলক করা যেতেই পারে, এমনই যুক্তি তাদের। এর পাশাপাশি কমবে বিল ছাপানোর খরচও।
এই মতামতগুলির বিপক্ষেও উঠে এসেছে যুক্তি। বলা হয়েছে, গাছ কেটে কাগজ তৈরির দিন শেষ। এখন ২৫ শতাংশ কাগজ তৈরি হয় পাল্প উড থেকে। বাকি ৭৫ শতাংশ তৈরি হয় কাগজের বর্জ্য থেকে বা পরিত্যক্ত কৃষিজ দ্রব্য থেকে। কাগজ উৎপাদন বন্ধ হলে, ওই বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করবে। তাছাড়া যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও ইন্টারনেট সম্পর্কে অজ্ঞ, সেখানে সব বিল ই-মেলে পাঠানোর কী যুক্তি, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেসব খতিয়ে দেখেই ট্রাই জানিয়েছে, এখনই ফোনের বিলের ক্ষেত্রে ই-বিলকে বাধ্যতামূলক করার দরকার নেই। যেমন চলছে, সেই নিয়মই চলবে।