কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রেল সূত্রের খবর, এর আগে নামী ট্রেনে খাবার নিয়ে অভিযোগ সামাল দিতেই বড়সড় পদক্ষেপ করেছিল রেল। রাজধানী-দুরন্ত-শতাব্দীর মতো ট্রেনগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসা টিকিটের দামের সঙ্গে খাবারের দাম ধরে নেওয়ার রেওয়াজ বদল করা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই ওইসব ট্রেনে খাবার ঐচ্ছিক করে দেওয়া হয়। যদিও, হাওড়া-শিয়ালদহ থেকে ছাড়া হাই-প্রোফাইল ট্রেনগুলিতে অধিকাংশ যাত্রীই খাবার ঐচ্ছিক করে দেওয়ার সুযোগ ব্যবহার করেন না বলে খবর। কাজেই এই সব ট্রেনে নতুন করে মেনু সংক্রান্ত ব্যাপারে গড়মিলের জেরে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন বহু যাত্রী।
কয়েকদিন আগের ঘটনা। দুরন্ত এক্সপ্রেসে সফরের জন্য নির্দিষ্ট সময়েই টিকিট কেটে আসন নিশ্চিত করেছিলেন শহরতলির এক যাত্রী। টিকিট কাটার সময়ে অধিকাংশ যাত্রীর মতোই তিনিও ভরসা করেছিলেন রেলের খাবারের উপরেই। ট্রেনে কী খাওয়ানো হবে, তার তালিকাও দেখে নিয়েছিলেন সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে। কিন্তু, ট্রেনে সফর করার সময়ে খাবারের মেনু দেখে চক্ষু চরকগাছ হয়ে যায় তাঁর। এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেকেরই।
কী বলছেন রেলের কর্তারা? বিষয়টি নিয়ে রেলের এক কর্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ নিয়ে যা বলার আইআরসিটিসি বলবে। কারণ, খাবারের দায়িত্বে রয়েছে তারাই। আইআরসিটিসি’র বক্তব্য, যাত্রীদের যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, তাতে কোথাও অনিয়মের কিছু নেই!
তাহলে কেন এই গরমিল? বিষয়টি খোলসা করলেন আইআরসিটিসির এক কর্তা। তাঁর বক্তব্য, যাত্রীদের যে অভিজ্ঞতা সেটা যেমন ঠিক, তেমনই যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, তাতেও বেঠিক কিছু নেই। আসলে, রাজধানী-দুরন্ত-শতাব্দী এক্সপ্রেসে খাবারের মেনুতেই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। বাড়তি মেদ ঝড়িয়ে ‘স্লিম’ করা হয়েছে মেনু। কিন্তু, পরিবর্তিত তালিকা এখনও ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। তার জেরেই এই বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। খাবারের মেনুতে যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তা রেল বোর্ডের অনুমোদনক্রমেই। তা নিয়ে নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। কাজেই অনিয়মের কোনও বিষয়ই নেই। খাবারের পরিবর্তিত তালিকা যাতে দ্রুত ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়, তা দেখা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, রেলের খাবারের মান নিয়ে কোথায় কোনও সমঝোতা করা হচ্ছে না। কোনও অভিযোগ উঠলেই তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খোদ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে ডেকে বৈঠক করেছেন। তার সুফলও মিলছে। কিন্তু, কেন ‘স্লিম’ করা হল হাই-প্রোফাইল ট্রেনগুলির খাবারের তালিকা? সংস্থার এক কর্তা বলেন, খাবারের দাম ২০১২ সালের পর আর বাড়েনি। কিন্তু, খাবার তৈরির খরচ বাড়ছে। সেই কারণেই খাবাবেব মান আটুট রেখেই তালিকায় কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে।