Bartaman Patrika
শিল্প -বাণিজ্য
 

টেলিভিশন বিপ্লবের অভিযান

মৃণালকান্তি দাস: কেবল টিভির যুগে যাঁদের জন্ম ও বড় হওয়া, তাঁদের কাছে অবশ্য দূরদর্শনকে ঘিরে কোনও আবেগ না থাকাটাই স্বাভাবিক। শহুরে মানুষের একাংশ দূরদর্শনকে যতই তাচ্ছিল্যের চোখে দেখুক, কেবল টিভি, ইন্টারনেটের এই জেটযুগেও চ্যানেলের ভিড়ে দূরদর্শন এখনও সেরা। দেশের সমস্ত হিন্দি চ্যানেলের সঙ্গে টক্কর দিয়ে আজও দর্শক টানে দূরদর্শন।
১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি) বিশ্বে প্রথম টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু করার দু’দশকেরও কিছু বেশি সময়ের পর ১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ছোট একটি ট্রান্সমিটার এবং অস্থায়ী স্টুডিও থেকে প্রথমবার দূরদর্শনের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার হয়। ইউনেস্কোর সহযোগিতায় এই কাজ শুরু। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৬১ সালে স্কুল শিক্ষা, টেলিভিশন সম্প্রচারকে এরসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে সম্প্রচারের পরিধি বাড়ানো হয়। অল ইন্ডিয়া রেডিওর তত্ত্বাবধানে ১৯৬৫ সাল থেকে প্রতিদিনব্যাপী সম্প্রচার শুরু হয়। ওই বছরই প্রথম পাঁচ মিনিট দীর্ঘ খবরের বুলেটিন শুরু হয়। প্রতিমা পুরী দূরদর্শনের প্রথম সংবাদ উপস্থাপিকা ছিলেন। ১৯৬৭ সালে আসেন সালমা সুলতান। তারপর থেকে সরলা মাহেশ্বরী, শীলা চমন, মিনু তলওয়ারের মতো একাধিক মহিলা সংবাদ উপস্থাপিকতা দূরদর্শনে কাজ করেছেন। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ফলে দেশে টেলিভিশনের দ্রুতগতিতে বৃদ্ধির সূচনা হয়। এগুলি হল— ১৯৭৫ সালের আগস্ট থেকে ১৯৭৬-র জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত উপগ্রহের মাধ্যমে শিক্ষামূলক টেলিভিশন সম্প্রচার বা ‘সাইট’ প্রকল্প। এতে দেশের ছ’টি রাজ্যে গ্রামাঞ্চলে একটি উপগ্রহ ব্যবহার করে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হতে থাকে। এর মূল লক্ষ্য ছিল, টেলিভিশনকে উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা। যদিও সম্প্রচারের মধ্যে কিছু বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর ফলে, টেলিভিশন সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসে। এরপর, ১৯৮২ সালে দেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ ‘ইনস্যাট-১এ’ কাজ করতে শুরু করলে দূরদর্শনের সমস্ত আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলির মধ্যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। সেই প্রথম দূরদর্শন দিল্লি থেকে অন্য সমস্ত দূরদর্শন কেন্দ্রের জন্য জাতীয় অনুষ্ঠান শুরু করে।
১৯৭২ সালে ভারতে টেলিভিশনের প্রথম বড় আকারের সম্প্রসারণ করা হয়। এই সময় মুম্বইয়ে দ্বিতীয় টেলিভিশন কেন্দ্রটি খোলা হয়। এরপর শ্রীনগর এবং অমৃতসরে ১৯৭৩ সালে এবং কলকাতা, মাদ্রাজ এবং লখনউ-এ ১৯৭৫ সালে টেলিভিশন কেন্দ্র খোলা হয়। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের ৭টি শহরে টেলিভিশন পরিষেবা সরবরাহকারী ছিল। ততদিন পর্যন্ত দূরদর্শনই ভারতের একমাত্র টেলিভিশন পরিষেবা সরবরাহকারী ছিল। খানিকটা থেমে থেমে এবং সাদা-কালো ছবি টেলিভিশনে সম্প্রচার হতো। ১৯৭৬ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শন আলাদা হয়ে যায়। লোগো তৈরির ভার পড়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের পড়ুয়াদের উপর। মোট ১৪টি নকশার মধ্যে থেকে বাঙালি ছাত্র দেবাশিস ভট্টাচার্যের আঁকা লোগোটি পছন্দ করেন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। চীনের মানুষ ‘‌ইয়িন–ইয়াং’‌ নীতিতে বিশ্বাস করেন। তাঁদের মতে, দুই বিপরীত শক্তি মিলিত হলেই কোনও কিছু সম্পূর্ণ হয়। সেই নীতি থেকেই দূরদর্শনের নকশা এঁকেছিলেন দেবাশিস ভট্টাচার্য। মাঝখানে মানুষের চোখ, এবং তার উপরে এবং নীচে ঢেউ খেলানো দুটি রেখা। সবমিলিয়ে সম্পূর্ণ একটি বৃত্ত। সঙ্গে দূরদর্শনের বিখ্যাত সেই সিগনেচার টিউন। আধুনিক জ্যাজ-পপের যুগে সেই টিউন যতই পুরনো হয়ে যাক না কেন, এখনও কোনও বাড়ির অন্দরমহল থেকে এই টিউন ভেসে আসলে পুরনো স্মৃতির পাতা খুলে বসেন না, এমন মানুষ বোধহয় কম। তারও তো একটা ইতিহাস আছে।
ইন্দিরা গাঁধী তখন প্রধানমন্ত্রী। দূরদর্শনের জন্য ‘সিগনেচার টিউন’ তৈরি করতে রবিশঙ্করকে অনুরোধ করলেন। দূরদর্শনের অনুষ্ঠান শুরুর আগে শোনা যাবে যে আবহসঙ্গীত। ১৯৯৭-এর ৮ মার্চ আকাশবাণীর কলকাতা কেন্দ্রে এক সাক্ষাৎকারে পণ্ডিত রবিশঙ্কর নিজেই বলেছিলেন ইন্দিরার সেই অনুরোধের কথা। অনেক আগে তাঁরই সুরে ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’ খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আর্জি, দূরদর্শনের জন্য ওই রকম একটা সুর হলে ভালো হয়! রবিশঙ্কর জানিয়েছিলেন, ইন্দিরার প্রস্তাব তাঁর খুব ভালো লেগেছিল। ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’-র প্রথম লাইনের সুরের আদলেই রবিশঙ্কর টিউনটি বানালেন। মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধায় তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে  ‘মোহনকোষ’  রাগ সৃষ্টি করেছিলেন রবিশঙ্কর। পণ্ডিত রবিশঙ্কর টিউনটি কম্পোজ করেছিলেন। আর এই সানাই-এর টিউনটি বাজানোর জন্য কলকাতার ৬১ বি ক্যানিং স্ট্রিট থেকে আলি আহমেদ হুসেনকে নিয়ে গিয়েছিলেন দিল্লি। অসম্ভব নস্ট্যালজিক একটা টিউন। ‘জনগণমন অধিনায়ক’ গানের সুরের পর গোটা দেশে সব চেয়ে জনপ্রিয় সুর এটিই। যা নিয়ে ১৯৭৬ সালের ১ এপ্রিল নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করে দূরদর্শন।
কলকাতা দূরদর্শন মানেই একঝাঁক স্মৃতির কোলাজ। সেই ইতিহাস ছুঁতে গেলে ফিরে যেতে হয় সেই ১৯৭৫ সালে। সেই বছর ৯ আগস্ট বাঙালির জীবনে একটা বিপ্লব ঘটিয়ে কলকাতায় এসেছিল টেলিভিশন। প্রথম যে পঞ্চাশ মিনিটের ছোট্ট অডিও-ভিস্যুয়াল এপিসোডটুকু দিয়ে যাত্রারম্ভ, রাধা ফিল্ম স্টুডিওতে তা রেকর্ড করা হয়েছিল। দেশে তখন জরুরি অবস্থা। তারই মধ্যে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের হাতে দূরদর্শন কেন্দ্র কলকাতার উদ্বোধন। সঙ্গে তৎকালীন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বিদ্যাচরণ শুক্লা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তরুণ তথ্যমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বাংলাদেশ টিভির সেই সময়কার ডিরেক্টর জেনারেল জামিল চৌধুরী কয়েকজন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীকে সঙ্গে নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সেদিন টেলিভিশনের পর্দায় প্রথম যে মুখটি ভেসে উঠেছিল, তা শর্মিষ্ঠা দাশগুপ্তের। সুব্রত কর, শাক্যসিংহ ধর আর বনবিহারী পাহাড়ি ছিলেন স্টুডিওতে ক্যামেরাম্যান। ধ্রুব মিত্র ফ্লোর ম্যানেজার। একটা লম্বা প্যান শটের পরে শর্মিষ্ঠার মিড শট। শর্মিষ্ঠা দাশগুপ্তে হাত জোড় করে ঘোষণা করেছিলেন: নমস্কার, আজ থেকে কলকাতা টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হল...। কিন্তু টিভি কিনে ফেলা তখন তো খুব সহজ ছিল না। টিভির অনুষ্ঠান দেখতে গেলে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হতো। তার জন্যও একটা খরচ ছিল। টিভি লাইসেন্সের দিক থেকে এক নম্বর লাইসেন্স ছিল বি কে সাহা পরিবারের। তাঁরা বড় চা-ব্যবসায়ী ছিলেন। ফলে সেই বিপ্লবের তরঙ্গ বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছতে অনেক সময় লেগেছিল। বাড়ির ছাদে ছাদে তখন অ্যালুমিনিয়াম অ্যান্টেনা আকাশপানে চেয়ে থাকত। বাতাসে দৃশ্য-শ্রাব্য তরঙ্গ ধরে ফেলে টিভি সেটে চালান হতো।
১৯৭৫-এর বাংলার দূরদর্শন ছিল পথিকৃৎ। ভরাট ব্যারিটোন এবং নিজস্ব ‘অক্সোনিয়ান’ উচ্চারণে ইংরেজি খবর পড়তেন অধ্যাপক এন বিশ্বনাথন। ছিলেন আর এক দিকপাল লীনা সেন। বাংলা খবর পড়তেন কারা মনে পড়ছে? দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস বসু, দেবরাজ রায়, তরুণ চক্রবর্তী, ছন্দা সেন, কমলিকা ভট্টাচার্য। কিছুদিনের জন্য দীপক চক্রবর্তী। যিনি তখন বাংলা সিনেমার রুপোলি পর্দা কাঁপাচ্ছেন ‘চিরঞ্জিত’ নামে! আরও পরে মধুমন্তী মৈত্র, রায়া ভট্টাচার্য, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণা মণ্ডল, দেবাশিস রায়চৌধুরী। আর অনুষ্ঠান ঘোষণা করতেন মূলত শাশ্বতী গুহঠাকুরতা এবং চৈতালী দাশগুপ্ত। পরে আরও অনেকে। এছাড়া নিয়মিত যেসব অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো, প্রথমেই মনে পড়বে, শনিবার বিকেলে একটি সিনেমা। আর সপ্তাহের মাঝে এক এক দিন এক এক রকম অনুষ্ঠান। একদিন ‘চিত্রমালা’ (বাংলা সিনেমার গান)। কয়েকদিন টেলি-ধারাবাহিক। যা এককথায় সিরিয়াল। একদিন ‘দর্শকের দরবারে’। একদিন ‘সাপ্তাহিকী’। হিন্দি অনুষ্ঠান বাংলার ঘরে ঘরে তেমন জনপ্রিয় না হলেও ‘চিত্রহার’ (হিন্দি সিনেমার গান)। রবিবার বিকেলে হিন্দি সিনেমা আর আরও পরে শুরু হওয়া রবিবার সকালের ‘রঙ্গোলি’ (এও হিন্দি সিনেমার গান, সঙ্গে বিশেষ প্রাপ্তি হেমা মালিনী বা শর্মিলা ঠাকুরের মতো তারকা-নায়িকাদের সঞ্চালনা) খুব জনপ্রিয় ছিল। ১৯৮২ সালের নভেম্বর মাসে দেশে এশিয়ান গেমস-এর আয়োজন করা হয়েছিল এবং এই গেমস-এর সম্প্রচারের সময় থেকেই রঙিন ছবির সম্প্রচার শুরু। আটের দশক ছিল দূরদর্শনের বিখ্যাত টেলিভিশন সিরিয়াল ‘হামলোগ’ (১৯৮৪),‘বুনিয়াদ’ (১৯৮৬-’৮৭) এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ ‘রামায়ণ’ (১৯৮৭-’৮৮) এবং মহাভারত (১৯৮৮-’৮৯)-এর মতো পৌরাণিক কাহিনী দেখতে দূরদর্শনের সামনে ভিড় করত। নয়ের দশকের প্রথম দিকে আমাদের দেশে টেলিভিশনের রমরমাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল, তা হল উপগ্রহ টেলিভিশনের মাধ্যমে সিএনএন-এর মতো বিদেশি অনুষ্ঠানের সম্প্রচার। স্টার টিভি, জি-টিভি এবং সান-টিভির মতো আমাদের দেশের চ্যানেলগুলি ভারতের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। এরপর সরকার পর্যায়ক্রমে টেলিভিশন সম্প্রচারসংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করলে ভারতে টেলিভিশনের সম্প্রচার বাড়ে। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে কেবল টেলিভিশন সম্প্রচার পারিবারিক বিনোদনের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দেয়।
ভাবতে অবাক লাগে, কলকাতা দূরদর্শন ছিল দেশের ‘জরুরি অবস্থা’-র সন্তান। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে এই বিশেষ আপৎকাল ঘোষণার দেড় মাস পর যার সূচনা। সরকারি বিশ দফা কার্যক্রমের প্রচারে দূরদর্শন তখন উপহাসের পাত্র। ৪১টা বছর পেরিয়ে বহু ঘটনার ক্লোজ-আপে ভরে ওঠা স্মৃতির ক্যানভাস আগলে সেই দূরদর্শন। যান্ত্রিকতায় পরিপূর্ণ জীবনে এক পশলা শান্তি সাদাকালো টেলিভিশনের বর্ণিল স্মৃতি। চারকোণা ম্যাজিক বাক্সের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদেরও স্মৃতি, আবেগ, কত অনুভূতি। 

19th  March, 2019
বাজেট নিয়ে কে কী বললেন

অন্তবর্তী বাজেট অন্তঃসার দিশাহীন শূন্য। এই বাজেটে কোনও দ্বিশা দেখাতে পারেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে বাজেট পেশ হয়নি। বিশদ

02nd  February, 2024
অর্ন্তবর্তী বাজেট: খুশি নয় আবাসন শিল্প

আবাসন শিল্পকে খুব একটা খুশি করতে পারল না এবারের অর্ন্তবর্তী বাজেট। শিল্পমহলের কর্তারা বলছেন, যেটুকু ঘোষণা বাজেটে হয়েছে, তাতে ইমারতি কারবার হয়তো কিছুটা বাড়বে। কিন্তু মধ্যবিত্তকে নতুন করে ফ্ল্যাট কেনায় তেমন একটা উৎসাহিত করবে না। বিশদ

02nd  February, 2024
আদানি গোষ্ঠীতেই আস্থা ব্ল্যাকরক, নিউবার্জারদের

হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু, সেই সময়ও তাদের উপর আস্থা রেখেছিল বিশ্বের নামজাদা কিছু অ্যাসেট ম্যানেজার। জটিল পরিস্থিতিতে আদানি গোষ্ঠীর ডলার বন্ড কিনে অক্সিজেন জুগিয়েছিল তারা। বিশদ

25th  January, 2024
রিলায়েন্স ডিজিটালে বিশেষ অফার

সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ অফার আনল রিলায়েন্স ডিজিটাল। তারা জানিয়েছে, ৫৫ ইঞ্চি কিউএলইডি টিভি পাওয়া যাবে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে। ৭৫ ইঞ্চি ইউএইচডি টিভি মিলবে ৬৬ হাজার ৯৯০ টাকায়। বিশদ

25th  January, 2024
গাড়ির বাজার আপাতত চাঙ্গাই থাকবে, আশা বিশেষজ্ঞ সংস্থার

করোনা পরবর্তীকালে সাময়িকভাবে ঝিমিয়ে পড়েছিল দেশের গাড়ি বাজার। সাম্প্রতিককালে তা ফের একটু করে চাঙ্গা  হতে শুরু করেছে। দেশের অন্যতম ক্রেডিট রেটিং সংস্থা কেয়ার-এজ দাবি করেছে, চলতি অর্থবর্ষের শেষে যাত্রীবাহী গাড়ির সামগ্রিক বাজার বৃদ্ধি পাবে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ হারে। বিশদ

25th  January, 2024
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম হওয়ার পর দিনই বড় ধাক্কা শেয়ার বাজারে

সোমবারের বিরতির পর মঙ্গলবার খুলল শেয়ার বাজার। কিন্তু ‘মঙ্গল’যাত্রা হল না সূচকের। বড়সড় ধস নামল সেনসেক্স ও নিফটিতে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক,রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মতো হেভিওয়েট শেয়ারের পতন, সেইসঙ্গে বিশ্ববাজারের নেতিবাচক সঙ্কেত টেনে নামাল সূচককে। বিশদ

24th  January, 2024
হচ্ছে না সংযুক্তি, জি-র সঙ্গে চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল সোনি

জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। শেষপর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জি এন্টারটেনমেন্টের সঙ্গে সংযুক্তির চুক্তি বাতিল করে দিল সোনি  পিকচার্স নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া (এসপিএনআই)। এব্যাপারে সুভাষ চন্দ্র পরিবারের মালিকানাধীন জি এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড (জেডইইএল)-এর কাছে নোটিস পাঠিয়েছে জাপানি সংস্থা। বিশদ

23rd  January, 2024
রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগী এসবিআই

কৃষিভিত্তিক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগী হল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সম্প্রতি তারা শহরে ‘মিলাপ-২৪’ এর আয়োজন করে, যেখানে বাংলার সুগন্ধি চাল, ফল, পাটজাত দ্রব্য, চা, সামুদ্রিক খাবার প্রভৃতি রপ্তানিকারক সংস্থার কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিশদ

20th  January, 2024
মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে আয়ের পথ দেখছেন মহিলারা

সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেছেন তারকেশ্বর ব্লকের প্রায় ১০০ মহিলা। এই উদ্যোগ থেকে আয়ের নতুন দিশাও দেখছেন তাঁরা। রাজ্য কৃষিদপ্তরের উদ্যোগে আত্মা প্রকল্পে আস্তাড়া- দত্তপুর, রামনগর, কেশবচক সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় এই মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশদ

19th  January, 2024
শেয়ার বাজারের রক্তক্ষরণ চলছেই

এই নিয়ে টানা তিনদিন। শেয়ার বাজারে অব্যাহত রক্তক্ষরণ।  বৃহস্পতিবারও নিম্নমুখী রইল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ ও বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক। এদিন বাজার খোলার পরই হু হু করে নামতে থাকে সেনসেক্স। একটা সময় তো ৮৩৫.২৬ পয়েন্ট পতন হয় সেনসেক্সের। বিশদ

19th  January, 2024
সোনার দর ৬৩ হাজারের নীচে
 

একমাসের মাথায় সোনার দাম ৬৩ হাজার টাকার নীচে নামল। ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,  বৃহস্পতিবার কলকাতায় ‘৯৯৯’ বিশুদ্ধতার খুচরো সোনার দর যায় ৬২ হাজার ৭৫০ টাকা। বিশদ

19th  January, 2024
ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রি বাড়ল দেশে

২০২৩ সালে ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রি ৫০ শতাংশ বাড়ল। ক্রেডিট রেটিং সংস্থা কেয়ার-এজ দাবি করেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত  যেখানে দেশে প্রায় ১০ লক্ষ ২০ হাজার ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়েছিল, সেখানে ২০২৩ সালে তার বিক্রি ১৫ লক্ষ ৩০ হাজারে পৌঁছেছে। বিশদ

19th  January, 2024
শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণ, একদিনেই উবে গেল সাড়ে ৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি

মঙ্গলবারের পর বুধবারও ভারতীয় শেয়ার বাজারের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। সোমবারই ৭৩ হাজারের গণ্ডি পার করে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল বম্বে শেয়ার বাজারের সূচক সেনসেক্স। আর বুধবার এক ধাক্কায় সেনসেক্স ১ হাজার ৬২৮ পয়েন্ট পড়ে যায়। বিশদ

18th  January, 2024
ব্রততী, মামণিদের বানানো পাটালি গুড় কিনে ফিরলেন মধ্যপ্রদেশের পুণ্যার্থীরা

মামণি, ব্রততী, টুসিদের তৈরি পাটালি গুড় থেকে শুরু করে সুন্দরবনের মধু পৌঁছে যাচ্ছে উত্তর ও মধ্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে! অভিনব কোনও সরকারি উদ্যোগ নয়, সাগরমেলায় আসা ভিন রাজ্যের পুণ্যার্থীরা বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে এসব সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। বিশদ

17th  January, 2024

Pages: 12345

একনজরে
একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...

ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম সমালোচক তথা বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান। জেলের ভিতর সেই মৃত্যু নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিন্দার মুখে পড়েছেন পুতিন। ...

তাপমাত্রা বাড়তেই ভাবনা বদল। বুধবার বালুরঘাটে এই মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন পারদ আরও চড়ার পূর্বাভাস পেয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ভোটাররা। ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM