কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
টেলিভিশনের দর্শকরা খুব বিপাকে পড়েছেন। বিভিন্ন চ্যানেলের কোন প্যাকেজ নেবেন আর কোন প্যাকেজ নেবেন না তা ঠিক করতে হিমশিম খাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় মনে পড়ে যাচ্ছে এই পশ্চিমবাংলা তথা সমগ্র পূর্বভারতে প্রথম টিভি অনুষ্ঠান যখন সম্প্রচারিত হতে আরম্ভ করল সেই সময়ের কথা। এখনকার টিভি দর্শক এবং সংবাদপত্র পাঠকদের সেটা রূপকথা বলে মনে হতে পারে। ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট, আমার এই লেখার বর্তমান পাঠকদের অনেকের তখন জন্মই হয়নি। কলকাতায় টিভি চালু হোক সেই দাবি নিয়ে নানা মহল থেকে তখন চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান ‘ইন্সটিটিউট অব অডিও ভিজুয়াল কালচার’ এর সদস্যদের নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক সেমিনার চালিয়ে যাচ্ছি যাতে কলকাতায় দ্রুত টেলিভিশন চালু হয় সেই আর্জি এবং দাবি নিয়ে। ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকারের কাছেও নিয়মিত আবেদন নিবেদন এবং দাবিপত্র পাঠাচ্ছি। আসলে এর একটা প্রেক্ষাপট আছে। ভারতে টেলিভিশন চালু হয়েছিল অনেকদিন আগেই, কিন্তু তা বহুবছর ধরে কেবলমাত্র দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল। তখন একটা বিতর্ক চালু ছিল সারাভারত জুড়ে যে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে টেলিভিশনের মতো একটা মাধ্যমের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না! টেলিভিশনকে তখন একটা বিলাসবস্তু বলে মনে করা হতো। মূল বিতর্কটা ছিল এই নিয়ে যে ভারতের মতো দরিদ্র দেশে টেলিভিশন চালু করতে যে খরচ হবে সেই অর্থ বরং ব্যয় করা হোক শিক্ষা খাতে, স্বাস্থ্য খাতে, কিংবা পল্লি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজনে। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিতর্ককে মান্য করে টেলিভিশন নামক আধুনিকতম মাধ্যমটিকে কেবলমাত্র দিল্লির সীমাতেই আটকে রাখলেন বহু বছর। এর মধ্যে সারা বিশ্বে টেলিভিশনের যুগ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা এখনও সেই টেলিভিশন যুগেই বাস করছি। অবশ্য সামনে দেখতে পাচ্ছি ইন্টারনেট যুগ দ্রুত পদক্ষেপে এগিয়ে আসছে। টেলিভিশন মাধ্যমটি তার শক্তি ও ক্ষমতার পরিচয় দিতে শুরু করে বিশেষ করে ষাটের দশকের সূচনা থেকে। ষাটের দশকে ফ্রান্সে এক যুব বিদ্রোহ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে সেই যুব বিদ্রোহ সারা ফ্রান্সে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। চাকুরিজীবী শ্রেণী, মধ্যবিত্তরা এমনকী শ্রমিকশ্রেণী পর্যন্ত সেই বিদ্রোহে এসে যোগ দেন। ফ্রান্সে তখন প্রেসিডেন্ট দ্যগলের রাজত্ব। তাঁর মসনদ টলে উঠলে সেই সময় প্রেসিডেন্ট দ্যগল তাঁর একটি উপলব্ধির কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, টেলিভিশন নামে নতুন যে মাধ্যমটি এসেছে আমি যদি সেটিকে কব্জা করে রাখতে পারি তাহলে আমাকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। শেষ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থেকে গিয়েছিলেন কেননা টেলিভিশন মাধ্যমটিকে তিনি তাঁর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারপর মার্কিন নির্বাচনে টেলিভিশনের ভূমিকা এবং আরও নানা সামাজিক, রাজনৈতিক ঘটনার মাধ্যমে টেলিভিশন এক অমিত শক্তিধর মাধ্যম হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করল। তখন ভারতের অভ্যন্তরেও এক উল্টো স্রোতের বিতর্ক তৈরি হল যে সারা পৃথিবী, বিশেষ করে পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলোতে, টেলিভিশন মাধ্যমটি এখন এতো জনপ্রিয় আর আমরা কি এখনও পিছিয়ে থাকব? আমরা সেই পুরনো আমলের রেডিও আর খবরের কাগজ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকব! এই উল্টো জনমতের চাপে দিল্লিতে সিদ্ধান্ত হলে যে একটু একটু করে টিভি ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
পূর্ব ভারতে প্রথম টেলিভিশন কেন্দ্র কলকাতাতে স্থাপনের কাজ দ্রুত এগতে লাগল একটাসময়। জায়গার সন্ধানে টালিগঞ্জে রাধা ফিল্ম স্টুডিওকে সনাক্ত করা হল। ঐতিহাসিক এই ফিল্ম স্টুডিওতে অবিস্মরণীয় সব চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে একদা।
রাজ্য সরকারের তৎকালীন তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় রাধা ফিল্ম স্টুডিও পাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ তৎপর হয়েছিলেন। ফিল্ম স্টুডিওকে টেলিভিশন স্টুডিওতে রূপান্তরের কাজ দ্রুত এগতে লাগল। কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন বেরল। পূর্ব ভারতে প্রথম টিভি আসছে কাজেই সাংবাদিক, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, সম্প্রচারক এবং মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিপুল সারা পড়ে গেল। টেলিভিশন তখন আকাশবাণীরই একটা অংশ। এত হাজার হাজার দরখাস্ত পড়ল যে আকাশবাণী ভবনে এতজনের পরীক্ষা গ্রহণের স্থান সঙ্কুলান সম্ভব হল না। সেন্ট পলস চার্চের প্যারিস হল, যেটি বিয়েবাড়ির জন্য ভাড়া দেওয়া হতো, সেটিকে ভাড়া নিয়ে তখন বিয়েবাড়িতে যে টানা টেবিল ও ভাঁজ করা চেয়ার পাতা হতো অতিথিদের খাওয়ানোর জন্য, তেমনই টেবিল চেয়ার সাজিয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হল সারাদিন ধরে। পুনের ফিল্ম ইন্সটিটিউট থেকে অধ্যাপকরা এলেন পরীক্ষা নিতে। প্রথমার্ধে ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লিখতে দেওয়া হল আর দ্বিতীয়ার্ধে ভিজুয়ালাইজেশন টেস্ট হল। পরীক্ষায় যাঁরা সফল হলেন তাঁদের ইন্টারভিউতে আকাশবাণী ভবনে ডাকা হল। সেই ম্যারাথন ইন্টারভিউতে ছিলেন পুনের ফিল্ম ইন্সটিউটের বেশ কয়েকজন বিদগ্ধ অধ্যাপক। ইন্টারভিউ বোর্ডে এখান থেকে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, তথ্যচ্চিত্র পরিচালক শান্তি চৌধুরী, আকাশবাণী কলকাতার স্টেশন ডিরেক্টর দিলীপকুমার সেনগুপ্ত। ইন্টারভিউ বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ভারতীয় টেলিভিশনের প্রথম ডিরেক্টর জেনারেল পিভি কৃষ্ণমূর্তি। জীবনের নানা ক্ষেত্র থেকে প্রযোজকদের নির্বাচন করা হল। নাটক, গান, নাচ, সাহিত্য, বিজ্ঞান, কৃষি ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে থেকে। আমরা টেলিভিশন শিক্ষার্থী হিসেবে সরাসরি গিয়ে যোগ দিলাম পুনে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউটে। সেটা একই সঙ্গে আমাদের চাকরিতে যোগদানও। আমরাই হলাম পুনেতে টিভি ফ্যাকাল্টির প্রথম ছাত্রছাত্রী। টেলিভিশন ফ্যাকাল্টি উদ্বধোন করলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়। উদ্বোধনের দিন ঘটনাচক্রে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে সেদিন উপস্থিতি ছিলেন ঋত্বিক ঘটক এবং মৃণাল সেনও। আমরা কোর্স শেষ করে এসে আকাশবাণী ভবনে কাজ শুরু করলাম। তখনও রাধা ফিল্ম স্টুডিও রূপান্তরের কাজ চলছে।
টেলিভিশনের নিয়োগপত্র পাওয়ার পর আমি কাজে যোগ দিই। অন্যরা পরে ধীরে ধীরে তাঁদের তখনকার চাকরি ছেড়ে সব ব্যবস্থা করে এসে যোগ দেন। ফলে আমার সৌভাগ্য যে পূর্বভারতে প্রথম টিভি কর্মী হিসেবে আমি সনাক্ত হলাম। আমার পরে যিনি এসে কলকাতা টেলিভিশনে যোগ দিলেন, তিনিই আমাদের প্রথম ডিরেক্টর মীরা মজুমদার। তাঁর সহযোগী হয়ে পরে আসানে শিপ্রা রায়। এই দুইজনের যোগ্য নেতৃত্ব পাওয়া আমাদের সকলের কাছে এক দুর্লভ সৌভাগ্য। দুজনেই ছিলেন উচ্চশিক্ষিতা, উদার এবং সুরুচিসম্পন্না। তখনও দূরদর্শন নাম হয়নি। বলা হত কলকাতা টেলিভিশন। বেশ কিছুদিন পড়ে একটি ভারতীয় নামের সন্ধানে ‘দূরদর্শন’ নামটি প্রস্তাবিত হয়। তখন ভারতের জাতীয় অধ্যাপক আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। আমাকে পাঠানো হয় তাঁর কাছে অনুমোদনের জন্য। ভাষাবিদ সুনীতিকুমার দূরদর্শন নামটি পছন্দ করেন। তখন থেকে ভারতে টেলিভিশন দূরদর্শন নামেই পরিচত হল।
১৯৭৫ সালে ৯ আগস্ট আমরা যখন প্রথম নিয়মিত সম্প্রচার শুরু করলাম। তখন আমাদের টেলিভিশনের প্রথম ঘোষিকা শর্মিষ্ঠা দাশগুপ্ত। স্টুডিও থেকে ঘোষণা করলেন, ‘নমস্কার আজ থেকে কলকাতা টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হল।’ যাত্রা শুরু হল কিন্তু তখনও প্রোডাকশন প্যানেলই তৈরি হয়নি। বাইরের খেলাধূলা, অনুষ্ঠান লাইভ সম্প্রচারের মধ্যে ওবি ভ্যান ছিল সেটির মধ্যে বসে আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করে দিলাম। প্রথমদিন স্টুডিওতে ভিআইপিদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বিদ্যাচরণ শুক্ল, মন্ত্রী ধরমবীর সিংহ এবং সুব্রত মুখোপ্যাধ্যায়। কলকাতার অনেক আগেই ঢাকাতে টেলিভিশন চালু হয়েছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল জামিল চৌধুরীর নেতৃত্বে হামিদা আতিক, শাহনাজ রহমতুল্লাহ প্রমুখ শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করেন।
প্রথম দিকে ট্রান্সমিশন ছিল মাত্র দু’ঘণ্টার। তারই মধ্যে সংবাদ ছাড়াও থাকত গান, নাচ, নাটক, শিশু কিশোরদের অনুষ্ঠান, কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান, তরুণদের অনুষ্ঠান, সাহিত্য সংস্কৃতির অনুষ্ঠান ইত্যাদি। প্রথম থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান ও খেলাধূলা বিষয়ক অনুষ্ঠানকে। সপ্তাহের ছ’দিন সিনেমা দেখানো হত। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আমাদের এখানকার ফিল্ম এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে সেসব জেলায় সিনেমা হলগুলিতে সন্ধেবেলায় সিনেমা বন্ধ হয়ে যায়। দর্শকদের মতামত ও চিঠিপত্র নিয়ে প্রথম দিন থেকে আমি একটা অনুষ্ঠান করতাম ‘দর্শকের দরবারে’ নামে। সেটি সে সময় সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশ থেকে সিনেমাহলের মালিক ও কর্মীরা দর্শকের দরবারে রাগী চিঠি লিখতে লাগলেন যে আপনাদের জন্য আমাদের এখানে সিনেমাহলগুলি বন্ধ হতে বসেছে।
৯ আগস্ট আমরা পথ চলা শুরু করার পরের দিনই কোনও অনুষ্ঠানই প্রচারিত হয়নি। কেননা সে রাতে ভীষন ঝড়ে রাধা ফিল্ম স্টুডিওর সঙ্গে গল্ফগ্রিনে আমাদের ট্রান্সমিটারের সংযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন হয়ে যায়। ডিরেক্টর জেনারেল কৃষ্ণমূর্তিজি দিল্লি থেকে উড়ে এসে বললেন, ‘এ দেশে কোনও কিছু ঠিক সময়ে চলে না, কেবল ব্রডকাস্টিং আরম্ভ হয় ডট টাইমে। আজ আমরা ঠিক সময় শুরু করব।’ গল্ফগ্রিনের ট্রান্সমিটার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্থায়ী স্টুডিও তৈরি শুরু হল। কৃষ্ণমূর্তিজি আমাকে বললেন, ‘তুমি মেকআপ করে তৈরি হয়ে থাকো, যদি ঠিক সময়ের মধ্যে সংযোগস্থাপন সম্ভব না হয় তবে তুমি কথা বলে, গল্প করে, ট্রান্সমিশানের দু’ঘণ্টা সময় কাটিয়ে দেবে। অবশ্য ঠিক সময়েই সংযোগস্থাপন সম্ভব হয়েছিল, আমি মেকআপ করে তৈরি হয়েছিলাম বলে আমাকেই প্রথম ঘোষণা করতে বলা হল।
প্রথম যখন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আমাদের অনুষ্ঠান করতে হল, নির্বাচন কভার করতে হল তা কেমনভাবে করতে হবে সেটা কাজ করতে করতেই আমরা আবিষ্কার করলাম। তবে শুরু থেকেই দর্শকরা ছিলেন আমাদের আত্মীয়ের মতো। তাঁরা আমাদের তাঁদের পরিবারই মনে করতেন।
একটা বিশেষ ঘটনার কথা বলে শেষ করি। বিধানসভা নির্বাচনে সেবার প্রথম বামফ্রন্ট জয়ী হয়েছে। দূরদর্শনের তরফ থেকে জ্যোতি বসুকে ইন্টারভিউ করার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছি। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। জ্যোতিবাবুর বন্ধু স্নোহংশু আচার্যের কাছ থেকে জানলাম তিনি শ্যালিকার বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছেন। আমি তাঁর বাড়িতে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। তিনি অনেক রাতে ফিরলেন। সিঁড়ির মুখে দাঁড়িয়ে শুনলাম জ্যোতিবাবু বলছেন, চন্দন লোকে ফুল দিয়েছে, জল দিয়ে ফুলদানিতে রাখ। আমি মনে মনে ভাবলাম, উনি কি ভাবতে পারছেন যে এরপরে তিনি ফুলের উপর দিয়েই হাঁটবেন। অত রাতে ওখানে আমাকে দেখে অবাক হলেন জ্যোতিবাবু। পরদিন ইন্টারভিউয়ের জন্য সময় দিলেন তিনি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, লোকে বলছে একটা বাম হাওয়া উঠেছে তার জোরেই আপনারা জিতে গেলেন। জ্যোতিবাবু বললেন, ‘ওসব হাওয়া-ফাওয়া নয়, লোকে আমাদের ভরসা করেছে বলেই জিতিয়েছে।’ ইন্টারভিউয়ের পরে ফস করে অনুরোধ করে বললাম, আজ আপনি আর কোনও মাধ্যমকে ইন্টারভিউ দেবেন না। কাল যাতে সব মাধ্যম লিখতে বা বলতে বাধ্য হয় আপনি টেলিভিশনে একথা বলেছেন। উনি অনুরোধ রেখেছিলেন। পরের দিন সব মাধ্যমই আমাদের ঊধ্বৃতি দিয়ে লিখলেন ও বললেন যে, জ্যোতিবাবু টেলিভিশনকে বলেছেন...।
ওই যে আমরা প্রাথমিক একটু স্বীকৃতি পেলাম সেটা যে কী আনন্দ দিয়েছিল তা আপনাদের বলে বোঝাতে পারব না।